#বেলা_শেষে
#মেঘাদ্রিতা_মেঘা
#পর্ব_৫
আদ্র ভাইয়া অবাক হয়ে যায় অনুদ্রিতার কথা শুনে।
আর ভাবতে থাকে,অনুদ্রিতা কার সাথে কথা বলছিলো।
তাহলে কি অনুদ্রিতা কোন প্ল্যান নিয়ে এ বাসায় ঢুকেছে?
আর ফোনের ওই প্রান্তের বিগ প্ল্যানার টা কে?
_কার সাথে কথা বলছিলে তুমি?
_আ আ আ আমি?
_এই ছেলে এত রাতে তুমি এখানে কি করছো?
হল রুমের লাইট অন দেখে আসলাম আমি,
আর আদ্রিতা মামণি,তুমিই বা কি করছো এখানে?
_আম্মু আমি ফোনে কথা বলছিলাম আমার একটা বান্ধবীর সাথে।
_আর আমি পানি নিতে এসেছিলাম।
_পানি নিতে এসেছো তো আদ্রিতার কাছে কি?
তোমাকে না বলেছি আদ্রিতার থেকে দূরে দূরে থাকবে?
_হঠাৎ ওকে ফোনে কথা বলতে দেখলাম তাই একটু কথা বলছিলাম।তেমন কিছুনা।
_যাও তাহলে এখন,পানি নিয়ে নিজের রুমে যাও।
_হ্যাঁ যাচ্ছি।
আদ্র ভাইয়া পানি নিয়ে রুমে চলে আসে।
তারপর আমাকে ফোন দেয়।
_হ্যাঁ ভাইয়া বলো,
_ঘুমিয়ে পড়েছিস?
_না ভাইয়া বলো তুমি
_তোকে বলেছিলাম না অনুদ্রিতা কোন প্ল্যান নিয়ে বাসায় ঢুকেছে?
_হ্যাঁ বলেছিলেতো।
_আমি ঠিকই বলেছিলাম,আমি নিজে কানে আজ শুনেছি অনুদ্রিতাকে ওর বিগ প্ল্যানারের সাথে কথা বলতে।
ও তাকে ফোনে বলছিলো,
__আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
আপনি যেইভাবে বলেছেন।
আমি ঠিক সেই ভাবেই কাজ করছি।
আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে সফল হবোই ইনশাআল্লাহ।
_কিন্তু ভাইয়া ও ফোন পেলো কোথায়?
গ্রাম থেকে আমি দুটো কাকীর কাছে জেনে এসেছি অনুদ্রিতার কোন ফোন নেই।
_জানিনা আমি।
হয়তো ওকে যে পাঠিয়েছে সে কিনে দিতে পারে।
_কিন্তু আমি যত টুকু জানি ও আমাকে খুঁজতেই এসেছে।
_তুই তোর এই জানা নিয়েই বসে থাক।
_তাহলে ভাইয়া এখন কি করবে?
_কি আর করবো,ওকে দলে নেয়া যাবেনা।
যা করার আমাকে একাই করতে হবে।
দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়,তারপর ওর মুখোশ আমিই খুলবো।
_আমার মাথা কোন কাজ করছেনা ভাইয়া,বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে এসব।
_আমিও কিছু বুঝতে পারছিনা,তবে এই টুকু ঠিক বুঝতে পারছি,ওর সাথে আরো একজন আছে যে কিনা ওকে সব শিখিয়ে দিচ্ছে।
_কিন্তু সেই মানুষটা কে?
আর কি চায় তিনি?
_আমি কি করে জানবো?
এটা জানে ওই বিগ প্ল্যানার, আর ওই তোর জমজ বোন নাগিন।
আচ্ছা রাখছি তাহলে।
ঘুমিয়ে পড়।
চিন্তা করিস না,দেখি আমি কি করা যায়।
_ভাইয়া তাহলে কি আমি চলে আসবো?
_নাহ,তুই চলে এলে আবার কাহিনী অন্য দিকে মোড় নিবে।
তুই ওখানেই থাক।
আমি কি করতে পারি দেখছি।
_আচ্ছা ভাইয়া সাবধানে থেকো।
_হুম।রাখছি।
সকাল বেলা দাঁত ব্রাশ করতে করতে আদ্র ভাইয়া ছাদে যায়।
তাকে যেতে দেখে অধরাও ছাদে যায়।
গিয়েই হাসি দিয়ে বলে, হাই হ্যান্ডসাম।
ঘুম কেমন হলো?
_এই তো ভালো আন্টি।
_আপনার?
_আমারো ভালো।কিন্তু তুমি আমাকে আন্টি বলছো কেন?
তুমি আমাকে অধরা বলবে অধরা।
_আচ্ছা আন্টি,
_আবারো আন্টি?
_আচ্ছা অধরাই বলবো,
_তুমি করেও বলবে,
_হুম তা না হয় বললাম,
আচ্ছা তুমি এত বোকা কেন অধরা?
_কই আমি বোকা?আমিতো অনেক চালাক।
_কই চালাক,আমার তো তা মনে হয়না।
তোমার মা আর বড় আপু কত চালাক।
আর তুমি কত বোকা।
_আমাকে তুমি বার বার বোকা কেন বলছো?
_বোকা নয়তো কি?
_তোমার বড় আপু কি সুন্দর করে এত টাকা পয়সা ওয়ালা একজনকে জুটিয়ে নিলেন আর তুমি কিনা এখানে বোনের বাসায় এসে বসে আছো।
তুমিও তো একজন টাকা পয়সা ওয়ালা জুটিয়ে নিতে পারতে।
(অধরা একটু সহজ সরল,ওর মা বোনের থেকে পুরোটাই আলাদা,যে কেউ একটু ভালো ব্যবহার করে ওর পেটের খবর জেনে নিতে পারবে আর এটা আদ্র বুঝে গিয়েছিলো অধরার ব্যবহারে)
_ধুর আমি কি এমন বুড়ো বিয়ে করবো নাকি?
আমার এত টাকা পয়সা লাগবেনা।আমার তুমি হলেই চলবে।
_আমি কি আপুর মত বোকা নাকি যে বুড়ো বিয়ে করবো টাকার লোভে?
_তোমার আপু তাহলে টাকার লোভে ফুফাকে বিয়ে করেছে?
_তা নয়তো কি?
আপু তো টাকার জন্যই তাকে বিয়ে করেছে।
আর কয়দিন পর ছেড়েও দিবে।
_মানে?
_তোমাকে বলবো,তুমি কাউকে বলবেনাতো?
আমি সবাইকে সব কথা বলিনা।
তোমাকে বলছি কারণ তোমাকে আমার ভালো লেগেছে।পছন্দ করি আমি তোমায় হিহি।
_না বলবোনা,বলো তুমি।
_আসলে আপুর তো বয়ফ্রেন্ড আছে।
ওই বয়ফ্রেন্ডকেই আপু বিয়ে করবে কিছু দিন পর দুলাভাইকে ছেড়ে চলেও যাবে।
_মানে?ঠিক বুঝলাম না,বুঝিয়ে বলোতো।
_আরে বুঝোনি?
আপু তো,
_অধরা তুই এই ছেলের সাথে এখানে কি করছিস?
তোকে না বলেছি তুই আমি আর তোর আপু ছাড়া কারো সাথে এ বাড়ীতে কথা বলবিনা?
