বাসনা বিসর্জন পর্ব-০২

0
840

#বাসনা_বিসর্জন
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ২

– ” কি জানা আছে শুনি?”
– “সে টা মুখে বলবো না, প্রয়োজন পরলে কখনো কাজে করিয়ে দেখিয়ে দেবো সবাইকে।” অতঃপর,
সে নিজের কাজ গুলো ঠিকঠাক ভাবে করার চেষ্টা করছে। দুপুরে, মিম সকল মহিলা কয়েদিদের খাবার পরিবেশন করতে লাগলো।
তখন হঠাৎ কমিশনার সাহেব জেলার সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে হুট করেই চলে এলেন পরিদর্শন করতে। মিম হঠাৎ করেই তাকে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। কোনো মতে শাড়ির আঁচল টেনে ঠিক করে মাধবীকে বললো,
– “বুবু, তুমি এদিক টা দেখ। আমার ওদিকে কাজ আছে।” তখন কমিশনার বললেন,
– “বাহ, চমৎকার। এখানে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্বে কে আছে?” তখন সকলে বেশ দায়িত্ব নিয়ে মিমকে দেখিয়ে দিলো।
মিম দৃষ্টি নত করে রেখে জিজ্ঞেস করলো,
– “স্যার, আমার কাজে কোনো গাফিলতি হয়েছে?” তিনি বললেন,
– “মোটেও না বরং আমি খুব খুশি। তাই আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য সমান্য কিছু উপহারে’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
মিম বেশ চমকে গেলো। জেলার কমিশনারের পক্ষ থেকে গিফট বক্স গুলো সবার হাতে তুলে দিলেও কমিশনার নিজে খুশি হয়ে গিফট বক্স তুলে দিলেন মিমের হাতে।
মিম সেটি নিয়ে দ্রুত প্রস্থান করলো। দুপুরে খাওয়ার পর, একে একে সকল কয়েদিদের নিয়ে যাওয়া হলো গরাদে……..মিম বসে বসে তার ছেলের হাতি টয় টার সাথে খেলা করতে লাগলো। হঠাৎ করেই তার কেন যেন মনে হতে লাগলো এই পুতুল টা কে বদলে ফেলা হয়েছে।
তার ধারণা সত্যি হলো, যখন সে ছোট্ট একটা প্রাইজ ট্যাগ দেখতে পেলো ছোট্টো হাতিটার কাঁধে। সে কি ভেবে যেন একটু হেসে উঠলো?
পরক্ষণেই, সে অস্থির হয়ে উঠলো তার সন্তানের কথা ভেবে সেই হাতি টয় টাই তার সন্তানের শেষ চিহ্ন ছিল
……..যেটা কমিশনার নিজের সাথে করে নিয়ে গেছে।সে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে বসলো,
– “আচ্ছা,
ওই কি লোকটার একটুও কষ্ট হলো না? আমার শেষ সম্বল টা নষ্ট করে ফেললেন এভাবে?” মিমকে চুপ চাপ দেখে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরলেন বিন্তি মাসি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
– “কি রে ছু*রি?
শুনলাম, বাচ্চার জিনিস টা ফেরত পেয়েছিস? এবার নিশ্চয়ই ভালো লাগছে?” মিম তখন’ই মেকি হেসে বললো,
– “অবশ্যই, মাসি। আমি আগে জানতাম না। এতো ভালো মানুষ এখনো পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছে।” ওর হেয়ালিপনা দেখে মাধবি গিয়ে তার পাশে বসলো
…। বিন্তি কিছুটা বিচলিত হ’য়ে তাকে রিনরিনে গলায় আবারও জিজ্ঞেস করলো,
– “হ্যাঁ রে, তোর কি হয়েছে?”মিম ধরা গলায় বললো।
– ” এই খেলনা টা আমার ছেলের নয়, মাসি। ওই হৃদয়-হীন লোক (ইমান) টা, সে টা বদলে ফেলেছে। আমি আমার সন্তানের গায়ের গন্ধ চিনি।
মা হয়ে কি একটুকু বুঝতে পারবনা? তোমাদের ওই নতুন বড় সাহেব (ইমান) আমাকে ঠকানোর চেষ্টা কর
-ছে?”
মিমের কথা শুনে মুখটা মলিন হয়ে গেলো সকালে’র। তাদের ও মেয়েটির জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। মিম মাগরিব এর নামাজ পড়ে ‘কোরআন তেলাওয়াত’ করতে লাগলো। তার কণ্ঠ এতোই মধুর,
যে সকলে’ই মুগ্ধ হ’য়ে তার কোরআন তেলাওয়াত শুনছে।
মিম প্রায় আধ ঘন্টা যাবত কোরআন তেলাওয়াত
করলো হঠাৎ সে পেছন ফিরে ভয় পেয়ে গেলো গরাদ
এর সামনে কমিশনার সাহেবকে দেখে। তিনি নিজেও কিছু টা অপ্রস্তুত হয়ে পরলেন কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে গরাদের কাছে এসে। তবুও স্বাভাবিক ছিলেন,
আড়চোখে একবার মিমের দিকে তাকিয়ে তিনি গল্প করতে করতে জেলার সাহেবের সাথে এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে। মিম যেন বড় বাঁচা বাঁচলো। ওর হাব- ভাব দেখে ফারজানা বললো,
– “এখন দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে কি হবে?” মিম তার এই সকল কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা এড়িয়ে গেলো তার চোখ লেগে এলো কিছু একটা ভাবতে ভাবতে।
রাত ন’টায় মিমের ঘুম ভাঙলো,সকলেই ঘিরে ধরলো তাকে। মিম যেন হঠাৎ সকলের এহেন কাণ্ড দেখে ভড়কে গেলো,
সে ধড়ফড় করে মেঝে থেকে উঠে জিজ্ঞেস করলো,
– “কি ব্যাপার? কি হয়েছে?” টুম্পা খুব উৎসুক হ’য়ে জিজ্ঞেস করলো,
– “নতুন বড় সাহেব (ইমান)
তোকে কি উপহার দিয়েছে? দেখি? সে নিজের হাতে করে কি দিয়ে গেলো তোকে?” মিম সঙ্গে সঙ্গে শপিং ব্যাগ টা এগিয়ে দিলো। ওরা, সেটা খুলে দেখলো ওটা
‘র মধ্যে একটা গ্রামীণ চেক শাড়ি আছে। সে টা দেখে সকলে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করতে লাগলো লাইলি বললো,
– “হ্যাঁ রে তোর দেখছি কপাল খুলে গেছে? এরপর, নতুন বড় সাহেব কখনো তোকে নিজের ঘরে ডাকলে তুই এই শাড়ি টা পরে যাবি।
দেখবি, সে তোকে দেখে নিজের বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলবে।”
– “হয়েছে তোমাদের?
আচ্ছা, একটা কথা বলো এই বাজে কথা বন্ধ করার জন্য তোমরা কত নিবে?” মাধবী হাসতে হাসতে বললো,
– “এক……..কানাকড়ি ও নিবো না, তবে একটা কথা মনে রাখিস,
“গরিবের কথা বাসি হলেও ফলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
– “তোমরা গরিব? বুবু? হাসালে আমাকে।” পরের দিন দুপুরে মিম কাজ করছিলো। তখন বিন্তি মাসি গিয়ে মিটিমিটি হেসে তাকে বললো,
– “চট করে গিয়ে তৈরি হয়েনে নতুন বড় সাহেব তোর সাথে দেখা করতে চেয়েছে।”কথাটা শুনে যেন মিমের পরাণে পানি নেই।
সে বড়বড় চোখ করে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে রইলো সকলের দিকে। মাধবী বললো,
– “কিচ্ছু করার নেই, নতুন সাহেবের বোধহয় ‘কোচি’
ভালো লাগে।” মিম হতবিহ্বল হ’য়ে দাঁড়িয়ে রইলো। টুম্পা ফারজানা, দু’জনেই টানতে টানতে গোসল খানায় নিয়ে গেলো তাকে।
মিমকে গোসল করিয়ে তারা কমিশনার সাহেবে’র দেওয়া সেই শাড়ি টা পরে সাজিয়ে দিলো। পরিশেষে, মাধবি সুগন্ধি যুক্ত আতর মাখিয়ে দিলো তাকে।
অতঃপর,
তনয়া এসে ধূর্ত হেসে মিম কে টানতে টানতে কমিশনার সাহেবের কামরায় নিয়ে এলো। এরপর,
তার মুখ টা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
– “এবার, কে বাঁচাবে তোকে? খুব তেজ না তোর? যাহ…….!
পারলে গিয়ে এইসব তেজ দেখাস কমিশনার সাহেব এর কাছে। একদম মে’রে পুঁতে ফেলবে তোকে। তোর আর টিকিটা খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
খুব বাড় বেড়েছিলি না তুই? অবশ্য, তুই চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি তোকে। তবে তার এর বিনিময়ে আমাকে কিছু দিতে হবে….. ” মিম তখন তাকে ধাক্কা মে’রে ফেলে দিয়ে দরজা নক করে অনুমতি নিয়ে ঢুকে গেলো কামরার মধ্যে। কমিশনার সাহেব তখন খবরের কাগজে চোখ বুলোতে ব্যস্ত।
হঠাৎ আতরের সেই তীব্র গন্ধ টা এসে লাগলো তার নাকে সে তখন চশমা ঠিক করে চোখ তুলে তাকালো বেশ চমকে গেলো মিমের পরনে গ্রামীণ চেক শাড়িটা দেখে।
সে দ্রুতই তার ওপর থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। তাকে বসতে বলে, বলে উঠলো,
– “জীবনে কখনো দেখিনি কোনো কয়েদিকে এভাবে সেজেগুজে আসতে।” মিম স্বাভাবিক ভাবেই বললো।
– “আমি কি করতে পারি স্যার বলুন, এখানে বোধহয় সবাই চরিত্রহীন বলে মনে করে আপনাকে।” তিনি বেশ স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করলেন,
– “তা হঠাৎ, আমায় এমন মনে করার কারণ?” মিম সরল গলায় বললো,
– “কারণ আপনার পূর্বের কমিশনার বিভিন্ন বয়সী মহিলা কয়েদিদে’র ডেকে নিয়ে রাত্রিবাস করতেন তাদের সাথে।
‘রংতামাশা’ করতেন আরকি। অনেকে’ই স্বাচ্ছন্দ্যে শুতে চলে যেতেন তার সাথে সে এক করুণ কাহিনী। কেউ যেতে না চাইলে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হতো তাকে।
আপনারা আবার এখানে লেসবিয়ান পুষে রেখেছেন একজন নারী হয়েও আমরা নিরাপদ নই অন্য নারীর কাছে। ” শেষ কথা টা শুনে, কমিশনার সাহেব যেন একটু চমকে গেলেন। তবুও তিনি মিমকে জিজ্ঞেস করলেন,
– “আপনাকে ডেকেছিল, তিনি? এই কাজে?”
– “না ডাকেনি, ভাগ্যিস। আমি বেঁচে গিয়ে ছিলাম ওই নোংরা লোকটার কুদৃষ্টি থেকে।”
– “আপনি কি মনে করেন আমিও ঠিক ওই লোকটার মতোই নোংরা?”
– “স্যার,আমার মনে করায় কিংবা না করায় কি যায় আসে? তবে আমি মনে করি, আপনি একজন বিশুদ্ধ মানুষ।
আপনি নিশ্চয়ই, কোনো প্রয়োজনে ডেকে পাঠিয়েছে -ন আমাকে?”
– “পরপর দু’টো খু*ন কেন করে ছিলেন?”
– “স্যার, কেউ আপনার সন্তানের ক্ষতি করতে চাইলে আপনি কি এমনি এমনি ছেড়ে দিতেন তাকে? নিশ্চয়ই না? তাহলে এমন বোকা বোকা প্রশ্ন কেন করছেন আমার কাছে?”
– “আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন, চাইলে পুলিশি সহয়তা নিতে পারতেন।”
– “সত্যি? সত্যি বলতে, এই দেশে আইনে’র আশ্রয় নেওয়াটা খুব কষ্ট সাধ্য একটা ব্যাপার বলে মনে হ’য় আমার কাছে।
আমি যে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করিনি তা কিন্তু না। তবে আমি কোনো ধরনের সাহায্য পাইনি আপনাদের কাছ থেকে। বরং,
আপনাদের পুলিশ প্রশাসনের লোকজনদে’র তারা টাকা খাইয়ে কিনে রেখেছিলো। সকলে মিলে জন্মের আগেই মে’রে ফেলতে চেয়ে ছিলো আমার নিষ্পাপ বাচ্চা টা কে। এখন বলুন, আমি কি করতাম? সত্যি বলতে আমার কোনো অনুশোচনা বোধ নেই নিজের কাজে।
আর তাছাড়া আমি নিজের আত্নরক্ষার জন্য তাদের মে’রেছি…..যদিওবা কোর্টে তাদের পরিবার আমাকে খু*নি প্রমাণ করেছে। কিন্তু, তারা আমার সন্তানের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। আমার সন্তান এখন যেখানেই থাকুক না কেন সে নিরাপদে আছে।” ওর কথা শুনে কমিশনার সাহেব বললেন,
– “আমি আসলে চেয়েছিলাম আপনি এখানে রোজ কোরআন শিক্ষাদিন জেলে বন্দি মহিলা কয়েদিদের কে……..।”
– “আচ্ছা মানলাম,কিন্তু তারা কি মানবে?” সে মুচকি হেসে বললো,
– “চিন্তা করবেন না। আমি নিজে টাইম ঠিক করে জানানোর ব্যবস্থা করছি,কাল সকালে নোটিশ পৌঁছে যাবে।”
– “ধন্যবাদ।”
– “আমার এখনো কথা শেষ হ’য়নি……।”
– “জ্বি, বলুন। এখনো, কি বলার আছে?”
– “আপনি কতদূর লেখাপড়া করেছেন?”
– “এতো ইনফরমেশন আপনার কোন কাজে লাগবে
?”
– “না জাস্ট কৌতুহল, আরকি।”
– “এতো কৌতুহল ভালো নয় স্যার, নিজেকে বিপদে ফেলার শখ হয়েছে বুঝি?” কমিশনার কি যেন ভেবে বললেন,
– “সেটাই আসলে আমিও সেটা’ই ভাবছি।” মিম মুচকি হেসে তখন বললো,
– “স্যার, আজ তবে আসি?” তিনি বললেন,
– “জ্বি।”
মাএ পনেরো মিনিটের মধ্যে মিমকে ফিরে আসতে দেখে সকলে মিলে চিন্তিত হ’য়ে জিজ্ঞেস করলো।
– “মাএ এতটুকু সময়?
স্যার, তোর কাজে খুশি হ’য়নি না কি?”মিম মৃদু হেসে বললো,
– “একটা কথা বলো, বাকি সকলের মতোন ওনাকে দেখে তোমাদের চরিত্রহীন বলে মনে হয়েছে কি?”
– “না মানে।”
– “উনি (ইমান) সত্যিকার অর্থে’ই একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষ মানুষ, মাধবি বুবু আমি বলছি।
আর এই যে লেসবো (তনয়া) তোমার ব্যাপারেও ওনা কে সাবধান করে এসেছি।”
– “তুই কি ভেবেছিস? এইসব করে বেঁচে যাবি?” মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “আপনাকে কে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দিলো তনয়া। আমি আজকাল সেটাই ভাবছি।”
– “শাস্তি পাওয়ার জন্য তুই এই ধরনের পাগলামি শুরু করেছিস বুঝি? শোন, আমি কিন্তু গভীর জলের মাছ৷ বুঝতে ও পারবিনা তুই কখন? কোথায়? ফেসে যাবি।”
– “হুমম, চালিয়ে জান। প্লিজ…..! আমিও আপনাকে শূ*লে চড়ানোর ছক কষছি।”
মিমের কথা শুনে হেসে উঠলো সবাই, টুম্পা জিজ্ঞেস করলো,
– “স্যারের মুড আজ খারাপ ছিলো বুঝি?” মাধবী বললো,
– “হতে পারে উনি ভালো মানুষ।
আমার শুধু শুধু ওনার সমালোচনা করে নিজেদের পাপের আমলনামা ভারী করছি।” মিম এ কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,
– “বাব বাহ! এই বিষয়ে জ্ঞান একদম টনটনে দেখছি
….?”
– “তোকে সাজলে ভীষণ মিষ্টি দেখায়, একটু রঙচঙ মেখে সাজলে ক্ষতি কি?”
– “বিন্তি মাসি, ক্ষতি অনেক বেশি। আমি গিয়ে এসব তুলে আসছি।”
– “নিজেকে তোর একটু এই রূপে দেখতে ইচ্ছে হয়না না কি?”
– “রঙহীন জীবনে, এরূপ কৃত্রিম বিলাসিতা করে লাভ কি?” মুহূর্তে চুপ করে গেলো সবাই। মিম বিন্তি মাসি কে বললো,
– “আমি এখুনি শাড়ি টা ছেড়ে আসছি।”
– “নতুন বড় সাহেব তোকে দেখে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি?”
– “আজব…..! আমি ওনার স্ত্রী না প্রেমিকা? কোনটা শুনি?”
– “না ওই এমনি, আর কি।”
– “সারাক্ষণ এমনি এমনিই করতে থাকো। তোমাদের আর কি?”
বাড়ি ফিরে এসে কমিশনার সাহেবে ছেলের পাশে বসলেন। তার মন খারাপ দেখে কান ধরে বললেন।
– “দুঃখিত বাবা,
আজ অতিরিক্ত কাজের চাপের জন্য তোমার স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হ’য়নি।” মাশীদ মুখ কালো করে তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করলো।
– “সারাদিন এতো কাজ থাকে তোমার?”
– “বিশ্বাস করো বাবা, আমি সত্যি বলছি।”

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে