ভালোবাসায়_রাঙিয়ে_দাও পর্ব-১৭

0
645

#ভালোবাসায়_রাঙিয়ে_দাও(১৭)

নৌমি এসেছে মুনের সাথে দেখা করতে ফারিশ তখন নিজের বাসার সামনেই নেমে গেছে।
যখন ফারিশ ইশানের ছবি দেখে সেই তখন থেকেই ফারিশকে অন্যরকম লাগছিলো খেয়াল করেছে নৌমি. তবে গভীর পর্যন্ত ফারিশ কে প্রশ্ন করেনি নৌমি ।
মুন নৌমিকে কফি বানিয়ে দেয়। পাশের সোফায় বসে। ইশান এখন বাসায় নেই। একটু বেড়িয়েছে। আগামী কাল মুনকে নিয়ে গ্রামে যাবে।যদি বাড়ির সবাই বলেছে মুনকে একেবারে রেখে আসতে হবে বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু ইশানের সে নিয়ে মাথা ব্যা*থা! যাবে মুনকে কয়েকদিন রেখে আসবে আবার আসবে। বাচ্চা হওয়ার কয়েকদিন আগে আবার রেখে আসবে। গ্রামে থাকলে কলেজ এর পড়া কে পড়বে? ফাইনাল দিতে হবে তো আবার। মাত্র দুই মাস আছে ইয়ার চেঞ্জ এর এক্সামের দেখা যাবে এইস এস সি সময় এমনিতেই মুনের সমস্যা হবে। তাই এই কয়েকটি মাস ভালো করে প্রিপারেশন নিতে হবে।
নৌমি ঘন্টা খানেক সময় থাকে মুনের সাথে ওকে অভিনন্দন জানিয়ে ইশান আসার আগেই চলে যায়।

ইশান আর মুন গ্রামে এসে প্রথমে ইশান্দের বাসাতেই যায়। শাহেদা ছেলে, বউ আসবে বলে আগেই নানা রকম রান্না করে রেখেছে। মুনিকে দেখেই তিনি এগিয়ে এলেন।

কেমন আছিস মা?মুখ এরকম শুকনো কেন?

ভালো মা। তুমি?

আছি আছি!আমার ঘরে নতুন মেহমান আসবে আমি কেমন থাকবো তুই ভাব?

মুন শাশুড়ীর কথা শুনে লজ্জা পায় মাথা নিচু করে রাখে।
মুন আর ইশানের গলার আওয়াজ শুনে রিয়া রুম থেকে ছুটেঁ আসে মুনকে দেখেই ওকে কাছে নিয়ে আসে হালকা আওয়াজে বলে,

একটা মেয়ের জন্ম দিও গো সুন্দরী! এই পরিবারে মেয়ে বাচ্চা নেই!তাছাড়া ও বড় কথা মেয়ে হলে আমি আমার ছেলের বউ বানিয়ে নেব।

মুন তাজ্জব বনে গিয়ে প্রশ্ন করে, রাইফির বউ বানাবে?

হ্যাঁ। তা নয়তো কি!!

মুন লজ্জা মিশ্রিত গলায় বলে,
তুমি একটা জিনিস ভাবী!!

রিয়া আসে ইশানের দিকে ওর লাছে গিয়ে আস্তে করে বলে,
বউ বাসায় নিতে না নিতেই কাজ টা ঘটিয়ে ফেললে?

ইশান ও মুনের মতো বলে,
আসলেই তুমি একটা জিনিস ভাবী!
বলেই ইশান রুমের দিকে যায়। আর রিয়া!সে দুইজনকে দেখে আর ভাবে,সে কি করলো?ইশান আর মুন একটা জিনিস হে খোদা!!

———————————-
পরের দিনই মিম সহ মুনের বাবা মা দাদা দাদী সবাই আসে ইশানদের বাসায়। ইশান ওর দাদু আর মুনের দাদুর সাথে বসে আছে। ইকবাল ও এসে যোগ দেয় সেখানে গল্প কররতে।।
মিম, মুন আর রাইফি বসে আছে। মিমের বাচ্চা জন্ম নেওয়ার আগেই মুনের খবর হয়ে গেলো এ নিয়ে মিম একটু ভেতর ভেতর বিব্রত হচ্ছে সবাই কি মনে করবে না করবে এখন তাকে নিয়ে?কিন্তু মিমের খুশিও লাগছে মুনের বাচ্চা হবে সে খালামুনি হবে এই বা কম কিসের?

ইশানের নানুর বাসা থেকেও অনেকে আসে মুনকে দেখতে। গ্রামে মুন কয়েকদিন থাকবে এরপর মুনের দাদীকে সহ ইশান নিয়ে যাবে এই কয়েকটি মাস সে মুনের সাথে থাকবে। এভাবে এত দিন গ্রামে থাকলে অনেক পড়াশোনাতে মুন পিছিয়ে যেতে পারে যা ইশানের চেয়ে বেশি মুন নিজেই চায় না।

এর মাঝে ইশান ওকে রেখে আবার যায় তবে সে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে আসে আবার রবিবার সকালে চলে যায়। ইমরান ও আসে এক্সাম শেষ করে। এদিন বিকেলে বের হয় ইমরান ইকবালের সাথে। ইকবাল কে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে ইমরান। একসময় ইকবাল এক পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা হওয়াতে তার সাথেই গল্পতে মশগুল হয় আর ইমরান নিজের মতো বাইক নিয়ে যেতে থাকে একস্ময় রাস্তায় হিমুকে দেখতে পারে। হিমুর সাথে দুটো বছর পর দেখা হলো। হিমু সেই আগের মতো বান্ধবীদের সাথে আসছে। ওলে দেলহেই ইমরান অন্যদিকে যেতে নেয় কিন্তু পেছন থেকে কেউ ওকে থামতে বলে। ইমরান মা শোনার ভাণ করে আবার যেতে নেয় তখন হিমু দৌড়ে আসে পেছন থেকে ইমরান গতি বাড়িয়ে দেয় তবুও হিমু থামেনা তাই ইমরান নিজেই বাইক থামিয়ে দাঁড়িয়ে পরে।

হিমু এসেছে নীল একটা থ্রি পিস পরে। এতক্ষন দৌঁড়ানোতে মেয়েটা হাঁপাচ্ছেও।

কেমন আছো ইমরান?

ইমরান একটু বিব্রত হয় জড়তা নিয়ে বলে, ভা ভালো।

আমি কেমন আছি? জিজ্ঞেস করবেনা?

ভালোই আছো। ভালো থাকার জন্যই তো আমাকে এক্সেপ্ট করোনি লাইফে।

হিমু দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে, ইমরান আমার সেদিন তোমার সাথে ওরকম ব্যাবহার করা ঠিক হয়নি।
আসলে সেদিন আমি খুব ডিপ্রেশনে ছিলাম।

ইমরান ভ্রু যুগল কুচকে প্রশ্ন করে, এখন আমাকে এসব কেন বলছ?

আসলে ইমরান সেদিন আমি ভুল ভেবেছিলাম।
আমি আসলে ভেবেছিলাম যে তুমি…………

পুরনো কথা এখন শুনতে এখন আর ভালো লাগছেনা।

হিমু একটু অপমান বোধ করে তবুও বলে,
আসুএ ইমরান সেদিন এর কথা বাদ দিলে আজকের কথাই বলি?

ইমরান একটু ভাবে এরপর বলে,

আজকে আবার কি বলতে চাও?

আসলে সেদিন রাগে তোমায় কিসব বলে ফেলেছিলাম। কিন্তু পরে জানলাম ওই মেয়ে তোমার বড় ভাইয়ের বউ। আমি খুব করে নিজের কাছে নিজের ভাবনা। নিয়ে লজ্জিত হয়েছি ইমরান।
আমাকে ক্ষমা করে দাও।

আচ্ছা।
বাদ দাও ওসব কথা।

না ইমরান। আজ আমাকে বলতে দাও।

বলো।

আমি তোমাকে ভালোবাসি ইমরান!!

ভেবেছিলাম একদিন গ্যাপ যাওয়াতে বড় পর্ব দিব কিন্তু জ্বর এর কারণে লিখতেও ইচ্ছে করছেনা। ক্ষমা করে দিবেন প্লিজ।
চলবে
মিশকাতুল

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে