#বৃষ্টিভেজা_আলাপন (৪৫) [ সমাপ্ত ]
বউ সেজে বসে আছে রত্না। সে সুন্দরী। একটু নয় বেশ সুন্দরী। লাল রঙের শাড়িতে তাকে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। অনেকটা লাল গোলাপের মতো। মেয়েটি কিছু দিন হলো পড়াশোনা শেষ করেছে। এই জীবনে তার ভালোবাসার গল্পটাও অপূর্ণই রয়ে গেল। এত বছর ধরে চেষ্টা করেও ঈশানকে পেল না সে। শেষ বেলায় এসে অন্য কাউকেই বিয়ে করতে হচ্ছে। সিনহা বাড়ির সকলে এলেও ঈশানের দেখা পাওয়া গেল না। সে আসে নি। রত্না ছেলেটার নাম্বারে কল করল। রিসিভ হলো। সেই সাথে শোনা গেল দীর্ঘশ্বাস।
“আপনি কোথায় আছেন?”
“বরযাত্রী আনতে যাচ্ছি।”
“মানে!”
“মজা করে বললাম।”
“আসছেন না কেন?”
“আসব না।”
“তাহলে আমি কিন্তু বিয়ে করব না।”
“দেবদাস হয়ে যাবে! আমার মতো? ও না তুমি কেমন করে দেবদাস হবে। তুমি তো দেবদাসী হবে।”
ওর এই রসিকতায় রত্নার চোখে জল চলে এল। আর কথা হলো না ওদের। রত্নার বর এসে গেছে। দেখতে ভালো। টাকা পয়সার ও অভাব নেই। তবে রত্নার মনের আক্ষেপটা বুঝি রয়েই যাবে। বেদনাটা কখনোই ছোট করে দেখার বিষয় না।
ছোঁয়ার চোখে মুখে অন্যরকম দ্যুতি। তার কোলে ফুটফুটে ছেলে সন্তান। বাচ্চাটার বয়স তিন মাস হলো। বিয়েতে আসার কথা ছিল না। কিন্তু অলক ও ছাড়ছিল না। ওর ধারণা ঘোরাফেরা করলে ছোঁয়ার মন ভালো থাকবে। তাছাড়া রত্না দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বিয়ের পর আর দেখা করার সুযোগ নেই। ঈশান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করল। সে এত সময় বাইরেই ছিল। দূর থেকে ছোঁয়াকে দেখে চলেই যাচ্ছিল তবে কি মনে করে যেন এল আবার।
অলকের সাথে ছোঁয়া’র সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। ছেলেটা ছোঁয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে। যদিও ওর ভালোবাসার শুরুটা ভালো ছিল না। তবু বলতে হয় ছোঁয়া’র প্রতি ওর অনুভূতি ভোরের আলোর মতোই স্নিগ্ধ,সুন্দর। বাচ্চা হওয়ার পর ছোঁয়া’র ওজন কিছুটা বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে সৌন্দর্য। মেয়েটি অনেক সময় ধরে বাবুকে কোলে নিয়ে পথ চলছে। অলক কাছে এসে বাবু’র গালে বৃদ্ধাঙুল ছোঁয়াল।
“বাবুর ক্ষিধে পাওয়ার কথা।”
“হুম। অনেক সময় হয়েছে। ফিডিং করাতে হবে।”
“দাঁড়াও দেখছি। চারপাশে অনেক মানুষ জন।”
ছোঁয়া বাবুকে নিয়ে একটা কর্ণারে এসে দাঁড়াল। তার ঠিক পেছনে ছিল ঈশান। বাচ্চাটাকে দেখে যেমন ভালো লাগা কাজ করছে ঠিক, তেমনি কষ্ট অনুভব হচ্ছে। ওর চোখের কোণে জল নেমে এসেছে। অলক এসেই দেখল ঈশান পেছনে দাঁড়িয়ে। ছোট ছোট শব্দে বাবুর সাথে কথা বলছে ছোঁয়া। ঈশানের সাথে অলকের চোখাচোখি হলো। ঈশান নড়ল না। অলক ও কিছু বলল না।
“পেয়েছ?”
“হ্যাঁ। দোতলার ঘর খালি আছে।”
“বাবুকে একটু ধরো তো।”
“দেও। দেখি আমার বাবাটা। ক্ষিধে পেয়েছে বাবা? এখনি মাম্মা খাওয়াবে তোমায়। আমার সোনা ছেলে।”
কথা বলতে বলতে এগিয়ে গেল অলক। ছোঁয়া ভুলে ফোন রেখে চলে যাচ্ছিল। পেছন ফিরতেই ঈশানকে নজরে এল। তার ভেজা দুটি চোখ। ছোঁয়া’র ভেতরে উত্তাপ ছড়িয়ে গেল। তবে চোখে জল এল না। পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। একটা বাচ্চা ওর জীবনের সমস্ত ব্যথা ভুলিয়ে দিয়েছে। আসলেই ভালো আছে সে।
সমাধিতে ফুল রাখল মার্কো। উষশী’র বান্ধবী সে। ডেনমার্কে আসার পর সমস্ত সুখ দুঃখের সখী ছিল মেয়েটি। অভিরাজ শব্দহীন ভাবে দাঁড়িয়ে। মার্কো বেশ সময় নিয়ে দোয়া পড়ল। তারপর অভিরাজের কাছে এসে দাঁড়াল। ছেলেটার দৃষ্টিতে রিক্ততা। কোটরে যাওয়া চোখ। সব কেমন অদ্ভুত হয়ে গেল। উষশীকে ছাড়া আজ আট মাসের ও অধিক সময়। এই আটটা মাস অভি’র জীবনই বদলে দিল। মার্কো বাহুতে স্পর্শ করতেই ধ্যান ফিরল ওর। বুক চিড়ে বেরিয়ে এল দীর্ঘশ্বাস।
“সময়টা যাচ্ছেই না মার্কো। উষশীকে ছাড়া আজ আটটা মাস হয়ে গেল।”
“মন খারাপ কোরো না অভিরাজ। তোমাকে বিশেষ কিছু বলার জন্য ডেকেছি।”
“হুম, বলো শুনছি।”
“তার আগে আমায় বলো সান তোমাকে ঘটনার কতটুকু বলতে পেরেছিল?”
“বলেছিল এলেন ওকে ভয় দেখিয়ে এখানে এনেছে।”
“এখানেই পুরো সত্য নয়। মেয়েটা তোমায় পুরোটা বলতে পারে নি। তার আগেই ওমন একটা ঘটনা ঘটে গেল।”
অভি’র হৃদয়টা গুমোট হয়ে আছে। উষশী’র সুন্দর মুখটা বার বার চোখে ভাসছে। শেষ বেলায় মেয়েটার অবস্থা কতটা করুণ ছিল। কি যন্ত্রণাই না পেয়েছে।
“উষশী’র নামে বিশাল প্রপার্টি রয়েছে। ওর মম সাব্রিয়া পল এতিম ছিলেন না। একটা দূর্ঘটনায় পুরো পরিবার হারিয়েছিলেন তিনি। তারপর অরফানেজে মানুষ হন। কিন্তু ওনি বংশগত ভাবে কোনো প্রপার্টির অংশ হতে পারেন নি। এর কারণ অন্য ধর্মের একজন কে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া। সেই জন্যে সবটাই ওনার সন্তানের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বিষয়টা শুরুর দিকে সাব্রিয়াও জানতেন না।”
কথা গুলো যেন বুঝে আসছে না অভি’র। সে যতটুকু শুনেছিল এর সাথে মিল পাচ্ছে না।
“তারপর?”
“সাব্রিয়ার সাথে এলেনের প্রেমের বিয়ে। দুজন দুজনকে ভীষণ ভালোবেসে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তাদের ভালোবাসার স্বাক্ষী ছিলেন আজহার আহমেদ। সাব্রিয়ার একমাত্র বন্ধু ছিলেন তিনি। দুজনেই একই অরফানেজে বেড়ে উঠেছিলেন।”
আজহার নামটা শুনে একটু অদ্ভুত লাগল অভিরাজের। লোকটা বলেছিলেন ওনার সাথে ভার্সিটি থেকে সাব্রিয়ার পরিচয়। ভীষণ কৌতুল নিয়ে সে বলল,”কিন্তু আজহার কেন মিথ্যে বলেছিলেন? আর উষশী’র মা বাবার তো ডিভোর্স হওয়ার কথা ছিল।”
“পুরো ঘটনা শোনো।”
অভিরাজ মৌনতা বজায় রাখল। মার্কো ফের বলতে লাগল।
“সাব্রিয়ার সম্পত্তি সম্পর্কে আজহার অবগত ছিলেন। তাই তিনি চেয়েছিলেন সাব্রিয়াকে বিয়ে করতে। কিন্তু সাব্রিয়া চান নি। যাই হোক দীর্ঘ দিন ধরে সাব্রিয়ার প্রপার্টি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। সেই প্ল্যান করেই সাব্রিয়া আর উষশীকে দেশে আনা হয়। ততদিনে এলেনের সাথে সাব্রিয়ার সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। এলেনকে বিশেষ ধরনের ড্রাগ সেবন করানো হত। যার ফলে ‘এলেন’ আজহারের বশে চলে আসে। সাব্রিয়া চায় নি এলেনের সাথে ডিভোর্স হোক। তাই দেশে আসে। প্ল্যান অনুযায়ী প্রপার্টির পেপারে সাইন ও করে ফেলানো হয়। আর সেদিনই সান হারিয়ে যায় আর সাব্রিয়ার দূর্ঘটনা ঘটে। সমস্ত প্রপার্টি নিয়ে আজহার চলে যায়। তবে যেদিন জানতে পারে প্রপার্টি গুলো সাব্রিয়ার নামে নেই সেদিনই ফিরে আসে। সাব্রিয়াকে হসপিটালে পায়। এদিকে সানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের সাহায্য নিতে চায় নি সে। কারণ এতে ওর জন্য সমস্যা হতে পারে। তারপর তোমরাই ওনার খোঁজ বের করলে। সেই সময়েই ওনি সমস্ত প্ল্যান করেন। সাব্রিয়াকে টোপ বানিয়ে সান কে বাধ্য করা হয় দেশ ছাড়তে। এলেন কে ড্রাগ দিয়ে রাখা হত। সে নিয়ন্ত্রণ হীন ছিল। তাকে যা বলা হত তাই করত। এত কিছুর পর ও আজহার প্রপার্টি হাতে পায় নি। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সানের একুশ বছর না হওয়া অবধি প্রপার্টি তার নয়। আর সান যেন কোনো প্রকার অ্যাকশন না নিতে পারে সেইজন্যে ওকেও নিয়মিত ড্রাগ দেওয়া হত।”
অভি’র দেহে কম্পন ধরে গেল। কত বড়ো খেলা চলেছে! কতটা কষ্টে ছিল উষশী। মার্কো ঘড়িতে সময় দেখে বলল,”একা একটা বাড়িতে থেকে সান অনেকটা অদ্ভুত হয়ে যাচ্ছিল। তখনি আমার সাথে ওর পরিচয়। আমার সাথে নিয়মিত বারে যাওয়া আসা করত। তখন ও সুখে থাকত। আমাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। তোমার ব্যাপারে সান সবটা জানিয়েছিল আমায়। আমি বার বার চেয়েছি ও মুক্তি পাক। গড আমার কথা শুনেছিলেন। তাই যেদিন ডেনমার্কে এলে সেদিনই আমি দেখতে পাই। শুরুতেই চিনেছিলাম তোমায়। তাই খোঁজ নেওয়া শুরু করি। জানতে পারি তোমরা বারে যাচ্ছ মিটিং এর কাজে। সেই জন্যেই সান কে নিয়ে সেদিন বারে যাই। আর তারপর তোমাদের দেখা হয়।”
অভিরাজ আসলেই কথা হারিয়ে ফেলল। মার্কো বার বার ঘড়ি দেখছে। হাতে বেশি সময় নেই। সে অভি’র ভঙ্গিমা দেখে একটু খানি ঠোঁট প্রসারিত করল। খানিক বাদে ছেলেটার কম্পন ধরা ঠোঁট বেজে উঠল।
“আজহারের এই মিথ্যে ষড়যন্ত্রের বিষয়টা কবে জানতে পেরেছিলে?”
“সান ডেনমার্কের বাড়ি থেকে চলে আসার আগের দিন রাতে। ও খুব বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল। কারণ দীর্ঘদিন ধরে সাব্রিয়ার সাথে দেখা হচ্ছিল না।”
“কেন দেখা হচ্ছিল না?”
“মৃ ত মানুষের সাথে কীভাবে দেখা হবে?”
অভি’র পুরো শরীর কেমন করে উঠল। সে অত্যন্ত আবেগঘন হয়ে বলল,”কবে ঘটেছে এটা?”
“বার দূর্ঘটনার কয়েক মাস আগে। সঠিক চিকিৎসা না করানোর ফলে সাব্রিয়ার মৃ ত্যু ঘটে। এক করুণ মৃ ত্যুর স্বাদ নেন তিনি।”
সেই মুহূর্তে লাবণ্য’র কথা স্মরণ হলো অভিরাজের। লাবণ্য বলেছিল উষশী খুব তাড়াহুড়োয় ছিল সেদিন।
“কিন্তু উষশী কেন সেদিন পালাল?”
“ও আজহারকে শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এসবে তোমাদের জড়াতে চায় নি। বারে আজহারের মিটিং চলছিল। বারের ফুটেজে সানের হাতে রিভলবার দেখেছিলে নিশ্চয়ই?”
অভি মনে করল। হ্যাঁ সে দেখেছিল। তবে অতটা গুরুত্ব দেয় নি তখন।
“সান খুব মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে চলছিল। কি করছিল বুঝতেই পারে নি। শুধু মনে হয়েছে প্রতিশোধ নিতে হবে। কিন্তু ভাগ্য বড়ো আশ্চর্য খেলা খেলল। বিস্ফোরণ ঘটে গেল সেখানে। আজহারের পাপের শাস্তি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই দিলেন।”
ঘড়ির কাটা টিং টিং করে বেজে উঠল। মার্কো মৃদু হেসে বলল,”আমাকে যেতে হবে। ফ্লাইটের সময় হয়ে গিয়েছে। তোমার জন্য শুভকামনা। জীবনের বাকিটা সময় সুন্দর হোক অভিরাজ।”
মার্কো চলে যাওয়ার পর পর ই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করল। বোধহয় বৃষ্টি নামবে। এদিকে পশ্চিমা আকাশে সূর্য নেমে গিয়েছে। পরিবেশ শীতল। সাথে আসছে মন ভালো করা সুবাস। হুট করেই বেলি ফুলের ঘ্রাণটা নাকে এল। অভি’র হৃদয়ের ধুকপুক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে আছে বাদামি চুলের শ্বেত রঙা মেয়েটি। তার পরনে আজ হাঁটুসম ফ্রক নেই। সে পরে আছে শুভ্র রঙা শিফনের শাড়ি। হুমায়ূনের আহমেদ বলেছিলেন পূর্ণিমার আলোয় মেয়েরা সাদা শিফনের শাড়ি পরলে নাকি মনে হয় শাড়িটাও চাঁদের আলোয় তৈরি। অভি’র কাছে মনে হলো শুধু শাড়ি নয় মেয়েটিও বুঝি চাঁদের আলোয় গড়া। অভি’র দু চোখে চিকচিক করছে জল। আট মাসের দীর্ঘ বিচ্ছেদের সমাপ্তি ঘটেছে। অবশেষে ড্রাগ রিহ্যাবিলিটেশন থেকে মুক্ত হলো উষশী। যে কি না অভি’র ভালোবাসা। যুবতী মা বাবার সামাধিতে প্রার্থনা করে যতক্ষণে কাছে এল ততক্ষণে বৃষ্টি নেমে গিয়েছে। প্রহর হয়ে উঠেছে রাঙা। বৃষ্টির জল আর রাঙা প্রহর মিলিয়ে যেন সৃজন হলো এক প্রহর রাঙা বৃষ্টিভেজা আলাপন। অভি’র মসৃণ গালে সিক্ত হাত রেখে উষশী’র ভেতরটা শীতল হয়ে গেল। মেয়েটির শরীর থেকে আসা বেলি ফুলের সুবাসটা বড়ো আকর্ষণ করছে। কাঁধসম বাদামি রঙা ভেজা চুল গুলো যেন অনন্য সুন্দর। এত সৌন্দর্য দেখেও নড়তে পারছে না অভিরাজ। সে যেন ঘোরের মধ্যে ডুবে গিয়েছে। সব কেমন অদ্ভুত সুন্দর হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির জলে দুজনেই ভিজে একাকার। মাটির ভেজা গন্ধটা যেন নতুন কিছুর আগমনী বার্তা। উষশী’র গোলাপি রঙা ঠোঁট কাঁপছে। সে চাইছে ছেলেটার ত্বক ছুঁয়ে দিতে। তার ভাবনার সমাপ্তিক্ষণেই অভি তার উষ্ণ ঠোঁটের উত্তাপ ছিটিয়ে দিল মেয়েটার গোলাপ রঙা অধরে। অজস্র চুমু খেল শ্বেত রঙা মুখে। প্রাপ্তিতে ভরে উঠেছে উষশী’র চোখ, মুখ। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। অথচ এটাই সত্য আর সুন্দর। এই তো সেই অভিরাজ যে নিজের থেকে এক যুগ ছোট একরোখা,জেদি মেয়েকে ভালোবেসে থমকে গিয়েছিল। আর উষশী সেই ভালোবাসায় হারিয়ে গিয়ে উৎসর্গ করল নিজের সবটা।
~সমাপ্ত~
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি