ব্ল্যাক ফরেস্ট পর্বঃ ০২
লেখকঃ আবির খান
– স্বাগতম আমার প্রিয় বন্ধুদের। এই হলো সেই রহস্যময় ব্ল্যাক ফরেস্ট। যেখানে আমরা আজ সারাদিন থাকবো আর এডভেঞ্চার করবো।
সবাই জঙ্গলটাকে দেখছে। খুব অন্ধকার মনে হচ্ছে ভিতরে। কেমন এক নিস্তব্ধতা চারপাশে। শুধু পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। কিচিরমিচির কিচিরমিচির। আর তেমন কোন শব্দ নাই। সালমান বলে উঠলো,
– দোস্ত এটা তো এক পাশ। কিন্তু ভিতর যাওয়ার রাস্তা তো দেখছিনা।
নেহাল বলে,
– আরে বেটা এখন এই জঙ্গলে যাওয়া নিষেধ। তাই সামনে যেই গেইটটা আছে ওখানে পাহারাদার’রা আছে। আমরা গেলে জীবনেও ঢুকতে দিবে না। তাই এখান থেকে ঢুকবো।
রিয়া বলে উঠে,
~ দোস্ত সেই উঁচু তো। কীভাবে উঠবো?
নেহাল ব্যাগটা কাঁধে শক্ত করে নিয়ে সবার সামনে রেলিং ধরে ধরে উপরে উঠে গেল। এরপর বলল,
– এভাবে উঠবি। আয় তোরা৷
নেহালের দেখাদেখি নিলয় আর সালমানও উপর উঠলো। রিয়া আবিরের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে বলল,
~ তুমি উঠবা না? সবাইতো উঠে গেল।
আবির রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আবির জানে রিয়ার উঠতে অনেক সমস্যা হবে। ও মেয়ে মানুষ। আবির ওর ব্যাগ আর রিয়ার ব্যাগ নিয়ে উপরে ওদের কাছে ছুড়ে মারে। রিয়া বলে,
~ কি করছো তুমি?
– উঠো।
~ কই?
– আমার পিঠে। আর কই উঠবা। শক্ত করে জড়িয়ে ধরো। আমি তোমাকে নিয়েই উঠবো। তোমার উঠতে হবে না।
রিয়ার চোখে পানি এসে পড়ে। ও দৌঁড়ে এসে আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর বাকিরা তা দেখে চিৎকার করে বলে উঠে,
– ওওওওওওওওও…..সেই সেই।
– কই উঠো।
~ তোমার কষ্ট হবে না? আমি তো মটু।
– তুমি একা উঠলে আমার কষ্ট অারো বেশী হবে।
~ ইসসস কি ভালবাসা। এই তুমি আমাকে তুমি করে বলতেছো?? ইয়েএএএ। আজ আমি অনেক হ্যাপি। সত্যিইই আমি একজন সত্যিকারের পুরুষকে ভালবাসছি।
– তুই উঠবিইই?
~ এই যে উঠলাম। চলো।
– এইরেএএএ তুইতো সত্যিইই অনেক মটুউউ।
~ এএএএ না করছিলাম।
– ধুর মজা করতাছিইইই। তুই চিকনই মটু না।
নেহাল জোরে বলে উঠে,
– তোরা কি আসবি নাকি আমরা চলে যাবো?
~ শালা তোরা শয়তান। আমাকে একা রেখে উপরে উঠে বসে আছিস। আবার জোরে কথা কস! আজকে আমার বফ বাবুটা না থাকলে তো আমি উঠতেই পারতাম না। সব শয়তান তোরা।
রিয়ার কথা শেষ হতেই আবির রিয়াকে নিয়ে উঠে যায়। এরপর ওকে নামিয়ে দেয়৷ রিয়া আবিরের হাত ধরে বলে,
~ কখনো আমাকে একা করো না। সারাজীবন এভাবে তোমাকে চাই।
– এহহ! এডভেঞ্চার করতে আসছি রোমাঞ্চ করতে না।(মজা করে)
রিয়া রাগ করে মুখ ফুলিয়ে রইলো। আবির মিটমিট হাসি দিয়ে রিয়াকে দেখছে। এবার নেহাল বলল,
– তাহলে বন্ধুরা চলো ভিতরে যাওয়া যাক।
– সবার তাবিজ গলায় আছে তো? (আবির)
– আছে ভাই চল।(সবাই)
এরপর আবির রিয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে নেহাল, সালমান আর নিলয়ের সাথে আস্তে আস্তে জঙ্গলের ভিতর যাওয়া শুরু করে। জঙ্গলের ভিতরে পা দিতেই সবার গায়ে কেমন এক শিহরণ দেয়। রিয়া আস্তে করে আবিরের কানে কানে বলে,
~ তুমিতো রোমাঞ্চ করতে আসো নি তাহলে আমার হাতটা কেন এতো শক্ত করে ধরে আছো হুম?
আবির রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
– সেটা তোর জানতে হবে না। আমার হাত ছাড়বিনা। আমার সাথে লেগে থাক।
~ ইসস শখ কতো! আচ্ছা যাও ছাড়বো না। তুমিও ছাড়বানা বলো।
– গত তিন বছর ধরে হাতটা ধরে আছি। ছাড়ার হলে ধরতামইনা।
আবিরের কথা শুনে রিয়া অবাক। ও যেন ডাবল খুশী। রিয়া ঠাস করে খুশীতে আবিরের গালে একটা চুমু এঁকে দেয়। আবির কোন রিয়েকশন দেয়না। কারণ এটা রিয়ার ৮৭৮ নং চুমু। আবির সব গুনে রাখে। কিন্তু রিয়া জানে না। নিলয় বলে উঠে,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
– দোস্ত দেখ কি বিশাল বিশাল বড় গাছ।
– পাখিদের ডাক গুলোও খুব সুন্দর। (সালমান)
– কি বলছিনা সেই একটা মজা হবে৷ (নেহাল)
ওরা আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে যায়। আবির বলে উঠে,
– তোরা সবাই আমার সাথে আয়। জঙ্গলের ভিতরে একটা রাস্তা আছে। ওই রাস্তা ধরে হাটলেই ভালো হবে। এভাবে হেঁটে মজা পাবো না।
– কিন্তু রাস্তা বের করবি কীভাবে? আমরাতো গেইট দিয়ে ঢুকি নি। (নিলয়)
– আরে আমরা এই পাশ দিয়ে ঢুকেছি। সো আমরা যদি ওদিকে সোজা হাঁটি তাহলেই রাস্তা পেয়ে যাবো। আয় তোরা আমার সাথে। (আবির)
~ ইসসস আমার বেয়ার গ্র্যালস। দেখেছিস আমার বিএফটা কতো বুদ্ধিমান। তোরা সব বোকা। হিহি।
– হ আর তুমি নিজে অনেক চালাক। হাহা। (বাকিরা)
রিয়ার সাথে বাকিরা আবিরকে অনুসরণ করে হাঁটছে আর এটা ওটা দেখছে। বাইরে থেকে জঙ্গলটা অন্ধকারে ঢাকা মনে হলেও ভিতরে দিনের আলো বেশ আছে। আবিরের সাথে হাঁটতে হাঁটতে ঠিকই ওরা রাস্তা খুঁজে পায়। ৫/৬ ফিট চওড়া রাস্তা। এ রাস্তা জঙ্গলের ভিতর চলে গিয়েছে একদম। রাস্তা খুঁজে পেয়ে সবাই বলে উঠে,
– বাহ! রাস্তা তাহলে পাওয়াই গেল। আবির আসলেই তুই একটা জিনিস। সাব্বাশ দোস্ত। (সালমান)
– এহহ! এটা কোন ব্যাপার হলো। আমিও বের করতে পারতাম। (নেহাল)
~ হ তুমি যে কি বের করতা আমরা দেখছি। হাবিজাবি জায়গা দিয়ে হাঁটছিলাম। ও না বললে তুই ওভাবেই হাঁটাতি আমাদের। এটা আমার বফ বুঝলা? হীরা হীরা। (রিয়া)
– দেখ, আবির আবার তোর পামে ফুলে আকাশে না উড়ে যায়। হাহা। (নেহাল)
বাকিরাও হেসে দেয়। আবির রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়া আস্তে করে বলে,
~ বিশ্বাস করো কোন পাম দিচ্ছিনা।
– তো আমি কিছু বলেছি?
~ না তাও বললাম।
– আচ্ছা রাখ তোরা৷ চল সামনে যাই। দাঁড়িয়ে থেকে কি হবে? (নেহাল)
– চল চল। (সবাই)
এরপর সবাই রাস্তা ধরে সামনে আগাতে থাকে। হঠাৎই আবিরের মনে হলো কেউ পিছনে দাঁড়িয়ে হাসছে৷ আবির পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। একদম চুপচাপ। কিন্তু রাস্তার ওপাশটা খুব অন্ধকার। এটা এক আশ্চর্য ব্যাপার। আবির কাউকে কিছু না বলে রিয়াকে সাথে নিয়ে হাঁটতে থাকে। রিয়া কিছুটা বুঝতে পারছে আবিরের অবস্থা। তাই ওর সাথে দুষ্টামি করছে যাতে আবির খারাপ কিছু না ভাবে৷ ওরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর এখান থেকেই শুরু হয় ওদের এডভেঞ্চার।
অনেক ধরনের অচেনা পাখি দেখে ওরা। নাম ও জানে না কেউ। পাখি গুলো খুব অদ্ভুত। সবাই গাছের ডালে চুপ করে বসে আছে। শুধু বসে আছে বললে ভুল হবে সবাই যেন ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। নিলয় বলে উঠে,
– ব্যাপার কি মামা? পাখিগুলো এমন চুপচাপ বসে আছে কেন? আর দেখ আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে মনে হয়।
নেহাল মজা করে বলে,
– আমাদের স্বাগতম করতাছে বুঝস না কেন। না জানি কতদিন পর এই রাস্তা ধরে কোন মানুষ যাচ্ছে। আমাদের দেখে ওরা যেমন অবাক। ঠিক ওদের দেখে আমরাও অবাক। হাহা।
~ তুই মানে কেমন? সব কিছুতে ফান কেমনে বের করিস? ওদের(পাখি) খেয়ে দেয়ে কাজ নাই আমাদের স্বাগতমে বসে থাকবে তাইনা? হাহা। (রিয়া)
– নেহালের কাছে সব সম্ভব। (আবির)
আবিরের এর কথা শেষ হতেই হঠাৎ পাখি গুলো সব নিস্তব্ধতা ভেঙে কোথায় যেন উড়ে গেল। কিন্তু একটা পাখি উড়ে উড়ে ঠিক রিয়ার দিকেই আসছিল। আবির রিয়াকে টান মেরে ওর বুকের মাঝে নিয়ে আসে। আর বড় কালো পাখিটা উড়ে কোথায় যেন চলে যায়। রিয়া অনেক ভয় পায়। আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। নেহাল মাঝ দিয়ে বলে উঠে,
– শালা তোর কথা ওদের পছন্দ হয়নি তাই গেল তো সব উড়ে৷
~ নেহাল ফাজলামি বন্ধ কর। (জোর গলায়)
রিয়ার বকা খেয়ে সবাই আস্তে আস্তে সামনে আগাতে থাকে৷ পাখি গুলো উড়ে যাওয়ার পরই জঙ্গলটা কেমন চুপচাপ নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ওরা সবাই এদিক ওদিক তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আবির ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে প্রায় ১২ বাজে। তাই ও বলে উঠে,
– অনেক হেঁটেছি। এবার কিছু খাওয়া যাক।
~ ইসস! আমার মনের কথা বললা তুমি। খুব খিদে পেয়েছে কিন্তু তোদের জন্য বলতেও পারিনি। আমার বফটা ঠিক বুঝে গেছে।
– সব কিছুতে আমাকে না টানলে হয় না তাইনা?
~ সত্যি ক্ষুধা লাগছে। সেই কখন থেকে হাঁটাহাঁটি করছি।
– হ্যাঁ দোস্ত আয় কিছু খেয়ে নি।(সালমান)
– ওকে। একটা ব্রেক নেওয়াই যায়। (নেহাল)
নেহাল, সালমান আর নিলয় মিলে স্যান্ডউইচ খাচ্ছে। রিয়া স্যান্ডউইচ এনে আবিরের পাশে বসে। আর বলে,
~ হা করো।
– ধুর তুইও না। তোর খিদা লাগছে না? তুই খা। আমি নিয়েছি এই যে খাচ্ছি। তুইও খা৷
~ চুপ! আমার হাত থেকে খাবি। হা কর। নাহলে কিন্তু নেহালের সাথে ঘুর…এই তো গুড বয়৷
রিয়া কথা শেষ করার আগেই আবির স্যান্ডউইচে কামড় দেয়। কারণ ও চায় না রিয়া অন্য কারো কাছে যাক। আবির ওর হাতে থাকা স্যান্ডউইচটা রিয়ার মুখে তুলে দেয়। রিয়া ছল ছল চোখে আবিরের হাত থেকে স্যান্ডউইচ খাচ্ছে আর ওকে মন ভরে দেখছে৷ অন্যদিকে,
– দোস্ত ওরা কি এডভেঞ্চার করতে আসছে না প্রেম? (নিলয়)
– প্রেমমমম, প্রেম করতে আসছে তারা। একজন ভীতু। আরেকজন পাগল। (নেহাল জোর গলায় বলল মজা করে)
রিয়া ভ্রুকুচকে নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। আবির বলে,
– রাগ করে না। ও মজা করছে। নেও হা করো।
রিয়া মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে খায়। রিয়া আবিরকে অনেক ভালবাসে। সেই ভার্সিটির প্রথম দিন থেকে। আজ ৩ বছর পরও ভালবাসা একটুও কমেনি বরং হাজার গুণ বেড়েছে। মজার বিষয় হলো রিয়া কখনো আবিরকে ভালবাসি বলেনি আবিরও না। কিন্তু কাজে কর্মে একদম বুঝিয়ে দেয় ও কতটা ভালবাসে আবিরকে। ঠিক যেমন আবিরও। মনের গভীরে রিয়াকে নিয়ে হাজারটা স্বপ্ন দেখে। কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি। কারণ রিয়া অনেক আবেগি। জেনে গেলে পাগলামিটা অনেক বেশী করবে।
এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ হলে ওরা আবার হাঁটা শুরু করে। হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের অনেক ভিতরে চলে আসে। সালমান বলে উঠে,
– ব্যাপার কি দোস্ত! একটা পশু পাখিও দেখছি না। সব গেল কই? কেমন নিস্তব্ধতায় ছেয়ে আছে সব।
– কই আর যাইবো। তোমগো আবির ভাইরে দেইখা সব পালাইছে। হাহা। (নেহাল)
– আসলেই মনে হয়। (নিলয়)
– কেন আমি কি বনের রাজা সিংহ? (আবির)
– ওররেএএএ মামা কয় কি শুনছোছ? ও বলে সিংহ। (নেহাল)
বাকিরা হাসি দেয়৷ কিন্তু রিয়া আবিরের সামনে এসে ওর গলা ধরে বলে,
~ তুমি আমার মনে রাজা আবির।
– তাই?
~ হুম।
– রাজার রাণী কই?
রিয়া লজ্জা পায়। মাথাটা নিচু করে আস্তে করে বলে,
~ এই যে তোমার সামনে।
– বাহ! রাজার রাণী তো অনেক সুন্দরী। কিন্তু রাজাতো পঁচা।
– আবার শুরু হইছে তোদের প্রেমের আলাপ! হায়রে…ভাই আমাদের সামনে টেন্ট বানাতে হবে। নাহলে রাতে থাকবো কই? তোরা তাড়াতাড়ি একটা জায়গা ঠিক কর। (সালমান)
– সরি দোস্ত চল চল। (আবির)
এরপর ওরা কিছু দূর সামনে আসতেই বিপাকে পড়ে। বিপাকটা এমন যে, ওরা যে রাস্তা ধরে এসেছিল সে রাস্তা এখানে এসে দুভাগ হয়ে গিয়েছে। মানে দুইদিকে দুটো পথ। এখন কোন পথে ওরা সামনে যাবে বুঝতে পারছে না। তাই,
– কিরে কোন দিকে যাবি? পথ তো দুইটা। (নেহাল)
– ডান দিকেরটাই যাই চল। (আবির)
– না বামে।
– আরে ডান দিক সবসময় শুভ হয়। ডান দিকেই যাই আয়।
– ধুর বেটা। বাম দিকের পথ ভালো দেখ।
– ডান দিক দিয়ে যাবো আমি। তুই একা যা বাম দিকের পথে।
– আহ! তোরা ঝগড়া করিস না। ওই দেখ একটা বৃদ্ধ লোক বসে আছে চল তাকে জিজ্ঞেস করি। (নিলয়)
~ চল চল।(রিয়া)
একটা অনেক বয়স্ক লোক বাম দিকের পথের একপাশে বসে আছে। সবাই তাড়াহুড়ো করে তার কাছে গিয়ে বলে,
– চাচা কোন পথটা ভালো হবে? আমরা ঘুরতে আসছি এখানে রাতে থাকবো। কোন পথটা ভালো হবে?(নেহাল)
– আমি এদিকেই কাঠ কাটি সবসময়। এই পথটাই(বাম দিকের) ভালো হবে। ওটা ভালো না। ডান দিকে যেও না।
নেহাল বিজয়ী হাসি দিয়ে আবিরের দিকে তাকায় আর বলে,
– কি বলছিলাম না বাম দিকের পথটা ভালো? এখন কি হলো?
~ আচ্ছা বাবা হইছে চল। সামনে আগাই। আর ঝগড়া করিস না। (রিয়া)
এরপর ওরা আবার সামনে আগাতে শুরে করে বাম দিকের পথেই। হঠাৎই আবির জোর দিয়ে বলে উঠে,
– ওয়েট! এই বয়স্ক লোক এখানে জঙ্গলের ভিতর কীভাবে আসলো? এখানে সবার প্রবেশ নিষেধ। তাহলে সে কোথা থেকে এলো?
আবিরের কথা শুনে সবাই চিন্তায় পড়ে যায়। আর সবাই সবচেয়ে বেশী আশ্চর্য হয় যখন ওরা পিছনে তাকায়। ওরা দেখে সে বয়স্ক লোকটা সেখানে নেই। তাহলে ওরা কার সাথে কথা বলল?
চলবে..?
সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share