{বিধবা
The insane love }
Writer : Nabila Ishq
Part : 14
ইছমি উচু হয়ে চোখ বন্ধ করে তার ঠোট ইম্রেতের গালের দিক নিচ্ছিলো। আর এক ইঞ্চি দূরে থাকতেই ইম্রেত ঘুরে ইছমির ঠোঁটে কিস করে বসলো 😨।
ইছমি চমকে উঠলো। ইছমি শরে যাওয়ার আগেই ইম্রেত ইছমির কমড় টাইট করে ধরে নিজের সাথে মিশালো। দুজনের মদ্ধে নেই কোনো দুরত্ত আছে ভালোবাসার পরশ। ইম্রেত আবেশে ইছমির ঠোঁটের শাদ গ্রহন করছে। ইছমি তো দোটানায় ঝুলে রয়েছে শরম, বিবেদ, আর ভালোলাগা, তাও শরম আর ভালোলাগাটা বেশি কাজ করছে।
অনেক্ষন যাবত ইম্রেত তার সুইটির ঠোটের শাদ নিলো। ইছমির ঠোঁটে তার ঠোঁট থাকা অবস্থাই ইছমির দিক ইম্রেত তাকালো। বড্ড কিউট দেখাচ্ছে ইছমিকে। শরমে লাল টমেটোর মতো গাল হয়েছে। ফেছ দেখার মতো।
ইম্রেত কিস করছে না। শুধু ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে রেখেছে। ইছমি হালকা করে চোখ খুলে তাকিয়ে আরো শরম পেয়ে যায়। ইম্রেত নেশাগ্রস্ত চোখে তারি দিক চেয়ে আছে। বেপারটা প্রচন্ড শরমের বেপার। ইছমি মাথা নিচু করে সরতে নিলে ইম্রেত শরতে দেয়। জড়ে পুস করে একটা কিস করে তারপর ছেড়ে দেয়৷
ইছমি এখনো নিজের জামা খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। ইম্রেত ইছমিকে পিছন থেকে জড়িয়ে বলে…..
” এতো শরম পাওয়া মেয়ে আমি আমার লাইফে প্রথম দেখলাম। কজ আমি লান্ডান যেই মেয়েদের সাথে কথা বলতাম ওরা শরম তো দূরে থাক উল্টো আমার সাথে থাকার জন্য আমার বাসার গেটে এসে পরতো।
ইছমি শরম পাওয়া মুখটা মুহুর্তেই মলিন হয়ে গেলো। আসোলে ইম্রেতের সাথে অন্যকেউ থেকেছে শুনলেই ইছমির বুকে ছেত করে উঠে । ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমিকে আরো চেপে ধরে বলল…
” উহুম উহুম জেলাছ হাহ…
ইছমি মুখটা অন্যপাশে ঘুরিয়ে বলল….
” কেনো জেলাছ হবো আপনি তো আমায় ভালোবাসেন তাই না। আর আপনার ভালোবাসা তো শস্থা না যে আমি জেলাছ ফিল করবো। কারন আমি আপনার ভালোবাসায় সম্পুর্ন আস্থা রেখেছি।
ইম্রেতের মুখে বিশ্যজয় করা হাসি। ইম্রেত এমন একটা কথা কখনি আশা করে নি। ভেবেছিলো অন্যকিছু বলবে বা রাগ করে মুখ ফুলাবে। আজ তার কোনো সন্দেহ নেই যে ইছমি তাকে অনেক ভালোবাসে। পরম আদরে ইছমিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। নিজের দু হাত দিয়ে ইছমির কমড় ধরে উঁচু করে নিজের সমান উঠায়। ইছমি ভয়ে চেচিয়ে উঠে….
” কি করছেন ইম্রেত নামান আমায় ভয় করছে!
ইম্রেত হেসে ফেলে দেওয়ার ঢং করতেই ইছমি তার হাত দুটো ইম্রেতের দু কাধ জড়িয়ে ধরে। ইম্রেত মুচকি হেসে উচু করেই ইছমি কপালে চুমু খেয়ে জড়িয়ে ধরে। ইছমিও ইম্রেতের ঘারে মাথা রাখে।
অনেক্ষন এমন ভাবেই ছিলো দু’জন হয়তো ভালোলাগছিলো এভাবে থাকতে। ইম্রেত ইছমিকে নামিয়ে দিয়ে আকাশের দিক তাকায়। ইছমিও আকাশের পানে তাকায়। রাত হওয়ায় তারা আর চাঁদ সম্পুর্ন স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। এমন রাত্রে ভালোবাসার মানুষের সাথে চাঁদ দেখলে অনেক আনন্দ লাগে।
দু’জন দূর আকাশে তাকিয়ে আছে। ইম্রেত আড়চোখে ইছমিকে দেখছে। চাদের আলোয় ইছমিকে আরো বেশি মায়াবতি লাগছে। ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে বলল….
” মিলন হবে তো আমাদের সুইটি?
ইম্রেতের হঠাত এমন কোথায় ইছমির বুকটায় ছেত করে উঠে। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইম্রেতের দিক। নিজেকে সামলিয়ে দূর আকাশে তাকিয়ে বলল…..
” শুনেছি কেউ কাউকে নিজের থেকে বেশি চাইলে পুরো পৃথীবি নাকি তাদের এক করার জন্য প্রস্তুত থাকে। [ইম্রেতের দিক তাকিয়ে ] তাহলে আমি তো আপনাকে আমার নিজের থেকে বেশি চাই।
মিলন কেনো হবে না আমাদের।
ইম্রেত এবারো ইছমির দিক তাকিয়ে আছে। ইছমি নিজের মুখটা ঘুড়িয়ে আকাশের দিক তাকালো। ইম্রেত মুচকি হেসে বলল….
” ভালোবেসে ফেলেছো আমায় তাই না?
ইছমি মুচকি হাসলো। ইম্রেত কিছু বলবে তখনি মহিনি আর মাহিন এর আওয়াজ ভেসে আসলো।
ইম্রেত আর ইছমি দুজনই ছাদের গেট এর দিক তাকালো। মহিনি আর মাহিন এসেছে। মাহিন দৌরিয়ে ইম্রেতের দিক ছুটে এসে বলল…
” ভাইয়া আমায় ছাড়া কেনো এসেছো।
” তুমি তো ঘুমিয়ে ছিলে তাই।
” আচ্ছা পড়েরবার আর আমাকে ফেলে একা আসবে না। তোমাদের দেখে রাখা আমার দায়ত্তি তো।
ইম্রেত, ইছমি, মহিনি তিনজন ই হেসে দিলো। ইম্রেত মাহিনকে কোলে নিলো। মাহিন ইম্রেতকে জড়িয়ে ধরলো। মাহিন আর ইম্রেত দুষ্টুমি করছে আর ইছমি আকাশ পানে তাকিয়ে আছে। এক অদ্ভুত ফিলিং হচ্ছে ইছমির। আশেপাশের প্রতিবেশীরা কি বলে বা কানাঘুছা করে তাও ইছমি তাদের পাত্তা দেয় না। কারন ইম্রেত ইছমির সামনে ঢাল হয়ে থাকে। কিন্তু তাও এক অদ্ভুত ভয় ইছমির মনে গেথে রয়েছে। মহিনি পাশে দাঁড়িয়ে ইছমির কাধে হাত রেখে বলল….
” কি হয়েছে আপু?
” নাহ তেমন কিছু না।
” চলো বাসায় যাই রাত ৯ টা বাজতে চলল।বাবা এসে পড়বে।
ইছমি মাথা নাড়িয়ে শায় জানালো। সবাই নিচে নেমে লিফট এ উঠে পরলো। লিফট এ ও মাহিন ইম্রেতের কোলে ছিলো। মাহিন তো বকবক করেই যাচ্ছে তার নাকি ইম্রেতকে অনেক ভালো লাগে।
ইম্রেত ও সেই কথাই রিপিট করছে। মাহিন এর কথা শুনে সবাই হাসছে।
৫ তালায় আসলে ইছমি মহিনি বের হলেও মাহিন বের হচ্ছে না। তাই ইম্রেত বলল….
” ওকে তোমরা যাও আমি মাহিনকে নিয়ে বাহিরে যাচ্ছি কিছুক্ষন পর এসে পরবো।
মাহিন তো খুশিতে ইম্রেতের কোলেই লাফালাফি করছে। ইম্রেত মুচকি হেসে বাহিরে চলে গেল। পাশের মল এ ঢুকে মাহিনকে পছন্দ করতে বলল…
মাহিন শুট, চকলেট, আইসস্ক্রিম বক্স, আরো কিছু নিলো। কিনা কাটা শেরে দুজন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
ইছমি আর মহিনি বাসায় এসে ডাইনিং এ বসে পরলো। দুজনে টিভি দেখছে। বেল বেজে উঠতেই মহিনির মা গেট খুলে দিলো। ইম্রেতের কোলে মাহিনকে দেখে বলল…
” এতো বড় ছেলে হয়ে তুই ভাইয়ার কোলে চড়েছিস নাম।
ইম্রেত মুচকি হেসে বলল….
‘ থাক আন্টি।
” ভিতড়ে আসো বাবা?
” না আন্টি আমার কিছু কাজ আছে আরজেন্ট।
” আচ্ছা বাবা।
ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে একটা চোখ টিপ মারলো। ইছমি মুচকি হেসে অন্যপাশে ফিরে যায়। মাহিনকে নামিয়ে পেকেট গুলি মাহিনের হাতে দিয়ে ইম্রেত চলে যাচ্ছিলো তখনি মহিনি চিল্লিয়ে বলল….
” আরেহ আপি ভাইয়া কে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসো না।
ইছমির মা ও বলল..
” হ্যা ইছমি যা।
ইছমি কি করবে অগ্যতা গেলো। ইম্রেত তো খুশিই হয়েছে। এমন শালি পেলে তো লাইফ ছেট। ইছমি বাহিরে আসতেই ইম্রেত ইছমির কমড় জড়িয়ে ধরে বলল….
” অনেক মিস করি তোমায় রাত্রে?
ইছমির চোখ দুটি বড় বড় হয়ে যায়। ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমিকে নিজের দিক ঘুড়িয়ে বড় হওয়া চোখে কিস করতেই ইছমি চোখ বন্ধ করে ফেলে।
ইম্রেত ইছমির নাকে নাক ঘষে লিফট এ উঠে পরে।
আর ইছমি ইম্রেতের যাওয়ার দিক তাকিয়ে আছে।
ইম্রেত যেতেই ইছমি ঘরে ঢুকে দেখে মাহিন, মহিনি, পেকেট হাতাচ্ছে যেটা ইম্রেত দিয়ে গেলো। অনেক কিছু কিনে দিয়েছে ইম্রেত আর তার জন্য চেচাচ্ছে মা। আমি মুচকি হেসে নিজের রুমে গিয়ে পড়তে বসলাম।
অনেক রাত্রে ইম্রেত কল করতেই ইছমি কথা বলল। অনেক রাত পর্যন্ত দুজন কথা বলল। প্রতিদিন রেগুলার রুটিন অনুযায়ী ইম্রেত ইছমিকে কলেজ নিয়ে যায় প্লাস নিয়ে আসে। রাত্রে ছাদে গিয় চাঁদ দেখে দুজন কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যেতো। কথা না বলে ঘুমুতে পারতো না দুজন।
ধিরে ধিরে সেই দিন এসে পরলো যেদিন ইছমি _ইম্রেত _মহিনি আর কিমরান এর এনগেজমেন্ট হবে।……….
চলবে……