ব্ল্যাক ফরেস্ট পর্বঃ ০১
“ভাই আমি বলতাছি জায়গাটা ভালো না। ওখানে এখন আর তেমন কেউ যায় না। জায়গাটা নাকি খুব খারাপ। ওখানের লোকেরা অফই করে দিছে। আর সেখানে তুই যেতে চাচ্ছিস? তোর মাথা কি ঠিক আছে?” কথাগুলো খুব জোর দিয়ে আবির নেহালকে বলল। কিন্তু নেহাল তার কথাই অনড়। সে যাবেই যাবে। সে আবিরের কথার উত্তরে বলে,
– ভাই একটা জায়গায় যদি ভালো মন্দ কিছু না থাকে তাইলে এডভেঞ্চার আর কি করবো! রোমাঞ্চকর রহস্যময় কিছু যদি নাই থাকে তাহলে আর যেয়ে লাভ কি? তাহলে তোর বাসাই সবাই মিলে এডভেঞ্চার করে আসি কি বলিস তোরা?
নেহালের কথা শুনে রিয়া, সালমান আর নিলয় হাসতে হাসতে প্রায় শেষ। রিয়া হাসতে হাসতে রসিকতার ঢংয়ে বলে,
~ নেহাল কথাটা কিন্তু একবারেই খারাপ বলিস নি। আবিরের বাসায় আসলেই একটা সেই এডভেঞ্চার করা যাবে। ওর আম্মুর আর আব্বুর ধাওয়া পাল্টা আর আবিরের পিঠে মাইর। সেই হবে হাহা। চল চল।
নিলয় পেট চেপে হাসতে হাসতে বলে,
– আমি রেডি। হাহাহাহা।
আবির লজ্জিত হয়ে গম্ভীর ভাবে বলে,
– তাহলে তোরা সবাই যাচ্ছিস?
নেহাল উঠে আবিরের কাঁধে হাত রেখে রসিকতার ঢংয়ে বলে,
– হ্যাঁ। তোর বাসায় তো আর যেতে পারবো না তাই ওখানে যাবো। বুঝলি। হাহাহা।
সবাই আবার হাসিতে ভেঙে পড়ে। কিন্তু আবির অনেকটা চিন্তিত। আবির স্বভাবতই অনেক সিরিয়াস আর গম্ভীর টাইপের ছেলে। ও আবারও বলে,
– দেখ প্লিজ তোরা আবার ভেবে দেখ। বাংলাদেশে বহু জায়গায় আছে এডভেঞ্চার করার। এতো জায়গা রেখে তোদের ওখানেই যেতে হবে! জায়গাটা ভালো না। বিশ্বাস কর। আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি। ওখানে গেলে নিশ্চিত বিপদ হবে। বুঝার ট্রাই কর তোরা৷
নেহাল বাদে বাকিরা কিছুটা সিরিয়াস হয়ে পড়ে আবিরের কথায়। সালমানতো বলেই ফেলে,
– তাহলে দোস্ত ওখানে না যাই। অন্যকোথাও যাই। সেটাই ভালো হবে৷ ও এতো করে বলছে নিশ্চয়ই আমাদের ভালো চায়।
সালমানকে ধমক দিয়ে নেহাল বলে,
– ধুর বেট্টা চুপ থাক। আনতাজি ওর কথায় তোরা দুর্বল হয়ে যাচ্ছিস। ব্রো গ্রো আপ। আমরা বড় হইছি ঠিক আছে? এগুলো কোন ব্যাপার না। আমরা সবাই ওখানে যাবো অ্যান্ড এডভেঞ্চার করবো ওকে?
আবির বাদে সবাই বলে,
– ওকে দোস্ত।
রিয়া আবিরের কাছে এসে বলে,
~ আরে ভয় পাস না। কিচ্ছু হবে না। চিল কর।
– দোস্ত তোরা আসলে বুঝতেছিস না। কীভাবে যে আর বুঝাবো।
~ আমি কিন্তু বয়সে তোর ২ বছরের বড় বুঝলি? আমি বুঝতে পারছিইই তোকে। কিচ্ছু হবে না। মন বড় রাখ। এটা জাস্ট একটা এডভেঞ্চার। আমাদের ছেলে মেয়েদের বলতে হবে না আমরা এমন এক জায়গায়ও এডভেঞ্চার করেছি।
– এই তুই কি বললিইই?? আমাদের ছেলে-মেয়ে মানে?
~ মানে আমাদের। বোকা হাদারাম একটা। যা একটা আইসক্রিম নিয়ে আয়। খেতে ইচ্ছা করছে। নাহলে কিন্তু মাইর দিবো।
– তুই বয়সে আমার বড় কিন্তু ক্লাসে কিন্তু সেইম মনে রাখিস। এভাবে জুলুম করলে কিন্তু আপু ডাকবো।
~ এই না না। আচ্ছা লাগবে না আইসক্রিম। যা খাবো না। (দুঃখী হয়ে)
– বস নিয়ে আসছি।
নিলয় আবির আর রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,
– তোদের প্রেমের আলাপ হলে এবার প্ল্যানটা করতে পারি?
নেহাল বলে উঠে,
– ওদের আর প্রেম! একজন চায়তো আরেকজন বুঝে না। এই শালা জীবনেও কিছু বুঝবে না৷ সব কিছুতে ভয় পায়।
আবির বলে উঠে,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
– আমার যতটুকু বুঝলে চলবে আমি ঠিক ততটুকুই বুঝি। কারণ বেশি বুঝা ভালো না।
রিয়া বিরক্ত নিয়ে বলে উঠে,
~ আহ! থামতো তোরা। আর তুই(আবিরকে উদ্দেশ্য করে) আমার পাশে চুপ করে বস৷ নেহাল দোস্ত বল প্ল্যানটা।
আবির রিয়ার পাশে বসে ধমক খেয়ে। রিয়া আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরের মনে এক অন্যরকম অনুভূতির প্রকাশ পাচ্ছে৷ এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। অন্যদিকে নেহাল কাশি দিয়ে আবিরের অ্যাটেনশন নিয়ে বলা শুরু করে,
– আমরা পরশুদিন সকাল ৮ টায় সবাই নাস্তা করে সিলেট গামী বাসে উঠবো। বাসের টিকিট আমি কাল কেটে ফেলবো।….জানি বোন তোকে আর আবিরকে আলাদা একসাথে সিট দিবো তাইতো। জানি বলতে হবে না।
~ সাব্বাশ। শিখ ওর কাছ থেকে কিছু। (আবিরকে গুতো দিয়ে)
নেহাল আবার বলে উঠে,
– আমরা ৫/৬ ঘন্টার মধ্যে সিলেট চলে যাবো। সেখানে প্রথম দিন সবাই একটা হোটেলে থাকবো একটু রেস্ট নিব। তারপরের দিন চেক আউট করে আমরা সবাই চলে যাবো আমাদের সেই এডভেঞ্চার করতে। সেখানে আমরা একরাত থাকবো। পরের দিন আবার ঢাকায়।
আবির আস্তে করে বলে উঠে,
– জায়গাটা সম্পর্কে বলবি না?
নেহাল ভ্রুকুচকে বলে,
– তুই তো সব জেনে আসছিস। তুইই বল।
– ওকে। সিলেট থেকে ৪৫ কি.মি. দূরে ছোট বড় কয়েকটা পাহার পেড়িয়ে সেই জায়গা। যেখানে অন্ধকার ছেয়ে আছে চারদিকে। আগে সেখানে লোকজন থাকলেও এখন লোকশূন্য৷ সে জায়গাটা থেকে অনেক দূরে গিয়ে এখন লোকজন বাস করে৷ এর কারণ….
নেহাল বিরক্ত নিয়ে বলে,
– হইছে হইছে আর বলতে হইবো না। তোরে বলছি জায়গার ডিটেইলস বলতে আর তুই মাসুম পোলাপান গুলারে ভয় দেখাচ্ছিস৷ ওরেএএ বাটপার।
নেহালের কথা শুনে সবাই হেসে দেয়। আবির আসলে ইচ্ছা করেই সবাইকে ভয় দেখাচ্ছিলো। কিন্তু ও জায়গা সম্পর্কে যা বলেছে তা একদম সত্য। জায়গাটার আসল রহস্য আবির কিছুটা বুঝতে পারলেও বাকিরা হয়তো ধারণাও করতে পারে নি। কারণ ওরা জানে না ওদের সাথে কি হতে চলছে৷
এরপর প্ল্যান মোতাবেক কাজ শুরু হয়। আবির বাদে সবাই শুধু সিলেট যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে পারমিশন নেয়। কিন্তু আবির এখনো বলে নি বাবা-মাকে। ও আসলে মিথ্যা বলতে পারে না। কিন্তু কি যে করবে? বিছানায় পড়ে পড়ে ভাবছে। এরই মধ্যে জোরপূর্বক গার্লফ্রেন্ড কল করলো। মানে রিয়া।
~ হ্যালো জানু কি অবস্থা তোমার?
– এই তুই সবসময় ওদের বাইরে আমাকে তুমি করে বলিস কেন?
~ ভালবাসার মানুষকে তুই বলে মজা নাই। তুমিতেই অনেক মজা। আব্বু আম্মু পারমিশন দিছে?
– এখনো বলি নাই। ভয় করতাসে যদি না বলে। তারচেয়ে আমিই না যাই। তোরা যা।
রিয়া মুহূর্তেই ক্ষেপে যায় আর রাগী ভাবে বলে,
~ তুই যদি এখন আব্বু আম্মুকে না বলিস তাহলে আমি তোর বাসায় এখনই এসে তাদের বলবো আমি তোকে বিয়া করবো। তখন কেমন হবে?
– ধুর কি বলিস এগুলা?
~ আমাকে কিন্তু চিনিস তুই আমি যা বলি তাই করি। আমি ফোনটা রাখছি। পারমিশন নিয়ে জানাবি। নাহলে আমি আসছি তোর বাসায়।
টুট টুট টুট…..
রিয়া ফোন কেটে দেয়। আবির বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রিয়াকে আবির বেশ ভয় পায়। আর পছন্দও করে অনেক। রিয়াকে কখনো একা যেতে দিবে না ও। তাই মনের সব শক্তি এক করে আবির ওর বাবা মার কাছে যায়।
– বাবা একটা কথা ছিল।
– হ্যাঁ বল।
~ কি কথা বাবা বল।
– আসলে আমার সেমিস্টার ব্রেক চলছে। তাই আমার গ্রুপের সব ফ্রেন্ডরা মিলে একটু ঘুরতে যেতে চাচ্ছিলাম। যেতে পারি?
আবিরের বাবা গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
– কোথায় যাবি?
– এইতো সিলেট। পাহারের মাঝে একটা জায়গা আছে ওখানে৷
– সত্যি তো?
– জ্বি বাবা।
– আচ্ছা যাস।
~ কি বলো ও এতো দূর যাবে কেন? না না যাতে হবে না।
এইরে আবির এইবুঝি ফেসে গেল। আবিরের মা আবিরকে নিয়ে অনেক চিন্তা করে৷ তাই হয়তো যেতে দিতে চাচ্ছে না। কিন্তু আবিরের বাবা বলে উঠে,
– আহ! ও বড় হয়েছে। ও তোমার সেই ছোট্ট আবির নেই। তাকিয়ে দেখো।
– মা তোমরা দোয়া করো। আমার আর কিছুই চাইনা। ভয় নেই আল্লাহ ভরসা। আমিতো একা না সাথে আরো আমার চারটা বন্ধু যাচ্ছে৷
~ তাও বাবা সাবধানে যাস৷ তোকে নিয়েই আমার যত চিন্তা।
– আল্লাহ ভরসা।
বাবা-মার পারমিশন পেয়ে আবিরতো অনেক খুশী। এরপর সোজা রিয়াকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয় যে ওর বাবা-মা পারমিশন দিয়েছে। রিয়াতো খুব খুশী। ভালবাসার মানুষটাকে সাথে নিয়ে ঘুরবে মজা করবে আর এডভেঞ্চার করবে। কিন্তু সবাই খুশী হলেও আবিরের মনে একটু খচখচ করছেই। তাই ও রাত ১০ টায় ওর একটা বন্ধুকে কল দেয়,
– হ্যালো রিমন।
– আবির যে, বল দোস্ত।
– তোর একটা হেল্প লাগতো ভাই। একটা সিক্রেট ব্যাপার বলবো। কাউকে বলবিনা। আর কাজটাও সিক্রেটলি করবি।
– ওকে বল।
এরপর আবির রিমনকে সব বুঝিয়ে বলে। রিমন সব শুনে বলে,
– এই নেহালের বাচ্চাটা আসলেই একটা শয়তান। যাই হোক আমি এখনই যাচ্ছি। চিন্তা করিস না। কাল সকালে আমি তোর বাসায় নিয়ে আসবো নে।
– অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই তোকে৷ একটু পাওয়ার ফুল দেখে আনিস। বুঝিয়ে বলে আনিস।
– ওকে ওকে টেনশন করিস না।
– রাখি দোস্ত তাহলে।
এরপর দিন সবার প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে রেডি করতে করতে চলে যায়। যাওয়ার দিন সকালে,
আবির, রিয়া, নেহাল, সালমান আর নিলয় সবাই বাস স্ট্যান্ড চলে এসেছে। একসাথে নাস্তা করে সবাই কফি খাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে আবির বলে উঠে,
– তোরা ওখানে যাচ্ছিস আমি তোদের জোর দিয়ে আটকায় নি। তবে আমি এখন তোদের একটা জিনিস দিব সেটা কখনো তোরা শরীর থেকে আলাদা করবিনা। এটুকুই চাই আমি।
সবাই বলে,
– কি জিনিস?
আবির রিমনকে দিয়ে ওদের বাসার ওখান থেকে একজন বড় হুজুরের কাছ থেকে ৫ টা পাওয়ার ফুল তাবিজ আনে। যাতে কোন খারাপ শক্তি ওদের কাছে না আসতে পারে৷ আবির ব্যাগ থেকে সেই তাবিজ গুলো বের করে যার নামে যেটা সেটা তার হাতে দেয়। আর বলে,
– প্লিজ এটা তোরা গলায় পরে নে৷ কেউ না করিস না। প্লিজ।
সবাই বলে,
– আচ্ছা যা বেটা পরে নিলাম। এত্তো ভালবাসা কই যে রাখস তুই হায়রে৷
পাশ থেকে রিয়া আদুরে গলায় বলে উঠে,
~ তুমি পরিয়ে দেওনা প্লিজ।
– তুই নিজে পরে নেও৷
~ পরিয়ে দিতে বলছি নাহলে কিন্তু…
সালমান বলে উঠে,
– আরে দে দে। এই সুযোগ মিস করতে নাই। দে। হাহা৷
কি আর করবে আবির। নিজ হাতেই রিয়ার গলায় তাবিজটা পরিয়ে দেয়। আর এরপর রওনা হয় সিলেটের উদ্দেশ্যে। বাস ছাড়ে জাস্ট ৮ টার দিকে। আগের প্ল্যান অনুযায়ী আবির আর রিয়া একই সাথে বসে দুই সিটে। বাকি তিন বন্ধু তিন সিটের পাশে একসাথে বসে আছে। নেহাল, সালমান আর নিলয় ওরা হাসি ঠাট্টা করছে। আর এদিকে আবিরের হাত জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে রিয়া ড্যাবড্যাব করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরের অসহ্য লাগছে। ও বলে উঠে,
– সামনে তাকা। এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
~ তুই যে এতো সুন্দর তাই।
– আমার চেয়ে অনেক সুন্দর ছেলে আছে৷ ওই যে নেহালওতো আমার চেয়ে অনেক সুন্দর। ওকে দেখ।
রিয়া মাথা তুলে রাগ করে বাসের গ্লাসের পাশে মাথা ঠেকিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে গাল ফুলিয়ে। আবির একটা মুচকি হাসি দিয়ে রিয়ার একটু কাছে গিয়ে আস্তে করে বলে,
– রাগ করলে তোকে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী লাগে। এই যে গাল দুটো একদম লাল টুকটুকে হয়ে গিয়েছে। ঠিক গোলাপের মতো। মিষ্টি মিষ্টি।
আবিরের কথা শুনে রিয়া অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। আবিরের মুখে এই প্রথম কোন প্রেমালাপ শুনলো রিয়া। তাই ও রসিকতার ছলে আবিরকে বলে,
~ তাহলে তুমি আমাকে এতো মনোযোগ দিয়ে দেখো হুম? তলে তলে এই কাহিনী। বাহ!
আবির কিছুটা লজ্জা পায়। তাই মাথা নিচু করে ফোন চালাতে শুরু করে। রিয়া আবার আবিরকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে বলে,
– ফোন চালাও ভালো কথা কিন্তু উল্টা কেন চালাও সোজা করে চালাও।
আবির দেখে ও লজ্জায় ফোন উল্টো ভাবে ধরে আছে। আবির আরো লজ্জা পায়। তাই ফোনটা দ্রুত পকেটে রেখে দেয়। আর রিয়া খিলখিল করে হাসে। এবার রিয়াও আবিরের দিকে আর আবিরও রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবেই ওদের মাঝে খুনসুটি করতে করতে প্রায় ৩ টা নাগাদ ওরা সিলেট গিয়ে পৌঁছায়। সবাই গিয়ে একটা হোটেলে উঠে। আর সেদিন ওরা রেস্ট নেয়।
পরদিন খুব সকালে,
এখন প্রায় সকাল ৬ টা বাজে। সবাই উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার দাবার অনেক নিয়ে হোটেল চেক আউট করে রওনা হয় সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গার উদ্দেশ্যে। আবিরের মন কেন জানি অশান্ত হয়ে আছে। রিয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে আবির। সবার তাবিজ গুলো ঠিক আছে কিনা তাও দেখেছে। ওরা একটা গাড়ি ভাড়া করে সেই জায়গায় যাচ্ছে। রিয়া আবিরকে বলে,
~ বোকা ছেলে ভয় পাইয়ো না। আল্লাহ ভরসা। এডভেঞ্চার করতে যাচ্ছি সেই মুডে থাকো। ভীতু একটা।
এরপর সিলেট থেকে গাড়ি চলতে চলতে প্রায় ২ ঘন্টা পর ১০ টায় গিয়ে সেই জায়গায় গাড়ি থামে। ড্রাইভারকে আবার কাল সকালে এই সময়ে আসতে বলা হয়। ড্রাইভার ওদেরকে বারবার রাতে থাকতে না করে। কিন্তু নেহাল আর নিলয় কোন ভাবেই মানবে না। এরপর আর কি ড্রাইভার তার গাড়ি আর ভাড়া নিয়ে চলে যায়। নেহাল এবার গলা ছেড়ে হাসি মুখে সবার উদ্দেশ্যে বলে,
– স্বাগতম আমার প্রিয় বন্ধুদের। এই হলো সেই রহস্যময় ব্ল্যাক ফরেস্ট। যেখানে আমরা আজ সারাদিন থাকবো আর এডভেঞ্চার করবো।
চলবে..?
ব্ল্যাক ফরেস্ট পর্বঃ ০১
লেখকঃ আবির খান
সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share