বেইমানীvsলাভ পার্ট_৯
#জামিয়া_পারভীন
কয়েক দিন কেটে গেলো এভাবে, রুমেসাও সাদা শাড়ি ছাড়েনি।
আর সৌরভ ও খুব রেগে আছে।
শুক্রবার এ বাসার সবার দাওয়াত তাই সৌরভ সবাইকে পাঠিয়ে দেয় রুমেসা ছাড়া। সৌরভ পরে যাবে বলে আর যায় নি, সে রুমেসার উপর রাগ তুলার জন্যই বাসা ইচ্ছা করে ফাকা করেছে।
বন্ধুকে মেনেজ করিয়ে সবাই কে নিয়ে গেছে বন্ধুর বাসায়।
এরপর রুমেসার ঘরে যায় সৌরভ, দেখে রুমেসা শুয়ে আছে।
কোন কথা না বলেই রুমেসার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
রুমেসা ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে, পরে দেখে সৌরভ।
…. আপনি এখানে কেনো এসেছেন, চলে যান বলছি।
…. আমি আমার বউ এর কাছে আসবো, কেউ বাধা দিতে পারবেনা।
…. বউ মানে, কি যা তা বলছেন।
…. সেদিন কিছু পেপারে সাইন করেছিলা মনে আছে?
…. হ্যা, কি ছিলো ওতে।
…. সেখানে বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার ছিলো।
এখন থেকে তুমি আমার বউ তাই সাদা শাড়ি আর পড়বেনা।
…. কি বলছেন এইসব, আপনিও আমার সাথে বেইমানী করলেন।
…. এছাড়া আর কি করতাম আমি তোমাকে পাবার জন্য।
…. বেরিয়ে যান, আর আসবেন না আমার কাছে।
…. বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তো আসিনি, কাছে পাবার জন্য এসেছি, সাদা শাড়ি খুলে রঙিন পোশাক পড়িয়ে দিতে এসেছি।
…. এসব পাপ, চলে যান বলছি।
…. বুঝেছি তুমি স্বেচ্ছায় কাছে আসবে না।
জোর খাটাতে শুরু করে সৌরভ, কিন্তু কতোক্ষণ আর পারবে একটা ছেলের কাছে। এতো অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রুমেসা অজ্ঞান হয়ে যায়।
এরপর সৌরভ রুমেসা কে নিজে গোসল করিয়ে নিজ পছন্দ করা শাড়ি পড়িয়ে দেয়।
এরপর রুম থেকে বের হয়ে যায়।
বিকালের দিকে সবাই বাসায় ফিরে আসে, কিন্তু রুমেসা নিচে নামেনি দেখে নিরা উপরে গিয়ে ডাক দেয়।
রুমেসা কথা বলছেনা দেখে ধাক্কা দেয়, দেখে জ্ঞান নাই।
নিরা শন্ধ্যা পর্যন্ত সেবা করায় জ্ঞান ফিরে আসে রুমেসার।
…. কি রে কি হয়েছে, এতো ক্ষণ অজ্ঞান ছিলিস কেণো।
…. জানিনা ভাবি ( জেনেও মিথ্যা বললো ভয়ে)
…. আচ্ছা দেখে শুনে থাক, কিন্তু ভালো থাকিস ( রঙিন শাড়ি দেখেও কিছু বলতে গয়েও বললোনা)
চলবে…..