#ভদ্র স্যার♥রাগী বর-পর্ব ৭
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি
আমি হাসতে হাসতেই পিছনে ফিরে দেখলাম,
স্যার দূর থেকে আমার দিকে রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে।রাগে যেন সে এখনই ব্লাস্ট হয়ে যাবে।
হঠাৎ আমার কাছে এসেই সে আমার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে আমার কাধঁ তার দু হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল।তার চোখে রাগ স্পষ্ট।আমাকে যেন কিছু বলতে চাইছে কিন্তু পারছে না।
হঠাৎ আমাকে ছেড়ে দিয়ে পিছনে ফিরে দু হাত দিয়ে তার সামনের চুলগুলো পিছনে নিতে নিতে নরম গলায় বলে উঠল,
আমার ভালো লাগে না….অন্য কারো সাথে……
তোমাকে……
আর যেন কিছু বলতে পারছে না।এতটুকু বলেই মুখ ফ্যাকাসে করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।আর আমি হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।স্যারের আবার কি হল!কি ভালো লাগে না?হঠাৎ এত রাগই বা কেন হয়ে এত নরম গলায় কথা বলল?কিছুই বুঝতে পারলাম না।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আমাদের বাড়িতে আমাদের সেদিনটাও থাকার কথা ছিল কিন্তু স্যারের হঠাৎ নাকি কোন জরুরী মিটিং পরে গেছে।তাই বিকেলেই চলে যেতে হবে।
শুনেই আমি মুখ গোমড়া করে বসে রইলাম।
স্যারকে বললাম,তাহলে আপনি একাই যান।আমি থাকি।
ভাবী আমার পাশেই দাড়িয়ে ছিল।আমার কথা শুনে আমাকে পাশ থেকে একটা চিমটি দিয়ে
ফিসফিসিয়ে বলতে লাগল,এই গাধী কি বলিস!
দুইদিন হয়েছে বিয়ে হল,আর তুই একজায়গায় থাকবি আর জামাই আরেক জায়গায় থাকবে?
আমাকে কখনো দেখেছিস তোর ভাইয়াকে ছেড়ে একা থাকতে!চুপচাপ শ্বশুর বাড়ি যা।
উফফ! এই ভাবীটা না আমাকে জ্বালিয়ে মারবে।
আমাকে স্যারের সাথে পাঠিয়েই ছাড়ল।
গাড়ীতে চুপচাপ মুখ ফুলিয়ে বসে আছি।একবারো স্যারের দিকে তাকাই নি।স্যার বারবার আমাকে আড়চোখে দেখছে।
বাসায় এসে পৌঁছাতেই স্যার আমার পাশে গাড়ীর দরজা খুলে বলল,বের হও।
আমি চুপ করে বসেই আছি গোমড়া মুখ করে।
হঠাৎ স্যার আমাকে কোলে তুলে নিল।আমার তো চোখ বড়বড় হয়ে গেল।আমি ছটফট করতে করতে বললাম,কি করছেন?নামান আমাকে কেউ দেখলে কি বলবে!
স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বলল,ছটফট করা বন্ধ করবে।তারপর একটু মুচকি হেসে বলল,উফফ!কি ভারি তুমি।বলেই বাড়ির ভেতর হাঁটা শুরু করল।
আমার তো আরো রাগ উঠে গেল।আমাকে মোটা বলা!
আমাকে সোজা রুমে নিয়ে কোল থেকে নামিয়ে বেডে বসিয়ে দিল।
আমি রাগ করে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলাম।
স্যার আমার দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিল।তারপর তার ফাইলগুলো নিয়ে অফিসে চলে গেল।
সন্ধার একটু পরেই সে ফিরে এলো।আমি সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম।তার দিকে ফিরেও তাকালাম না।স্যার আমার সামনে এসে এক বক্স চকলেট রাখল।আমি একটু আড়চোখে দেখলাম কিন্তু ধরলাম না।কারণ আমি তো রাগ করেছি।এত সহজে কি গলে যাওয়া যায়!
আমি ধরছি না দেখে সে চকলেটগুলো নিয়ে ড্রয়ারে রাখতে রাখতে বলল,কেউ যদি খেতে চায় এখান থেকে নিতে পারে।
আমি শুনে টিভির দিকে তাকিয়েই একটা মুখ ভেংচি দিলাম।
একটু পর স্যার রুম থেকে বেড়িয়ে গেল। আমার চোখ বারবার ড্রয়ারের দিকে যাচ্ছে।এমন কোনো মেয়ে নেই যে কিনা চকলেট পছন্দ করে না।আর এতগুলো চকলেট একসাথে দেখে তো….।
না খাওয়া যাবে না।আমি না রাগ করেছি?কোনো মান সম্মান আছে নাকি!
পুরো রুম চকলেটের ঘ্রাণে ভরে গেছে।এত খেতে ইচ্ছে করছে!
পরে সিদ্ধান্ত নিলাম,শুভ্র স্যার যেহেতু রুমে নেই তাই একটা খাওয়া যেতেই পারে।এতগুলোর ভেতর থেকে একটা খেলে স্যার বুঝতে পারবে না।
যেই ভাবা সেই কাজ।ধীরে ধীরে ড্রয়ার টা খুলে একটা চকলেট নিয়ে খেতে শুরু করলাম।একটা খাওয়ার পর আরেকটা খেতে ইচ্ছা করল।
তাই আরেকটা নিয়ে অর্ধেক খেতেই স্যার রুমে চলে আসল।আমাকে এই অবস্থায় দেখে হাসতে লাগল।আমি রাগে লজ্জায় লাল হয়ে রুম থেকে বের হয়ে সামিয়ার রুমে চলে গেলাম।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আমি আগেই শুয়ে পরলাম অন্য দিকে মুখ করে।একটু পর স্যার এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করল।কিন্তু আমি ঘুরলাম না।মুখ গোমড়া করে রইলাম।তারপর স্যার আমার উপর দিয়ে গিয়ে আমার এই পাশে এসে শুয়ে পড়ল।আমিও আবার উল্টো দিকে ফিরে শুয়ে পড়লাম।
সাথে সাথে স্যারও এই পাশে এসে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।এবার আমি আর নড়তেই পারছি না।হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ছোটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলাম।কিন্তু তাকে একচুলও নড়াতে পারলাম না।স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।তারপর আমিও হাল ছেড়ে সেভাবেই শুয়ে থাকলাম।
একটুপর স্যার ঘুমিয়ে পড়ল।তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার সব রাগ হাওয়া হয়ে গেল।স্যারের ঘুমন্ত মুখটি দেখতে কি সুন্দরই না লাগছে।মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর জিনিস আমার চোখের সামনে রয়েছে।
হঠাৎ আমার চোখ গেল স্যারের সোজাসুজি রাখা মাছর অ্যাকুরিয়ামটির দিকে মাছ দুটি মনে হচ্ছে একসাথে থেকেই বেশি খুশি হয়েছে।আগের থেকেও বেশি।
সকালে নিচে গিয়ে মাকে একটু আধটু সাহায্য করলাম।সামিয়ার সাথে চা খেয়ে একটু গল্প স্বল্পও করলাম।তারপর রুমে আসতেই সামনে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে দিলাম একটা চিৎকার।
কারন আমার সামনে স্যার দাঁড়িয়ে রয়েছে তাও আবার শুধু মাত্র একটি টাওয়েল পেঁচিয়ে।মাত্রই মনে হয় স্নান সেরে এসেছে।উন্মুক্ত বুকে বিন্দু বিন্দু পানি জমে রয়েছে।চুলও ভেজা।
তাকে এই অবস্থায় দেখে আমার চোখ বড় বড় হয়ে মুখ দিয়ে চিৎকারই বেরোলো।সে আমার দিকে তাকিয়ে ভুরু কুঁচকে বলল,কি হল,এমন করছো হাউকাউ করছো কেনো?
আমি তাকে বললাম,আপনার কি একটুও লজ্জা শরম নেই।এভাবেই বাথরুম থেকে বের হয়ে গেছেন!
সে আমার কাছে ধীরে ধীরে আগাতে লাগল আর আমি পিছাতে লাগলাম।একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বলতে লাগল,কেনো লজ্জা করবে কেনো!রুম আমার,মর্জি আমার,এমনকি সামনের বউটাও আমার।
কাছে আসতে আসতে সে তার দু হাত দিয়ে একেবারে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল।
উফফ!কথায় কথায় সে শুধু আমার কাছে এসে পড়ে কেনো?
এটা কেনো বুঝে না সে কাছে আসলেই আমার হার্টবিট রেলের গতিতে চলতে থাকে।
আমি তাকে মুখ ভেংচি দিয়ে বললাম,
আপনি একটা LC।
সে অবাক হয়ে বলল,LC মানে?
আমি বললাম,মানে হল Luchu Company.
বলেই জিভ কামড় দিলাম।এটা কি বলে ফেললাম।এখন তো আমি গেছি!
স্যার আমার আরো কাছে এসে রাগী গলায় বলল,আমি লুচু?
তখনি সামিয়া রুমে এসে পড়ল।আমাদের দুজনকে এই অবস্থায় দেখে একটা মৃদু চিৎকার দিয়ে ওর হাতের জামাটা ফেলে এক দৌড় দিয়ে চলে গেল।বেচারি বোধ হয় জামাটা আমাকে দেখাতে এসেছিল।না জানি কি ভাবছে।ধ্যৎ!
সামিয়াকে দেখে স্যার দূরে সরে গিয়েছিল।তাই আমিও তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে আসি।
নাস্তার টেবিলে সবাই বসে আছি।সামিয়া শুধু আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে ।এখন একে কিভাবে বোঝাই,ও যা ভাবছে এমন কিছু না।
এমন সময় আমার শ্বাশুড়ি মা আমাকে বলে উঠল,সুপ্তি,শুভ্র বলল তোমার নাকি অনেক গ্যাষ্টিক।তোমার জন্য সব খাবার ঝাল কম দিয়ে রান্না
করেছি।
আমার তো মাথায় বাঁশ!
তার মানে স্যার এখানেও বলে বেড়িয়েছে।আমি আমতা আমতা করে বললাম,না মা একটু ঝাল খেলে কিছুই হবে না।
আমার শ্বাশুড়ি মা জোর দিয়ে বলে উঠল,না না স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো আস্কারা নয়।তুমি এখন থেকে ঝাল কমই খাবে।
আমি আর কি বলব এখন।রাগে কটমট চোখে স্যারের দিকে তাকালাম।আমার ঝাল খাওয়ার বাড়োটা বাজিয়ে সে নিশ্চিন্তে খেয়ে যাচ্ছে।
আজ আমাকে রান্না করতে হবে সবার জন্য।শুভ্র স্যারের ফুফু বলেছেন।আমার শ্বাশুড়ি মা মানা করেছিল।কিন্তু স্যারের ফুফু বলেছে এটাই নিয়ম।স্যারের দুই ফুফু।আরেক ফুফু বিদেশে থাকেন।আসতে পারেন নি।আর এই ফুফুটা একটু কড়া।
আমি রান্নাঘরে সবকিছু নেড়েচেড়ে দেখছিলাম।
এমন সময় স্যার হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে আসল।আমি অবাক হয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করলাম,এখানে কি?
স্যার বলল,তুমি তো রাধঁতে পারো না।দাও আমি রান্না করে দেই।আমি চোখ কপালে তুলে বললাম,
আপনি রান্নাও করতে পারেন।সে বলল,হ্যাঁ।লন্ডনে যখনে হায়ার স্টাডিজের জন্য যখন ছিলাম তখন আমার নিজের রান্না আমিই করতাম।
আমিও একটু ভাব নিয়ে বললাম,আমিও এখন রান্না শিখেছি।আপনাকে কষ্ট করতে হবে না।
স্যার বলল,ঠিকাছে তুমি রান্না কর,আমি অন্তত সবজিটা কেটে দেই।
আমি আরো কিছু বলতে নিচ্ছিলাম।কিন্তু স্যার আমাকে থামিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
কি সুন্দর করে সবজি কাটছে।মনে হচ্ছে খুবই যত্ন সহকারে সবজি গুলোকে কুচি কুচি করছে।
আমি রান্না পারলেও মোটামুটি পারি।শখের রান্না।মাঝে মাঝে মন চাইলে করি।সব আইটেম মোটামুটি কোনোমতে কমপ্লিট করলাম।
কিন্তু বাঁধ মানল পায়েস।আমি পায়েস কখনো করি নি।শুনেছি কিভাবে বানায় কিন্তু তবুও ভয় লাগছে।যদি ঠিকঠাক না হয়।
স্যার আমার অবস্থা দেখে বলল,দাও পায়েশ আমি করি।
আমি তাকে থামিয়ে হরবরিয়ে বলতে লাগলাম,
না না।ফুফু বলেছে পায়েস আমাকেই করতে।এটাই নাকি নিয়ম।বাড়ির বউকেই করতে হবে।আর আপনি কিভাবে…
আর কিছু বলতে দিল না।আমার ঠোঁটে তার আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে বলতে লাগল,বিয়েটা আমরা দুজন করেছি।তুমি একা নও।তাহলে নিয়ম শুধু তুমি একা পালন করবে কেনো?
আমি যদি পায়েস রাধঁতে পারি তাহলে আমার করতে অসুবিধা কি?
বলেই আমাকে ধরে সাইডে দাঁড় করিয়ে তার ব্লেজার আর হাতের ঘড়ি খুলে আমার হাতে দিয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করে রান্না করতে লাগল আর আমাকে শেখাতে লাগল।
আর আমি মুগ্ধ চোখে স্যারের দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম।একটা মানুষ এতটা পারফেক্ট কি করে হয়!তার ভাবনাও কি সুন্দর!
যতটুকু আমি জানি ছেলেরা রান্নাঘরে প্রবেশ করাটাকেও তাদের পুরুষত্বের বাইরে মনে করে।
স্ত্রীকে সাহায্য করা তো দূরে থাক।
স্যার রান্না শেষে আমার মুখে একচামচ পায়েস তুলে দিয়ে আমার ধ্যান ভাঙালো।চোখ দিয়ে ইশারা করে জানতে চাইল কেমন হয়েছে।
আমি তো মুখে নিয়ে স্ট্যাচু হয়ে গেছি।মিষ্টি জিনিস আমার বেশি ভালো লাগে না কিন্তু স্যারের হাতের পায়েস অসাধারণ হয়েছে।খেতে খুবই ভালো লাগছে।
দুপুরে সবাই খাওয়া দাওয়া করে রান্নার খুব প্রশংসা করল।সব থেকে বেশি করেছে পায়েসের।সবাই ভাবছে এটা আমিই করেছি।তাই আমারই প্রশংসা করছে।আমার খারাপ লাগল।এত কষ্ট করে স্যার রেধেঁছে আর প্রশংসা সব আমি নিচ্ছি।আমি একবার বলতে নিলাম যে স্যার পায়েস করেছে।কিন্তু স্যার আমাকে চোখ ইশারা করে মানা করে দিল।
সকাল বেলা নামাজ পড়ে আমি সবসময় আবার ঘুমাই।তাই আজও নামাজ পড়ে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম।স্যার জগিং স্যুট পড়ে আমার সামনে দাড়িয়ে বলল,এখন আবার শুয়ে পড়লে কেনো?
আমি চোখ মেলে কপাল কুঁচকে বললাম,আমি এখন ঘুমাবো।আমাকে বিরক্ত করবেন না।
স্যার কোমড়ে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,সকালে
ঘুমিয়ে থাকা ভালো না জানো না?
একটু এক্সারসাইজও করতে হয়।চলো আজকে থেকে তুমি আমার সাথে জগিং করবে।
আমার তো এই কথা শুনে চরম বিরক্তি লাগল।
এই সকাল বেলা এই সুন্দর ঘুমটা বাদ দিয়ে নাকি এখন তার সাথে দৌড়াদৌড়ি করব!
আমি বিরক্তি নিয়েই বললাম,যান তো এখান থেকে।আমি এখন দৌড়াদৌড়ি করতে পারব না।
স্যার একটা ধমক দিয়ে বলল,আবার কথা শুনছো না।উঠবে নাকি কানে ধরাবো?
তার ধমক শুনে উঠতেই হল।
হায় আল্লাহ!আমার ঝাল খাওয়া বাদ দেওয়ালো
এখন আবার আমার ঘুমটাও কেড়ে নিচ্ছে!এই অ্যাংড়ি বার্ডটা আমাকে আর কত জ্বালাবে!
আমার হাতে একটা জগিং স্যুট ধরিয়ে দিয়ে বাথরুমে পাঠিয়ে দিল।স্যুট তো পড়লাম কিন্তু আমি কখনো ওড়না ছাড়া বাইরে যাই নি।আর স্যারের সামনে এভাবে যাবো?
তাই একটা স্কার্ফ গলায় পেঁচিয়ে নিলাম।আমাকে দেখে স্যার মিটিমিটি হাসতে লাগল।আমি চুল ঝুঁটি করে তার সাথে বেড়িয়ে পড়লাম দৌড়াদৌড়ি করতে।
উফ!স্যারের সাথে কি দৌড়ে পারা যায়।
আমাকে একটি মাঠ দেখিয়ে বলল,এটা একটা চক্কর দিয়ে আসো।আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।
কিন্তু কি করার দিতেই হল।চক্কর দিয়ে আমার অবস্থা শেষ।কোমড়ে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম।স্যার আমার হাতে একটা পানির বোতল ধরিয়ে দিয়ে আমার সামনেই ঐ মাঠটায় তিনটা চক্কর দিল।কিন্তু তার ভেতর এতটুকুও ক্লান্তি দেখা যাচ্ছে না।বাহ!সে তো ভালো ফিট।
জগিং শেষে বাসায় এসে গোসল করে নিচে চলে গেলাম।
এখন আমি ভার্সিটিতেও যাওয়া শুরু করেছি।শুভ্র স্যারই আমাকে দিয়ে আসে।আসার সময় আমি একাই আসি রিকশায়।মাঝে মাঝে স্যারও নিতে আসে।
একদিন বিকেলে বেডে বসে ফোনে গেমস খেলছিলাম।হঠাৎ স্যার এসে আমার সামনে………
চলবে,,
,,