“ভালোবাসার প্রান্ত”(পর্ব-১০)

0
1582

“ভালোবাসার প্রান্ত”(পর্ব-১০)

আমি শূন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে শব্দহীন কাঁদছি। বান ডেকেছে আজ আমার চোখের কোলে। মনে হচ্ছে একজন নিষ্ঠুর মানুষ তার অভিমানের দহনে আমাকে দগ্ধে দগ্ধে ঝলসে দিয়ে চলে গিয়েছে। অচেনা এই নির্জনে কষ্টের লাভার কাছে ভয় ডর কাছে আসতে পারছে না। মানুষের জীবনে মৃত্যুর চেয়ে ভয়ানক ভয় আর নেই। সেই ভয়টাই যেন নিমেষেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। অবলীলায় আমি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারবো এখন।
বাবা আর নানানের গাড়ি আসছিল পেছনে।সীমান্তর গাড়ি চলে যাবার দুই মিনিট হতে না হতেই বাবা আর নানানের গাড়ি এসে থামলো আমার সামনে। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তারা গাড়ি দাঁড় করালেন। নানান ছুটে এসে হতবাক হয়ে বললেন-
__একি ছোট রাণী তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কেন?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



আমি কাঁন্নায় ভাঙা গলায় বললাম-
__আপনার পাগল নাতি আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে।

কথাটা বলেই আমি কাঁদতে শুরু করলাম। ততক্ষণে বাকী সবাই গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সবাই হতবিহ্বল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি কেঁদেই চলেছি। ইচ্ছে করছে রাস্তার পাশে বসে থাকি সারারাত। কারও মুখে যেন কোনো ভাষা নেই। নানান আমাকে তার গাড়িতে নেবার জন্য হাত ধরে টানলেন। আমি কিছুতেই গেলাম না। কাঁদতে কাঁদতে বললাম-
__সারারাত আমি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবো। বাড়ি ফিরবো না। দাঁড়িয়ে থাকতে না পারলে বসে থাকবো। সে তো এটাই চেয়েছিল।

নানান অসহায় চোখে তাকালেন। বাবা আমার কাছে এসে আমার মাথায় হাত রেখে বললেন-
__আমি থাকতে আমার মা এখানে থাকবে কেন? আজ বাড়ি ফিরে ঐ বাদরটাকে উচিত শিক্ষা দেবো। এখন গাড়িতে উঠ মা।

আমি কিছুতেই বাবার কথা উপেক্ষা করতে পারি না। বাবার সাথে গাড়িতে উঠে বাবা আর মামনির মাঝখানে বসলাম। তখনও আমি অবিরাম কেঁদেই চলেছি। মামনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে চলেছেন। এমন দুজন ভালো মানুষের ছেলে অমন টাইগার মার্কা ডাকাত হলো কী করে তা আজও আমার মাথায় ঢোকেনি। নানানের মতো রোমান্টিক হলে কী ক্ষতি হতো? মানুষ কী নানা দাদার বৈশিষ্ট্য পায় না? নানান এই বয়সেও কত্তো রোমান্টিক। আর আমার তরুণ স্বামী কাঠ তক্তা আর ডাকাত। আল্লাহ এটা তোমার কেমন বিচার? এসব ভেবে কাঁন্না আরও ঠেলে আসছে। কাঁদতে কাঁদতে আমার হেচকি শুরু হয়ে গিয়েছে।
বাবা আমার মাথায় হাত রেখে অসহায় চোখে তাকিয়ে বললেন-
__বাদরটা হঠাৎ তোকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলো কেন?

আমি হেচকি তুলতে তুলতে বললাম-
__সে বলল, সে নাকি পুরোনো হয়ে গিয়েছে। তাই আমি বললাম, হ্যাঁ তুমি পুরোনো হয়ে গেছো তাই আমার নতুন বর লাগবে। এটা শুনে সে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে।

কথাগুলো বলে আমি আবার কাঁদতে শুরু করলাম। আমার কথা শুনে মামনি আর বাবা দুজন দুজনার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলেন। আমি বুঝলাম না যে, এই সামান্য কথাতে তারা মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন কেন!
তারপর কখন যেন ক্লান্ত হয়ে বাবার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গিয়েছি।

বাড়ি ফিরে দেখি উনি চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুমে বসে কার্টুন দেখছেন। কত সুখ তার মনে! আমি তার সামনে থেকে সরে গেলাম। কেউ তাকে এব্যাপারে কিছুই বলল না। এমনকি সারা বাড়ির সবাই স্তব্ধ হয়ে রইল। তার চোখমুখ দেখে মনে হলো, সে যেন কিছুই করেনি। হৃদয়হীন ডায়নোসর একটা!


রাতে ডিনার টেবিলে নানান খুব শান্ত দৃষ্টিতে সীমান্তর দিকে তাকিয়ে খুব নম্র ভাবে বললেন-
__বউ ফেলে শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে, শালিকাদের নিয়ে পিকনিক করলে। ফিরে এসে বউকে মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলে। তা তোমার হয়েছেটা কী?

সীমান্ত কোনো জবাব দিলো না। মামনি বললেন-
__বাবুসোনা এটা তোর অন্যায় হয়েছে।

সীমান্ত কোনো জবাব দিলো না। বাবা বললেন-
__এজন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে বাবুন। শাস্তি হলো কান ধরে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবে।

সীমান্ত নির্বাক বাবার দিকে তাকিয়ে রইল। নানান বললেন-
__এত আরামদায়ক শাস্তি দিলে চলবে না। শাস্তি ভয়ানক হতে হবে যেন এমন অন্যায় আর না হয়। কাল সকালে ছোট রাণীকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব। সে এখন থেকে আমার বাড়িতেই থাকবে। ছোট রাণী তুমি আজ রাতেই তোমার শাড়ি কাপড় গুছিয়ে রাখবে। থাক গোছাতে হবে না। আমি সব নতুন কিনে দেবো। ওর কেনা কাপড় তোমায় পরতে হবে না।

কথাগুলো বলেই নানা আমার দিকে তাকালেন। আমি “হ্যাঁ” সুচক মাথা ঝাঁকিয়ে সীমান্তর দিকে তাকালাম। সে চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দৃষ্টি বলছে, বাড়ির বাইরে গেলে দুটো ঠ্যাংই ভেঙে দেবো। আমি নানানকে বললাম-
__না না আমি যাব না।

নানান অবাক হয়ে বললেন-
__কেন?

বলতে তো আর পারছি না যে, আমি বাড়ির বাইরে গেলে আপনার ডাকাত নাতি আমার ঠ্যাং ভেঙে দেবে। আমি ক্ষীণ স্বরে বললাম-
__বাবা মামনিকে ছেড়ে থাকতে পারবো না।

নানান দুষ্টুমির চোখে তাকিয়ে বললেন-
__আর স্বামীকে ছেড়ে?

আমি সীমান্তর দিকে তাকিয়ে বললাম-
__সে তো আমাকে ছেড়ে দিব্যি থাকতে পারে। আমি কেন পারবো না?

__তাহলে নিঃসংশয়ে আমার সাথে চলো।

__আচ্ছা যাব।

হুজুকে আচ্ছা বলেই সীমান্তর দিকে তাকালাম। তার দৃষ্টি বলছে, প্রথমে দুই পায়ে গুলি করবো তারপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঠ্যাং ভাঙবো। ধমক ধামক না দিয়েও যে ভয় দেখানো যায় তা আজকেই প্রথম জানলাম তাও আমার নিজেকে দিয়ে। আল্লাহ তুমি কই আছো? এসব কী তোমার চোখে পড়ে না?
__আমার কেমন যেন লাগছে, আমি এখন যাই।
কথাটা বলেই সরে গেলাম।


রাতে রুমে ঢুকে দেখি বিছানার মাঝখানে চীনের প্রাচীরটা নেই। উনি শুয়ে থেকে ফোন টিপছেন। সেদিন রাতের ড্রিংক করার স্বপ্নের কথা মনে পড়লো। মানুষ মনের দুঃখে নাকি ড্রিংক করে। ড্রিংক করলে নাকি দুঃখ অনুভব হয় না। আমার এখন ড্রিংক করা উচিত। মাতাল হয়ে সব ভাংচুর করা উচিত তাহলে যদি এই ডাকাতটার শিক্ষা হয়। কিন্তু ওয়াইন কোথায় পাবো? ড্রিংক করতে পারছি না সেই দুঃখটাও অন্য দুঃখগুলোর সাথে যোগ হলো। মাতালের ভান করতেই পারব কিন্তু সে তো বিশ্বাস করবে না। উল্টা আমাকে শাস্তি দেবে। কি বিপদ আল্লাহ!
মনের দুঃখে আমি কিছু না বলে কাপড় গোছাতে শুরু করলাম। এমন ভাব করলাম যেন সকালেই আমি চলে যাব। সে একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার ফোনের দিকে তাকালো। বেশ স্বাভাবিক ভাবে বলল-
__কাপড় চোপড় রেখে শুয়ে পড়ো। রাত অনেক হয়েছে। সারাদিন তো পিকনিকে হৈহৈ করেছো। শরীর ক্লান্ত তাই আর জেগে থাকতে হবে না।

মনে মনে বললাম, কী দর‍দ! আমাকে কষ্ট দিয়ে কাঁদিয়ে এখন ঢং দেখানো হচ্ছে, হুহ। আমি কথা না বলে কাপড় গুছিয়ে চলেছি। সে ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলল-
__কথা কী কানে যাচ্ছে না?

__সকালে সময় পাবো না গোছানোর। তাই এখন রেডি করে রাখছি।

__বাড়ির বাইরে গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেবো।

আমি রেগে উঠে বললাম-
__কেন ভাঙবে? আর ভাঙতে পারলে ভেঙো।

__তর্ক করো না।

রাগে আমার চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু চুপচাপই থাকলাম। আমি কোলবালিশ দুটো এনে বিছানার মাঝখানে প্রাচীর দিয়ে শুতে না শুতেই সে বলল-
__বালিশ সরাও।

__কেন?

__এখন আর দরকার নেই।

__তখন তোমার দরকার ছিল আর এখন আমার দরকার আছে তাই বালিশ থাকবে।

সীমান্ত জোর করে বালিশ সরিয়ে দিতেই আমি চেঁচিয়ে উঠে বললাম-
__একদম ধরবে না আমায়।

সে হতবাক চোখে তাকিয়ে বলল-
__শুধু তো বালিশই সরিয়েছি, তোমায় ধরলাম কখন?

এই রে তাই তো! সে তো আমাকে ধরেনি। শুধু শুধু…. ধুর! আমি নিজেকে স্বাভাবিক করে বললাম-
__একটু পর ধরতে তাই আগেই সাবধান করলাম।

__বয়েই গেছে আমার তোমায় ধরতে।

__তাহলে বালিশ থাকলে প্রবলেম কোথায়? থামো আরও বালিশ এনে তোমার চারপাশে প্রাচীর দিয়ে দিচ্ছি।

__লাগবে না।

__এতদিন তো লেগেছে। তা আজ হঠাৎ কী হলো?

__বেশি কথা বলো না তো।

__যে মানুষ বউকে ফেলে শ্বশুরবাড়ি চলে যায় এবং ফোন করে খবর নেয়ারও প্রয়োজন মনে করে না তার সাথে আমি আর একটাও কথা বলতে চাই না।

__ফোন তুমি করেছিলে একবারও?

__আমি কেন করবো? আমি তোমায় ফেলে চলে গেছি?

__আমি তো রাগ করে চলে গেছিলাম। আমিই রাগ করবো আবার আমিই ফোন করবো? তাহলে রাগ ভাঙাবে কে?

__আমি তো রাগ ভাঙাইনি তাহলে ভাঙলো কেন?

__জানি না।

__মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছো নিষ্ঠুর পাষাণ একটা!

__কেন বললে তোমার নতুন বর চাই?

__চাই-ই তো। কাল বাবাকে বলবো আমার জন্য ভালো দেখে যেন নতুন বর এনে দেয়।

__একদম খুন করে ফেলবো তোমায়।

মনে মনে বললাম, খুন তো করেই ফেলেছো। আর নতুন করে কী করবে? ডাকুরাজ কোথাকার! বললাম-
__আগে আমার নতুন বর চাই, তারপর খুন টুন যা ইচ্ছে করিও।

__তোমার ধারে কাছে যে আসবে তাকেই খুন করবে সীমান্ত।

__যত্তো সব ঢং! কোনো এক গড ফাদারকে বিয়ে করবো। যার পাশে সারাক্ষণ একগাদা গুন্ডা গার্ড থাকবে।

সে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলল-
__গড ফাদার তো দূরে থাকুক, তার চামচাও তোমাকে বিয়ে করবে না।

__কেন?

__তোমার মতো বকবক পাগলিকে সহ্য করার ধৈর্য্য আল্লাহ সীমান্তকে ছাড়া আর কাউকেই দেয়নি। তোমায় আধা ঘন্টা পর এসে ফেরত দিয়ে বলবে, আপনার জিনিস আপনিই রাখেন ভাই। আর আমাকে দোহাই লাগে ক্ষমা করেন।

__আমাকে ইনসাল্ট করছো? কালকেই আমি নানানের সাথে চলে যাব।

__তার আগেই ঠ্যাং ভেঙে বিছানায় শুইয়ে রাখবো। শাস্তির কিছুই দেখোনি এখনও। আমার অনিচ্ছায় তুমি যা করেছো তারপরেও আমি তোমায় কাছে টানতে চাইছি।

__কী এমন অপরাধ আমি করেছি হু? মা হতে চাওয়া দোষের কিছু তো নয়।

__তোমার জন্য দোষের। কেন আমি রাজী নই তা তো তুমি ভালো করেই জানো।

আমি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললাম-
__আমার ঘুম পেয়েছে। আর খবরদার বালিশ সরাবে না। তাহলে কিন্তু চেঁচিয়ে আমি বাবাকে ডাকবো।

সীমান্ত ঝাঁজালো স্বরে বলল-
__এখনি ডাকো। তিনি এসে দেখুক যাকে সারাদিন তিনি মা মা করেন সে তার ছেলেকে কতটা কষ্ট দিচ্ছে। তুমি না পারলে আমিই বাবাকে ডাকছি।

__ডাকো।

সে চুপসে গিয়ে বলল-
__ঠিক আছে বালিশ সরাবো না। ধুর।

সে আর কিছু না বলে মহা বিরক্ত হয়ে ওপাশ ফিরে চোখ বন্ধ করলো। আমিও কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে গেলাম।

সকালে ঘুম ভেঙে আমি হাবা হয়ে গেলাম। দেখি চীনের প্রাচীর নেই। আমাকে ওর বুকে জড়িয়ে ধরে সে ঘুমিয়ে আছে। আমিও জড়িয়ে ধরে আছি। ইয়া আল্লাহ! কে নিজে থেকে কাছে গিয়েছে? সে নাকি আমি? আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না। আমি যদি নিজে থেকে তার কাছে গিয়ে থাকি তাহলে ব্যাপারটা খুব খারাপ হয়েছে। আমি তো রাগ করে আছি, আমার নিজে থেকে যাওয়া তো একদম উচিত নয়। এখনই আমার এখন থেকে পালাতে হবে। ঘুমের মধ্যের ঘটনা ঘুম ভাঙার পরে মনে রাখা ঠিক নয়। আমি চুপিচুপি তাকে সরিয়ে দিয়ে উঠতেই সে আমার হাত টেনে ধরলো। এই রে আমি শেষ! সে জেগে গিয়েছে, এখন আমার কী হবে? আমি তার দিকে তাকাতেও পারছি না। সে আমার কানের কাছে তার মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল-
__কী ভাবছো? কে কাকে টেনে নিয়েছে এটাই ভাবছো তো?

বিঃদ্রঃ গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্প কখনোই মিলবে না। জীবন কখনও গল্পের মতো সাজানো গোছানো হয় না। গল্পটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।

পরের পর্ব আসছে…..
Written by- Sazia Afrin Sapna

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে