বিন্দুর বাবা

0
663
অাব্বা বিয়ে করবেন না। কিন্তু ফুফুঅাম্মা বলেছেন, অামাদের জন্য সিনেমার নায়িকার মতো সুন্দর একটা অাম্মা নিয়ে অাসা হবে। অামি অার ভাইয়া পরলাম রাজ্যের চিন্তায়। এতো সুন্দর অাম্মা দিয়ে কি করবো অামরা।নতুন অাম্মা অামাদের অাম্মার মতো হলেই হবে। অাম্মা অামাকে অার ভাইয়া কে স্কুলে দিয়ে অাসার পথে এক্সিডেন্ট করে মারা গেছেন। সবাই বলছিলো অাম্মা চলে অাসবে। কিন্তু এতোদিন হয়ে গেলো অার অাসছে না।
ভাইয়া অার অামি দুলেদুলে বসে পড়ি। অাব্বা দোকান বন্ধ করে অাসার অাগ পর্যন্ত জরিনা অাপা অামাদের সাথে বসে টিভি দেখে। জরিনা অাপা, অম্মার সাথে রান্নাঘরে সাহায্য করতো বিকেলে বাসায় চলে যেতো। এখন অাব্বা অাসার পরে রাতে যেতে হয়। জরিনা অাপা টিভিতে এক সুন্দর নায়িকার চুল দেখিয়ে বললো- -নাইকা ডা যে সুন্দর, টেডি বাইর করছে।যে সুন্দর লাগতাছে দেখতে! নায়িকার মুখের দুই পাশে এক চিমটি করে দুই চিমটি নাক পর্যন্ত চুল। জরিনা অাপা অামাদের শিখালেন। চুলের এমন কাটিংয়ের নাম টেডি। টেডি কাটা চুল গুলো অামার ও পছন্দ হয়েছে।ভাইয়ার মাসাঅাল্লাহ্ অনেক বুদ্ধি। অাম্মা ভালো কিছু দেখলে বা শুনলে বা করলে মাসাঅাল্লাহ্ বলতে শিখিয়েছেন। ভাইয়া অামাকে টেডি কেটে দিয়েছে।তবে নায়িকার মতো অামার দুই চিমটি চুল নাক পর্যন্ত অাসেনি চোখ পর্যন্ত এসেছে। চোখের মনিতে বার বার খুঁচা লাগছে। ভাইয়া পরলো রাজ্যের চিন্তায়।অাব্বা অামার চুলের এমন অবস্থা দেখলে রাগ করবেন। অাব্বা ঘরে এসে কাপড় ছাড়ছেন,ভাইয়া অব্বা কে গিয়ে বললো-
-অাব্বা, বিন্দু রে জরিনা অাফা এখ(এক) গ্লাস দুধ দিলো। বিন্দু দুধ খায় অার বারে বারে, গ্লাসের মাজে(মধ্যে) চুল যায়।বাদে(পরে)অামি বিন্দুর চুল কাটি দিলাইছি। অামরা ক এর উচ্চারণ ক এবং খ এর মাঝামাঝি স্থান থেকে উচ্চারণ করি। অাব্বা কি বুঝলো কে জানে। তবে এরপর থেকে কখনো অামার চুল তেলহীন এলোমেলো থাকেনি।অাব্বা চুল বেঁধে দিতো যতদিন না, অামি নিজে নিজে বাঁধতে পারি। দুই ভাইবোনের বুঝে না বুঝে দুষ্টামি তে অাব্বা অামাদের দোষ দেখতেন না। বরং অামাদের দুষ্টামির কারন খুঁজে বের করে সেই অভাব টা দূর করে দিতে কখনো তাঁর অপারগতা ছিলো না। অামাদের একটা বড় অভাবের নাম ছিলো “অাম্মা”। অাব্বা শুধু এই অভাব টা ই পূরণ করতে অপারগ ছিলেন। দেখতে দেখতে অনেটা বড় হয়ে গেলাম। অামার প্রিয় বান্ধবীর বাবা বিয়ের কার্ড দিয়ে গেলো।বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ,শুক্রবার বিয়ে। অামাকে বুধ বারে যেতে হবে। বেস্টুদের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে এক সপ্তাহ অাগে চলে যাওয়া। পারলে একমাস অাগে গিয়ে বসে থাকা। অামার ক্ষেত্রে একটু ছাড় দিয়েছে দিয়া,কারন অামি কোথাও গিয়ে কখনো থাকিনি।অাব্বা ও দিতে অামতা অামতা করেন। দিয়া, পার্লারের মেয়েদের হাতে মেহদী পরবে না। অামি পরিয়ে দিতে হবে। দিয়া কে বললাম- – অতি অাবেগ বাদ দিয়া, বাস্তবে অায়। অামি হলে কখনোই পার্লার ছাড়া কারো কাছে মেহেদী পরতাম না। এমন কি, কোন মেয়েই এই রিস্ক নিতে চাইবে না। বিয়ের মেহেদী খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। দিয়া কে কোন ভাবেই মানানো যাচ্ছে না, এমন ও না যে অামি খুব ভালো মেহেদী পরাতে পারি। অামি চাই না অামার বেস্টুর মেহেদী সন্ধ্যা টা সারাজীবনের অাফসুসের কারন হোক। তাই রাজি হলাম একশর্তে,এক হাতের পাতায় মেহদী পরিয়ে দেবো। কারন হলো,জনসম্মুখে এতো বাজে কাজ দ্রুত প্রকাশ না পায়। মাথা নিচু করে দিয়া’র হাতে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছি।অারেকটা পুরুষ হাত দিয়া’র হাতের নিচে পেতে অাছে । চোখ তুলে তাকাতেই অামার জ্ঞান হারাবার জোগাড়। একটা লম্বামতন ছেলে।অামি চোখ নিচে নামিয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দেবার চেষ্টা করছি। -অামাকে একটু মেহদী দিয়ে দেন,দ্রুত দিতে হবে। অামি তার সাবলিল বাচন ভংগীতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম।অামি এমনিতেই মুখলুকিয়ে চলা একটা মেয়ে।তার মাঝে হুট করে এমন একটা ফরমায়েশ অামাকে অপ্রস্তুত ছাড়া কিছুই করতে পারে না। খুব সাবধানে জেনো তার হাতের সংস্পর্শে অামার হাত না অসতে পারে এবং দ্রুত শেষ হয় সেই মতন ডিজাইন অাঁকলাম। অার মনে মনে অনেক প্রশ্ন চলছে অামার। -পারবো না বললেই পারতাম।
ধ্যাত, অামি এতো বোকা কেনো? এসব ভেবে ও কোন লাভ নেই অামি ও বাধ্যগত মেয়ের মতো তাকে মেহেদী পরিয়ে দিতে শুরু করলাম।নিজের উপর রাগ লাগছে খুব। ছেলে টা দিয়ার দূর সম্পর্কের চাচা হয়। পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।দেশে বিয়ে-সাদী তে অাসা হয় না তাদের। তাই দিয়ার বিয়ের দাওয়াত পাওয়া মাত্র চলে এসেছে। ছেলেটার নাম দ্বীপ। অামি তার হাতে একটা বড় বৃত্ত ,তার অাশেপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট ফোঁটা ফোঁটা দিয়ে দিলাম। দ্বীপ হো হো করো হাসছে। কেন হাসছে বুঝতে পারছি না।তবে অামার ডিজাইন নিয়ে হাসছে তা বুঝতে পারছি।অামি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছি,কান গরম হয়ে অাসছে অামার। দিয়া বললো – -ইতা অামরার বাংলাদেশর ডিজাইন।অামরা এমনে ওই দেই।হাসতাছ খেনে চাচ্চু? দিয়ার চাচা দ্বীপ দিয়ার চেয়ে তিন চার বছরের বড় হবে বয়সে। সে বললো- -বিশাল একটা রুটি,তার মাঝে ছোটছোট মিহিদানা।অায়োজন তো ভালোই। বলে অাবার হাসতে শুরু করলো। ছোট বেলায় অাম্মা পাতা মেহেদী পাটায় বেটে হাতের তালুতে গোল একটা পূর্ণিমার চাঁদ দিতেন। মেহদী শুকিয়ে গেলে সেই চাঁদ কি সুন্দর কমলা রংয়ের অালো ছড়াতো। অার অাঙ্গুলের মাথায় টুপর পরানো মেহেদীর রং গুলো কে মনে হতো, চাঁদের অালো অাঙ্গুলের মাথায় ছড়িয়ে পরেছে। অামি অার ভাইয়া কার টা কত কড়া রং হয়েছে বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতাম। মনেঅাছে, অাম্মা মারা যবার পরে জরিনা অাপা একবার মেহদী বেটে ছিলো। অাব্বা রাতে বসে অামাদের দিয়ে দিলেন। সেই মেহদী মাখা হাত নিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে দেখি অাব্বা অামাদের হাত পলিথিন দিয়ে প্যাকেট করে রেখেছেন,যাতে লেপ্টে না যায়। যাইহোক একটা চিরকুট পেলাম,তাতে লেখা- “তোমার চেহারায় অদ্ভুত একটা ভাব অাছে,সেই ভাবের নাম দেবী।” অামি দ্বীপ কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি,তার সামনা-সামনি হতে চাই না।অামি কেমন লজ্জা পেয়েছিলাম বুঝানোর উপায় নাই। দিয়ার সমস্ত অানুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দ্বীপ অামাকে অারেক টা চিরকুট দিলো- “প্রেম করার সময় অামার হাতে খুব কম।” এরকম কথা লিখে কেনো অপমান করলো, বুঝতে পারলাম না। অাবার তাকে জিজ্ঞেস করার মতো ইচ্ছে ও অামার নেই। তার উপর কোন অাগ্রহ বা অনাগ্রহ কিছুই কাজ করছে না। যেখানে অাগ্রহ বা অনাগ্রহ কাজ করে না সেখানে কোন ঘটনার সূত্রপাত ও হয় না। তবে বেশ অপমান বোধ করছি। অামি তাকে এমন কিছু ইঙ্গিত দেইনি যে, সে অামার প্রেমে পরবে বা অামি প্রেমে পরেছি। শরতের বিকেল অদ্ভুত রকম সুন্দর। অামাদের পুকুরে অাব্বা লাল শাপলা লাগিয়েছেন। অামি পুকুরের সিঁড়িতে বসে পা’ ভিজিয়ে রেখেছি অালতা পরবো পায়ে। অালতা দেয়ার পর পা’ধোয়া যাবে না।শিউলি গাছে ফুল এসেছে।বিকেল থেকেই ফুলগুলো ফোঁটার জন্য প্রস্ততি নিতে থাকে। সন্ধ্যায় নামে অন্যরকম এক নিরবতা। হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণ শরতের রাত কে দেয় অন্যরকম অামেজ। পা, মুছে অালতা দিচ্ছি। অাব্বা পুকুরের ঘাটে বসে চা’য়ে এক চুমুক দিচ্ছেন অাবার সিগারেটে এক টান দিচ্ছেন।ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। সিগেরেটের গন্ধে অামার মাথা ঘুরায়। এখন তেমন খারাপ লাগছে না বরং মনেহচ্ছে অাব্বা অারেক টা সিগারেট খেলে’ই হয়তো ভালোলাগতো। অাব্বা অামকে বললেন শিউলি গাছের গুড়া টা বাঁধিয়ে দিবেন। অামি এই ফুল গুলোর টানে অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠি। পুকুর থেকে বাড়ি অাসার রাস্তা টা দেখা যায়।একটা মাইক্রো এসে থেমেছে অামাদের বাড়ির গেটে। দাড়োয়ান চাচা গেট খুলে দিলো। দিয়া তার বর অারো অনেকেই এসেছেন তবে বিরক্ত হয়েছি দ্বীপ কে দেখে। সে কেনো অাসলো? অাব্বা ভাইয়া কে ফোন দিয়ে বাড়ি অানলো। বুঝতে পারলাম তারা সমন্ধের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। অাব্বা বিয়ে দিবেন না এখন। অাব্বা চান না তার ছেলে-মেয়ে তার চোখের সামনে থেকে অনেক দূরে থাকুক। ভাইয়া বললো- – অাব্বা যা রাখার জিনিস নয় তা কোন ভাবেই রাখা যায় না। ধুমধামে অামার বিয়ে টা হলো দ্বীপের সাথে। বাসর রাতে সে একটা মেহেদীর টিউব অামার হাতে দিলো।অামি সারাদিনে অনেক ক্লান্ত এখন কি বসে বসে তাকে মেহেদী দিয়ে দিতে হবে। – বিন্দু সেদিন তো হাতের ছোঁয়া লাগবে তাই রুটি অার মিহিদানার ব্যাবস্থা করেছিলে।অাজতো সমস্যা নেই পোলাও,বিরিয়ানি,রোস্ট, রেজালার ব্যাবস্থা করে দাও। অামি তার কথা শুনে মুচকি হাসছি। সে অামার ডান গালের টোলে তার একটা অাঙ্গুল রাখলো। অামার একটা গালে-ই টোল পরে হাসলে। লজ্জায় জড়সড় হয়ে পরেছি অামি। ঘোমটা সরিয়ে তার মুখটা অামার ঘাড়ের কাছে এনে কানে কানে বললো- -সত্যি অামার প্রেমের এত সময় ছিলো না।তোমাকে ভালবাসার প্রবল ইচ্ছা অামাকে চেপে বসেছিলো। কথা বলার সময় তার ঠোঁট, কখনো অামার কান কখনো অামার গলা ছোঁয়ে দিচ্ছে।অামি কেঁপে কেঁপে উঠছি। এবার কিছুক্ষণ সে চুপ, অামি ও কোন কথা খুঁজে পাচ্ছি না। অামার মনে অনেক কথার বাজার জমেছে মুখে কোন কথা অাসে না। দ্বীপ, অাচমকা তার বুকে অামাকে নিয়ে নিলো। অামি চোখ বন্ধ করে অাদুরে বিড়াল হয়ে গেলাম। মন্দ মানুষ টা’র অাদর অামার মন্দ লাগছে না। বিয়ের অাড়াই বছরের মাথায় অামি সন্তান সম্ভবা।এমন অাবস্থায় স্বামী পাশে থাকা টা খুবই প্রয়োজন। দ্বীপ অাপ্রাণ চেষ্টা করছে অামাকে অার বাবু কে যত দ্রুত সম্ভব তার কাছে নিয়ে যাওয়ার। অাব্বা অামার দেখাশুনা করছেন বললে অন্যায় হবে। সেই ছোট্ট বিন্দুর মতোই অাবার কোলেপিঠে করে যত্ন নিচ্ছেন। কোথাও কোন ত্রুটি রাখছেন না। অামার পছন্দের খাবার গুলো চলে এসেছে অপছন্দের তালিকায়। অখাদ্য জিনিস গুলের ঘ্রাণ অামাকে পাগল করে দেয়। অামার ফুফু অাম্মা ঔষধ খেতে একদমই পছন্দ করেন না।তার মতে লাল রংয়ের ঔষধ গুলো রক্ত দিয়ে তৈরও হয়।হলুদ গুলো মাথার মগজ এমন অারো উদাহরণ দেন তিনি। তার ভিষণ কাশি তিনি বসে বসে কেরোসিন তেল তার গলায়, হাতের তালু,পা’য়ের তালুতে দিচ্ছেন।তার মতে সর্দি-কাশির সেরা ঔষধ কেরোসিন তেলের মালিশ। অামার কেরোসিনের গন্ধ ভীষণ ভালোলাগতে শুরু করেছে।খাবার খেতে গেলেই ফুফুঅাম্মার কাছ থেকে কেরোসিন এনে বুক ভরে গন্ধ নেই। একদিন সকালে দেখলাম অাব্বা ডায়নিং টেবিলের উপর একটা কাঁচের জারের মধ্যে নীল রংয়ের কেরোসিন রেখে দিয়েছেন। কাঁচের জারের মধ্যে কেরোসিনের রুপ অস্বাভাবিক রকম বেড়েগেলো। মনেহচ্ছে অাব্বা অামার জন্য এক টুকরো অাকাশ বন্দী করে রেখেছেন। কাজের লোকেরা কাজ করে যাবার পরেও অাব্বা বাথরুমের মেঝে কে পানি শূণ্য রাখেন অামার জন্য।বেসিন ব্যাবহারের পরে তিনি মেঝেতে পরে থাকা কয়েক ফোঁটা পানি ও খুব দায়িত্ব নিয়ে মুছেন। অামার মেয়ে হয়েছে। অাব্বা নাম রেখেছেন বাবুই। ছোট্ট বাবুই কে কোলে নিয়ে অাব্বা অঝোড়ে কাঁদছেন। অামি অাব্বা কে শেষ কবে কাঁদতে দেখেছি মনেপরে না। অাকাশ টা শেষ কবে অঝোড়ে ঝড়িয়েছে বৃষ্টি? মনেকরতে চাইলে হয়তো মনেপরবে। না, অামি অাকাশ কে ও কখনো এতো কাঁদতে দেখিনি। অামি অনেক বাবা দেখেছি। অামার চারপাশে অনেক বাবা অাছে। এমন বাবা অামি অার কখনো দেখিনি, এমন বাবার কথা অার কখনো শুনিনি। অামি চলে গেলে অাব্বা সন্ধ্যার নাস্তাটা কার হাতে খাবেন।অাব্বা পুকুর ঘাটে টুকটাক গল্প কার সাথে করবেন। অামি কখনোই বাবা কে ছাড়া কোথাও যাবো না। “হাজার নিয়মের মাঝে দুই একটা অনিয়ম না থাকলে নিয়মের সংজ্ঞা টা এতো সুন্দর হতো না।” (লেখা টা অামার অাব্বু কে উৎসর্গ করলাম,অাব্বু অামার দেখা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বাবা।) #তানজীনা অাফরিন মেরিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে