#ভালবাসার এক রাত❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ৩৬
সবাই যেহেতু রোজ-শুভ্রকে চেনে তাই কয়েকজন মিলে হসপিটালে নিয়ে গেলো। না চিনলেও মানবতার খাতিরে হয়তো নিয়ে আসতো। নিউজে এই খবর দেখাচ্ছে। জারা টিভি দেখছিলো এটা দেখে হাত থেকে রিমোট পড়ে গেলো। ও তাড়াতাড়ি ফোন করে সবাইকে জানিয়ে দিলো। সবাই খবর পেয়ে হসপিটালে চলে এলো। শুভ্রকে ডক্টর আইসিইউতে নিয়ে গিয়েছে। রোজের সেন্স এসেছে বাইরে বসে কাঁদছে। শুভ্রর মা কাঁদতে, কাঁদতে বললো।”
—-” রোজ এসব কি করে হলো?”
রোজ শুভ্রর মা কে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” সব আমার জন্য হয়েছে মামনি। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ওনার এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমি যদি ওনার কথা শুনে এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকতাম তাহলে এমন হতো না। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ওনার এমন হলো। কেন শুনলাম না ওনার কথা? সবসময় আমার জন্য ওনার বিপদ হয়। আমি ওনার জন্য আনলাকি। আমি এটা কেন করলাম? মামনি আমার শুভ্র।”
সবাই রোজকে সামলানোর চেষ্টা করছে। শুভ্রকে আইসিইউতে নিয়েছে অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছে। রোজ আর শুভ্রর মা কেঁদে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। ওদের সামলানোর চেষ্টা করছে সবাই। বেশ কিছুক্ষণ পর ডক্টর বের হয়ে আসলো। ডক্টরকে বের হতে দেখে রোজ উঠে গিয়ে বললো,
—-” ডক্টর শুভ্র কেমন আছে? উনি ঠিক আছে তো?”
ডক্টর একটু চুপ থেকে বললো।”
—-” আপাতত ঠিক আছে কিন্তুু দেখবেন উনি যেন কোন শকড না পায়। আগে একবার হার্ট এ্যাটাক করতে, করতে বেঁচেছে। আবার এখন উনি বুকে খুব গভীর আঘাত পেয়েছে। তাই ওনাকে কোন টেনশন দেয়া যাবে না। এতে ওনার পুরোপুরি এ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে। সো বি কেয়ারফুল,
সবাই চিন্তামুক্ত হলো কিছুটা। রোজ কেঁদে বললো।”
—-” থ্যাংক ইউ ডক্টর। আর আমরা ওনাকে কোন টেনশন দেবো না আহ,
রোজ পেট ধরে বসে পড়লো। ডক্টর রোজকে দেখে বললো।”
—-” এক্সিডেন্ট তো আপনার হতে গিয়েছিলো শুনলাম। আপনার হাসবেন্ড আপনাকে বাঁচাতে সরিয়েছে। তখন কি আপনি পড়ে গিয়েছিলেন?”
রোজ কোমর ধরে বললো,
—-” হ্যা ডক্টর কেন?”
ডক্টর একটু ভেবে বললো।”
—-” দেখুন প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আপনি পড়েছেন। এখন আবার আহ করে উঠলেন। তার জন্য বলছি আপনি একটু চেকআপ করে নিন। আলট্রা করলে বেশী ভাল হয়,
—-” আসলে ডক্টর আমার প্রায়ই কোমর আর পেটে ব্যথা করে। আবার একাই ঠিক হয়ে যায়। কাউকে আমি বলিনি টেনশন করবে তাই।”
রোদ রোজের কথা শুনে বললো,
—-” এসব কি বলছিস তুই?”
ডক্টর নিজেও অবাক হয়ে বললো।”
—-” আপনার তো আরো আগে টেস্ট করা উচিত ছিলো। আপনি এক্ষুণি চলুন আমার সাথে,
রোজ যেতে চাইলো না। কিন্তুু শুভ্রর মায়ের ধমক খেয়ে গেলো। ডক্টর কয়েকটা টেস্ট দিলো। রোজ অনিচ্ছা থাকায়ও গেলো টেস্ট করতে। টেস্ট করে এসে মহিলা ডক্টর দিয়ে আলট্রা করলো। আলট্রা করার সময় ডক্টর থমকে গেলো। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ডক্টর অস্ফুট আওয়াজে বললো।”
—-” এটা কি করে সম্ভব?”
রোজ কপাল কুঁচকে বললো,
—-” কি হয়েছে ডক্টর?”
ডক্টর কপালের ঘাম মুছে বললো।”
—-” না তেমন কিছু না। আপনার পেটে তিনটে বাবু তাই একটু অবাক হয়েছি,
রোজ হা করে থেকে বললো।”
—-” তিনটে বেবি?”
ডক্টর হালকা হেসে বললো,
—-” হ্যা তিনটে।”
_____________
আলট্রা শেষে রোজ বাইরে এসে বললো,
—-” মামনি আমার পেটে তিনটে বেবি।”
সবাই অবাক হয়ে বললো,
—-” কিহহহহ?”
রোজ মুচকি হেসে বললো।”
—-” হ্যা ডক্টর বলেছে। শুভ্রর সেন্স এলেই বলবো,
এদিকে ডক্টররা বারবার রোজের রিপোর্ট দেখছে। বারবার টেস্ট করছে প্রতিবারই একই রিপোর্ট আসছে। ডক্টররা এক জায়গায় বসে বললো।”
—-” এটা কি করে হতে পারে?”
মহিলা ডক্টররা বললো,
—-” আমিও আলট্রা করতে গিয়ে চমকে গিয়েছি।”
আরেকজন ডক্টর বললো,
—-” এই কারণেই ওনার কোমর আর পেটে ব্যথা হয়।”
মহিলা ডক্টরটা বললো,
—-” এখন ওনার পেটে বেবি তাও তিনটে। আবার ওনার প্রেগন্যান্সিরও ৯মাস। এখন তো ওনার লাইফ রিস্ক আরো বেশী ডক্টর। বাট এটা আমাদের বলতেই হবে ওনাকে। আমরা ওনাকেই বলবো এটা। উনি যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই হবে। কারণ উনি এখন এডাল্ট।”
রোজ বাইরে বসে আছে তখন ডক্টর রোজকে ডাকলো। রোজ ভিতরে গিয়ে একটু অবাক হলো। এখানে ৪জন ডক্টর দেখে। রোজ গিয়ে বসে বললো,
—-” এনিথিং সিরিয়াস ডক্টর?”
মহিলা ডক্টর বললো।”
—-” আপনাকে আমরা কিছু সত্যি জানাবো। আপনি প্লিজ নিজেকে স্ট্রং রাখবেন। আপনি প্রেগন্যান্ট এটা ভেবে হলেও ভেঙে পড়বেন না,
রোজ একটু অবাক হয়ে বললো।”
—-” কি হয়েছে ডক্টর?”
এবার সেই পুরুষ ডক্টর বললো,
—-” আপনি জানেন আপনার কোমর, পেট কেন ব্যথা হয়? আপনার আরো আগে টেস্ট করা উচিত ছিলো। এখন আপনি এমন একটা স্টেজে চলে এসেছেন। যে আপনি এখন প্রেগন্যান্ট।”
রোজ নিজেকে শক্ত করে বললো,
—-” কি হয়েছে ডক্টর?”
মহিলা ডক্টর রোজের সামনে একটা কাগজ রাখলো। যেখানে কিছু একটা আর্ট করা রোজ বুঝলো না। ডক্টর নিজেই আবার বললো।”
—-” এটা হচ্ছে জরায়ুর নারী মানে সন্তান জন্ম দেয়ার নারী। এই নারীটা না থাকলে আমরা মেয়েরা মা হতে পারবো না। আর এই নারী সবার একটা থাকে। কিন্তুু আপনার জন্ম থেকে দুটো। যার কারণে আপনার পেটে ব্যথা হতো। আপনার তো প্রতি মাসে ব্যথা হয় রাইট?”
রোজের লজ্জা লাগলেও হ্যা বললো। ডক্টর একটু রেগে বললো,
—-” আপনি তখনি কেন টেস্ট করেননি?”
রোজ মাথা নিচু করে বললো।”
—-” একাই ঠিক হয়ে যেতো তাই। আর কোমর কেন ব্যথা হয়?”
এবার পুরুষ একজন ডক্টর বললো,
—-” বি স্ট্রং মিসেস চৌধুরী। ব্যাপারটা আপনার জন্য মেনে নেয়া কষ্ট হতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন যেটা একটা দরকার সেটা দুটো। আর যেটা দুটো দরকার সেটা একটা।”
রোজ অবাক হয়ে বললো,
—-” মানে?”
ডক্টর একটু চুপ থেকে বললো।”
—-” জন্ম থেকে যেমন আপনার জরায়ুর নারী দুটো তেমন আপনার জন্ম থেকে একটা কিডনি। আপনার ডানদিকের কিডনিটা জন্ম থেকেই নেই,
___________
রোজ বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছে। চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। রোজ কিছুতেই এটা মানতে পারছে না। ডক্টর রোজের অবস্থা বুঝে বললো।”
—-” প্লিজ নিজেকে সামলাম। আপনার এখন অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার জরায়ুর দুটো নারীর মাঝে একটা কেটে ফেলতে হবে মানে যেটা বাড়তি আছে। আর কিডনি নিয়ে ভাববেন না আপনি। একটা কিডনি নিয়ে কিন্তুু মানুষ বাঁচতে পারে। কিন্তুু জরায়ুর দুটো নারী নিয়ে আপনি বাঁচতে পারবেন না। এটার অপারেশন না করলে ৬মাসের ভেতর আপনার জরায়ু ক্যান্সার হয়ে যাবে। তাই এখন অপারেশন করতে হবে কিন্তুু,
রোজ কাঁপা গলায় বললো।”
—-” কিন্তুু কি ডক্টর?”
ডক্টর একটা বড় শ্বাস ছেড়ে বললো,
—-” এই অপারেশনে এমনিতেও রিস্ক আছে তার উপর এখন আপনি প্রেগন্যান্ট। তাই, তাই হয় আপনি বাঁচবেন নয়তো আপনার সন্তানরা। এখন আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি চাঁন?”
রোজ যেন এক কঠিব পরিক্ষার মাঝে পড়েছে। রোজ ডক্টরের কাছে একটু টাইম চেয়ে বেরিয়ে এলো। মা হয়ে নিজের সন্তানদের মারতে পারবে না। আবার শুভ্রর কথা ভাবছে শুভ্রও ওকে ছাড়া বাঁচবে না। এর আগে একটু মজা করায় শুভ্রর হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়। ডক্টরও বললো শুভ্র যেন কোন শকড না পায়। রোজ কাঁদতে, কাঁদতে বললো।”
—-” আমি এখন কি করবো আল্লাহ? আগে যদি জানতাম তাহলে তো আগেই অপারেশন করতে পারতাম। এখন তো আমার সাথে আমার বাচ্চারাও আছে। আমি ওদের কি করে ক্ষতি হতে দেবো? আর আমি বাঁচতে চাইলে আমার সন্তানরা বাঁচবে না। আর আমি মরে গেলে শুভ্রও বাঁচবে না। আমি এখন কি করবো মাবুদ?”
রোজের কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেলো। রোদ এসে রোজকে ধরে বললো,
—-” এসব কি বলছিস তুই?”
রোজ ওদের সব খুলে বললো। সবটা শুনে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো। সবার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কি করা উচিত কেউ বুঝতে পারছে না। শুভ্রর মা হঠাৎ বলে উঠলো।”
—-” তুই বাঁচবি রোজ তোকে বাঁচতে হবে,
রোজ অবাক হয়ে বললো।”
—-” কিন্তুু মামনি আমার সন্তানদের ক্ষতি আমি হতে দিতে পারবো না। আমার গর্ভে একটা না তিনটে বেবি। আমি ওদের কি করে মারবো?”
শুভ্রর মা কেঁদে বললো,
—-” আর শুভ্র?”
রোজ অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলো। হসপিটালের রিসেপশন থেকে কাগজ, কলম নিয়ে এলো। ওটাতে কিছু লিখে নিরবের কাছে দিয়ে বললো।”
—-” ভাইয়া আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। শুভ্রর সেন্স আসার পর যখন আমাকে চাইবে। তখন আপনি ওনার হাতে এই কাগজটা দেবেন। আমি জানি উনি পাগলের মতো করবে। কিন্তুু আপনারা ওনাকে সামলাবেন। প্রয়োজনে ডক্টরকে বলবেন ওনাকে ঘুমের ইনজেকশন দিতে,
সবাই রোজকে বোঝানোর পর স্লান হাসলো। এরপর শুভ্রকে যেই কেবিনে রেখেছে সেখানে গেলো। শুভ্রর কপালে ব্যান্ডেজ করা, হাতে ক্যানোলা লাগানো। রোজ শুভ্রর পাশে বসে শুভ্রর একটা হাত ধরে বললো।”
—-” আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন শুভ্র। আপনার সাথে আমার পথ চলা হয়তো এতটুকুই ছিলো। আমি আপনাকে সুখী করতে পারলাম না। আপনার কোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। আমাদের যদি একটা মেয়ে হয় তার মাঝে আমাকে খুজে নেবেন। অনেক ভালবাসি আপনাকে,
রোজ শুভ্রর কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো। কারণ এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলে ওর সিদ্ধান্ত পাল্টে যেতো। শুভ্রকে যে বড্ড ভালবাসে। সবাইকে বলে ডক্টরের সাথে চলে গেলো। সবাই আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছে। যেন রোজ আর ওর বেবিরা বেঁচে যায়। এদিকে রোজকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার ২ঘন্টা হয়ে গিয়েছে শুভ্ররও সেন্স এসেছে। ডক্টর এসে সবাইকে বললো শুভ্রর সেন্স এসেছে। সবাই কেবিনে এলো শুভ্রর চোখ শুধু রোজকে খুজছে। শুভ্র রোজকে না দেখতে পেয়ে বললো।”
—-” রোজ কোথায়?”
নিরব সেই চিঠিটা শুভ্রর কাছে দিলো। শুভ্র কিছুই বুঝলো না তবুও চিঠিটা খুললো। বেশী কিছু লেখা নেই তবে যতটুকু আছে সেটা পড়েই শুভ্রর শ্বাস আটকে আসছে। শুভ্র একটানে স্যালাইন খুলে দৌড়ে বেরিয়ে এলো। অপারেশন থিয়েটারের সামনে এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে। সবাই শুভ্রকে আটকানোর চেষ্টা করছে। শুভ্র দরজায় লাথি মারতে, মারতে বললো,
—-” ডক্টর আমার বেবি চাই না। আমার, আমার রেড রোজকে চাই। ওর কথা শুনবেন না প্লিজ ওকে বাঁচান। ও না থাকলে আমি মরে যাবো। ও যে আমার সবকিছু। আমার প্রাণ ওর মাঝে আটকে আছে। ডক্টর শুনতে পারছেন? আপনাদের পায়ে পড়ি ওকে বাঁচিয়ে দিন। ওর কিছু হলে আমিও মরে যাবো। ওর কিছু হলে ওই বেবিদের আমি নিজে মেরে ফেলবো। ও অনেক কষ্ট পেয়েছে ওকে বাঁচিয়ে দিন প্লিজ। ও আমার প্রাণ ভোমরা ওকে মারবেন না আল্লাহর দোহাই লাগে ওকে বাঁচান। আরে ও না থাকলে আমি ওই বেবি দিয়ে কি করবো? ডক্টর ওর অনেক স্বপ্ন আছে আমি তো সব এখনো পূরণই করতে পারলাম না। এর আগেই ও চলে যাবে বলুন? প্লিজ ওকে বাঁচিয়ে দিন।”
শুভ্র অনবরত দরজায় লাথি মারছে। একটুপর ডক্টর বেরিয়ে এলো। শুভ্র ডক্টরের কাছে গিয়ে বললো,
—-” আমার রোজ কোথায়? বলুন কোথায় আমার রেড রোজ? ও ঠিক আছে তো?”
ডক্টর নার্সকে ডাকলো। নার্স তোয়ালে পেঁচানো তিনটে ফুটফুটে বেবি নিয়ে এলো। শুভ্রর মা রাইসা আর তনয়া বেবি কোলে নিলো। দুটো মেয়ে বেবি একটা ছেলে বেবি। শুভ্র সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বললো।”
—-” আমার রেড রোজ কোথায়?”
ডক্টর মাথা নিচু করে বললো,
—-” দেখুন উনি যা বলেছে আমরা সেটাই করেছি। উনি নিজে বন্ড সাইন করেছে। উনি বেবিদের বাঁচাতে বলেছিলো আমরা বেবিদের বাঁচিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি ওনাকে সেভ রাখতে। বাট উই আর রিয়েলি সরি আমরা পারিনি।”
শুভ্র ডক্টরের গলা চেপে ধরে চেঁচিয়ে বললো,
—-” এটা কেন করলেন আপনি? আমার রেড রোজকে কেন মেরে ফেললেন? ছাড়বো না আমি আপনাদের। এই হসপিটালে আমি আগুন জ্বালিয়ে দেবো। সব শেষ করে ফেলবো আমি।”
কিছু একটা ভেবে শুভ্র বললো,
—-” এই বেবিদের জন্য হয়েছে সব। এরা যখন রোজের পেটে এলো। তখনি আমার মনে হয়েছিলো এদের জন্য আমরা আলাদা হয়ে যাবো সেটাই হলো। এদের আগে মারবো আমি তারপর নিজেকে।”
সবাই ভয় পেয়ে গেলো শুভ্র পাগলের মতো আচরণ করছে। বেবিদের দিকে যেতে গেলেই নিরব আর রোদ ধরে ফেললো। কিন্তুু ওরা পারছে না তাই শারাফ আর রিকও ধরলো। হঠাৎ শুভ্র দাত কিড়মিড় করে জোড়ে আর্তনাদ করে উঠে শরীর ছেড়ে ওদের উপর ঢলে পড়লো। কারো আর বুঝতে বাকী নেই কি হয়েছে। এদিকে বেবিরা কাঁদছে। এই দৃশ্য দেখে সবার চোখে পানি চলে এসেছে,
৫বছর পর।”
#চলবে…