আর কখনো কথা বললে ঠাস করে থাপ্পড় মে রে দিবো।
চল নিচে।
_এ্যা এ্যা আমাকে সবাই শুধু বকে।
আদ্র ভাইয়া আমাকে কল দেয়,
আর বলে,
_আদ্রিতা,তোকে তো আরো কিছু কথা বলা হয়নি।
গত রাতে আমি ফুফার ২য় স্ত্রী আর তার মায়ের কথাও শুনে ফেলি।
তারা আসলে টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি আয়ত্ত করার জন্যই এসেছেন।
আর এসব দখল করতে পারলেই তারা ফুফাফে আর তোকে বাড়ী থেকে বের করে দিবে।
এগুলাই তাদের প্ল্যান।
_এগুলা আমি জানি ভাইয়া।
বাসা থেকে চলে আসার দিন ই তো তাদের অনেক কথা শুনে ফেলি আম্মু আর আমি।আম্মু বললেন না তোমায় সেদিন।
কথা শুনেই তো বুঝেছি তিনি আব্বুকে লোভে পড়ে বিয়ে করেছেন।
তাদের উদ্দেশ্য টাকা পয়সা ধন সম্পদ হাসিল করা।
_আর আজ তার বোনের থেকে এও শুনলাম তার নাকি বয়ফ্রেন্ড ও আছে।
ফুফাকে ছেড়ে দিয়ে নাকি তার বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করবে।
_তার বোন তোমাকে বলেছে এসব?
_হুম।
_মেয়েটা সহজ সরল আমিও জানি।
তাই তাকে সব সময় সাথে সাথে রাখে তার মা বোন।
যাতে আমাদের সাথে কোন কথা না বলতে পারে।
_হুম আমিও তার কথা শুনে প্রথম দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম।
তাই আজ চালাকি করে কথা গুলো বের করি।
কিন্তু আরো কিছু জানার আগেই তার মা এসে পড়েন।
_ভাইয়া বিশ্বাস করো,আমার আর এখন কিছু ভালো লাগছেনা।
_আমাদের এক প্ল্যান,আব্বুর ২য় স্ত্রীদের এক প্ল্যান,আবার তুমি বলছো অনুদ্রিতাও প্ল্যান করেই বাসায় ঢুকেছে।
এত প্ল্যানের ভীরে কাদের প্ল্যান সাক্সেস হবে কে জানে।
_শোন চিন্তা করিস না,যাদের উদ্দেশ্য সৎ তাদের প্ল্যানই সফল হবে।
তুই ফুফুর দিকে খেয়াল রাখিস।
_আচ্ছা রাখবো।
এভাবে আরো দু দিন কেটে যায়।
কিন্তু আদ্র ভাইয়া কোন কিছুতেই আগাতে পারেনা।
ওইদিকে আব্বুর ২য় স্ত্রী,অধরা আর অনুদ্রিতাকেও ভাইয়ার ধারেকাছেও আসতে দেন না।
আদ্র ভাইয়ার কোন প্ল্যান ই কাজ করছেনা।
আদ্র ভাইয়া ভাবেন কোন না কোন কিছু করতেই হবে।
এভাবে আরো সময় চলে যাচ্ছে।
আজ রাতের বেলা খাবার টেবিলে সবাই এক সাথে খেতে বসেন।
আর তখন আদ্র ভাইয়া বলে উঠেন,
_আদ্রিতা,ফুফুর এই গরুর মাংসের তরকারি টা কত মজা হয় বল?
খেলে শুধু খেতেই মন চায়।
আসলে সবার হাতে সব রান্না মজা হয়না।
ঘরের লক্ষীটাকে খুব মিস করছিরে।
আর তখনই হঠাৎ আব্বুর ২য় স্ত্রীর মা রেগে গিয়ে বলে ফেলেন,
_আমার মেয়ে হচ্ছে ঘরের লক্ষী বুঝলা?
দেখেছো কত ভালো ভালো রান্না করেছে।
কত্ত মজা হয়েছে।
পেট ভরে খাচ্ছি।
আর আদ্রিতার মায়ের হাতের যে রান্না।
মুখেও দেয়া যেতোনা।
ছিলো তো অ লক্ষী।
এত বছরেও ঘর আলো করে একটা সন্তান দিতে পারেনি।
সেও গেছে বাড়ী থেকে অশান্তিও দূর হয়েছে।
ও যত দিন ছিলো দম ই নিতে পারছিলাম না।
আপদ বিদেয় হয়েছে।
ঘরের লক্ষীর প্রশংসা করতে শেখো।
_আমার তো মনে হচ্ছে অ লক্ষী আপনি আম্মা।
তাই তো এ বাড়ীতে এত দিন যাবত পড়ে আছেন।মেয়ের বাড়ীতে কেউ এত দিন পড়ে থাকে?
তাও একা না আরেক মেয়ে সহ?
আপনিও চলে যান সাথে আপনার দুই মেয়েকেও নিয়ে যান।
ঘরে আরো শান্তি চলে আসবে।
মুড টাই নষ্ট করে দিলো যত্তসব।
আব্বু তার ২য় স্ত্রীর মাকে কথা গুলো শুনিয়ে উঠে চলে যান।আব্বুর ২য় স্ত্রী আব্বুর পেছন পেছন গিয়ে বলেন,
_তুমি মার কথায় কিছু মনে করোনা।
বয়স হয়েছেতো,তাই কি থেকে কি বলে ফেলেছে।
_শোনো,থাকলে উনাদের ভালো মত থাকতে বলো।
নয়তো উনাদের চলে যেতে বলো।
কোন দিন আমি অপমান করে ফেলবো তার ঠিক নেই।
_তুমি একটু শান্ত হও বসো।
আমি দেখছি।
তারপর আব্বুকে রুমে রেখে আব্বুর ২য় স্ত্রী তার মায়ের রুমে যান।
গিয়ে বলেন,
মা তুমি কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি করছো।সেদিনও তোমাকে কত করে বুঝিয়ে গেলাম।কথা বার্তা সাবধানে বলো।
একটু চুপ থাকো।কিন্তু না তোমার মুখ চলবেই।
_তাই বলে আমি চুপ থাকবো?
তোর রান্নার বদনাম করছিলো শুনিস নি?
রান্না যদি খেতেই না পারে চলে যাক,পড়ে আছে কেন এখানে?
_উফফ এমন ভাবে কথা বলছো,মনে হচ্ছে বাড়ীটার মালিক তুমি।
_না হলাম মালিক,হতে কত ক্ষণ?
_তুমি যা শুরু করেছো,এমন চলতে থাকলে এ বাড়ীর মালিক আর হতে হবেনা।
খালি হাতে বাড়ী ফিরতে হবে।
_মা শোনো একটু মুখ টাকে বন্ধ রাখো,
আমি এত কষ্টে সব গুছিয়ে আনছি,আর তুমি কিনা সব শেষ করে দিচ্ছো।
কে বলেছিলো তোমাকে আদ্রিতার আব্বুর সামনে এসব বলতে?
তুমি জানোনা,আদ্রিতার আব্বু রাগের মাথায় ওরকম ডিসিশন নিয়েছেন।
বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে আদ্রিতার মাকে।
আসলে সে আজো আদ্রিতার মাকেই ভালবাসে।
শুধু একটা সন্তানের আশা,আর আমাদের কারসাজিতে তার মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেছে।
দেখো মা,এত কষ্ট করে,কত কারসাজি করে তাকে বিয়ে করেছি।
প্রেগন্যান্সির নাটক করলাম।
বাচ্চা ন ষ্ট হবার নাটক করলাম।
যেখানে কিনা বাচ্চাই ছিলোনা পেটে।
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আদ্রিতার মাকে বাড়ী ছাড়া করলাম।
এখন আদ্রিতার সম্পত্তি ভাগ টুকুও দখল করতে ওর সাথে খাতির দিচ্ছি তাল মেলাচ্ছি,মিথ্যে মায়া মমতা দেখাচ্ছি।
এত কষ্ট করতেছি।
শেষে এসে তুমি সব কিছুতে পানি ঢেলে দিওনা প্লিজ।
কাজ হয়ে যেতে দাও।
তখন বাপ মেয়েকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ী ছাড়া করে দিবো।
আর তখন শুধু হবে আমাদের রাজত্ব
এ কয়টা দিন একটু চুপ থাকো।
সহ্য করো।
যে যা বলুক হজম করো।
_আচ্ছা ঠিক আছে,আজ থেকে মুখে লাগাম দিলাম।
তোর নামে যে যা বলুক কোন উত্তর দিবোনা।
_উফ মা,রাগ করতে বলিনি।
সিচুয়েশনে টা বুঝতে বলেছি।
আর তখনই হঠাৎ একটা ফুলের টব ঠাস করে পড়ে ভেঙে যায়।
_কে ওখানে?কে?
আব্বুর ২য় স্ত্রী আর তার মা দৌড়ে রুম থেকে বের হন।
তাদের দরজার পাশেই একটা ফুলের টব রাখা ছিলো।
তারা ভয় পেয়ে যায়,আর ভাবতে থাকে কে তাদের কথা শুনলো।
কিন্তু তারা কেউ কাউকেই দেখতে পাননা।
তাই তার মা বলেন,বিড়াল এসেছিলো বোধয়।
রাতে শোবার আগে আদ্র ভাইয়া আমাকে ফোন দেয়,
আর বলে,
_আদ্রিতা জানিস,ফুফা না ফুফুকে আজো ভালবাসেন।
তিনি আসলে সেদিন তাদের প্ররোচনায় পড়ে ফুফুকে আর তোকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন।
_কিভাবে বুঝলে ভাইয়া,আব্বু আম্মুকে আজো ভালবাসেন?
_আরে আমি চালাকি করে ফুফুর রান্নার প্রশংসা করছিলাম।
আর হালকা একটু ফুফার ২য় স্ত্রীর গায়ে লাগিয়ে কথা বলছিলাম।
ভেবেছিলাম তিনি রেগে গিয়ে ফুফার সামনে কিছু বলে ফেলবেন ফুফুর বিপক্ষে।
কিন্তু তিনি খুব চালাক,তিনি চুপ ছিলেন।
রেগে গিয়েছিলেন তার মা।
আর ফুফুর নামে দু এক নেগেটিভ কথা বলায় ফুফা তো রেগে আগুন।
একটু অপমানও করেছেন।
অন্য কেউ হলে ফুফার কথা শুনে সেই মুহূর্তে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতো বুঝলি?
আমি তো চাচ্ছি কোন ভাবে তার মা আর বোন বাড়ী ছেড়ে বিদেয় হোক।
তাহলে আর ফুফার ২য় স্ত্রী একা একা প্ল্যান করে কুলোতে পারবেননা।
_হুম ভাইয়া সেটাই।
অনুদ্রিতার কিছু জানতে পেরেছো?
_নারে ও আমার সামনে আসেনা।
_আচ্ছা দেখো তাহলে কি করবে,দিন কিন্তু বাড়ছে ভাইয়া।
_হ্যাঁ রে আমি জানি।
আচ্ছা রাখছি।
ঘুমিয়ে পড়।
_আচ্ছা ভাইয়া।
_কিরে,আদ্র কিছু করতে পারলো?
_চেষ্টা করছে আম্মু।
জানো আজ তোমার জন্য আব্বু তার ২য় স্ত্রীর মাকে কথা শুনিয়েছেন।
তোমাকে নেগেটিভ মন্তব্য করেছেন বলে।
_কেন যে কথা শোনাতে গেলো বয়স্ক মানুষ টাকে।
_আম্মু এত ভালো হতে নেই বুঝলে?
ঘুমাও।
আর কাল সকালে আমি একটু কলেজে যাবো দরকার আছে।
_আচ্ছা সাবধানে যাস।
_হুম।
সকাল হতেই আমি নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেই,
কলেজের কাজ সেরে যখনই গাড়ীতে উঠবো,
ঠিক সেই মুহূর্তে কেউ এক জন আমার হাত টেনে ধরে।
আর আমি আঁতকে উঠি।
চলবে..