#ভালবাসার এক রাত❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ৩৫
অতিরিক্ত খুশীতে শুভ্র থম মেরে গিয়েছে। চোখে পানি টলটল করছে শুভ্রর। মুখে কোন ভাষা নেই কিছু যেন বলতে পারছে না। আসলে কি বলা উচিত। কিভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিত শুভ্র বুঝতে পারছে না। বাবা হবে এই মুহূর্তটা একটা ছেলের জন্য ঠিক কতটা আনন্দের মুহূর্ত। এটা শুধু সেই ছেলেটা বুঝতে পারে যেই ছেলে বাবা হয়েছে বা বাবা হবে শুনেছে। শুভ্র রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো। সবাই বেশ অবাক হলো শুভ্রর এভাবে চলে যাওয়াতে। শুভ্র ছাদে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেললো। কাঁপা গলায় বলে উঠলো।”
—-” থ্যাংক ইউ আল্লাহ থ্যাংক ইউ। আল্লাহ তুমি আমাকে আমার জীবনের দ্বিতীয় খুশী দিয়েছো আজ। হ্যা দ্বিতীয় খুশী কারণ আমার জীবনের প্রথম খুশী আমার রেড রোজকে পাওয়া। আর এটা আমার দ্বিতীয় খুশী। আমারও একটা বেবি হবে। তার ছোট, ছোট হাত, পা হবে। আমাকে পাপা বলবে আমার রেড রোজকে মাম্মা। আমরাও একটা হ্যাপি ফ্যামিলি হবো। তোমার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আল্লাহ,
শুভ্র আবার দৌড়ে রুমে এলো। রোজ বিছানায় বসে আছে। শুভ্র দৌড়ে এসেই রোজকে জড়িয়ে ধরে বললো।”
—-” রেড রোজ আমরা প্যারেন্টস হবো। তুমি জানো? আমাদের বেবি আসতে চলেছে। তুমি কিন্তুু এখন খুব সাবধানে থাকবে ওকে? আমি তোমাকে এক মুহূর্ত একা রাখবো না। তোমার সাথে, সাথে থাকবো,
সবাই মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলো। রোজ নিজের পেটে হাত রেখে বললো।”
—-” আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমাদেরও বেবি হবে শুভ্র। আপনি ভাবতে পারছেন না আমি কতটা খুশী হয়েছি। ওর ছোট, ছোট হাত, পা দিয়ে আমাকে, আপনাকে টাচ করবে। ওর ছোট ভয়েস দিয়ে আমাদের মাম্মা, পাপা বলে ডাকবে। আমি আর আপনি একসাথে ওকে গোসল করবো। আমরা লাল একটা বল কিনবো ওকে? সেই বলে পানি, স্যাভলন দিয়ে আপনি আর আমি মিলে ওকে গোসল করাবো। ওর জন্য আমি নিজে সোয়েটার বানাবো। আমরা ওর জন্য অনেক খেলনা কিনবো শুভ্র। ওর বড় হওয়া আমি ডাইরিতে লিখে রাখবো। আরো অনেককিছু করবো,
রোজ উত্তেজিত হয়ে সব বলছে। কেন জানি না চেয়েও শুভ্রর মন খারাপ হয়ে গেলো। শুভ্রর কপালে বিন্দু, বিন্দু ঘাম জমে গিয়েছে ইতিমধ্যে। শুভ্রর মনে কেমন একটা খচখচানি ভাব চলে এসেছে। রোজ বকবক করেই যাচ্ছে এটা করবে, ওটা করবে বলে। শুভ্র রোজকে বুকের সাথে মিশিয়ে বললো।”
—-” ওকে এখন শান্ত হও। আমরা সব করবো চুপ করো। আমি বলছি তো সব হবে চুপ,
রোজ গাল ফুলিয়ে বললো।”
—-” বলতে দিন না আমাকে,
শুভ্র রোজের থুতনিতে চুমু খেয়ে বললো।”
—-” আমরা তো সব করবো তাই না?”
রোজ মাথা নেড়ে হ্যা বললো। শুভ্র রোজকে আবার বুকের সাথে মিশিয়ে মনে, মনে বললো,
—-” এমন লাগছে কেন আমার? কেন মনে হচ্ছে খারাপ কিছু হতে চলেছে। কেনই বা মনে হচ্ছে? এই বেবি আমাকে আর রেড রোজকে আলাদা করে দেবে। সব আমার মনের ভুল ভাবনা। এমন কিছু হবে না সব ঠিক থাকবে। আমাকে এসব ভাবনা মন থেকে বের করতে হবে। রেড রোজ জানলে কষ্ট হবে।”
এরমাঝে হঠাৎ রোজের পেট ব্যথা করে উঠলো। সেই সাথে কোমরের ডানদিকটা ব্যথা করে উঠলো। রোজ শুভ্রকে কিছু বললো না। এটা প্রায়ই হয় আবার একাই ঠিক হয়ে যায়। শুভ্র রোজকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এলো। রিক আর সামির বললো,
—-” কি রে হবু মা, বাপ তোরা কি খাবি?”
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” খাবো না কেন?”
চৈতি রোজের দিকে তাকিয়ে বললো।”
—-” গতকাল তনয়া ভাবী বেবির কথা বললো। আর আজই তুই প্রেগন্যান্ট? বাহ তালিয়া, তালিয়া,
রোজ তেড়ে গিয়ে বললো।”
—-” তুই চুপ করবি?”
____________
শুভ্র রোজকে ধরে বললো,
—-” আস্তে চলাফেরা করো।”
রোজ ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” আরে শুভ্র কেবল ৩মাস চলছে। আপনি এখনি এত উতলা হচ্ছেন কেন?”
শুভ্র রোজকে সোফায় বসিয়ে বললো।”
—-” ওটা তুমি বুঝবে না। এখন থেকে আমি যা বলবো সেটাই হবে ওকে? আমি একটা চাট করে দেবো তোমাকে। সেই অনুযায়ী তোমার চলতে হবে কোন না শুনবো না। এখন থেকে খাবারে অনিয়ম করা চলবে না। ঠিকমত খেতে হবে, ঘুমাতে হবে। দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করা যাবে না। আর তুমি বলেছিলে না? তুমি লাস্ট ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষা দিতে চাও। আমি কথা বলেছি ভার্সিটিতে। আমি নিজে তোমাকে দিয়ে আসবো নিয়ে আসবো। মোটকথা আমার সব কথা শুনতে হবে ওকে?”
রোজ হা করে তাকিয়ে আছে। ইনফ্যাক্ট সবাই তাকিয়ে আছে। এটা দেখে শুভ্র ভ্রু যুগল নাচিয়ে বললো,
—-” কি হলো সবার?”
রোজ চোখমুখ কুঁচকে বললো।”
—-” এতকিছু করতে হবে?”
শুভ্র মুচকি হেসে বললো,
—-” হ্যা হবে।”
রোজ মুখ বাঁকিয়ে বসে রইলো। সবাই খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে গেলো। শুভ্র রোজকে রুমে এনে একটা বই হাতে ধরিয়ে দিলো। রোজ শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,
—-” কি করবো?”
শুভ্র রোজের পাশে বসে বললো।”
—-” রেড রোজ বই কি খায় নাকি?”
রোজ কপাল কুঁচকে বললো,
—-” আরে কি বলছেন? বই খাবে কেন? বই তো পড়ে আপনি কি বোকা?”
শুভ্র একটা শ্বাস ছেড়ে বললো।”
—-” তাহলে তুমি জানতে চাইছো কেন কি করবো? বই যখন দিয়েছি পড়তেই তো দিয়েছি। তুমি না পরিক্ষা দিতে চাও? এখন চুপচাপ পড়ো আমি এখানেই আছি,
রোজ মুখ বাঁকিয়ে বই হাতে নিলো। শুভ্র ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে। রোজ বালিশের উপর বইটা রেখেছে। পিছনে আরেকটা বালিশ পিঠের কাছে রেখেছে। কতক্ষণ পর শুভ্র নিচে গেলো। রোজ শুভ্রকে যেতে দেখে মোবাইল নিয়ে বসে গেলো। শুভ্র দুধ নিয়ে রুমে এসে দেখলো রোজ মোবাইলে ভিডিও দেখছে। শুভ্র ধাপধুপ পা ফেলে রুমে এসে বললো।”
—-” এসব কি হচ্ছে?”
রোজ শুকনো ঢোক গিলে বললো,
—-” ইয়ে আসলে আমি।”
শুভ্র চোখ গরম দিয়ে বললো,
—-” থাক আর কিছু বলতে হবে না। যা বোঝার আমি বুঝে গিয়েছি।”
রোজ মাথা নিচু করে বললো,
—-” সরি,
—-” এখন এই দুধটা ফিনিশ করো।”
রোজ গোল, গোল চোখ করে বললো,
—-” আমি দুধ খাবো না। আমার গা গুলিয়ে আসে।”
শুভ্র গ্লাসটা রোজের মুখের কাছে এনে বললো,
—-” নাক চেপে ধরে খেয়ে ফেলো।”
রোজ অসহায় ফেস করে বললো,
—-” প্লিজ শুভ্র আমি খাবো না।”
শুভ্র জোড় করেই রোজকে খাইয়ে দিলো। এরপর রোজের নাক চেপে ধরেছিলো। সত্যিই গন্ধ না পেয়ে রোজের বমি আসেনি। রোজ মুচকি হেসে পড়ায় মন দিলো। কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে এভাবে। রোজের ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন শুভ্র দিয়ে আসে আবার নিয়ে আসে। আজকে রোজ পরিক্ষা দিয়ে বের হয়ে শুভ্রকে পেলো না। রোজ শুভ্রকে ফোন দিলো। শুভ্র জানালো ও রাস্তায় আছে। একটুপর শুভ্রকে না পেয়ে রোজ রিক্সা নিয়ে বাড়ি চলে গেলো। এদিকে ভার্সিটি এসে রোজকে না পেয়ে শুভ্র হন্ন হয়ে গিয়েছে। রোজকে ফোন করছে রোজ ফোন তুলছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর রোজ ফোন রিসিভ করে বললো,
—-” শুভ্র আমি বাড়ি চলে এসেছি।”
শুভ্র ফোন রেখে দিলো। কিন্তুু রাগে শুভ্রর শরীর জ্বলে যাচ্ছে। চোখমুখ লাল টকটকে হয়ে গিয়েছে। চুলগুলো উস্কো, খুস্কো শুভ্র বাড়ি এসে সোজা রুমে এলো। রোজ শুভ্রকে এভাবে দেখে ভয় পেয়ে গেলো। রোজ ভয়ে, ভয়ে বললো,
—-” শুভ্র কি হয়েছে আপনার?”
শুভ্র শান্ত গলায় বললো।”
—-” আমি ওয়েট করতে বলেছিলাম না? একটু দেরী সহ্য হলো না তোমার? জানো তোমাকে না পেয়ে কি অবস্থা হয়েছিলো আমার? তার উপর সহজে ফোনও রিসিভ করছিলে না। মনে হয়নি যে আমার টেনশন হতে পারে? ভাল লাগে আমাকে টেনশনে ফেলতে?”
রোজ বুঝলো ও ভুল করে ফেলেছে। শুভ্রর কাছে গিয়ে ঢোক গিলে বললো,
—-” সরি আমি বুঝতে পারিনি।”
___________
শুভ্র চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
—-” কি বুঝতে পারোনি তুমি? এটা বুঝতে পারোনি? যে আমি টেনশন করতে পারি? নাকি এটা বুঝতে পারোনি? যে আমি তোমাকে নিয়ে কতটা ভাবি? তোমাকে হারানোর ভয় সবসময় আমার ভেতরে কাজ করে কেন বোঝো না? তোমাকে না পেয়ে কলিজা কাঁপছিলো আমার। তুমি ফোনটাও রিসিভ করছিলে না। মনে হচ্ছিলো জান বেরিয়ে যাবে। আমি নিজেকে হারাতে রাজী তোমাকে না। আমি নিজের ক্ষতি মানতে রাজী তোমার না। এটা বুঝতে পারো না তুমি?”
ভয়ে রোজ কেঁদে ফেলেছে। রোজকে কাঁদতে দেখে শুভ্র শান্ত হয়ে গেলো। কোটটা ফেলে একহাতে রোজকে জড়িয়ে ধরে বললো।”
—-” রেড রোজ কাঁদছো কেন? দেখো আমি তো তোমাকে বকিনি। আমার টেনশন হয়েছিলো বলেই তো রেগে গিয়েছি। ওকে দেখো আমি আর রেগে যাবো না। আই এম সরি, প্লিজ ডোন্ট ক্রাই,
রোজ ফুঁপিয়ে কেঁদে বললো।”
—-” আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি,
শুভ্র রোজের কপালে চুমু দিয়ে বললো।”
—-” সরি আই এম সরি,
রোজ শুভ্রকে জড়িয়ে ধরলো। কথায় আছে সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময় এই ৩অক্ষরের শব্দটি নিজের মতো চলে। দেখতে, দেখতে ৫মাস চলে গিয়েছে। রোজের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ। অনেক ভাল রেজাল্ট করেছে। তাছাড়া এখন রোজের প্রেগন্যান্সির ৮মাস চলছে। তবে রোজের পেট অতিরিক্ত বড় হয়েছে। একেবারে লিমিট ছাড়া যাকে বলা হয়। রোজ আলট্রা করেনি সবার ধারনা রোজের পেটে জমজ বেবি আছে। রোজও তাই ভাবে রোজ বলেছে আল্লাহ যা দেয় তাই হবে। তার জন্য আলট্রা করতে যায়নি। তবে মাঝে চেকআপ করেছিলো। ডক্টর বলেছে প্রেশার ঠিক আছে। রোজ ড্রয়িংরুমে টিভি দেখছে শুভ্র নিচে এসে বললো।”
—-” রোজ চৈতির মেয়ে হয়েছে,
রোজ খুশীতে গদগদ হয়ে বললো।”
—-” ওয়াও শুভ্র আমি যাবো প্লিজ,
শুভ্র এক ধমক দিয়ে বললো।”
—-” তুমি এই অবস্থায় যাবে হসপিটালে? চুপচাপ বসে থাকো আমি গিয়েই চলে আসবো। বেবিকে তো কিছু দিতে হবে নাকি?”
রোজ গাল ফুলিয়ে বসে রইলো। শুভ্র রোজের পাশে বসে বললো,
—-” আমি বেবির ছবি তুলে নিয়ে আসবো। আর চৈতিকে বলবো এখানে আসতে ওকে?”
রোজ হেসে বললো।”
—-” সত্যি?”
শুভ্র মাথা নেড়ে হ্যা বললো। প্রতিদিনকার মতো রোজের কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো। সবাই রিক আর চৈতির বেবিকে দেখতে এসেছে। হসপিটালেই গিফট এনে ভরে ফেলেছে ওরা। রিক হা করে বললো,
—-” এসব কি?”
শারাফ বেবির হাত ধরে বললো।”
—-” তোর জন্য আনিনি আমরা,
জারা লাফাতে, লাফাতে বললো।”
—-” আমরাও বেবি নেবো,
সবাই হেসে দিলো। শারাফ জারার দিকে তাকিয়ে বললো।”
—-” কোথায় কি বলো হ্যা?”
রাইসা সামিরের কাছে এসে বললো,
—-” আমরাও বেবি নেবো।”
সামির কিছু বলার আগে নিরব বললো,
—-” আমরা সবাই নেবো। রোদ, রিক, শুভ্র বাবা হয়ে গেলো। এবার আমাদের পালা।”
রোদ দাত কেলিয়ে বললো,
—-” শুভ্র তো জমজ বেবির বাবা হচ্ছে।”
শুভ্র রোদের পিঠে কিল মেরে বললো,
—-” চুপ কর।”
ওরা সবাই কিছুক্ষণ থেকে চলে গেলো। এভাবে আরো ১মাস কেটে গিয়েছে। রোজের পেট আরো একটু বড় হয়েছে। এখন ওর প্রেগন্যান্সির ৯মাস। সন্ধ্যার দিকে শুভ্রকে নিয়ে এক প্রকার জোড় করে বাইরে এসেছে রোজ। কান্নাকাটি করেই এসেছে শুভ্র না পেরে নিয়ে এসেছে। রোজকে সাবধানে গাড়ি থেকে নামিয়ে বললো,
—-” কেন এলে?”
রোজ বাচ্চাদের মতো বললো।”
—-” আমি ভুট্টা খাবো,
শুভ্র কপাল কুঁচকে বললো।”
—-” এই রাস্তার ভুট্টা খাবে?”
রোজ মুখ কালো করে ফেললো। শুভ্র একটা বড় শ্বাস ছেড়ে বললো,
—-” ওকে এখানে দাড়াও নড়বে না আমি আনছি।”
শুভ্র কোনরকম রাস্তা ক্রস করে গেলো ভুট্টা আনতে। ভুট্টা রাস্তার ওপাশে। শুভ্র ভুট্টা কিনছে রোজের চোখ গেলো আইসক্রিমের দোকানে। রোজ জানে শুভ্র ওকে এই রাস্তার আইসক্রিম কিনে দেবে না। তাই নিজেই হাটা দিলো আইসক্রিম আনতে। হঠাৎ পেটে আর কোমরে ব্যথা করে ওঠায় রোজ রাস্তার মাঝে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে গেলো। শুভ্র ভুট্টা কিনে পিছনে ফিরতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো। রোজ রাস্তার মাঝে দাড়ানো আর একটা ট্রাক এগিয়ে আসছে রোজের দিকে। শুভ্র ভুট্টা ফেলে দৌড়ে এসে রোজকে আস্তে সরিয়ে ফেললো। কিন্তুু ও সরার আগে ট্রাকটা ওকে ধাক্কা মেরে চলে গেলো। রোজ ততটা ব্যথা পায়নি। হাত ঝেড়ে রাস্তার মাঝে চোখ যেতেই থমকে গেলো। শুভ্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। হাতটা নাড়িয়ে কি যেন বলতে চাইছে। মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছে রাস্তায়। হঠাৎ শুভ্র হাতটা রাস্তায় ছেড়ে দিলো। এটা দেখে রোজ শুভ্র বলে একটা চিৎকার করে সেন্সলেস হয়ে গেলো,
#চলবে…