বেইমানীvsলাভ পার্ট_৭
#জামিয়া_পারভীন
আসিফের মৃত্যু সংবাদ আসে, সবার মাঝে কষ্ট ছেয়ে পড়ে।??
যত ই হোক, যত অন্যায় ই করুক আসিফ ছিলো সৌরভ এর ভাই।
ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা থাকা টাই স্বাভাবিক।?
তাই সৌরভ সবার সামনেই রুমেসা কে বলে..
…. তুমিই সেই অলক্ষ্মী, যার জন্য আমার ভাই মরেছে।?
…. বিশ্বাস করো আমি এমন কিছু করিনি। ?
…. চুপ যা তুই, সব দোষ তোর নইলে আজ এতো কিছু হতোনা।??
এই কথা গুলি আম্মা শুনে সেও রুমেসা কে দায়ী করে বসে।?
রুমেসা হয়ে যায় সবার চোখের কাটা, একটা মুহুর্তে সব শেষ হয়ে যায়। ??
এতে রুমেসা ও কষ্ট পেয়ে বলে বসে
…. তাহলে আম্মা আমার জন্য আপনার ছেলে মরেছে তাই না।।
…. হ্যা তাই, সব দোষ তোর, তোর পাপে আজ আমার সন্তান হারিয়েছি।?
…. তাহলে তো বলতে হয় আপনার ছেলের জন্য আবিরের আম্মা মারা গেছে।?
…. কি বললি তুই, তোর এতো সাহস, বের হয়ে যা বাড়ি থেকে।?
আবিরের মা মরেছে ভুল সিজারে আর তুই আমার ছেলেকে খেয়েছিস।
…. হ্যা, আপনার ছেলে যদি বাচ্চা না নিতো তাহলে সিজার করতে হতো না ভুলে যাবেন না।
আবিরের নানীও এসেছে জামাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সে বলে বসে রুমেসা ঠিকই বলেছে।
এরপর আবার বলে আমার নাতি এতিম হয়ে গেলো।
আমি আবির কে নিজের কাছে রাখতে চাই,
এই বাড়িতে রাখবো না,
এখানে মেয়ে গেলো, জামাই গেলো, নাতিকেও হারাতে চাইনা।
এই কথাতে সৌরভের আম্মাও সায় দিলো।
রুমেসা বলে
…. আবির কে নিয়ে গেলে আমি কি নিয়ে থাকবো।?
…. তুই বেরিয়ে যাবি এই বাসা থেকে ( আম্মা)?
…. আমার যাওয়ার যায়গা নাই।?
এইভাবে রুমেসা পাথরের মতো পড়ে থাকে নিচতলায় ডাইনিং এর মেঝেতে।
আজ ওর কেউ নাই, একমাত্র ভালোবাসা সৌরভ ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
লাশ নিয়ে বের হয়েছে বাসা থেকে, কিন্তু কেউউই রুমেসা কে বাসায় রাখতে চায় না।
মেঝেতে বসে রুমেসা কেঁদে ই চলেছে।
চলবে…..