“ভালোবাসার প্রান্ত”(পর্ব-১৬)

0
1680

“ভালোবাসার প্রান্ত”(পর্ব-১৬)

রাতে রুমে ঢুকতেই সীমান্ত আমাকে দেখে কপট রাগ দেখিয়ে ওপাশ ফিরে শুয়ে রইল। আমরা নারীরা জন্মের পরে থেকেই জেনে এসেছি যে, মেয়ে হয়ে জন্ম নিলেই কষ্ট সহ্য করতে হবে। এই জানাটা কিন্তু আমাদের মায়ের থেকেই জানা হয়। বাবারা কখনও এসব বলে না। এমনকি মেয়ের জীবনে কষ্টের আঁচ আসবে এই বিষয়টা কোনো বাবাই মন থেকে মেনে নিতে পারেন না।
এই যে আমার স্বামী আমাকে কতটা সুখে রেখেছে! আমার সুখের জন্য পৃথিবীটা এনে আমার পায়ের তলায় রেখে দিয়েছে। তবুও আমি ভেতর ভেতর কষ্ট পাচ্ছি। এই কষ্ট কোনো সুখের অভাবে নয়, এই কষ্ট ভালোবাসার অভাবে নয়, এই কষ্ট কোনো বিশ্বাহীনতার জন্য নয়, এই কষ্ট আমার প্রতি তার কোনো অবহেলাতে নয়। এই কষ্ট হলো, আমার স্বামী কষ্টে আছে তাই আমিও দ্বিগুণ কষ্ট পাচ্ছি। নারীর এই কষ্টের হদিস কী পুরুষরা জানতে পারে কখনও? হয়তো পারে না। এটা শুধুমাত্র নারীদেরই গোপন কষ্ট। নারী হয়ে জন্মেছি তাই এমন শত সহস্র কষ্টকে বুকে ধারণ করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। নারীদের এই কষ্টটা শুধু রীতিনীতি নয়, এটাই স্রষ্টার সৃষ্টি।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



নিতান্ত এই রাগী ভদ্রলোকের উপরের দেখানো রাগ থেকে ভালোবাসা নিংড়ে নিই আমি। বেশিরভাগ সংসারে এই রাগটাকে স্ত্রীরা বুঝতে না পেরে ভুল বোঝে। অনেকেই বুঝেই উঠতে পারে না যে, রাগের ভেতরে কতটা ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। অনেক মেয়ে তো ভেবেই বসে যে, স্বামী একদম ভালোবাসে না। কিন্তু রাগ তো মানুষ তার উপরেই করতে পারে, যাকে উজাড় করে ভালোবাসা যায়। কিন্তু এই ব্যাপারটা কী স্বামীরা বোঝে? স্ত্রীর রাগ অভিমানের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা কী তারা উপলব্ধি করতে পারে? তারা কী এটা জানে যে, একটা মেয়ের রাগ অভিমান করার স্থান শুধুই তার স্বামী? স্বামীকে ঘিরেই নারীর প্রেম ভালোবাসা রাগ অভিমান অভিযোগ। কোটি কোটি মানুষের ভীড়ে একটা মানুষের প্রতিই শুধু অভিমানের কারণটা কী তারা জানে?

আমি সীমান্তর রাগগুলো গায়ে মাখি না। কারণ আমি জানি যে, আমার কাঠঠোকরা বর একটু বেশিই অভিমানী। তার এই অভিমান বাড়তে দিলে তা জমাট বেঁধে পাহাড় হয়ে যাবে। অভিমান কখনও বাড়তে দেয়া উচিত নয়। স্বামী স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই অতি দ্রুত অভিমান ভাঙতে হয়। কারণ ছোট ছোট অভিমান ভালোবাসা বৃদ্ধি করলেও বড় বড় অভিমান ভালোবাসা হত্যা করে। আর আমি আমাদের ভালোবাসাকে কখনই হত্যা করতে দেবো না। আমি তার গা ঘেষে শুয়ে তার বাহুতে হাত রাখলাম। সে রোবটের মতো একটুও নড়লো না। শুনেছি মেয়েদের শরীরে নাকি বিদ্যুৎ থাকে। আমার শরীরে বোধহয় লোডশেডিং চলছে। অথবা আমার রোবট বর এখন চার্য নিচ্ছে। এসব আবল তাবল ভেবে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। হাসি চেপে রেখে অভিমানী সুরে বললাম-
__অসুস্থ বউয়ের উপর কেউ রাগ করে থাকে?

সে আমার দিকে মুখ না ঘুরিয়েই জবাব দিলো-
__কীসের অসুস্থ? এসব তো শখ করে দাওয়াত করে এনেছো।

আমি ইচ্ছে করেই আহ্লাদী সুরে বললাম-
__শখ করে দাওয়াত করেছি বেশ করেছি।

নিজের আহ্লাদী সুর শুনে নিজেই অবাক হলাম। ঠ্যালায় পড়ে আমার মতো কর্কশ নারীও ন্যাকামী করছে, ভাবা যায়! ভালোবেসে ভালোবাসার জন্য সব কিছু করাই যায়েজ বলে আমি মনে করি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিটা নারীই স্বামীর কাছে আহ্লাদ প্রকাশ করতে পছন্দ করে। এটা বেশিরভাগ নারীর স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। আরেকটা কারণ হলো, এতটা কাছাকছি নিবিড়ভাবে শরীর মন স্বামী ব্যতীত পৃথিবীর আর কোনো মানুষের সাথে মিলেমিশে একাকার হতে পারে না। তাই কিছু অঘোষিত অধিকাবোধ এখানে কাজ করে। যে অধিকার কোনো আইনের ধারাতে নেই।

সে আমার দিকে পাশ ফিরলো। তারপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল-
__কী হতে চলেছে তা কী একটিবার ভেবে দেখেছো?

আমি অবলীলায় বললাম-
__ভাবতে চাই না।

সে আবার পাশ ফিরে শুয়ে বলল-
__কেন আমার এই আপত্তি তা তুমি ভালো করেই জানো।

মনে মনে বললাম, ভালো করেই জানি বলেই তো পাথরের মতো নিশ্চুপ আছি।
আমার আবার বমি পাচ্ছে। আমি যে বরের সাথে একটু ঝগড়া করবো সেই পরিস্থিতিও নেই। শরীর একদম দূর্বল। আমি আবার ওয়াশরুমে গেলাম। এত বমি কোথায় থেকে যে আসছে তা আল্লাহই জানেন। সারাদিনে বমিতে যত পানি বের হয়, এত পানি তো আমি খাই না। পেটে কী ঝরনা ট্যাপ এসব কিছু সেট হয়েছে নাকি মাবুদ! যদি তাই হয় তবে সব অফ করে দাও আল্লাহ!
ফ্রেশ হয়ে তার পাশে এসে শুলাম। তার ইচ্ছের বাহিরে আমি মা হতে চলেছি, সে যে আমাকে একটু বকবে সেই সুযোগও তার নেই। আমার এত ঘনঘন বমি হচ্ছে যে, সে নিজেই আপসেট হয়ে গিয়েছে। সে শোয়া থেকে উঠে বসে চোখ রাঙিয়ে বলল-
__মা হবার সাধ পূরণ হচ্ছে? কেমন আনন্দ লাগছে বমি করতে? কর কর বেশি করে বমি করো।

আমি রাগী চোখে তার দিকে তাকালাম। কী নিষ্ঠুর মানুষ! বউ সারাদিন বমি করছে, কোথায় বুকে টেনে নিয়ে বলবে, “কষ্ট হচ্ছে সোনা?” তা নয় উনি উল্টা বকছেন। এই ভদ্রলোককে আমার বশীকরণ তাবিজ করা উচিত। ভাবছি কালকেই মামনিকে বলব, তিনি যেন আমাকে একটা তাবিজ এনে দেন।
আমি রাগ করে বললাম-
__বমি তো আমি করছি, তোমার কী?

__আমার বউ করছে তাই আমার অনেক কিছু।

আমি কাঁদো কাঁদো স্বরে বললাম-
__বকবে না একদম। প্রেগনেন্ট বউকে বকলে কিন্তু বেবি কষ্ট পাবে।

স্বামীর এই মেজাজ দেখার ভয়ে আমাকে কারণে অকারণে কাঁন্নার পোজ নিতে হয়। আল্লাহ কী সব আমার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন!
সে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল-
__মানে? তোমায় বকলে বেবি কষ্ট পাবে কেন?

আমি জ্ঞানীদের মতো ভাব নিয়ে বললাম-
__মায়ের নাড়ির সাথে বাচ্চার নাড়ি আটকানো থাকে জানো তো?

সে উপহাস করে বলল-
__আমি এসব জানবো কী করে? সব তো তুমি জানো। ডাক্তার তো তুমি।

__এসব জানার জন্য ডাক্তার হতে হয় না। মেয়েরা এমনিতেই অনেক কিছুই জানে।

__আমি তো জানিই যে, আমার বউটা একটু বেশিই জানে, বেশিই বুঝে।

__যতটুকু দরকার ততটুকুই বুঝি।

__তারপর

__মায়ের খাবার যদি বেবি টেনে নিতে পারে তবে বকাঝকাও টেনে নেবে। কষ্ট পেয়ে বলবে বাবাই পঁচা। এসব বলে সে কাঁন্নাকাটি শুরু করবে। আমার বাচ্চাটা তোমার জন্য এমন কষ্ট পাবে? হায় আল্লাহ!

সে হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। এমন করে তাকানোর কী আছে হু? তার তাকানো দেখে তো আমার লজ্জা লাগছে। মনে হচ্ছে আমি আকাশ ভেঙে পড়ার মতো কিছু বলেছি।
সে বলল-
__বিশ্বাস করো আমার এই জীবনে আমি অনেক প্রেগনেন্ট রোগী দেখেছি কিন্তু এমন কথা এর আগে কখনও শুনিনি।

সারাজীবন ধরে আরও অনেক বিস্ময়কর কথা শুনবে গো ডাক্তার সাহেব। এইটুকুতেই যদি হতভম্ব হও তাহলে চলবে কী করে?


একটা মাস কেটে গেল সীমান্তর অভিমানী মুখ দেখে। কতশত ব্যাথা যে, সে চোখেমুখে ছড়িয়ে নিয়ে থেকেছে তা শুধুই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। কিন্তু কিছু বলার সাহস পাইনি। তারপর সে ধীরে ধীরে বদলে গেল। সে কেমন যেন ফাঁকিবাজ হয়ে গিয়েছে। অফিস যেতে চায় না। গেলেও লেট করে বের হয়, তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। অফিসে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার কল করে আমার খবর নেয়। এসব আমার বেশ ভালোই লাগছে। মনে হচ্ছে প্রতি বছর একটা করে বেবি নিলে মন্দ হয় না। কিন্তু বাড়ি ফিরেই সে শুরু করে খাবারের অত্যাচার। এদিকে আমি কিছুই খেতে পারি না। পৃথিবীর কোনো খাবারেই যেন স্বাদ নেই। খাবারের নাম শুনলেই আমার বমি পায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আমি কেন খাচ্ছি না? আমি না খেলে বেবি খাবার পাবে কোথায় থেকে? বেবির কথা যদি না-ই ভাবি তাহলে জোর করে কেন বেবি কন্সিভ করলাম? ইত্যাদি কথার দংশনে আমি ভীষণ আহত। এরমধ্যে সে ১৪৪ ধারা জারি করে দিলো, আমার বেড রেস্ট। ওয়াশরুম যাবার জন্যই শুধু বেড থেকে নামা যাবে। আমি তার এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করলাম-
__প্রতিদিন কোটি কোটি নারী গর্ভবতী হচ্ছে, তাদের স্বামীরা এমন ১৪৪ ধারা জারি করে না।

সে দৃঢ় স্বরে বলল-
__আমি করি।

__আমি বেড রেস্ট নিতে পারবো না। তুমি তো জানোই যে, আমি ঘুম না এলে শুয়ে থাকতে পারি না। কেমন যেন ছটফট লাগে।

সে রেগে উঠে বলল-
__তা তো লাগবেই। হাড়গোড় তো সব বানরের, লাফালাফি না করলে তো থাকতে পারবে না।

__আমি বেড রেস্ট নেবো না। বাকী সব মেয়ের মতো আমি স্বাভাবিক সব কাজ করবো। ইনফ্যাক্ট রান্না বান্নাও করবো।

সে বিশাল এক ধমক দিলো-
__চুপ একদম চুপ।

কেন জানি আমি তার ধমকে একটুও ভয় পেলাম না। বললাম-
__চুপ করবো না। আমি দিনরাত শুয়ে থাকতে পারবো না।

__আমি কেন তোমায় বেড রেস্ট দিয়েছি তা তুমি ভালো করেই জানো। তোমার এই গর্ভধারণ যে স্বাভাবিক নয় সেটা না বোঝার মতো অবুঝ তুমি নও।

আমি আর কিছু বললাম না। কারণ আমি জানি যে, কিছু বলেও লাভ নেই।


তিনমাস ধরে বমি দিবস পালন করার পরে বমি বন্ধ হলো। ভাবলাম এবার বেঁচে গেছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বাঁচা আর হলো না। নানুন খাবার এনে আদর করে বলেন-
__আমার সখী, আমার বাবু মশাইয়ের বউ তো খুব ভালো মেয়ে, গুড গার্ল। এখন সে খাবে আমি জানি।

এমন করে পটালে কেউ না পটে পারে? অগত্যা আমাকে খেতে হয়। আধা ঘন্টা না হতেই মামনি আবার কিছু না কিছু নিয়ে হাজির হন। না খেলে করুণ চোখে চেয়ে থাকেন। যেন মেয়ে তার মায়ের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাধ্য হয়েই খেতে হয় আমাকে। মামনি সারাক্ষণ আমার জন্য এটা ওটা রান্না করেন, যদি আমি একটু খাই সেই আশায়। পৃথিবীতে কারও বলার সাধ্য নেই যে, উনি আমার জন্মদাত্রী নন, আমার শাশুড়িমা। আমি নিজেও প্রথম থেকেই তাকে শাশুড়িমা ভাবতে পারিনি।
আজকাল বাবাও বেশ অফিস কামাই করেন। অফিসে গেলেও তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর আমার সামনে এসে অধির হয়ে বসে থাকেন। তিনি যেন পৃথিবীর সব খাবার কিনে আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। শুধু আমার মুখ ফুটে বলার অপেক্ষা। পৃথিবীর সব ভালোবাসা যেন এই মানুষটার বুকে সঞ্চিত আছে। তিনি আমার মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে বলেন-
__তোর কী খেতে ইচ্ছে করছে শুধু একবার বল!
বাবাকে খুশি করার জন্য কিছু একটা তো বলা উচিত। অনেক ভেবে বের করলাম আমার করমচার আচার খেতে ইচ্ছে করছে। বাবা আধা ঘন্টার মধ্যে দুই কার্টুন আচার আনালেন। তবে শুধু করমচার আচার নয়। তেতুল জলপাই আম বরই খেজুর চালতা সব রকমের আচার। আমি চোখ কপালে তুলে বসে রইলাম। তবে সীমান্ত বাড়ি ফেরার আগেই আচারগুলো লুকিয়ে ফেললাম।
আমার জন্মদাতা পিতা, আমার আব্বুকে ছেড়ে এই ২২৭ কিলোমিটার দূরে থাকতে পারার বিশাল এই অবদান বাবার। তিনি কখনও আমাকে পুত্রবধূ নন, তার মৃত মায়ের স্থানটা দিয়েছেন। শুধু তিনি নন, বড় আব্বুর কাছেও আমি তার মা। তাই তো বিয়ের মুহূর্ত থেকেই গর্ভধারণ ছাড়াই আমি এই দুই পুত্রের মা হয়ে গেছি। এটা আমার জন্য বিশাল একটা গর্ব। বড় আব্বু বিদেশে থেকেই রোজ আমার খবর নেন। আমার খেতে না পারা নিয়ে তার কষ্টের সীমা নেই। অভুক্ত মাকে রেখে আমার দুই ছেলে যে ভালো করে খেতে পারে না এটা আমার জন্য খুব কষ্টের।

বমি হওয়া বন্ধ হবার পর থেকে আমার ডাকুরাজ বরের রাজত্ব চলছে। আদর টাদর নাই, তিনি ধমকে জোর করে খাওয়ান। তার হাবভাব দেখে মনে হয়, সে নিজে হাতে খাইয়ে দিলে তবেই যেন তার সন্তান পুষ্টি পাবে। আর আমি নিজে হাতে খেলে পুষ্টি উধাও হবে। আরেকটা বিষয় হলো, তার ধমকের ভঙ্গিমা দেখে মনে হয়, এই ধমকে এ টু জেড ভিটামিন বিদ্যমান। তাই বেবিকে সঠিক পুষ্টি প্রদানে এই ধমক অপরিহার্য। নানান ঠিকই বলেন, আমার বর আগে আধা পাগল ছিল, তবে ফুল পাগল হয়েছে আমি প্রেগনেন্ট হবার পরে।
আমার দুঃখ এরা কেউ না বুঝলেও নানান বুঝেন। তিনি আমাকে চুপিচুপি আচার খাওয়ান। আমি যখন আচার খাই তখন তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেন। এসব আমার কাঠ তক্তা বর জানে না। জানলেই তো ডাক্তারি শুরু করে আচার খাওয়া পন্ড করবে। পৃথিবীর যেসব মেয়েদের ডাকাত মার্কা স্বামী আছে, তাদের সবারই এমন একজন নানান থাকা উচিত।

বিঃদ্রঃ গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্প কখনোই মিলবে না। জীবন কখনও গল্পের মতো সাজানো গোছানো হয় না। গল্পটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।

পরের পর্ব আসছে…..
Written by- Sazia Afrin Sapna
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে