♥ বিধবা ♠
♥ বিধবা ♠
Writer : Nabila Ishq
Part : 6
ইছমি পা বাড়িয়ে সরে যায় দরজা টপকিয়ে যাবে তখনি হাতে টান অনুভব করে।
ইছমির মনে একধরণের ধুপ করে উঠে।
কোনো পুরুষ প্রথম তাকে স্পর্শ করেছে। তার হাত ধরেছে। যেটাতে ইছমির সম্পুর্ন শরিরে এক ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো।
ইছমি ঘুরে দেখার সাহসটা ও পাচ্ছে না। ইছমি পিছনে না ঘুরেই নিজের হাত টানতে থাকে। আর ইম্রেত আরো শক্ত করে ধরে নিজের দিক আনে। ইছমি যতই কাছে যাচ্ছে ইম্রেতের… ততই তার বুক ধুক ধুক করছে। এইবার ইম্রেত একটু জড়েই টান দিয়ে নিজের সামনে দার করায়। ইছমি ভয় ও লজ্জাতে চোখ দুটি নিচে করে রেখেছে। আর ইম্রেত নেশাঘোরা চোখে ইছমিকে দেখছে। ইছমি নিচে তাকিয়েই বলল….
ইছমি : ব….ব…বড় ভা..ভাই…ভাইয়া হাত টা ছা,, ছাড়ুন প্লিজ [ ভিত কন্ঠে ]
ইম্রেত কথাটা শুনে হাতটা ছেড়ে দিলো। ইছমি সরে যাবে তার আগেই ইম্রেত তার হাতটা ইছমির কমড়ে হালকা করে রাখলো।
ইছমি বড় বড় চোখ করে ইম্রেতের দিক তাকালো। ইম্রেত ইছমির অবাক চাহনিয় দেখে কমড় ধরে আরেকটু টান দিলো।
ইছমি ইম্রেতের শরিরের সাথে লাগার আগেই নিজের দুহাত ইম্রেতের পেট এ রাখে নিজেকে ইম্রেতের সাথে মিশানোর থেকে।
ইম্রেত ইছমিকে দেখতে ব্যাস্ত…
ইছমির মেঘ বরন চুলে টিপ টিপ ব্রিস্টির পানি পড়ছে।আর সেই ব্রিস্টির পানি ইছমির সারা শরির বেয়ে নিচে পড়ে অদ্ভুত শব্দ করছে। ইছমির পুরো শরির কাপছে, চোখ, ঠোঁট। গোলাপী ঠোঁট দুটি বেশি শিহরীত হয়ে কাপছে।
ইম্রেত ইছমির হাত দুটি নিজের এক হাতে নিয়ে পিঠে ঠেকিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
ইছমি চোখ বুঝে কেপে খিচে দাঁড়িয়ে আছে। ইছমি কি করবে তা সে জানে না কারন এই অনুভুতির সাথে তার আজ প্রথম পরিচয়। ইছমি চিল্লান দিবে নাকি ইম্রেত কে ধাক্কা দেবে তার কিছুই ইছমির মাথায় আসছে না। বুক ফেটে আওয়াজ করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছে না কোনো আওয়াজ ই আসছে না গলা দিয়ে।
ইম্রেত ধিরে ধিরে কমড়টা স্লাইড করলো।আর ইছমি কেপে ইম্রেতের হাত খামচে ধরে। ইম্রেতের হাত ক্রোমশো শুধু উপড়ে যাচ্ছে ইছমির পেটের সামনে ইম্রেতে হাত থামে। ইছমি আর সইতে পারছে না এই অনুভুতি হঠাত এমন অনুভুতি ইছমি নিতে পারছে না।
ইছমি চোখ ধিরে ধিরে খুলে দেখলো ইম্রেত তার দিক তাকিয়ে আছে।
ইছমি চোখ নামিয়ে বলল….
ইছমি : কি…. কি করছেন?
ইম্রেত আন্সার না দিয়ে ইছমিকে আরো নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। এতোটুকু ফাক নেই ধুজনের মদ্ধে।
ইম্রেত নিজের মুখটা ধিরে ধিরে ইছমির কানের কাছে নিয়ে বলে….
I love you ইছমি।
ইছমির বোঝা চোখ দুটি আপনা আপনি খুলে গেলো।সে এই মাত্র কি শুনলো। ইম্রেত তাকে ভালোবাসে। এটাও কি সম্ভব একজন লান্ডান বড় হওয়া ছেলে এক বিধবা মেয়েকে প্রপোজ করছে। নাকি সে জানে যে আমি বিবাহিতা হয়েও বিধবা।
ইম্রেত ইছমির কথার উত্তর না পেয়ে আবার বলল…
I really do….
I Truly love you.
ইছমি ধাক্কা দিয়ে ইম্রেতকে শরিয়ে দেয়। ইছমি দৌর দিতে নিলে ইম্রেত ইছমির হাত ধরে ফেলে। ইম্রেত ইছমির দিক আগায় আর ইছমি পিছনে।
ইম্রেত বলল…
আমি রিপ্লায় এখনি চাচ্ছি না ইছমি। তুমি তো আর আমার মতো ফিল করো না। বাট আমি জানি ধিরে ধিরে তুমিও ছেম ফিল করবে যা আমি তোমার জন্য করি।
ইছমি ইম্রেতের চোখে হাড়িয়ে যাচ্ছে। কি যেনো তার চোখে আছে যা ইছমিকে এক আলাদা অনুভুতি দিচ্ছে।
ইম্রেত নিজের হাত দিয়ে ইছমির দু হাত আলতো করে ধরলো।
ইছমি আমি তোমাকে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছি। যেই ভালোবাসাটা দিন দিন ক্রমোশো বেড়েই চলেছে।
ইছমি কি বলবে সে জানে না শুধু সে ইম্রেতের চোখের দিক তাকিয়ে আছে। সে চোখ ফিরাতে পারছে না। ইম্রেত যে এতোটা সুন্দর তা আজ প্রমান তার সামনে।
ছোটো চুল বেয়ে ব্রিস্টির পানি এসে ইম্রেতের মুখে ছিটিয়ে যাচ্ছে। সাদা চেহারায় লাল লাল ভাব আসছে হয়তো বা কেদেই দেবে ইম্রেত।
ইম্রেত আবারো বলল…
দেখো i know that আমি খারাপ। আমি তোমার জজ্ঞ না। বাট কি করবো বলো আমি যে তোমায় ভালোবেসেই চলেছি। এই মনকে কিভাবে বোঝাবো। আজ ৩ দিন ধরে নিজেকে কান্ট্রল করে রেখেছি আজ আর পারলাম না। জানি তুমি আমার থেকে যথেস্ট ছোটো বাট এই মনকে কি বলবো।
ইছমি ইম্রেতের কথায় এক ঘোড়ে চলে যাচ্ছে। ইম্রেত ইছমির হাত ছেরে দিয়ে আলতো করে কপালে চুমু খায়। ইছমি কেপে জামাটা দু হাত দিয়ে খামচে ধরে।
ইম্রেত আবারো ইছমির কাপা হাত দুটি নিজের হাতে নিয়ে বলল…
তুমি চিন্তা করো না। আমি এখন কোনো অহেতুক কাজ তোমার সাথে করবো না। তুমি কেমন এবং কি পছন্দ করো সেই অনুযায়ি তোমায় ট্রিট করবো। i know I’m bad but i promised তুমি আমার লাইফে এলে আমি টটেলি চেঞ্জ হয়ে যাবো God promise ইছমি।
ইছমি শুধু অবাক হয়ে ইম্রেতের কথা শনছে কারন ইম্রেতের এক একটা কথা ইছমির মনে গিয়ে বারি কাচ্ছে আর আলাদা ভালো লাগার অনুভুতি দিচ্ছে। ইছমি না চাইতেও কেদে ফেলে তার চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে।
ইম্রেত ব্রিস্টির পানি আর ইছমির চোখের পানি দুটি আলাদা করে ধরে ফেলেছে ইছমি কাদছে। ইম্রেত সাথে সাথে ইছমির থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ইছমির হাত ছেড়ে দিয়ে বলল…
ইছমি তুমি না চাইলে আমি তোমাকে টাচ করবো না নেভার । গড প্রমিসড। বাট প্লিজ কেদো না।
ইছমি লাল চোখ ইম্রেতের চোখে রেখে কাদতে কাদতে বলল….
কেনো ভালোবাসেন আমায়??
আপনি জানেন না যে আমি কি বা কে?
জানলে কখনো আমায় ভালোবাসার কথা বলতে পারতেন না। আমি যে কারো ভালোবাসা ডিজারভ করি না।
ইম্রেত কথা গুলি শুনে ইছমিকে টেনে নিজের বুকে নিয়ে নেয়। ইছমি চোখ বন্ধ করে ইম্রেতের বুকের ধুক ধুক আওয়াজ গুলি শুনতে পাচ্ছে যা ধিরে ধিরে বেশি বিট করছে।
ইম্রেত বলে উঠলো…
আমি কিছু জনতে চাই না, শুনতে চাই না,বুঝতে চাই না, আমি শুধু তোমায় চাই,তোমায় নিজের করে পেতে চাই,তোমার ভালোবাসা পেতে চাই,তোমার সব কস্ট আমার ভালোবাসা দিয়ে মুছে দিয়ে চাই,,,,
ইছমি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, এতোটাই যে আমি এখন তোমার কথা ছাড়া কারো কথা ভাবতেই পারি না।
আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো না। বাট আমি কনফিডেন্টলি বলতে পারবো তুমিও আমায় ভালোবাসবে।
ইছমি চোখ বুঝে ইম্রেতের বুকের ধুক ধুক আওয়াজ শুনছে। আর ইম্রেতের কথা গুলি ইছমির এক আলাদা ভালোলাগা এবং অজানা অনুভুতি দিচ্ছে। সে এমন কথা গুলি কখনো আগে শুনে নি।
ইম্রেত ইছমিকে ছেড়ে ইছমির সামনে দাড়িয়্র বলল…
কিছুতো বলো ইছমি?
ইছমির না চাওয়া সত্তেও এক আলাদা অনুভুতি লাগছে যা সে নিজেও জানে না।
ইছমি আচমকাই বলল…
আমি চেস্টা করবো।
কথাটা বলেই নিজের মুখ নিজেই চেপে ধরলো। আর ইম্রেতের মুখে বিশ্যজয়ের হাসি। ইম্রেত কখনো কল্পনাই করেনি যে ইছমি তাকে মেনে নেওয়ার চেস্টা করবে।
ইম্রেত সাথে সাথেই ইছমিকে হালকা করে জড়িয়ে ধরে। ইছমিকে ছেড়ে বলল…
ঠান্ডা লেগে যাবে।
অনেক্ষন যাবত ভিজছো বাসায় গিয়ে চেঞ্জ করে নাও।
ইছমি নিচে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল।
ইম্রেত ইছমির এক হাত ধরে নিচে নেমে আসলো। আর ইছমি আড়চোখে ইম্রেত দেখছে। হাপ পেন্ট পরে আছে ইম্রেত সাথে হাতা কাটা গেঞ্জি। ইছমির কেমন এক আলাদা ফিলিং হচ্ছে। এক আলাদা অনুভুতি হচ্ছে।
ইম্রেত ইছমিকে লিফট এ উঠিয়ে দিয়ে নিজেও উঠলো। ইছমি অবাক চোখে তাকালো ইম্রেতের দিক। ইম্রেত মুচকি হাসি দিলো। আর ইছমির বুকটা ধুক করে উঠলো।
লিফট ৫ তালায় থেমে গেলো ইছমি ফ্লাট থেকে বেড়িয়ে এলো। ইম্রেত বলে উঠলো…
ফোন নাম্বারটা বলো..
ইছমি মাথা নিচু করে নাম্বারটা বলে দিলো।ইম্রেত মুচকি হেসে বলল।
বাসায় গিয়ে ফ্রেস হও অনেক রাত হয়েছে। আমি ফ্রেস হয়ে কল দেবো কেমন।
ইছমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল।
ইছমি গেট এর সামনে গিয়ে তাকিয়ে দেখে ইম্রেত এখনো দাঁড়িয়ে। ইম্রেত মাথা নাড়িয়ে ভিতড়ে যেতে বলল।
ইম্রের হাসি দিয়ে নিজের ফ্লাটে এসে খুশিতে পারছে না নাচতে। সে এতো পরিমান খুশি যে কি করবে বুঝেই পাচ্ছে না। ফ্রেস হয়ে নিলো। ফ্রেস হয়ে ইছমির কথা ভাবছে।
ইছমি রুমে ঢুকেই দুটো বড় নিশাস নিলো। তারমানে কেউ উঠে নি। ইছমি ধির পায়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে জড়ে একটা নিশাস নিলো। কেমন এক ভালোলাগা কাজ করছে হয়তো কেউ তার কেয়ার নিচ্ছে বা ভালোবাসার মানুষ পেয়েছে তাই। ইছমি নিজের অজন্তেই মুচকি হাসলো হেসে ওয়াস্রুম গেলো ফ্রেস হতে ফ্রেস হয়ে বের হলো।
তখনি ফোনটা বেজে উঠলো ইছমি ফোনটা নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো। কি করবে ধরবে না ধরবে না। উফ দিধায় ভুগছে ইছমি। কলটা কেটে গেলো। আবারো কল এসেছে এই বার সাহস নিয়ে রিছিভ করলো…
আর ইম্রেতের মধুর কন্ঠ ভেসে আসলো।
চলবে…..
Writer : Nabila Ishq
Part : 7
তখনি ফোনটা বেজে উঠলো ইছমি ফোনটা নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো। কি করবে ধরবে না ধরবে না। উফ দিধায় ভুগছে ইছমি। কলটা কেটে গেলো। আবারো কল এসেছে এই বার সাহস নিয়ে রিছিভ করলো…
আর ইম্রেতের মধুর কন্ঠ ভেসে আসলো।
ইছমি কানে ফোন গুজে স্টেটুর মতো দাঁড়িয়ে আছে। সে জানেই না কি বলতে হবে বা কি করতে হবে।
ইম্রেত ইছমির চুপ থাকা দেখে বলে উঠলো..
” Nervous?
” উহুম ”
” তাহলে কথা বলছো না যে? ”
“………
” আচ্ছা ফ্রেস হয়েছো? ”
” হুম ”
” ডিনার? ”
“……..
” আচ্ছা Whats app আছে ”
” ওটা কি? ”
” গড 🙄 ওকে লিছেন play store app এ গিয়ে what’s app লিখে search করে install করে, চালু করে আমাকে একটা মেসেজ দিয়ো।
” কেনো? ”
” আগে করো দেন বলছি ”
” আচ্ছা ”
ইছমি কলটা কেটে ইম্রেতের বলা অনুশারে play store থেকে What’s app Install করে। ওপেন করে নিলো।
ওপেন করতেই ইম্রেত ভিডিও কল দিলো।
ইছমি কলটা রিছিভ করতেই ইম্রেত কে দেখতে পেলো। বিছানায় বালিশ জড়িয়ে ফোনের স্ক্রিনে সেই পাগল করার মতো হাসি দিচ্ছে।
ইম্রেত বলে উঠলো…
” ফোনটা এখানে সেট করে রেখে খাবার নিয়ে আসো।
” আস…আসোলে আ.. আমার খুদা পাচ্ছে না।
” আমি কি শুনতে চেয়েছি?
আমি খাবার আনতে বলেছি?
ইছমি ও বাদ্ধ মেয়ের মতো খাবার আনলো।
ইম্রেত মুচকি হেসে বলল…
” নাও খেয়ে নাও?
ইছমি তার মনের সাথে নানান যুদ্ধ করে। বলে ফেলল…
” আপনি খেয়েছেন?
” না ‘
” তাহলে আপনিও খেয়ে নিন।
কথাটা শুনে ইম্রেতের মনে বিস্যজয়ের হাসি। সে তো এটাই চাচ্ছিলো যে ইছমি সেধে তাকে জিজ্ঞেস করুক।
ইম্রেত বলল….
” আচ্ছা তুমি খাও আর পুরো খাবার সেশ করো আমি খেয়ে আসছি।
” (মুচকি হাসি) ”
” ইছমি Do you know আমি তোমার এই মুচকি হাসিটা অসম্ভব পছন্দ করি।
ইছমিও ভাবছে যে সে ও তো ইম্রেতের হাসি দেওয়াটা প্রচন্ড পছন্দ করে। বাট সে এখনো সকে আছে। সব সপ্ন মনে হচ্ছে।
ইম্রেত আবারো বলল…
” আচ্ছা খেয়ে নাও?”
কলটা কেটে গেলো ইছমি খাচ্ছে আর নিজের অজানতেই হাসছে। ইছমির এক ভালোলাগা কাজ করছে। যেটা কেউ কখনো করে নি সেটাই ও করলো। ইছমিকে রাত্রে কেউ খাওয়াতে পারে না। আর ইম্রেতের একটা কথাতেই সে খেয়ে নিলো।
নিজে নিজেই হেসে দিচ্ছে বারবার। ইছমি খাবারটা খেয়ে নিলো।পেলেট রেখে এসে দেখে ইম্রেত ৩ বার কল দিয়ে দিয়েছে। আবারো বাজতেই রিছিভ করে নিলো।
” হুম ”
” খাওয়া হয়েছে?
” হুম! আপনার?
[ মুচকি হেসে ফেলে ]
” হুম তো কাল কলেজ আছে তো তাই না?
” হুম ”
” আচ্ছা শুনো তোমাকে বাসে করে যেতে হবে না। ওকে.. আমি নিয়ে যাবো আমি নিয়ে আসবো। আর প্লিজ ছেলেদের কাছ থেকে একশো হাত দূরে থাকবা। কেউ কিছু বললে ফারস্টলি আমায় বলবা।
গট ইট?
[ এতো অনুভুতি কোথায় রাখবে ইছমি সে যে শুধু অবাক হচ্ছে ]
” নাহ আমি বাসে যেতে পারবো আমার প্রব্লেম হয় না ”
” আমি তো তোমার মতামত চাই নি [ ভ্রু কুচকে ] আমি শুধু যা বলেছি তা মানবে।
” জি ”
বলছিলাম যে আজান দিচ্ছে?
” তো তোমার কি ঘুম ধরেছে?
” না মানে নামাজ পড়তে হবে তো।
” নামাজ পড়বে?
” হুম
” আচ্ছা আমি রাখছি তুমি নামাজ কম্পলিট করে কল দিয়ো।
” জি একটা কথা বলি?
” ইয়াহ সুইটি বলো।
সুইটি শুনে ইছমির বুকে ধুক কিরে উঠলো। সুইটি কেমন টান আর অদ্ভুত ভাবে বলল ইম্রেত। বেপারটা ইছমির অসম্ভব ভালো লেগেছে। ইছমি বলল..
” আপনিও নামাজ পড়তে পারেন আজান তো দিয়ে দিয়েছে?
” আস… আসোলে [ কিছুক্ষন চুপ থেকে ] আচ্ছা যাচ্ছি। আমি নামাজ পরে এসে কল করবো। ওকে।
” হুম ”
ইম্রেত উঠে পরলো। ওর অনেক বছর ধরে নামাজ কালাম আল্লাহর নাম নেওয়াই হয় নি। লান্ডান এ গিয়ে সব ছেড়ে দিয়েছিলো। বাট সে ইছমির কথা ফেলতে পারবে না।তাই মসজিদে যাওয়ার জন্য কাপড় পরে পবিত্র হয়ে টুপি পরে। বাহিরে বের হয়ে দেখে তার বাবা মসজিদ যাওয়ার জন্য বের হবে। ইম্রেতের বাবা ইম্রেতকে দেখে একটা বড় লেভেল এর সখ খেলো।
ইম্রেতের বাবা বলল…
” ইম্রেত বাবা এতো সকালে তুই তাও এভাবে? আমি ড্রিম দেখছি নাতো?
” না বাবা চলো নামাজ আদায় করে আসি।
ইম্রেতের বাবা একটা বড় হাসি দিলো। আর ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
ইছমি নামাজ আদায় করে তার মা_বাবা কে উঠিয়ে দিলো। দেন নিজে কিচেনে চলে গেলো। ফোনটা সাথে নিয়ে এসেছে জানে ইম্রেত কল করবে।
ভাবতে ভাবতেই ইম্রেত কল দিয়ে ফেলল। বাবা মসজিদ গেছে আর মা নামাজ পরছে তাই কৌশলে ফোনটা রিছিভ করলো ইছমি।
” হুম
” নামাজ পরেছো
” হুম আচ্ছা এখন একটু ঘুমিয়ে নাও।
” নাহ আসোলে ব্রেকফাস্ট, রান্না ও করতে হবে ঘড়ের অনেক কাজ আছে।
” তুমি এখন কাজ করবে?
” হুম
” আচ্ছা আমাদের বাড়িতে একটা আন্টি আছে উনাকে আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি উনি সব করে দিয়ে আসবে। তুমি শুয়ে পরো গিয়ে।
ইছমির মুখে একটা মুচকি হাসি আসলো। ইছমি বলল…
” আমার রাধতে ভালো লাগে তো ।
” তাই আচ্ছা শুনো কলেজ করে বাসায় গিয়ে রেডি হয়ে নিবা।
“???????
” আমরা লং ড্রাইভে যাবো।
” আমরা বলতে?
” তুমি, আমি, কিমরান আর মহিনি।
ইছমির মুখটা ছোটো হয়ে যায়। মহিনি আর কিমরান ভাইয়া তাহলে সে কিভাবে যাবে।আর বেপারটা খারাপ দেখাবে।
ইম্রেত আওয়াজ না পেয়ে বলে উঠলো…
” তুমি টেনশান নিয়ো না।
আমি সব মেনেজ করবো। তুমি শুধু সুন্দর ভাবে রেডি হয়ে থাকবা।
” হুম
” আচ্ছা আমার জন্য তোমার হাতের রান্নার খাবার আনতে ভুলো না কিন্তু।
” তাই কি খাবেন?
” সত্যি বলবো?
” হুম সত্যি।
” বিরিয়ানী ইছ মাই ফেভারিট।
জাস্ট আই লাভ ইট।
” আচ্ছা
” সুইটি এতো কাজ করলে তো অসুস্থ হয়ে পরবা। ওয়েট আমি ব্যাবস্থা করছি তোমার আর কাজ করতে হবে না।
আচ্ছা রাখছি টেক কেয়ার আর কলেজ যাওয়ার আগে কল দিয়ো।
“হুম ”
ইম্রেত কলটা কেটে দিয়ে বালিশে মুখ গুজে ৩ ৪ ঘন্টা আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে করছে। ইছমিকে জড়িয়ে ধরা, কপালে কিস করা, ওকে মনের কথা বলা। ইম্রেতের কেমন জানো নতুন জীবন পেলো এমন মনে হচ্ছে।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো।
ইছমি রান্না বান্না করে বাবাকে অফিস পাঠিয়ে দিলো। মহিনি আগেই কলেজে চলে গেছে। ইছমি সব কাজ সেশ করে একটু দেড়ি করে বের হয়।
ইছমি বেগ কাধে নিয়ে বাস এর জন্য দাঁড়িয়ে আছে হঠাত হোয়াইট কালারের একটা গাড়ি সামনে দাড়ালো। গাড়ির দরজা খুলে দিলো ইম্রেত।
” বসো
“……৷
” গেট ইন সুইটি।
ইছমি চুপ চাপ বসে পরলো।
ইম্রেত ইছমিকে এক পলকে মাথা থেকে পা প্রজন্ত দেখলো। এমনেই পিচ্চি তার উপর কলেজ ড্রেস পরলে আরো ছোটো দেখায় আর অসম্ভব সুন্দর লাগে। মুচকি হেসে কথা গুলি ভাবছে ইম্রেত।
হঠাত ইম্রেত গান ছাড়লো…
বারিশ সং [ নিজ দায়িত্তে শুনে নিবেন😋]
ইছমির এক ভালোলাগা কাজ করছে না চাওয়া সত্তেও বার বার ইম্রেতের দিক চোখ যাচ্ছে। একদম বাচ্চাদের মতো দেখতে লাগছে। ঘুম থেকে উঠে এসেছে তাই হয়তো।
ফুল ব্লাক পেন্ট, হোয়াইট বড় হাতার গেঞ্জি, আর স্লিপার পড়া। আর ছোটো চুল গুলি সামনে এসে খেলছে। অসম্ভব ভালো লাগছে ইছমির।
ইম্রেত বলে উঠলো…
” এক্সিডেন্ট করবো তো এভাবে তাকিয়ে থাকলে।
ইছমি শরম পেয়ে অন্যদিক তাকিয়ে ফেলে।
ইম্রেত বলল…
” ব্রেকফাস্ট??
” মাথা নাড়িয়ে না জানালো।
হঠাত ইম্রেত গাড়িটা ব্রেক করলো।ইছমি অবাক চোখে তাকালো। ইম্রেত গাড়ি থেকে নেমে হাত বাড়িয়ে দেয় ইছমিকে নামতে। তাই ইছমিও হাত ধরে নেমে পরে।
যথেস্ট সুন্দর এবং বড় রেস্টুরেন্ট। সেখানে ঢুকেই ইম্রেত বলল…
” দু তালাটা আমার এখন চাই।
” জি লিনোর স্যার।
আমি এখনি খালি করতে বলছি।
” থেংকিউ!
কিছুক্ষন পর রেস্টুরেন্টের দু তালাটা সম্পুর্ন খালি হয়ে গেলো।
ইম্রেত ইছমির হাত ধরে উপড়ে গিয়ে চেয়ার টেনে দিয়ে বলল…
” বসো
ইছমিও লক্ষি মেয়ের মতো বসে পরলো। ইছমি জীবনের প্রথম এতো সুন্দর কোনো রেস্টুরেন্টে বসে আছে তাও আশেপাশে কেউ নেই। সফট মিউজিক, নানান লাইটছ। আশপাশটা খুবি সুন্দর ভাবে সাজানো।
এখান থেকে দেখা যাচ্ছে নিচে মানুষ গুলি ভির করে আছে আর এখানে ও আর ইম্রেত একা। বাট ওর কেনো জানো কোনো সাহস হয় না ইম্রেত কে কিছু বলার। প্রচন্ড ভয় পায় ইম্রেতকে। ভয় পাওয়ার মতো কিছুই করে নি ইম্রেত। তাও সম্মান আর ভয়টা ইছমি ইম্রেত দেখলে বেশি ফিল করে।
ভাবতে ভাবতেই সাদা কর্ট ড্রেস পড়া একজন লোক আসে। হয় তো মালিক হবে রেস্টুরেন্টের । সে বলে উঠলো….
” লিনোর স্যার যে,,, কবে আসলেন বাংলাদেশ।
” এইতো ৪ দিন হচ্ছে।
” কবে ফিরছেন?
ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল…
” আর যেতে চাচ্ছি না।
” তা তো ভালো আচ্ছা খেয়ে নিন স্যার।
পরে আবার দেখা হবে।
লোকটা চলে যেতেই ওয়েটার আসে।
” স্যার ওরডার প্লিজ?
ইম্রেত ইছমিকে মেনুটা দিলো। বাট ইছমি কিছুই বুঝছে না কি খাবে কজ সে এগুলি খায় নি। তাই ইম্রেতের দিক তাকালে ইম্রেত মেনুটা নিজে নিয়ে অনেক গুলি অরডার করে। ওয়েটার চলে যায়।
ইম্রেত বলল…
” ওরডার দিচ্ছিলে না কেনো?
” আসোলে আমি বুঝছিলাম না।
” আচ্ছা তোমার ক্লাস শুরু হতে এখনো ২৩ মিনিট আছে সো রিলেক্স।
” জি [ মাথা নিচু করে ]।
ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে আছে আর ইছমি নিচে তাকিয়ে দেখছে আরো বড়লোক ফেমিলি থেকে কতো মানুষ। আর কি সুন্দর তাদের ড্রেস আর সে কি পরে এসেছে। ওয়েটার এসে খাবার সব সারভ করে দেয় পুরো টেবিলে। ইছমি ভুতুম পেচার মতো বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। ইম্রেত মুচকি হেসে বলল…
” কি হয়েছে সুইটি?
” এতো খাবার কে খাবে?
” আমি খেয়ে আসি নি। আর ওগুলু সব তুমি খাবে সো স্টার্ট করো।
ইছমি একটা ঢোক গিলে খাওয়া শুরু করলো। ইম্রেত ওয়েটার কে উদ্দেশ্যে বলল…
” এই নাও [ কিছু টাকা দিয়ে ] তুমি রাখো। আর তুমি আসতে পারো।
ওয়েটার চলে গেলে ইম্রেত ইছমির দিক তাকায়। ইম্রেত খেয়ার করলো ইছমির ঠোঁটে একটা কালো তিল। ইম্রেতের নজর সেখানেই আটকে গেছে। তারাহুরা করে পাশ থেকে পানি নিয়ে ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলো। আর চোখ নামিয়ে ফেলল।
ইম্রেত বেশ কিছুক্ষণ পর বলল…
” একটা কথা বলি সুইটি?
” জি বলুন।
” শুনো as u know আমি লান্ডান এই বেশি ছিলাম সো আমার বিহেভ ও তেমনি হবে। দেখো আমি যদি কখনো তোমার কাছে যেতে চাই বা তোমায় ধরি তুমি খারাপ ভাবে নিয়ো না প্লিজ। শুধু আমাকে বুঝিয়ে দিয়ো বা আমার তোমার নেশাটা কাটিয়ে দিয়ো বাট ভুল বুঝোনা ওকে।
ইছমি থতমত খেয়ে গেলো। সে কিছুই বুঝলো না ইম্রেতের কথা। তাই বলল…
” নেশা কিভাবে?
ইম্রেত মুচকি হেসে বলল…
” পিচ্চি সুইটি তুমি বুঝবে না। জাস্ট আমায় ভুল বুঝো না। কারন তোমায় দেখলে আমার নেশা চরে যায়। আচ্ছা বাদ দাও…
তোমার থেকে খাইয়ে দেবে।
ইছমি কথাটা শুনে থম। এইটা কেমন ফিলিং কেমন করে থামাবে তার বুকের ধুক ধুক টা। ইম্রেত যেভাবে ওকে ট্রিট করছে। ইছমির মনে হচ্ছে ও সপ্ন দেখছে। আদো কি ও এতো ভালোবাসা, কেয়ার, ডিজারভ করে। ইম্রেত আন্সার না পেয়ে বলল…
” আচ্ছা প্রব্লেম নেই তুমি খেয়ে নাও।
ইছমি ইম্রেতের কথায় ইম্রেতের দিক স্পুন দিয়ে খাবারটা এগিয়ে নিলো।
ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমির হাত আলতো করে ছুয়ে খেয়ে নিলো। ইছমির কেমন এক আলাদা লাগছে। নিজেকে কুইন মনে হচ্ছে।
এভাবেই ইছমি ইম্রেত কে খাইয়ে দেয়।
খাওয়া সেশ করে ইম্রেত বিল পেমেন্ট করে দিলো। গাড়ির দরজা খুলে দিলো ইছমি গিয়ে বসে পরলো। ইম্রেত ও বসে পরলো।
ইম্রেত আড় চোখে ইছমিকে দেখছে। মারাত্তক লাগছে ইছমিকে আবার এখন তো আরো মারাত্তক লাগে ঠোঁটের তিলটার জন্য। আজ আলোয় কাছে থেকে সুন্দর ভবে দেখা গেলো।
কলেজে পৌছাতেই ইছমিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলো। আর বলল…
” সাবধানে ক্লাস করো আর আমি ফোন করলে বের হবা ওকে।
” জি
ইছমি চলে যেতেই ইম্রেত গেট এর দাড়োয়ান এর কাছে গিয়ে অনেকগুলো টাকা দিয়ে বলল…
” যে মেয়েটা গেলো ভিতরে ওর যাতে কোনো প্রব্লেম না হয় দেখে রাখবা।আর ওকে কেউ কিছু বললে বা বিরক্ত করলে এই যে আমার নাম্বার আমায় কল করবা।
ওকে?
” জি স্যার।
ইম্রেত গাড়ি নিয়ে বাসায় যায়। তখনি কিমরান বলে উঠে…
” ভাই তোর কি হয়েছে বল তো। এতো সকাল উঠেছিস আবার মাশাল্লাহ নামাজ ও পরেছিস।
শিলা ইম্রেতের কাছে এসে কপালে চুমু দিয়ে বলল…
” আমি আজ এতো খুশি তোর জন্য। আমার লক্ষি ভাই।
কিমরান বলল…
” আর আমি বুঝি লক্ষি না।
” [ কিমরানের গাল ধরে ] তুই তো আমার আরেক লক্ষি।
তিন ভাই বোন মিলে হাগ করলো। আর তার মা_বাবা মুচকি হাসছে।
ইম্রেত রুমে ঢুকতেই কিমরান এলো। কিমরান ইম্রেতকে ঘুর ঘুর করে দেখছে। ইম্রেত বলল…
” What?
” ভাই তুই কি করছিস বলতো?
” কেন কি হয়েছে?
” কাল রাত তোকে বাহির থেকে আসতে দেখলাম। আজ এতো তাড়াতাড়ি উঠলি। কেমন খুশি খুশি লাগছে তোকে। বেপার কি ভাই?
” তেমন কিছু না।
” আমি তো তোর ফ্রেন্ডের মতোই সব হেন্ডেল করি আমায় বলবিনা।
ইম্রেত কিমরান কে ইছমির বেপারে সব বলে দেয়। যে সে ইছমিকে অনেক ভালোবাসে।
” ইছমি রাজি?
” নাহ ও তো চেস্টা করবে বলেছে।
ইম্রেত ভাবলো কিমরান মনে হয় খুশি হয় নি।তখনি কিমরান ইম্রেতকে অবাক করে টাইট করে জড়িয়ে ধরে বলে…
” ভাই আমি আজ অনেক খুশি তুই তোর জন্য সেরা লাইফ পারটনার খুজেছিস।ইছমি ভাবি ইছ জাস্ট ওউসাম।
ইম্রেত ও জড়িয়ে ধরে। কিমরান আবারো বলল…
” জানিস ভাই ইছমি ভাবি অনেক ভালো,অনেক নেক এবং অনেক পবিত্র। আর সবচেয়ে অনেক সুন্দর।
” তাই?
” একদম উফ ভাবিকে একটা হাগ করে যে কখন সামনাসামনি ভাবি বলে ডাকবো।
আচ্ছা শুন আজকে তো আমরা ঘুরতে যাচ্ছি। তারপর তো দুই পরিবার?
” হুম
” তো কয়টায় যাচ্ছি?
” ইছমি কলেজ থেকে আসুক দেন?
” তুই কি ভাবিকে কলেজ দিয়ে এসেছিস?
” হুম মাত্র।
” হাউ রোমান্টিক 😘
ইম্রেত সাওয়ার নিয়ে কিছু কাজ করলো লেপটপ এ। দেন রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরলো। নিচে নামতেই আবার সেই মেয়ে গুলি।ইম্রেত কে দেখে হাত নাড়িয়ে হায় দিলো। ইম্রেত ও চোখ মেরে এয ওলয়েয ভাবে হায় দিলো।
ইম্রেত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো। কলেজ পৌছালে দেখলো ইছমি তার বান্ধুবিদের সাথে কথা বলতে বলতে বের হচ্ছে।
ইছমি কাছে আসতেই ইম্রেত মুচকি হেসে গেট ওপেন করে দিলো। ইছমি বসে পরলো। ইছমি ইম্রেতের দিক তাকিয়ে দেখলো গোসল করে এসেছে চুল এখনো ভিজে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
ইম্রেত গাড়ি স্টার্ট দিলো আর বলতে লাগলো…
” কেমন হলো ক্লাস?
” [ মুচকি হেসে ] ভালো।
ইছমি দেখলো গাড়ি বাসার দিক যাচ্ছে না।ইছমি বলল…
” বাসা তো ওইদিক দিয়ে।
” আমরা শপিং করতে যাচ্ছি।
” আমার শপিং লাগবে না তো।
” আমি কি তোমায় জিজ্ঞাস করেছি?
ইছমি মাথা নিচু করে বসে আছে….
চলবে……