বিয়েকথন পর্ব-০৪

0
571

#বিয়েকথন
শেখ জারা তাহমিদ

চতুর্থ পর্ব

অপরাজিতা এদিক-সেদিক তাকালো বারকয়েক। কাউকে যদি চেনা মনে হয়! একদিনেই আরেকবার লজ্জায় পরতে চায় না ও। তবে ভাগ্য সহায় হলো এবার। দশ মিনিটের মাথায় মেসেজ এলো ওয়াহিদের, “অপরাজেয় বাংলা’র সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আপনার ঠিক পেছনেই।”

টেক্সট দেখে অপরাজিতা উঠে পরলো। ঘুরে বটতলার এপাশটায় আসতেই, অপরাজেয় বাংলা’র সামনে দাঁড়ানো, কালো শার্ট পরিহিত একজনকে হাত নাড়তে দেখলো। ওয়াহিদ। ওয়াহিদকে দেখে অপরাজিতার প্রথমেই মনে হলো, লোকটার কী গরম লাগছে না? যেখানে গরমে ও ব্ল্যাক এভোয়েড করে, সেখানে ব্ল্যাক পরে লোকটা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে! মনের চিন্তাকে মনে রেখে ও ওয়াহিদের সামনে যেয়ে দাঁড়ালো। অস্বস্তি কাটিয়ে সালাম দিলো। মুচকি হেসে ওয়াহিদ সালামের উত্তর দিয়ে বললো, “আগে কোথাও বসি, অপরাজিতা? আপনাকে টায়ার্ড লাগছে।” অপরাজিতা সম্মতি জানাতেই ওয়াহিদ পুনরায় জানতে চাইলো, “কোথায় যাওয়া যায়? ধানমন্ডি?” ধানমন্ডি ইজ অ্যা গুড অপশন। কিন্তু দুজনকে এক রিকশায় উঠতে হবে ভেবে অপরাজিতা নিষেধ করে দিলো। ওয়াহিদ বোধহয় বুঝলো সেটা। হেসে জানালো, “আমার সাথে উবার আছে, অপরাজিতা। ধানমন্ডি চাইলেই যেতে পারেন।” অগত্যা অপরাজিতা রাজি হলো। লোকটা সবদিক ভেবেই এসেছে! ক্লেভার!

গাড়িতে ওরা দুজনেই চুপ রইলো। অপরাজিতা অস্বস্তিতে। ওয়াহিদ ওর অস্বস্তি কাটানোর চেষ্টাতে। মাঝে কেবল একবার কোন রেস্টুরেন্টে যেতে চায় জানতে চাইলে, অপরাজিতা কোনো একটা লাইভ মিউজিক ক্যাফেতে যেতে বললো।

***

ধানমন্ডি ল্যাবএইডের উল্টোপাশের একটা রেস্টুরেন্টে গেলো ওরা। অপরাজিতা এখানে আগে আসেনি। লাঞ্চ টাইম হলেও ভীড় কম। গাছপালার মাঝে রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র, সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ওর বেশ পছন্দ হলো। ঘুরে ঘুরে চারদিকটা দেখলো। একফাঁকে গিয়ে চোখেমুখে পানি দিয়ে এলো। রেস্টুরেন্টের প্লে-লিস্টে বাজতে থাকা অর্ণবের গান শুনে মনটা ভালো হয়ে গেলো। এতোক্ষণে যেটা করেনি, বলা ভালো করতে পারেনি সেটা করলো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলা ওয়াহিদকে দেখলো।

অপরাজিতার পাঁচ ফিট চার হাইটের বিপরীতে ওয়াহিদ কম করে হলেও পাঁচ ফিট আট হবে। একটু বেশিই লম্বা! তালগাছ! শ্যামবর্ণের বলিষ্ঠ গড়ন। রেগ্যুলার নিশ্চয়ই জীমে যায়! হাতে বাদামি বেল্টের ব্র্যান্ডেড ঘড়ি। ব্র্যান্ড খুব মেইনটেইন করে বোধহয়! ফ্যাশন সেন্সটা ভালো। স্টাইলিশও বটে! গাল জুড়ে ট্রীম করে রাখা খোচাখোচা দাঁড়িতে চমৎকার মানিয়েছে। তবে ওয়াহিদের বেস্ট ট্রেইট হলো ওর হাসি। ফোনে যখন শব্দ করে হাসলো, শুনতে ভালো লেগেছে। এখনও ফোনে কথা বলছে মুখে স্মিত হাসি ধরে রেখে। দেখতে ভালো লাগছে। কন্ঠস্বরে একটা ডীপ, রাফনেস আছে। এন্ড ইট’স অ্যাট্রাক্টিভ ইন অ্যা গুড ওয়ে। বয়সটা কেমন হতে পারে? আটাশ? তিরিশ? অবশ্য বত্রিশ হলেও ক্ষতি নেই। এইজ ইজ জাস্ট অ্যা নাম্বার আফটারঅল! কয়েকবার দেখার পর অপরাজিতা নিজেকে প্রশ্ন করলো, “তিনদিন আগে আচমকা বিয়ে হওয়া হাজব্যান্ডের উপর ছোট্ট একটা ক্রাশ কী খাওয়া যাবে?” নিজের মনে করা প্রশ্নে নিজেই হেসে ফেলে ও।

রেস্টুরেন্টের ওপেন এরিয়াতে, একটা টেবিলের চেয়ার টেনে বসে অপরাজিতা। ওয়াহিদের আসার অপেক্ষা করতে করতে মেন্যুকার্ড উল্টায়। কী একটা ভেবে মেন্যুটা রেখে দিয়ে চুপ করে বসে থাকে। ওয়াহিদ আসে ৪/৫ মিনিট পর। বসতে বসতে জানায়, একটু দেরি হয়ে গেলো। অপরাজিতা বুঝদারের মতো মাথা দোলায়। মুচকি হেসে ওয়াহিদ মেন্যুকার্ডটা ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, “প্লিজ, অর্ডার। আই’ল গো বাই ইওর চয়েজ।” অপরাজিতা মনে মনে আওড়ায়, “ওয়েল ম্যানারড। জেন্টেলম্যান? বলা যায়।” তারপর ভদ্রতার সহিত জানায়, “আমার চয়েজ আপনার ভালো নাই লাগতে পারে। তারচেয়ে দুজন মিলে ডিসাইড করি।” ওয়াহিদ সঙ্গে সঙ্গে বলে, “গোটা আপনাকেই পছন্দ, অপরাজিতা। সো, আপনার চয়েজ ভালো না লাগার চান্সই নেই।” অপরাজিতা বিষম খেলো। ফ্লার্টি! ভেরি ফ্লার্টি! নিজের এক্সপ্রেশন লুকাতে ওয়াহিদের কথা না শোনার ভান করে জলদি অর্ডার করলো।

খাবার আসা পর্যন্ত ওরা কথা বললো। বিয়ের আগের চেনা-জানাটা বলতে গেলে এই সময়টায় হলো। ওয়াহিদের বিশাল ফ্যামিলি। বাবা-মা, ওরা তিন ভাই-চার বোন। চার বোনের সবাই বিবাহিত। ঢাকাতেই থাকে বিভিন্ন জায়গায়। ওয়াহিদরা থাকে উত্তরা। কেমিস্ট্রিতে অনার্স, মাস্টার্স করা ওয়াহিদ একটা প্রাইভেট ভার্সিটির লেকচারার। সিজনাল মাছ ব্যবসায় ও মূলত মধ্যপ্রাচে মাছ রপ্তানি করে। ছোট্ট করে শুরু করা ব্যবসাটা এখন অনেকটাই গ্রো করেছে। মাছ ব্যবসায়ী ওয়াহিদ বললেও খুব একটা ভুল হবে না সেক্ষেত্রে!

অপরাজিতা শুনলো সবটাই। ওয়াহিদ ওর সম্পর্কে সবটাই হয়তো জানে। তবুও নিজের সম্পর্কে টুকটাক বেসিক বললো। খাবার এসে পরলো তখন। খেতে খেতে ওয়াহিদ আরও নানান কথা বললো। কীভাবে ব্যবসাটা শুরু করেছিলো। ফিনল্যান্ড থেকে মাস্টার্স করে কেনো দেশে ফিরে এলো। কখনই ভাবেনি ওর দ্বারা পড়ানো সম্ভব। তাও কী করে যে ফ্যাকাল্টি হয়ে গেলো সেই গল্পও করলো।

