বৈধ সম্পর্কের জোর পর্ব-০৩

0
1403

#বৈধ সম্পর্কের জোর
#জান্নাত
#পর্ব_৩

বাড়িটা যখন দেখছিলাম তখন ননদ পাশে এসে দাঁড়ালো,হঠাৎ করে আসাতে আমি চমকে উঠলাম।
রাফিয়া(ননদ) মিষ্টি হেসে বললো,ভয় পাওয়ার কিছু নেই ভাবি আমি।বাড়ি দেখছিলে বুঝি,চলো আমি তোমাকে পুরো বাড়ি ঘুড়িয়ে দেখাচ্ছি।
আমি অবাক হয়ে ভাবছি কালকে এত কিছুর পরেও রাফিয়া এত স্বাভাবিক কিভাবে।আমার নিরবতা দেখে রাফিয়া বললো,কি হলো তোমাকে তুমি করে বলাতে কি রাগ করলে নাকি।আমি মুচকি হেসে মাথা দুপাশে নাড়িয়ে না বললাম।তারপর হেসে বললাম রাগ করার কি আছে বরং খুশি হয়েছি।চলো দেখাবে চলো।

বাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে ড্রয়িং রুম।তার পাশে গেস্ট রুম।তার পাশে সারি সারি তিনটা রুম।তিন রুমের সাথেই বেলকনি।প্রথম টা আমাদের,তারপর ননদের রুম,তারপর শশুর-শাশুড়ির রুম, তার ওপর পাশে আরেকটা গেস্ট রুম।তারপর কিচেন।আর সিঁড়ি বাড়ির মাঝ বরাবর।ছাদটা বেশি সুন্দর।একপাশে মাঝারি সাইজের ফলের গাছ অন্য পাশে ফুলের বাগান।আড্ডা দেওয়ার জন্য বাগানের সামনে বসার জায়গা আছে গোল করে অর্ধেকের একটু কম দেওয়াল দিয়ে ঘেরা আর বাকিটা ফাঁকা।উপরে ছাতার মতো করে ডিজাইন করা ছাউনি দেওয়া।ভিতরে একটা টেবিল আর ছয়টা চেয়ার পাতানো।এখান থেকে বসে আশেপাশের জিনিস দেখা গেলেও আশেপাশের মানুষ ভিতরে দেখতে পারবে না শুধু মাথা ছাড়া। তারপর বাড়ির বাহিরে গেলাম।বাড়ির সামনে সারি সারি ফুলের গাছ।গেইট থেকে বাসায় আসার রাস্তার দুপাশে ঝাউ আর বাহারি পাতার গাছ।রাস্তার একপাশে বড় বড় ফলের গাছ।অন্য পাশে ছাদের মতোই আড্ডা দেওয়ার জায়গা আছে কিন্তু ছাদের তুলোনায় বড় আর সাইডে ঘেরা নেই।তার চারপাশে ছোট ছোট ফুলের গাছ।পুরোই অন্য রকম পরিবেশ।বাড়ি থেকে পুরো জায়গা বাউন্ডারি করা।

অবশেষে সব দেখা হলে বাড়িতে প্রবেশ করলাম।দেখলাম আম্মু (যেহেতু এ বাড়িতে আছি তাই শুধু শাশুড়ীকেই বোঝাচ্ছি)রান্না করছে।ননদকে বললাম,তুমি চাইলে এখন যেতে পারো।ননদও সম্মতি দিয়ে মুচকি হেসে নিজের রুমে চলে গেলো।

আমি রান্না ঘরে সামনে দাঁড়িয়ে আছি।রান্নাঘরটা খোলা মেলাই।মানে রান্না ঘর থেকে সিঁড়ির এপাশের সব দেখা যায়।আম্মু উল্টো দিক ঘুরে কিছু করছেন।আমি মনে মনে ভাবলাম একবার ডেকে বলবো যে কি সাহায্য করতে হবে আমাকে বলুন আমি করছি।আবার কালকে রাতের কথা মনে পরায় অস্বস্থিও হচ্ছে।নানান জিনিস ভাবছিলাম, তখন আম্মুর কথায় চমকে উঠলাম।তিনি বলছেন,ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছো।এখানে এসো।আমিও আস্তে আস্তে গিয়ে তারপাশে দাঁড়ালাম।তারপর তিনি মুচকি হেসে বললেন,কিছু বলবে।ওনার স্বাভাবিক আচরণ দেখে খানিকটা অবাক হলাম।তারপর আমতা আমতা করে বললাম,আপনি আমাকে বলুন কি করতে হবে আমি সাহায্য করছি।
তিনি পুনরায় মুচকি হেসে বললেন,এখন কিছু করতে হবে না।তোমার সংসার পরবর্তীতে তোমাকেই করতে হবে।তুমি বরং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখো।যা পারো তো পারোই আর যা না পারো তা কিছুটা শেখা হয়ে যাবে।
আমি অবাক হয়ে তাকে দেখছি।এনাকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে তিনি তার ছেলের সাথে অন্যায় করতে পারে।
কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম।তিনি কাজ করছে আর আমি দাঁড়িয়ে দেখবো কেমন লাগছিল তাই তাকে জোর করতে লাগলাম কোনো কাজ দেওয়ার জন্য।তাই তিনি বাধ্য হয়ে আমার হাতে একটা ট্রে তে এক কাপ চা আর দু কাপ কফি দিয়ে বললেন চা আব্বুকে (শশুর) দিতে আর কফি রাফিয়া আর রাফিদকে দিয়ে আসতে।কাজিনরা সব ঘুমাচ্ছে ওরা উঠলে তারপর নাস্তা করবে।
আমি আচ্ছা বলে,ট্রে নিয়ে চলে আসলাম রান্না ঘর থেকে।মনে মনে ভাবছি এখন আবার অস্বস্থিতে পরতে হবে শশুরের সামনে গিয়ে।

আস্তে আস্তে করে গেলাম শশুরের ঘরে। দরজায় টোকা দিয়ে ভিতরে আসার অনুমতি চাইলাম।তিনি অনুমতি দিলে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে চা দিলাম।তিনিও মুচকি হেসে চা নিলেন।আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।তাই বললাম,আচ্ছা আব্বু আপনি চা খান আমি উনাদের কফি দিয়ে আসি।আব্বুও বললেন, ঠিক আছে যাও মা।
আমিও চলে আসলাম ননদের রুমের সামনে আর ঐ সময়ে রাফিয়াও রুম থেকে বের হলো আমার হাতে কফি দেখে বললো,তুমি আনতে গেলে কেন আমি এখনই যাচ্ছিলাম আম্মুকে সাহায্য করতে।তখন খেতাম।আমি বললাম,তো কি হয়েছে আমি কি আনতে পারি না।কফি খেয়ে তারপর আম্মুকে সাহায্য করো।আমাকে কোনো কিছু করতে দিচ্ছে না।ও মুচকি হেসে বললো,আচ্ছা।

তারপর কফি নিয়ে আসলাম আমার গুনবান একমাত্র জামাইয়ের কাছে।এসে দেখলাম তিনি ঘুমাচ্ছে।হয়তো রাতে ঠিক মতো ঘুম হয়নি।আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উনাকে ডেকে তুললাম।তিনি ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে আমাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো,কি হয়েছে?আমি বললাম,আপনার কফি।উনি বললেন,বিছানার পাশে টেবিলের উপর রাখতে একটু পর খাবেন।
আমি বললাম,না এখনি উঠুন কথা আছে।প্রচুর বিরক্ত নিয়ে উঠে কফি খেতে থেতে বললেন,কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।আমি বললাম,আজকে তো এশার সাথে দেখা করার কথা ছিল তাইনা।এশার কথাটা শুনতেই ওনার মুখের রং পালটে গেলো।মুখ কালো করে বললেন,হুম।আমি বললাম,আজকে দেখা করবো না।আব্বু আম্মুর (শশুর-শাশুড়ি)কাছ থেকে সব শুনে তারপর যাবো।যেন আপুও সব বুঝতে পারে।উনি উপরে ফ্যানের তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন,যা ভালো ভাবো,আমার তো এখন বলার কিছুই নেই,অন্যায় যেহেতু করেছি শাস্তি তো পেতেই হবে।আমিও একটু হেসে বললাম এইতো সহজেই বুঝে গেছেন,এরকম যদি বিয়ের আগে বুঝতেন তাহলে আর শাস্তি পেতে হতো না।

উনাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বেলকনিতপ এসে দাঁড়ালাম আশেপাশে কিছুটা ফাঁকা রেখে রেখে একেকটা বাড়ি।মাঝ দিয়ে সবুজ ঘাস।দেখতে ভালোই লাগছে।

তারপর খাওয়ার সময় সব গুছিয়ে ছেলেদের আগে দেওয়া হলো।তারা নিজেরা সার্ভ করে যে যার খাবার খেয়েছে। তারপর মেয়েরা।এই রকম শুধু আত্মীয়রা আসলে করে এমনিতে।সবাই এক সাথে বসেই করে রাফিয়ার মুখে শুনলাম।আমাদের বাসায়ও এমনই করে।

এভাবেই ঘুম,খাওয়া দাওয়া নামাজ,গোসল,গল্পের মাধ্যমে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।সারাদিনে ওনার সামনে যায়নি।আর উনি তো কোনো খোঁজ নিবেনও না।আজকে রাতে ভদ্র ছেলের মতো পাশেই শুয়ে পরেছে।হয়তো বুঝতে পেরেছে মানিয়ে না নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।কত্ত বুদ্ধিমান জামাই আমার।

পরেরদিন যোহরের আজানের কিছুক্ষণ আগে আব্বু আর ভাইয়া আসলো।কারন নিয়ম অনুযায়ী আজকে আমরা ঐ বাড়িতে যাবো।তাদের দেখে কান্না করে দিলাম।আব্বু মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিলেন।
শাশুড়ী আম্মু সব আয়োজন করেছেন আমি শুধু সামনে নিয়ে তাদের খাবার বেড়ে দিয়েছি।খাওয়া দাওয়া শেষে দুই আব্বু মিলে কথা বার্তা বলতে থাকলেন কালকের বিষয়ে যতই নিষেধ করি তাদেরও তো চিন্তা হয়।আর এদিকে ভাইয়া আমাকে একপাশে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,সব ঠিক আছে তো,কেউ কিছু বলেনি তো,আর উনা কি বাজে ব্যবহার করেছে নাকি।যদি তোকে কেউ কিছু বলে আমাকে বলবি শুধু। দেখবি কি অবস্থা করি।আর হ্যা এটা কিন্তু তোর জন্য করছি না বুঝলি।জন সেবা করা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমার কাজ(ভাব নিয়ে)
আমিও ফিক করে হেসে দিয়ে বললাম,তো মতো জন সেবক থাকলে কি তারা আমার সাথে বাজে ব্যবহার করতে পারে বল।

বিকাল বেলা বোরকা পরে রেডি হয়ে উনাকে বললাম,ও বাড়িতে ভদ্র জামাইয়ের মতো থাকবেন।আপনার জেনো কোনো ত্রুটি বের করতে না পারে।উনি শুধু শুনলেন কিছু বললেন না।
মনে মনে উনার গোষ্ঠি উদ্ধার করছি তার বলছি, একবার আমার প্রতি দুর্বল হন তারপর এর সব শোধ তুলবো আমাকে ইগনোর করা হু।

এবাড়িতে আসার পর আম্মু দেখার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো আমিও কান্না করতে লাগলাম।সবাইকে এক সাথে পেয়ে নিজেকে অনেক হালকা লাগলো।
সব কিছুই ভালোভাবে কাটলো উনিও কোনো ভুল করেন নি।তবে আমার সাথে বেশি কথা বলেন নি আমি যা বলেছি আর উনার প্রয়োজনে একটু।উনি দুদিন থেকে চলে গেলেন।আমি সাতদিন থাকবো এ বাড়ি।

উনাকে বিদায় জানানোর সময় শপথ পরিয়ে দিলাম।শপথ টা ছিল,আমি শপথ করেতেছি যে কোনো অবৈধ কাজে নিজে জড়াবো না।এক্সকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করিবো না।ভাবনায় নিজের বউকে রাখিবো।নিজের বউয়ের প্রতি সদয় আচরণ করিবো।তাকে ভালোবাসতে বাধ্য থাকিব।আমিন,,,,,,,,,,

এবাড়িতে আম্মু আব্বু ভাইয়া খুব সাপোর্ট করেছে।তারা সব সময় পাশে আছে কোনো অন্যায় হলে সাথে সাথে তাদের জানাতে বলেছে।

কেটে গেছে এক সপ্তাহ এর মধ্যে উনি নিজ থেকে ভুলেও কল করেন নি।আমি প্রতিদিন সকালে নামাজ শেষে আর সন্ধ্যার নামাজ শেষে কল দিয়ে শপথ পরাতাম।তাছাড়া আমিও আর কোনো বিরক্ত করি নি।কারণ উনারও নিজেকে একটু সময় দেওয়া উচিৎ।আর তাছাড়া ও বাড়ি গেলে তো আর শান্তিতে থাকতে দেবো না এই কদিন থাকুক।আমি আবার ভালো মানুষ কিনা।তিনি যদি ইমোশনাল ভাবে কিছু বলতে চাইতেন।তখন আমি শুধু একটা কথাই বললাম,আপনার কাছে বৈধ সম্পর্কের দাম বেশি নাকি অবৈধ সম্পর্কের।এতেই তিনি চুপ হয়ে যেতেন ঔষধ এর মতো কাজ করে এই লাইন টুকু।

এক সপ্তাহ পর কথা মতো উনি নিতে এসেছেন। উনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে উনাকে জেলে দেওয়া হবে।অবশ্য জেলই।যেখানে মনের মিল নাই জোর করে মানিয়ে নিতে হচ্ছে তো এক প্রকার জেলের মতোই।
কিন্তু উনার কষ্ট দেখে আমার খারাপ লাগছে না।কারন উনার ভুলেই এমন হয়েছে।

শশুর বাড়িতে আসলাম ঘন্টা খানেক আগে।ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে শাশুড়ীকে আমতা আমতা করে বললাম,আম্মু আমি জানতে চাই কেন আপনারা এশার সাথে উনার বিয়ে না দিয়ে আমার সাথে দিলেন।
উনি বললেন,তোমার শশুর আসলে রাতে সবাই এক সাথে হয়ে বলবো।

এখন ছাদের বাগানের সামনে সেই জায়গায় বসে আছি।আমি,উনি,শশুর,শাশুড়ী, ননদ।

শশুর বললেন,একদিন এশার বাবা এসেছিলেন।প্রথম দিন এসে ভালোভাবেই বলেছিলেন রাফিদকে তিনি মানতে পারবেন না।কারন তিনি ওয়াদা বদ্ধ। তার বড় বোনের কাছে ওয়াদা করেছিলেন তার ছেলে রাজিব এর সাথে তিনি এশার বিয়ে দেবেন।বোনের শেষ আশা ছিল এটা।সে এখন মৃত।ওয়াদা ভাঙবেন কি করে।আমি যেন রাফিদকে বোঝাই এশার থেকে দূরে থাকতে।

রাফিদের দিকে তাকিয়ে তোকে একদিন বলেছিলাম ও ওরা তোকে মেনে নেবে না।কিন্তু তুই পরো কথা শোনার আগেই উত্তর দিয়েছিলি,দরকার হলে পালিয়ে বিয়ে করবি একদিন না একদিন ঠিক মেনে নেবে।আমাকে পুরোটা শেষ করতে না দিয়েই চলে গেছিলি।মনে আছে।

রাফিদ মাথা নিচু করে ছিল কোন উত্তর দেইনি।কারন এটা সত্যি।

তারপর শাশুড়ী বললেন,সেদিন যদি পুরোটা শুনতি তো বুঝতে পারতি।তোরা যখন ফোনে পালানোর ব্যাপারে কথা বলছিলি তখন এশার ছোট ভাই শুনে ফেলেছিল।
তারপর আবার এশার বাবা আমাদের বাড়ি আসে আর সেদিন খুব অপমান করেন।জীবনে কোনো দিন কেউ অপমান করে নি সেখানে তিনি যা করেছেন।(ছল ছল চোখে)

তারপর ননদ বললো বাকিটা আমি বলছি।সেদিন আমি মাত্র কলেজ থেকে বাসায় ফিরেছিলাম।হঠাৎ উনাকে দেখে দাঁড়িয়ে পরি। উনি আব্বুকে বলছিলেন আব্বু নাকি তার সম্পত্তির লোভে তোকে এশার পিছনে লাগিয়েছে।না হলে সেদিন ভালোভাবে বলার পরও কিভাবে ছেলেকে দিয়ে তার মেয়েকে ভাগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করতে পারি।তারা আমাদের থেকে চারগুন বড়লোক তাই কোনো ভাবেই লোভ সামলাতে পারে নি।আরো অনেক অপমান করেছে।সেদিন আব্বুর চোখে পানি দেখেছিলাম।এত অপমান করেও তিনি শান্ত হননি ওয়ার্নিং ও দিয়েছিলেন বলেছিলেন তোকে যদি আর এশার সাথে দেখে তো তোকে জানে মেরে দিবে।আর আমার এমন অবস্থা করবে যেন সমাজে মুখ দেখাতে না পারি।

তারপর শশুর বললেন,তাই বাধ্য হয়েই তোরা পালিয়ে যাওয়ার আগে রাইসার সাথে তোর বিয়ে দিয়ে দেই।এই বিষয়েও তোকে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোনো দিনের মতো সেদিনও শুনিস নি।

রাফিদ আর মাথা তুলে তাকাতে পারছে না।কারন তার কারনে তার পরিবার এতটা অপমানিত হতে হয়েছে।সত্যি তার শোনা উচিৎ ছিলো।কারণ মা বাবা কখনও সন্তানের খারাপ চায়না।নিশ্চয়ই কোনো কারন ছিলো।তারা যা বলে আগে মন দিয়ে শোনা উচিৎ শুনে বোঝা যাবে তারা কেন সন্তানের মতামতের বিরুদ্ধে কিছু করে।যদি সে আগেই শুনতো তাহলে নিজ থেকে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারতো কি করলে ভালো হবে।এখন ভেবে তো লাভ নেই যা হবার হয়ে গেছে।

মাঝখানে আমি নিরব দর্শক বর্তমানে আমার কি বলা উচিৎ ভেবে পাচ্ছি।যে কারনেই যাই হোক উনাদের উচিৎ ছিল অন্তত আমাকে জানানো যেহেতু আমার সাথে বিয়ে হয়েছে।

এরপর আমি রাফিদকে বললাম আমার ফোন দিয়ে এশাকে বলতে কালকে দেখা করতে।কারন এশার কাছে তার নতুন নাম্বার নেই।আর আমি চাইনা নতুন নাম্বার পাক।কেননা বলা যায় না ইমোশনাল কথা শুনিয়ে যদি আবার রাফিদকে পটিয়ে ফেলে।এমনিতেই তিনি ওর প্রতি দুর্বল তাই রিস্ক নেওয়া যাবে না।ওনাকে প্রতি দিন শপথ পড়াই তাই তিনি নিজেকে কন্ট্রোল রাখে।

একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি আমরা তিন জন।তাদের দুজনের কারো মুখে হাসি নেই।আমিই আগে এশার সাথে কথা বললাম।নানান ভাবে বোঝানোর ট্রাই করলাম।যেহেতু জামাই আমার আমারই বোঝাতে হবে।কতটা যে ধর্য্য নিয়ে বোঝাচ্ছি তা কেবল আমিই জানি।আর রাফিদও আমার সাথে সম্মতি দিচ্ছে না দিয়ে উপায় নাই।কত দায়িত্ব আমার জামাইকে বোঝাও তার এক্সকে বোঝাও।পরে ওনার বাবার করা কান্ডের কথাও বললাম।আরো নানা ভাবে বোঝালাম,অবশেষে কিছু না বলেই এশা চলে গেলো।

চলবে,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে