বিধবা
Writer : Nabila Ishq
Part : 9
তখনি ইম্রেত চোখ তুলে সামনে তাকিয়ে 😨হা হয়ে রয়েছে। তার সামনে যে আজ অন্য ইছমি।
কালো চুরিদার গোল্ডেন জামার সাথে চুরিদার ছেলোয়ার। ওরনা এক সাইডে,, নাগ জুতো সাথে কালো ঘন স্ট্রিট চুল গুলি তো আছেই।
সামান্য পুরোনো জামা পড়া ইছমি ইম্রেতকে পাগল করেছিলো। আজ তার সামনে সেই ইছমি তার দেওয়া ড্রেস পরে তার পছন্দ মতো সেজেছে।
ইছমি উপড় থেকে ওরনা টা ঠিক করতে করতে নামছে আর এদিকে ইম্রেতের বুকের বাম পাশে ধুক ধুক শব্দ করছে।
ইছমি ইম্রেতের দিক তাকিয়ে এক মুচকি হাসি দেয়। আর ইম্রেত বুকের পাশে হাত রেখে বুঝায় যে মনে লেগেছে। ইছমি বুঝতে পেরে মাথা ঝুকে নেয়।
মহিনি এখনো ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে ইছমির দিক কারন বিয়ের দিন ও ইছমি এক পশাকে বিয়ে করেছিলো। সাজগজে আজ প্রথম মহিনি ইছমিকে দেখছে।
ইছমি নিচে নামতেই মহিনি ইছমিকে জড়িয়ে ধরে। আর বলে উঠলো…
” সুন্দর লাগছে অনেক।
ইছমি একটু হেসে দিলো। কিমরান ইছমিকে হালকা জড়িয়ে ধরে বলল….
” আমার ভাবি যে এতো সুন্দরী আগে জানতাম না। [ ধিরে ধিরে কানে ]
ইছমি অবাক হয়ে ইম্রেতের দিক তাকায় ইম্রেত মুচকি হেসে দেয়। ইছমি কিমরান এর দিক তাকালে কিমরান ধিরে বলল…
” আমার ভাবি।
ইছমির এক আলাদা ভালোলাগার শব্দ “ভাবি ” এই মুহর্তে এই ভাবি ডাক টাও ইছমির মনে গেথেছে। ইছমি মাথাটা নিচু করে ফেলে।
ইম্রেত ইছমিকে পা থেকে মাথা প্রজন্ত দেখছে। পিচ্চিটা আসোলেই অসম্ভব সুন্দরী। ইছমি আড়চোখে ইম্রেত কে দেখছে।
কিমরান বলে উঠলো….
” ভাই তুই আর ভাবি তোর গাড়ি করে আয় আমি আর মহিনি বাবার গাড়িতে করে আসছি।
” হুম
কিমরান আর মহিনি গাড়ি করে বেড়িয়ে পরে। ইম্রেত ইছমির সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আর গাড়ির গেট ওপেন করে দিয়ে বলল..
” গাড়িতে উঠো।
ইছমি গাড়িতে উঠে পরে ইম্রেত ও উঠে পরে।
ইম্রেত গাড়ি চালাচ্ছে আর ইছমি ইম্রেতের দিক বারবার আড়চোখে তাকাচ্ছে। ইম্রেত বেপারটা খেয়াল করেছে তাও মুচকি হেসে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
ইছমির মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে এতো সুন্দর করে সেজেছে বাট ইম্রেত একবার বললো ও না কেমন লাগছে। তাই বাহিরে তাকিয়ে আছে আপন মনে…
ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমির দিক তাকিয়ে বলল….
” তো এতো সাজার কারন কি?
ইছমি ইম্রেতের কথায় একটু শরম পেলো। ইম্রেত আবার জিজ্ঞাস করলো…..
” সুইটি কি আমার জন্য সেজেছে?
ইছমি মুচকি হেসে মাথা নিচু করে বলল…
” হুম
” তাই? তো কেনো সেজেছে আমার জন্য।
” জানি না।
ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমির দিক ঝুকে বলল…
” মারাত্মক লাগছে চোখে নেশা লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
ইছমি প্রচন্ড শরম পেয়ে যায়। ইম্রেত অনেক্ষন যাবত ইছমির ঠোট জোড়া দেখছে। ইম্রেত নিজেও জানে না কেনো প্রথম দেখার থেকে ধরে আজ প্রজন্ত শুধু ইছমির ঠোঁটের দিক অনেক নেশা তার। অনেকবার বেপারটা এরিয়ে গেছে বাট আজ সেই লেভেল এর নেশা লেগে গেছে। নিজেকে কান্ট্রল করে রেখেছে ইম্রেত।
হঠাত গাড়িটা ব্রেক মেরে সাইডে রাখে ইম্রেত। ইছমি একটু ঝুকে অবাক চোখে তাকায় ইম্রেতের দিক।
ইছমি বলল…
” কি হয়েছে?
ইম্রেত কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে ইছমির ঠোঁটের দিক। নিজের মুঠ করা হাত দুটি ছেড়ে জড়ে একটা সাশ ফেলে বলল…
” সরি সুইটি অনেক কান্ট্রল করার চেস্টা করেছি। আর আমার ধারা হচ্ছে না। তোমার আমার সামনে এমন ভাবে আসা উচিত হয় নি। সো সরি?
ইছমি তো অবাক হচ্ছে। ইছমি ভাবছে আমি আবার কি করলাম। তাই বলল..
” জি আমি কি করেছি?
আর সরি কেনো বললেন?
ইম্রেত ইছমির কমড় ধরে নিজের দিক টেনে এনে কিছুক্ষন তার ঠোঁটের দিক তাকিয়ে বলল…
” এটার জন্য
ইছমি কিছু বুঝা বা বলার আগেই ইম্রেত তার ঠোঁট ধারা ইছমির ঠোট ছুয়ায় আর সেই তিলের যায়গায় কিস করে।
ইছমি তো হতবাক 😨ও এখনো চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। বুঝতে পেরে শরে যাবে তার আগে ইম্রেত ইছমির কমড় টেনে নিজের ঠোঁট ধারা ইছমির ঠোট আকড়ে ধরে। 😘ইম্রেতের এতো দিনের নেশা ইছমির ঠোটের উপড় ঝড় তুলছে। ইম্রেত ইছমির কমড় ছেড়ে চুমু দেওয়া অবস্থায় ইছমির দু গাল উচু করে ধরে কিস করেই যাচ্ছে। আর ইছমি চোখ বন্ধ করে নিজের জামা আকড়ে ধরে আছে।
ইছমির বুকের তুফান আর ইম্রেতের বুকের ধুক ধুক খুবি জড়ে বিট করে চলেছে।
ইছমির কাছে এই কিস এর অনুভুতি সম্পুর্ন নতুন তাই মনের ফিলিং টা সজ্য করতে পারছে না। সম্পুর্ণ শক্তি দিয়ে নিজের জামা আকড়ে ধরে আছে। আর ইম্রেত সে তো অন্য জগতে হারিয়ে গেছে যেখানে সে তার নেশা মিটাচ্ছে এই নেশা সারাদিন ও মিটবে না বরং বাড়বে। অনেক্ষন যাবত কিস করে যাচ্ছে ইম্রেত সে আর পেরে উঠছে না। ইছমিকে ছাড়তে পারছে না সে।
মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে হঠাত ইছমির ঠোঁট ছেড়ে গাড়ি থেকে নেমে যায়। আর ইছমি তো এখনো চোখ বুঝে জড়ে জড়ে সাশ নিচ্ছে। বুকে তুফান চলছে।
ইম্রেত পাশের থেকে এক বটেল পানি কিনে নিয়ে ঢক ঢক করে খেয়ে নিলো। দেন জড়ে সাশ ফেললো। নিজের ঠোঁটে হাত দিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো।
নিজেই বলে উঠলো….
” নিজের সামনে নেশা বসে থাকলে এড়িয়ে কিভবে যাই বলো সুইটি।
নিজেকে কান্ট্রল করে মুচকি হেসে গাড়িতে উঠে বসলো। ইছমি ইম্রেতের দিক তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে রেখেছে।
ইছমির যে কিস টা খারাপ লাগে নি তা তার লাল গোল আলুর মতো হওয়া ফেসটা দেখলেই বোঝা যায়।
ইম্রেত ইছমির দিক কিছুক্ষন তাকিয়ে মুচকি হেসে ফেললো। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলো।
ইছমি এখনো ভাবছে ইম্রেতের বলা কথা গুলি… “”সরি সুইটি নিজেকে আর কান্ট্রল করতে পারছি না””। ইম্রেতের কথা গুলি ভাবতেই মুখে হাসি এসে পরছে। তাও শরমে না হাসতে পারছে না ইম্রেতের দিক তাকাতে।
ইম্রেত ইছমিকে সাভবিক হওয়ার জন্য অনেক্ষন চুপ ছিলো। ইছমিকে সাভাবিক হতে দেখে বলল…
” আর কিছু খাবা?
ইছমি কথাটা শুনে ইম্রেতের দিক তাকালো। ইম্রেত দুস্ট হাসি দিলো।ইছমি লজ্জা পেয়ে অন্যদিক তাকালো।
গাড়ি চলছে তো চলছে হঠাত ইম্রেত দেখলো ইছমি বাহিরে তাকিয়ে রয়েছে দেখে ইম্রেত ও তাকিয়ে দেখলো ফুচকার স্টোক। ইম্রেত মুচকি হেসে গাড়ি ব্রেক করে সাইডে পার্ক করলো।ইছমি জিজ্ঞাসু দ্রিস্টিতে তাকানোর আগেই দেখে সেখানে মহিনি আর কিমরান ফুচকা খাচ্ছে।
ইছমি বলল…
” ওই তো মহিনি?
ইম্রেত গাড়ি থেকে নেমে ইছমির জন্য দরজা খুলে হাত বাড়িয়ে দিলো। ইছমি ও হাতটা ধরলো।
ইম্রেত ইছমি ফুচকার স্টোক এর দিক এগিয়ে গেলো। ইম্রেত ইছমির জন্য ফুচকার অরডার দিলো। এটা দেখে ইছমি বলল…
” আপনি খাবেন না?
ইম্রেত মুচকি হেসে বলল…
” হুম
ইছমি কিছুই বুঝলো না। কিমরান আর মহিনি খানিকটা দূরে চেয়ারে বসে খাচ্ছে আর রোমান্টিক প্রেম করছে।
ইছমির হাতে প্লেট দিতেই ইছমি হাসি মুখে খাওয়া শুরু করলো। ইম্রেত ইছমির খাওয়া দেখে মুচকি হেসে ফেলল। ইম্রেত ভ্রু কুচকে ইছমির দিক তাকিয়ে বলল…
” আমাকে ও খাইয়ে দাও।
ইছমি অবাক হয়ে বলল…
” এখানে তো অনেক মানুষ?.
ইম্রেত ভ্রু কুচকে ইশারায় খাওতে বলল…
ইছমি শরম পেয়ে মাথা নিচু করে ইম্রেতের মুখের সামনে ধরলো। ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়েই ইছমির হাতে কিস😘 করলো। ইছমি সকড হয়ে ইম্রেতের দিক তাকালে ইম্রেত মুচকি হেসে দিলো। ইছমি শরম পেয়ে হাত সরাতে নিলে ইম্রেত ইছমির হাত ধরে ফুচকা নিজের মুখে নিলো😋।
ইছমি তাড়াতাড়ি হাত শরিয়ে নিলো। ইছমির হাসিখুশি ভাবে খাওয়ার মুড নিমিষেই ওফ হয় গেলো।
ইম্রেত নিজের হাতে একটা ফুচকা তুলে ইছমির মুখের সামনে ধরলো। ইছমি একবার ইম্রেতের দিক তাকাচ্ছে আরেকবার ফুচকার দিক।
ইছমির ভেবেই ভালো লাগছে ইম্রেত তাকে খাইয়ে দেবে।
মুচকি হেসে ইছমি হা করলে ইম্রেত ইছমিকে খাইয়ে দেয়। টক ইছমির ঠোঁটে লেগেছে দেখে আংগুল দিয়ে পুছে দেয় ইম্রেত। 😘
ফুচকা খেয়ে ইছমি মহিনিকে ডাক দেবে তার আগেই ইম্রেত ইছমির হাত ধরে গাড়ি তে বসিয়ে দিলো আর নিজেও বসে পরলো। ইছমি বলে উঠলো…
” ওরা তো ওখানে??
ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে বলল…
” ওরা ওদের মতো ইঞ্জয় করুক।
ইছমি আর কিছুই বলল না। ইম্রেত গাড়ি চালাচ্ছে আর ইছমি ইম্রেত কে দেখছে।
কিছুক্ষন পর গাড়িটা একটা বড় পানির বিচ এর সামনে থামলো।
ইছমি অবাক হয়ে বলল…
” এখানে তো আসার কথা ছিলো না।
ইম্রেত মুচকি হেসে ইছমির হাত ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে কাউকে ইশারায় ডাকলো।
একটা ছেলে এসে ইম্রেতের হাতে একটা পট্টি দিলো। ইম্রেত সেই পট্টি দিয়ে ইছমির চোখ বেধে দিলো। ইছমি ঘাবরিয়ে বলল…..
” ক…কি করছেন?
ইম্রেত বলে উঠলো….
” হুসসস আমার হাত ধরে চলো।
চলবে…৷