বিশ্বাস অবিশ্বাস পর্ব-০৬

0
1667

#বিশ্বাস_অবিশ্বাস (সাজু ভাই সিরিজ)
#পর্ব:- ০৬

আফরিনের লা!শ দাফন হয়ে গেল। সেই ছোট্ট ছেলেটার দেওয়া কাগজটির কথা পরিবারের কিছু ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ জানে না। রাত দশটার দিকে মিতু সাজুর কাছে কল দিয়ে কাগজের কথা বলে। আফরিনের উপর প্রতি!শোধ নিতে গিয়ে কেউ হয়তো তাকে খু!ন করেছে।


সিদ্দিক সরকারকে থানা থেকে আর বের হতে দেননি। উপরমহল থেকে আদেশ দেওয়ার জন্য তাকে থানাতেই আটকে রাখা হয়। সাজু যখন রফিকের বলা কথাগুলো সিদ্দিক সরকারের কাছে বলেছে। তারপর থেকে সিদ্দিক সরকার সাজু ও ওসি সাহেবের সামনেই ছিল। এরমধ্যে সে শুধু তার ছেলে সজলের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তাও যতটুকু কথা হয়েছে ততটুকুর মধ্যে রফিকের বিষয় কোনো কথা হয়নি।

মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে সাজু যখন থানা থেকে বের হয়ে আসে তখন সিদ্দিক সরকার হাজতে। তার মোবাইল মানিব্যাগ যাবতীয় সবকিছু পুলিশ জমা নিয়ে রেখেছে। সুতরাং বাহিরের কেউ রফিক যে সাজুর কাছে সরকার সাহেবের কথা বলেছে সেটা জানলো কীভাবে?

রফিক এখনো বেঁচে আছে, তবে ডাক্তার সাহেব বলেছেন অবস্থা খুবই খারাপ। সচারাচর এরকম আহত হলে বেঁচে থাকার কোনো সম্ভবনা আর থাকে না। রড পুড়ে গরম করা ছিল তাই আঘাত মারাত্মক রূপ ধারণ করে। ডিবি অফিসার হাসান আলী নিজেও এসেছেন হাসপাতালে। সে এসেছে সাজুর রাগারাগির জন্য।

সাজু তাকে বললো, ‘ ভাই রফিকের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে হবে। ওর সঙ্গে কথা বলতে হবে। ডাক্তারকে একটু বলেন না যদি কথা বলার ব্যবস্থা করতে পারে। ‘

‘ সেটা তো সম্ভন না সাজু। রফিকের অবস্থা খুব খারাপ, এমতবস্থায় সে কীভাবে কথার জবাব দেবে বলো তো? ‘

‘ ভাই ড্রাইভারের কথা অনুযায়ী আ!ক্র!মনকারী দুজনেই যাবার সময় বারবার নেম!কহা!রাম বলে গালি দিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা ওদের একটা পরিকল্পনা। ‘

‘ কিরকম? ‘

‘ দেখুন, প্রথমত আমরা সিদ্দিক সরকারকে বাইরে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেইনি। আর দ্বিতীয়ত সিদ্দিক সরকারের লোক যদি আ!ক্র!মণ
করে থাকে তাহলে কোনদিনই তার নাম বলে যাবে না। ‘

‘ হ্যাঁ সেটা ঠিক, কেউ নিজের পরিচয় এভাবে দিতে বলবে না। ‘

‘ এটা পরিকল্পনা ছিল। তাই হাম!লাকারীরা ইচ্ছে করে ওসব বলে গেছে। আমরা যেন পুরোপুরি বাড়িওয়ালাকে সন্দেহ করি। মূলত এখানে এমন কেউ রফিককে মারার চেষ্টা করেছে যারা সিদ্দিক সরকারকে ফাঁসাতে চায়। ‘

‘ তুমি কি রফিককে সন্দেহ করছো? ‘

‘ হ্যাঁ ভাই। তাকে দিয়ে কাজটা করানো হয়েছে বলে আমার ধারণা। এখন রফিককে সরিয়ে দিয়ে তারা এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করবে। প্রথমত রফিক সাক্ষী হিসেবে থাকবে না, দ্বিতীয়ত সিদ্দিক সরকারকে ফাঁসানো যাবে। ‘

‘ কিন্তু রফিক…!

‘ আমি তখন আপনাকে বারবার বলেছিলাম যে স্যারের কাছে সিদ্দিক সরকারের বিরুদ্ধে রফিক এর বলা কথাগুলো বলতে হবে না। আপনার জন্য স্যারকে বলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। ‘

‘ তোমার কি ধারণা যে ওগুলো স্যারের কাছে বলার কারণে রফিককে আক্র!মণ করা হয়েছে? ‘

‘ কিছুটা তাই। এজন্যই আমি চাকরি করতে চাই না। কিছু হলেই উপর থেকে হুকুম আসে। তাদের হুকুম মানতে গিয়ে কাজের বারোটা বেজে যায়। এই মামলা শেষ হলেই আমি চাকরি ছেড়ে দেবো। নিজের মতো করে পারলে করবো নাহলে নাই। ‘

‘ মাথা গরম না করে আগে ওই হাম!লাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের ধরতে পারলে আমরা আসল অপরাধীর কাছে পৌঁছে যাবো৷ ‘

সাজু হাসপাতালেই অপেক্ষা করতে লাগলো। হাসান আলী তাকে বাসায় নিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু সাজু রাজি হলো না। বাধ্য হয়ে হাসান নিজে ও থেকে গেল৷ সাজুর একটাই কথা, সে রফিকের সঙ্গে কথা বলতে চায়।

রাত বারোটার দিকে রফিক আবোলতাবোল বলা শুরু করে। মনে হচ্ছিল দুনিয়ার কোনো খেয়াল তার মগজে নেই। তবে মাঝে মাঝে ডাক্তারের কিছু কথার জবাব সুন্দর করে দিচ্ছে। হঠাৎ করে সে সাজুর কথা জিজ্ঞেস করলো। সাজুে সঙ্গে কথা বলার জন্য অস্থির হয়ে গেল কিন্তু ডাক্তার রাজি হচ্ছিল না।

রফিকের কথা বাহিরে জানানো জলো। ডাক্তারের নিষেধ অমান্য করে সাজু জোর করে রফিকের কাছে গেল।

ডিবি হাসান আলী ভাই পাশেই দাঁড়িয়ে রইলেন।

সাজু বললো, ‘ রফিক ভাই আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে, একটু মনোযোগ দেন। ‘

রফিক দুই মিনিটের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। তারপর কণ্ঠে পরিবর্তন এনে বললো ‘ স্যার আমি আমার পাপের শাস্তি পাচ্ছি। বেশি লোভ করতে গিয়ে আজ মরনের দরজার কাছে চলে এসেছি। আমাকে মাফ করে দিবেন। ‘

‘ রফিক ভাই, বিকেলে আপনি সিদ্দিক সরকারের কথা আমাকে বলার আগে বা পরে অন্য কাউকে হয়তো বলেছেন। আপনার আর সিদ্দিক সাহেবের সেই কথা আপনি আমি ছাড়া আরো কেউ জানে, তিনি কে? ‘

‘ স্যার আমি চিনি না তাকে, তার কাছ থেকে শুধু টাকা নিতাম আর তার কথা শুনতাম। ‘

‘ তার সঙ্গে আপনার যোগাযোগ হতো কীভাবে? ‘

‘ সবসময় মোবাইলে কথা হতো। দুবার শুধু দেখা হয়েছে আমাদের। ‘

‘ আফরিনকে আপনিই হ!ত্যা করেছেন তাই না? ‘

‘ হ্যাঁ স্যার, টাকার লোভে করছি। ছোটবেলা থেকে কষ্ট করতে করতে বড় হইছি। একটা মেয়ে খু!ন করতে পারলে ওরা বলছিল আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেবে। টাকার কষ্ট চলে যাবে আবার পুলিশও খুঁজে পাবে না। কিন্তু আমার জীবন শেষ করে দিল স্যার। ‘

‘ কতদিন আগে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো বলেন তো? ‘

‘ দুইমাস আগে থেকে। ‘

‘ ওদের সঙ্গে কথা বলতেন কোর মোবাইল দিয়ে? আপনার মোবাইল দিয়ে নাকি আলাদা কোনো মোবাইল তারা দিয়েছে? ‘

‘ আমি যে ঘরে থাকি সেই ঘরে আমার খাটের নিচে একটা বাক্সের মধ্যে মোবাইল আছে। সেই মোবাইল দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ‘

‘ সেদিন কি হয়েছিল বলেন তো? ‘

‘ আফরিন আফা বাসায় আসার সময় আমি তাদের কল দিয়ে জানিয়ে দিলাম। তারা আমাকে বললেন সুযোগ পেলে যেন আফাকে মেরে ফেলি আমি। আমি সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজতে থাকি। এক ফাঁকে সুযোগ করে বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপ দিতেই আফা দরজা খুলে দেয়। অজ্ঞান করার স্প্রে ছিল আমার কাছে। আমি তাকে বললাম যে দক্ষিণ পাশের রুমের জানালার কাছে একটা পাইপ আছে সেটা চেক করবো। আফা আমাকে সেই রুমে নিয়ে গেল। আমি রুমের মধ্যে গিয়ে আফার মুখে স্প্রে করে দিলাম। যখন তিনি অজ্ঞান হয়ে গেল তখন তার ওড়না দিয়ে তাকে বিছানায় ফেলে ফাঁ!স দিলাম। ‘

রফিক হাঁপাচ্ছে, তার প্রচুর কষ্ট হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এখনো আসল অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত হয়নি। একটু সামলে নিয়ে রফিক বললো,

‘ আমি আমার পাপের শা!স্তি দুনিয়া থেকে হাতে হাতে নিয়ে যাচ্ছি স্যার। তবে বিশ্বাস করেন আমি ওই লোককে চিনি না। টাকার জন্য কাজ করছি স্যার, আমাকে মাফ করে দিয়েন। ‘

সাজু কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইল। কারণ রফিকের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মিনিট খানিক পরে নিজেকে সামলে নিয়ে রফিক বললো,
‘ বিকেলে আমাদের বাড়ির মালিক যখন আমায় ডেকে নিয়ে তার কথা বলতে নিষেধ করেছে। তখন আমার মাথায় বুদ্ধি আসে। এমনিতেই তো আপনারা তাকে সন্দেহ করছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে ওই কথা বলে আরো শক্ত সন্দেহ সৃষ্টি করি। তারপর আমি ওই লোককে কল দিয়ে বলি যে আপনার কাছে এসব বলছি। ‘

হাসান আলী পাশ থেকে বললো ‘ তারপর তারাই তোমাকে খু!ন করতে লোক পাঠিয়েছে। আর যাদের পাঠিয়েছে তাদের শিখিয়ে দিয়েছে যেন বাড়িওয়ালার কথা বলা হয়। ‘

রফিক বললো ‘ আমি জানতাম তারা আসবে। ‘

সাজু অবাক হয়ে বললো ‘ মানে? ‘

‘ আমাকে বলা হয়েছিল আমার উপর থেকে পুরোপুরি সন্দেহ দুর করতে হবে। আর সেজন্য দুজন লোক এসে আমাকে ছু!রি দিয়ে আ!ঘাত করবে৷ আমি সামান্য আহত হয়ে গেলে সম্পুর্ণ দোষ বাড়িওয়ালার উপর পড়বে। ‘

‘ আপনি কি ইচ্ছে করেই ড্রাইভার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন? যেন তাদের বলা কথা শুনে ড্রাইভার সাক্ষী দিতে পারে। ‘

‘ হ্যাঁ হ্যাঁ, কিন্তু ওরা আমাকে জানে মেরে ফেলবে আমি ভাবি নাই। ‘

রফিক আরো অস্থির হয়ে গেল। ডাক্তার এসে তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। সাজু ও হাসান আলী বারান্দায় এসে দাড়িয়ে রইল। দুজনেই চিন্তিত, কে হতে পারে সেই ব্যক্তি।

হাসান আলী বললো,
‘ তাহলে আফরিনের লা!শ দাফনের সময় ওই অজ্ঞাত ব্যক্তিই বিশ্বাসঘাতকতা করার কাগজটা লিখে পাঠিয়েছে। ‘

‘ হ্যাঁ ভাই, এখন আমাদের খুঁজে বের করতে হবে আফরিন কার সঙ্গে এরকম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ‘

‘ ওই নাম্বারটা আরেকবার কল দাও। যে নাম্বারে আফরিন কথা বলে বিকেলে বিএফসি তে দেখা করতে চাইল। যে মেয়ে মেসেজ দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করতে বললো। আমার মনে হয় সেই মেয়ে সবকিছু জানে। ‘

‘ অন্তত ঝামেলার কথা জানবে নিশ্চয়ই। কারণ সে যে মেসেজ দিয়েছে সেখানে এরকমই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ‘

‘ একটা অনুরোধ করি হাসান ভাই? ‘

‘ হ্যাঁ করো। ‘

‘ এসব কথা স্যারকে আপাতত বলবেন না। স্যার তখন দেখবেন আরেক হুকুম জারি করবে। রফিক যে খু!নের কথা স্বীকার করেছে। আর আমরা যে অজ্ঞাত তাদের অনুসন্ধান শুরু করবো সে কথা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না। ‘

‘ কিন্তু স্যার তো বারবার কল দিচ্ছে। ‘

‘ আপনাকে অনুরোধ করছি প্লিজ ভাই। নাহলে আমি এখান থেকেই বাসায় চলে যাবো। ‘

‘ ঠিক আছে বলবো না! ‘

‘ ম্যালা ম্যালা ধন্যবাদ। ‘

★★

রফিক মারা গেল ভোরবেলা ফজরের আজানের একটু পরে। সাজু হাসপাতালেই ছিল, ডাক্তার এসে রফিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। লা!শ পোস্ট!মর্টেম করতে হবে।

রাতে অনেকবার সেই নাম্বারে কল দিয়েও কোনো লাভ হলো না। নাম্বার বন্ধ ছিল। সকাল বেলা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাজু আবার সেই নাম্বারে কল দিলেন।

দুবার রিং বাজতেই কল রিসিভ করলো একটা মেয়ে। সাজু নিজের পরিচয় দিয়ে বললো,

‘ গতকাল থেকে কল দিচ্ছি আপনাকে। ‘

‘ আমি পরশু রাত থেকে অসুস্থ তাই মোবাইল থেকে দুরে ছিলাম। বারবার অনেকে কল দিচ্ছে তাই মা মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিল৷ ‘

‘ আপনার নাম কি? ‘

‘ শারমিন চৌধুরী। ‘

‘ আফরিন নামে কাউকে চিনেন আপনি? ‘

‘ জ্বি, আমার বান্ধবী। ‘

‘ সে খু!ন হয়েছে সেটা তো নিশ্চয়ই জানেন? ‘

‘ হ্যাঁ জানি, আর এরকম কিছু হতে পারে সেটাও আমি জানতাম। এমনকি আফরিন নিজেও কিছু একটা বুঝতে পেরেছে কিন্তু পাত্তা দিত না। সেদিন আমাদের দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু আমার হঠাৎ করে হার্টের ব্যথাটা বাড়তে থাকে। এরপর আবার জ্বর এসেছে, তাই পুলিশের কাছে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারিনি। ‘

‘ আমরা কি আপনার সঙ্গে একটু দেখা করতে পারি? যদি আপনার ঠিকানাটা বলতেন। ‘

‘ তিন নাম্বার সেক্টরে ছয় নাম্বার রোডে চলে আসুন। ‘

আদনানকে রাতেই বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে সাজু। হাসপাতালের সামনে থেকে নাস্তা করে বাইক নিয়ে তারা শারমিনের বাসায় রওনা দিল।

সাজু ভাই ও হাসান আলী দুজনেই শারমিনের সামনে মুখোমুখি বসে আছে। শারমিন যে সত্যি সত্যি অসুস্থ সেটা তার চেহারায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

সাজু বললো,
‘ বলেন তো আফরিনের সঙ্গে কার সমস্যা ছিল? ‘

‘ সাথীর সঙ্গে ও একটা অপরাধ করেছিল। ‘

‘ সাথী কে? ‘

‘ আমাদের একটা বান্ধবী ছিল। ‘

‘ এখন নেই? ‘

‘ না নেই, দুই বছর আগে সে আত্ম!হত্যা করে মা!রা গেছে। ‘

‘ সাথী কি তাহলে আফরিনের কারণে আত্ম!হত্যা করেছে? মানে এরকম কিছু? ‘

‘ সাথী যথেষ্ট সুন্দরী ছিল, তবে খুব লাজুক ও ভিতু টাইপের। পড়াশোনায় অনেক মেধাবী। ‘

‘ আচ্ছা তারপর। ‘

‘ আমাদের একটা বন্ধু শাকিল সাথীকে অনেক পছন্দ করতো। শাকিল ছিল বড়লোকের সন্তান। কিন্তু সাথী তাকে অবহেলা করতো । কিন্তু শাকিল তবুও তার পিছনে পিছনে ঘুরতো। ‘

‘ তখন কি আপনারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেন সবাই? ‘

‘ হ্যাঁ। ‘

‘ ঠিক আছে তারপর বলেন। ‘

‘ একদিন পরে সাথীর জন্মদিন ছিল। শাকিল তখন আফরিনকে বলে যে সাথীর জন্মদিনে সে স্পেশাল একটা সারপ্রাইজ দেবে। আে সেজন্য আফরিনের সাহায্য চায় শাকিল। ‘

‘ সেটা কেমন সারপ্রাইজ? ‘

‘ মিরপুরে শাকিলদের একটা বাসা আছে। সেখানে সে জন্মদিনের আয়োজন করবে। আফরিন যেন সাথীকে নিয়ে সেখানে যায়। শাকিল বলেছিল যে সাথীর জন্মদিনে যদি ভালো কিছু করতে পারে তাহলে হয়তো রাজি হতে পারে। তাই আফরিন রাজি হয়ে গেল। পরদিন সাথীকে নিয়ে মিরপুরে চলে যায় আফরিন। আফরিনকে সাথী অনেক বিশ্বাস করতো তাই যেতে রাজি হয়ে যায়। ‘

‘ আপনি যাননি? ‘

‘ না আমাকে বলে নাই কিছু। আর আমি তখন মা-বাবার সঙ্গে কক্সবাজার ছিলাম। ‘

‘ তারপর কি হলো? ‘

[ চেষ্টা করেছিলাম আজকের পর্বে সমাপ্ত করে দিতে। কিন্তু অফিসে কাজের চাপে সেটা সম্ভব হলো না। এমনিতেই লিখতে লিখতে পৌনে দশটা বেজে গেল। ]

চলবে….

লেখা:-
মোঃ সাইফুল ইসলাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে