“ভালোবাসার প্রান্ত”(পর্ব-১৮)
আকাশ জুড়ে আজ মেঘের ঘনঘটা। কখন যেন হুড়মুড়িয়ে ঝড় বৃষ্টি নামে। মেঘের গর্জন আর বিজলির ঝলকানি সেটারই জানান দিচ্ছে। সীমান্ত বেলকোণ বারান্দায় বসে আছে। বাহিরের বজ্রপাত সবাই শুনতে পেলেও তার মনের ভেতরের বজ্রপাত আমি ছাড়া আর কেউ শুনতে পাচ্ছে না। তবুও আমি তার কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছি না।
সাত মাসের শেষের দিক থেকেই হাটাচলা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। শুয়ে থেকে পাশ ফিরতেও পারি না একা। আজ সাত মাস শেষ হলো। কাল থেকে আটমাস শুরু হবে। আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট এসেছে। আর এটাই আমার স্বামীর বিষণ্নতার কারণ। বেবি সুস্থ আছে তবে পজিশন ঠিক নেই। আমার শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। বেবি নরমাল ডেলিভারি হবে না। সিজারিয়ানে আমার ব্লাড লাগবে। সীমান্ত প্রথম থেকেই টেনশনে ছিল। আর এসব তো হবারই ছিল। তবুও আমি দিনরাত তাকে বুঝিয়েছি যে, উপরে আল্লাহ আছেন। তিনি সব ঠিক করে দেবেন। আসলে অন্য প্রফেশনের মানুষগুলোকে যতটা সহজে বোঝানো যায় ততো সহজে কোনো ডাক্তারকে বোঝানো যায় না। তার উপরে সীমান্ত সার্জারীর ডাক্তার। তাকে বোঝাতে গেলেই উল্টে রেগে যায়। তবুও আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে বলেছি।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
আমি খুব কষ্টে একপা দু’পা করে বেলকোণ বারান্দায় তার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার উপস্থিতি টের পেয়েও সে আমার দিকে তাকালো না। বিজলির আলোতে তার ভেজা চোখ দেখতে পেলাম। আমি আস্তে করে তার কাঁধে হাত রাখলাম। সে একটু নড়ে উঠলো। দু’জন বেশ কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করার পর আমি বললাম-
__রুমে চলো ঘুমাবে।
সে আমার দিকে না তাকিয়েই জবাব দিলো-
__এখানে ঠান্ডা বাতাস বইছে, তুমি এখানে কেন এসেছো? রুমে যাও।
আমি ক্ষীণ স্বরে বললাম-
__চলো একসাথে যাব।
সে নির্লিপ্ত ভাবে বলল-
__আমি এখানেই থাকবো সারারাত।
বাহিরের ঝড় শুরু হতে চলেছে। কিন্তু আমার ভেতরে তীব্র ঝড় শুরু হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই। ভেতরের সেই ঝড়ের প্রতিক্রিয়ার বৃষ্টি আমার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়তে চাইছে বারবার। বললাম-
__এমন করে আমাকে শাস্তি দিও না প্লিজ! আমি আর নিতে পারছি না।
সে ঝাঁজালো স্বরে বলল-
__শাস্তি কে কাকে দিচ্ছে? জীবনে এই ঝুঁকিটাকে ইনভাইট করে না আনলে কী তোমার চলছিল না সোনাবউ?
আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে বললাম-
__পৃথিবীতে সব কিছুতেই ঝুঁকি আছে। তুমি সুখী হতে চাইলে কষ্টের ঝুঁকিও নিতে হবে তোমাকে।
__আমি কী তোমায় নিয়ে সুখী নই যে আমাদের বেবি নিতেই হবে?
আমি উদাসীন সুরে বললাম-
__আমি হয়তো শুধু তোমাতে সুখী ছিলাম না তাই বেবি নিয়েছি।
সে ঝাঁজালো স্বরে বলল-
__কী অপূর্ণতা রেখেছি তোমার জীবনে? আজ পর্যন্ত তো মুখফুটে কিছু চাওনি, তাই বলে কী আমি দিইনি? বাচ্চাটাই শুধু দিতে চাইনি। মুখফুটে কিছুই চাওনা বলেই জোর করে বাচ্চা নিলে।
আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম-
__যা হবার হয়ে গেছে। বাকীটা ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দাও!
সে চিৎকার করে বলল-
__কতটা সাধনায় তোমাকে জীবনে পেয়েছি তা আর কেউ না জানলেও তুমি তো জানো। জানো না? এখন একটা সন্তানের জন্য যদি তোমাকে হারাই তাহলে আমি বাঁচবো কী করে?
আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে বললাম-
__বাঁচতে হবে। আমার টুনটু পাখির জন্য বাঁচতে হবে তোমায়।
__তোমার ফিজিক্যাল কন্ডিশন যে, মা হবার উপযোগী ছিল না তা আর কেউ না জানলেও তুমি আর আমি জানতাম। কেন এমন করলে সোনাবউ, কেন?
আমি বারান্দার গ্রীলে হাত দিয়ে দূর অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে একটা প্রশান্তির শ্বাস ছেড়ে বললাম-
__বাড়িতে সবার খুশিমাখা মুখগুলো কী তোমার চোখে পড়ে না? সবাই কত্তো খুশি!
__তোমার কী ধারণা, তুমি না থাকলে তাদের মুখগুলো এমন খুশিমাখা থাকবে?
__কেন এত ভয় পাচ্ছো সাহেব? আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।
সে তীব্র অভিমান নিয়ে বলল-
__সহমরণে যাবার শপথ করেছিলে। মিথ্যাবাদী একটা!
আমি চুপ করে রইলাম। সে ঝাঁজালো স্বরে বলল-
__মনে রেখো, তোমার যদি কিছু হয় তবে আমি ওখানেই নিজেকে শেষ করে দেবো। কারণ আমিও সহমরণে যাবার শপথই করেছিলাম। আর আমি তোমার মতো মিথ্যা বলি না। মিথ্যা আশ্বাস দিই না আমি।
আমি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললাম-
__চলো এখন ঘুমাবে।
সে দৃঢ় স্বরে বলল-
__না।
__ঠিক আছে আমিও এখানে সারারাত দাঁড়িয়ে থাকবো। তোমার বাচ্চাও কষ্ট পাক। তারও তো কষ্ট পাওয়া উচিত! বাবা মা কষ্ট পাবে আর সে পাবে না তা কী করে হয়?
বিজলির আলোতে এক ঝলকে দেখলাম সে অসহায় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। করুণ সুরে সে বলল-
__তোমায় ছাড়া একটা মুহূর্তও কল্পনা করতে পারি না। তুমি আমার অনেক বিরহ ব্যাথা আর যন্ত্রণার ভালোবাসা। তোমাকে জীবনে পেতে অনেক তপস্যা করতে হয়েছে। আমার সেই সাধনার ভালোবাসা পৃথিবীতে নেই, এটা সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই সোনাবউ।
তুমি আমার প্রথম প্রেম, আমার প্রথম ভালোবাসা। জীবনের সব সঞ্চিত ভালোবাসা তোমাকে দিয়েছি। একফোঁটাও এদিক ওদিক ছিটিয়ে নষ্ট করিনি। সেই আগলে রাখা ভালোবাসা হারিয়ে গেলে আমি বেঁচে থাকবো কী করে? আমি মরে যাব, মরে যাব।
কথাগুলো বলতে বলতে সে শব্দ করেই কেঁদে ফেললো। আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম। তার কাঁন্না যে আমার জন্য কত বড় শাস্তির তা হয়তো সে জানেই না। তাকে কেমন করে বোঝাবো যে, সেও আমার অনেক তপস্যা অনেক প্রার্থনার ভালোবাসা। সে আমার সুখের চেয়েও যে বড় অসুখ। যে অসুখ কখনও সারবার নয়। তাই তো তাকে ছাড়া আমি শ্বাস নিতে পারি না। তাকে ছাড়া একটা রাত কোথাও গিয়ে থাকতে পারি না। সেই আমিটা তাকে ছেড়ে পৃথিবীর বাহিরে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। রিলেশনের শুরু থেকেই তাকে একটা কথাই আমি সহস্রবার বলে এসেছি, “আমি তোমার জন্য সব করতে পারি। সব মানে সব।” এই “সব” এর মধ্যে যে মরণ নামক ব্যাপারটাও আছে। পৃথিবীর সবার কাছে অপ্রকাশিত হলেও আমি তো জানি যে, বাবা হতে না পারার আক্ষেপটা তার হৃদয়ে কতটা গভীর ক্ষত করে রেখেছে। পাগল ছেলে এসব আমার থেকে লুকিয়ে রাখে। তার হৃদয়ে যে, আমার ঘর বসতি, আমার ঘর বসতিতে ক্ষত থাকবে আর তা আমি জানতে পারবো না সেটা কী করে হয়? তাকে কখনও বলতে পারিনি, “তোমায় যেদিন থেকে ভালোবাসতে শুরু করেছি সেদিন থেকেই আমার মনের জোর এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তোমায় ভালোবেসে হাসতে হাসতে আমি হেমলোক পান করতেও পারবো।”
এই কথাগুলো না হয় চিরকাল তার অজানাই থাকুক। এমন কতশত অনুভূতি অঙ্গিকার সব তো অপ্রকাশ্যই রেখেছি।
বাহিরে ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি সীমান্তর হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলাম।
⭐
গত সাতদিন ধরে সীমান্ত অফিসে যায় না। বিগত কয়েকমাস ধরে সে যা ফাঁকিবাজ হয়েছে তাতে ছুটি নিতেই পারে। আমি প্রেগনেন্ট হবার পর থেকেই সে ঘনঘন ছুটি নেয়। তাই ছুটি নিয়ে কিছু মনে করি না। তাই বলে টানা সাতদিন ধরে সে ছুটি নেবে এটা অভাবনীয়। সাতদিন আমি তাকে ছুটি নিয়ে কিছুই বলিনি। কিন্তু সাত দিন পেরিয়ে গেলেও তার অফিস যাবার কোনো নামই নেই। খুব করে ধরার পরে বলল সে দুই মাসের ছুটি নিয়েছে। এটা নিয়ে সন্ধ্যায় কফির আসরে নানান শুরু করলেন।
__শুনেছি চাকরিজীবী মহিলারা মাতৃকালীন ছুটি পায়। কিন্তু চাকুরিজীবী পুরুষরা যে পিতৃকালীন ছুটি পায় তা আমার জানা ছিল না।
সীমান্ত কফিতে চুমুক দিয়ে বলল-
__এটা নতুন নিয়ম শুরু হয়েছে ২০২০ সাল থেকে। তবে এটা শুধুই সীমান্তর জন্য।
নানান আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন-
__কপাল করে একটা বর পেয়েছো ছোট রাণী। হিন্দু ধর্মে নাকি বর দান করে, এ হলো তোমার সেই বর।
সীমান্ত বলল-
__আপনার এত জ্বলছে কেন?
__দিনরাত আমার ছোট রাণীর আশেপাশে ঘুরঘুর করছো বখাটে ছেলেদের মতো আর আমার জ্বলবে না?
সীমান্ত কপট রাগ দেখিয়ে বলল-
__কিহ আমি বখাটে ছেলের মতো ঘুরছি?
__হ্যাঁ
__হ্যালো স্যার, এটা আমার বিয়ে করা বউ। অসংখ্যবার তাকে বিয়ে করেছি, তাই সে অনেক স্পেশাল।
__ছোট রাণী তোমার বর তো দেখছি কাঠ থেকে আখ হয়ে গেছে। বলি, এত রস এলো কোথায় থেকে? বউ প্রেগনেন্ট হলে বুঝি বরদের রস বেড়ে যায়?
__আপনিও আমার মতো রসালো হতে চান?
__অবশ্যই চাই।
__একদম ইজি, আপনিও আপনার বউকে প্রেগনেন্ট করে ফেলুন। আর হ্যাঁ, এবার কিন্তু টুইন চাই। কারণ আমার একটা খালা আর একটা মামা চাই। আপনার পিতৃকালীন ছুটির ব্যবস্থা আমিই করে দেবো। অবশ্য টুইন এর পিতা হিসেবে আপনাকে চার মাস ছুটি দেয়া হবে। আপনি তখন বখাটে ছেলেদের মতো আপনার বউয়ের পিছে পিছে ঘুরঘুর করবেন।
নানান বিষম খেয়ে বড় বড় চোখে তাকালেন। সীমান্ত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কফিতে চুমুক দিলো, যেন সে কিছুই বলেনি। নানান আর জবাব দিলেন না।
নানান লাজুক মুখ করে বললেন-
__তাহলে তোমার নানুনকে রাজী করাও। আমার তো আপত্তি নেই।
সীমান্ত নানানের কথা শুনে কফিতে চুমুক দিতে গিয়েও না দিয়ে হা করে তাকিয়ে রইল।
⭐
আমি বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে ফোন টিপছি। সীমান্ত সোফায় বসে মেইল চেক করছে ল্যাপটপে। অনেক ইতস্ততা নিয়ে বললাম-
__একটা কথা বলি?
সে আমার দিকে না তাকিয়েই বলল-
__বলো
__আম্মু আজ ফোন করে বলল, তারা কবে নিতে আসবে!
__এসময়ে নিতে আসবে মানে?
__এসময়ে সব মেয়েরাই বাপের বাড়িতে যায় তারপর বেবি হবার পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আনুষ্ঠানিক ভাবে গিয়ে বেবিসহ মাকে নিয়ে আসে।
সীমান্ত এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল-
__কেন, খুলনায় কী হাসপাতাল ক্লিনিক ডাক্তার এসব নেই? বেবি হতে নাটোরে কেন যেতে হবে?
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম-
__তা কেন হবে? সব মেয়েরাই তো যায় তাই বললাম।
__এটা কী নাটোরের রীতি?
__হ্যাঁ
__খুলনায় এমন রীতি নেই। আর যদি থেকেও থাকে তবুও সেই রীতি ক্যান্সেল।
__কেন?
__বুঝতে পারছো না কেন? তোমার শরীরের কন্ডিশন নিজে তো বুঝতে পারছো। আর আমার পক্ষে তো এতদিন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকা পসিবল না। আর তোমাকেও আমি একা রাখতে পারবো না। এই যে দুই মাস ছুটি কী এমনি এমনিই নিয়েছি?
আমি চুপ করে রইলাম। সে বলল-
__বিয়ের পর থেকে কখনও তোমাকে নাটোরে যেতে বাঁধা দিইনি। যখন যেভাবে যেতে চেয়েছো সেভাবেই নিয়ে গিয়েছি। কন্সিভ করার পরে জার্নি করলে ক্ষতি হবে তাই এতদিন যেতে দিইনি। আর এখন তো পরিস্থিতিই অন্য রকম। প্লিজ মন খারাপ করো না!
আমি জবাব দিলাম না। সে বলল-
__কালকেই আমি আব্বু আম্মুকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবো। তারা কয়েকদিন এখানে থাকলে তোমার ভালোলাগবে। আর বড় আব্বু, বড় আম্মু, আপিও তো সামনের সপ্তাহে আসছেন। তোমার আর একা অনুভব হবে না।
আমি জানি সে আমাকে নিয়ে এক বিন্দুও রিস্ক নিতে পারবে না। প্রতিটা মেয়েই তাদের এই আনন্দ আর আশঙ্কা মিশ্রিত সময়টাতে সারাক্ষণ স্বামীকে পাশে চায়। আমি মুখ ফুটে চাইবার আগেই সীমান্ত সেটা আমাকে দিয়েছে। শুধু এই বিষয়েই নয়, কোনো কিছুই তার কাছে আমার মুখ ফুটে চাইতে হয়নি।
গর্ভকালীন সময়টা হলো প্রতিটা নারীর জন্যই দূর্যোগকালীন সময়। প্রতিটা গর্ভবতী নারীই এই সময়ে মনে করে তারা হয়তো ডেলিভারির সময় আর বাঁচবে না। অনেক নারী সত্যিই বেঁচে ফিরে আসে না। যারা বেঁচে ফিরে আসে তারাও মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়েই থাকে। এমন আশঙ্কা আমার মনেও আছে। যদিও আমি ভুলেও তা প্রকাশ করি না। কিন্তু সীমান্তর চোখমুখে সেই ভয় আর আশঙ্কা সুস্পষ্ট। দিন যত যাচ্ছে তার ভয় ততই বাড়ছে। আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে সে যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি মাঝে মাঝে তাকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পাই না। বুঝতে পারি তার যত্ন আর আগলে রাখাটা শুধুই ভালোবাসা নয়, হারানোর একটা বিশাল ভয়ও।
পৃথিবীতে কতগুলো সৌভাগ্যবতী নারী আছে তা আমি জানি না। তবে নিঃসন্দেহে আমি একজন সৌভাগ্যবতী নারী।
বিঃদ্রঃ গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্প কখনোই মিলবে না। জীবন কখনও গল্পের মতো সাজানো গোছানো হয় না। গল্পটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।
পরের পর্ব আসছে…
Written by- Sazia Afrin Sapna
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/