এতসব গল্পের মাঝে খুব সূক্ষ্মভাবে কেয়ারিং ওয়াহিদকে নোটিস করলো অপরাজিতা। ওর প্লেটে খাবার তুলে দিলো এমনভাবে যেনো একাজটা ও সবসময়ই করে আসছে। অপরাজিতা স্লো খাচ্ছে বুঝতে পেরে নিজেও সময় নিয়ে খেলো। সবচেয়ে যেটা ডিফারেন্ট লাগলো অপরাজিতার, এই পুরো সময়টায় ওয়াহিদ একবারও ফোন হাতে নেয়নি। সম্পূর্ণ অ্যাটেনশান অপরাজিতা কে দিয়েছে। অথচ ঘুরতে গিয়ে, ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাতে গিয়ে আন-ন্যাসেসারিলি ফোনেই ব্যস্ত হয়ে পরাটা আমাদের এই জেনারেশনের কমন প্র্যাকটিস। অপরাজিতা নিজেও করে। ওর বন্ধুরাও করে। কিন্তু ওয়াহিদ করে নি। ও যে অপরাজিতাকে ইম্প্রেস করতে এমনটা করেনি তাও বোঝা যাচ্ছে। ইম্প্রেস করার হলে শুরুর ফোনটাও ধরতো না। বরং তখন সুন্দর করে বলেছে, “স্যরি, অপরাজিতা। বেশ আর্জেন্ট কল। রিসিভ করতে হচ্ছে। গিভ মি টেন মিনিটস, প্লিজ।” তখন অপরাজিতা ভেবেছে ফোন আসতেই পারে, রিসিভ করলে করবে! ওকে এত স্যরি-ট্যরি কেনো বলতে হবে! কিন্তু এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার। সামনে থাকা মানুষকে প্রায়োরিটি দিতে জানে ওয়াহিদ। সেটা যেই হোক। প্রথমদিনের দেখায় ওয়াহিদের এই সাবলীলতা ভালো লাগলো অপরাজিতার। বাবা কী ঠিক এই বিষয়গুলো দেখেই পছন্দ করেছিলো ওয়াহিদকে?

খাওয়া শেষে, বিল পে করার সময় অপরাজিতা বিল স্প্লিট করতে চাইলো। তৎক্ষনাৎ হাসি মিলিয়ে গেলো ওয়াহিদের। অপরাজিতার দিকে তাকিয়ে প্রগাঢ়স্বরে বললো, “আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, অপরাজিতা। সেটা যেভাবেই হোক। ইউ আর মাই ওয়াইফ। এন্ড আমার ওয়াইফের দায়িত্বও আমার। বিল স্প্লিট করার কথা আসছে কেনো?” ওয়াহিদের কন্ঠে, কথায় এতোটা সিরিয়াসনেস ছিলো যে অপরাজিতা দ্বিতীয় কিছু বলতে পারলো না। বিমূঢ় হয়ে বসে রইল।

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ওয়াহিদ যখন বাসায় ড্রপ করতে চাইলো, অপরাজিতা জানালো নীলক্ষেতে কাজ আছে ওর। কাজ শেষে ক্যাম্পাসে ফিরবে। ওয়াহিদ কী বুঝলো কে জানে। মুচকি হেসে ওকে রিকশায় তুলে দিলো। এবং অতি অবশ্যই রিকশা ভাড়া দিতে ভুল করলো না। বিদায় বেলায় বললো, “আপনার তো মিড সামনে। আমি কী দিনে এক-দুবার ফোন দিতে পারবো? পারমিশন চাচ্ছি, ম্যাডাম।” ব্যাপারটা অপরাজিতার ভালো লাগলো। হেসে বললো, “পারমিশন দেয়া হলো।”

***

হলে ফিরে অপরাজিতা আগে ফ্রেশ হলো। তারপর ওয়াটার হিটারে পানি গরম করে, এককাপ কফি বানালো। ওয়াহিদের কথা না চাইতেও ভাবনায় এলো। বিল স্প্লিট করা নিয়ে যে অধিকারবোধ মানুষটা দেখালো, সেটা ওকে সারপ্রাইজড করেছে। বিয়েটা নিয়ে ওয়াহিদ কত সিরিয়াস সেটায় কোনো সন্দেহ রইল না আর। কিন্তু অপরাজিতা কী সিরিয়াসলি বিয়েটা নিয়ে একবারও ভেবেছে? না! ভাবেনি! আজকে ওয়াহিদের ফোন আসার আগে পর্যন্ত ভাবেনি। এখন কী ভাবা উচিত? অবশ্যই উচিত। কিন্তু কেনো যেনো ইচ্ছে করছে না। সব ভাবনাচিন্তা ওয়াহিদের উপর ছেড়ে দিলে কেমন হয়?

ওয়াহিদ ফোন দিলো রাতে। রুম থেকে বেরিয়ে অপরাজিতা ফোন ধরলো। অতি সাধারণ কিছু কথাবার্তার পর ওয়াহিদ জিজ্ঞেস করলো, “আমাকে কেমন দেখলেন, ম্যাডাম?” ওর গলায় দুষ্টুমির রেশ টের পেলো অপরাজিতা। গলার স্বর যথাসম্ভব গম্ভীর করে বলার চেষ্টা করলো, “দেখলাম। ঠিকঠাক। মানুষের মতোই।” ওয়াহিদ তরল গলায় প্রশ্ন ছুড়লো, “শুধু দেখলেন? আমার তো মনে হলো কেউ আমাকে চেক আউট করছে!” অপরাজিতা দ্রুত সামলে নিয়ে বললো, “সে তো আপনিও করেছেন, স্যার।” ওয়াহিদ হেসে ফেললো। হাসলো অপরাজিতাও। ঠিক তখন থেকে শুরু হলো ওদের গল্পটা।

***

অপরাজিতার দিনগুলো কাটছে লাইব্রেরিতে। হলে এতোজনের মধ্যে কোনোভাবেই পড়তে পারে না ও। হলের গেইট বন্ধের আগ পর্যন্ত লাইব্রেরিতে বসে থাকে। হরেক রকম চিন্তারা এসে জাপটে ধরে ওকে। বাবার প্রতি অভিমানটা এতই গভীর যে বাসায় ফেরার কথা ভাবতে পারে না। কিন্তু হলে এইভাবে আর কতদিন? কেউ কিছু না বলুক। অপরাজিতার নিজেরই খারাপ লাগে। ওরা আর কতদিন অ্যাডজাস্ট করবে ওর জন্য? সপ্তাহ পার হলো ওর এখানে থাকার। চারদিন বাদেই মিড শুরু। মিড শেষ হতে আরো লাগবে সপ্তাহখানেক। দশ/বারোদিন আছে হাতে। এরপর কোথায় যাবে ও? রিপা খোঁজ নিয়েছিলো কোন রুমে ফাঁকা আছে কিনা। নেই। তোরাপুও খোঁজ নিচ্ছে। অন্য হলেও দেখছে। পায়নি কিছু। তবে আশা ছাড়েনি। বলেছে, “মিড পর্যন্ত ওয়েট কর, অপরা। আমি একটা ব্যবস্থা করে দেবো।” সেই আশাতেই দিন পার হচ্ছে অপরাজিতার তা নয়। ও হোস্টেলে উঠার কথাও ভেবেছে। খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু মাসের মাঝে কোথাও কিচ্ছু পাচ্ছে না। ক্লাসমেট যারা হোস্টেলে থাকছে তাদেরও সিট পেলে জানাতে বলেছে। টাকা নিয়ে ভাবনা নেই। টিউশন থেকে ও যা পায় সেটা মোর দ্যান এনাফ। তাও লাগলে অ্যাকাউন্টে টাকার অভাব নেই। জীবনে প্রথমবারের মতো অপরাজিতা একা একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মন্দ লাগছে না। কিন্তু অভাব বোধ করছে। মা-বাবার গাইডেন্সের অভাব।

আরও যেটা ফিল করছে সেটা হলো টেনশন। এক্সাম টেনশন। প্রত্যেক এক্সামের আগে ওর লাইফটা আম্মু কতটা ইজি করে দিতো সেটা টের পাচ্ছে এখন। টাইমলি খাওয়া-গোসল কিছুই হয় না এখন। টাইমলি ঘুমানো তো দূরের কথা। এক্সামের আগে প্রতিরাতে আম্মু চুলে তেল দিয়ে শক্ত করে বেণী করে দিতো। আম্মুর মতে এটায় ঘুম ভালো হয়। তখন হাসলেও এখন অপরাজিতা রিয়েলাইজ করে বেণী করায় ঘুম ভালো হোক না হোক, আম্মু যে সূক্ষ্ম পজেটিভনেস ওর মাঝে দিয়ে দেয় সেটায় খুব ভালো ঘুম হয়। আম্মু রোজ ফোন করে। অপরাজিতা রিসিভ করতে পারে না। অভিমানের দেয়াল ভাঙতে পারে না।

ফোন ওয়াহিদও দেয়। প্রতিদিন দুবার করে। তিন-চার মিনিটমতো কথা হয়। কখনোবা পাঁচমিনিট। না চাইতেও বাঁধা পরা সম্পর্কটা অপরাজিতাকে ভাবায়। ওয়াহিদ ওকে পছন্দ করে সেটায় কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ওয়াহিদ কী জানে অপরাজিতার জীবনের সকল জটিলতার কেন্দ্রবিন্দু ও? পুরোটা না ঠিক কিন্তু কিছুটা তো অবশ্যই। ওয়াহিদের ব্যক্তিত্ব মুগ্ধ হবার মতো। ওয়াহিদ দেখতেও মুগ্ধ হবার মতো। অপরাজিতা কী মুগ্ধ হয়েছে? হ্যাঁ। হয়েছে। অবলীলায় সেটা স্বীকার করে ও। কিন্তু এই মুগ্ধতাকে প্রশয় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন ওর যে সিচুয়েশন সেখানে এই মুগ্ধতায় সায় দেয়া মানে নিজেকে বিট্রে করা। কিন্তু সায় না দেয়াও কী নিজেকে বিট্রে করা হবে না? অপরাজিতা কী জানে ওকে নিয়ে অধীর হবার মানুষটা ওয়াহিদ? যার সাথে দারুন মিষ্টি একটা গল্প হবে ওর!

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে