বসের সাথে প্রেম
পর্ব- ২১
লেখা- অনামিকা ইসলাম।
সিয়াম হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে আর মায়া লাজুক চোখে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে আছে। ঠিক তখন’ই দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ হলো…
কিরে মা?
তোর হলো?!!! এবার তো বেরিয়ে আয়….
মায়া ভয় পেয়ে যায় মায়ের কন্ঠ শুনে, আর সিয়ামও চমকে উঠে চোখ থেকে হাত সরিয়ে নেয়….
কি হলো?!!!
কথা কি কানে গেছে???
মায়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, এই তো মা….
আরেকটু….
আরেকটু করে করে তো এক ঘন্টা পার করে দিলি, আর কত?!!!(মা)
মা, আর লেইট হবে না, আমি আসছি….(মায়া)
_ আর লেইট হতে দিলে তো….. ২মিনিট সময় দিলাম। ২মিনিটের ভেতর চলজলদি গোসল করে নিভি। এখন বাজে ১টা বেজে ১৭মিনিট। তুই ১৮মিনিটে শুরু করবি, শেষ করবি ২০মিনিটে। তারপর জামা চেঞ্জ করবি, তারপর বের হইবি….(মা)
মানে টা কি মা?
তুমি ঘড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছ?!!!(মায়া)
__ জি, হ্যাঁ। হাতে মোবাইল নিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।শুরু কর গোসল… (মা)
– মা, তুমিও না….
যাও, রুমে যাও। আমি আসছি…..(মায়া)
__ না, আমি তোকে নিয়ে তবেই যাব। এবার শুরু কর…. (মা)
— মা, আমি আসছি তো। তুমি যাও না….(মায়া)
_ একপাও নড়ব না এখান থেকে। তুই গোসল করে বের হলেই তোকে নিয়ে যাব…(মা)
মা, আমি তো আসছি…
শুধু শুধু তুমি কেন কষ্ট….(মায়া)
__ তুই যদি এখন আমার কথা না শুনোস, আমি কিন্তু গোসলখানায় ঢুকে তোকে গোসল করিয়ে পরেই রুমে যাব… (মা)
__ মা শুনো না….(মায়া)
__ আমার কি আসতেই হবে তোকে গোসল করিয়ে দিতে…???
নাকি আমি থাকতে থাকতে গোসল করে বের হইবি…?!!!(মা)
__ মা….(….)…..(মায়া)
ঐ মেয়ে ঐ…
দরজা খুল তুই….
আমি আসব, আমি তোকে গোসল করাবো….(মা)
_ এই, না মা….
আমি আসছি……..(মায়া)
– হুম, শুরু কর তাহলে…(মা)
_ করব শুরু…আস্তে আস্তে বিড় বিড় করে মায়া বলে….এদিকে দরজার ওপাশ থেকে_
কি হলো, ঢাল পানি?!!!
– মায়া স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কি করবে বুঝতে পারছে না….
এদিকে পুরো ঘটনা চুপ করে নিরব শ্রোতার মত শুনে আসছিল সিয়াম।
মায়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে মনে মনে বলছে, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না মিসেস মায়া…
যা করার আমাকে’ই করতে হবে…..এই বলে আচমকা ঝরনাটা ছেড়ে দেয় সিয়াম।
উপর থেকে পানি পরছে, সিয়াম-মায়া দু’জনেই ভিঁজছে….
মায়া তো পুরাই ‘থ’….
বেশ কিছুক্ষণ নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পর চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে মায়া…
সিয়াম লাজুক লাজুক ঐ মায়াবী মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মায়ার কি মনে করে যেন মায়া’কে ছুঁতে যাচ্ছিল, ঠিক তখন’ই আবারো দরজার ওপাশ থেকে আওয়াজ….
__ এবার দয়া করে ড্রেস চেঞ্জ করে বের হো মা….(মা)
__ সিয়াম ছুঁতে গিয়েও ছুঁইল না মায়াকে। হাত’টা সরিয়ে নেই আর মায়া?!!! চোখ খুলে ধীরে ধীরে….
__ কী হলো?!!! কথা বলছিস না কেন?!!!(মা)
__ মা, আসছি….(মায়া)
– তাড়াতাড়ি,
দু’মিনিটের ভেতর ড্রেস চেঞ্জ কর….(মা)
__ মা, একটু এদিকে আসো তো….বিশেষ কথা আছে বলে সাইমা ওর মাকে দরজা থেকে সরিয়ে নেই। যাওয়ার আগে দরজার সামনে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে যায়, আমি জানি বাথরুমে কে কে আছে…
তাই আম্মুকে সরিয়ে নিলাম দুরে দরজা থেকে একটু দুরে, এই ফাকে মায়া তুই বেরিয়ে আয়, আর আসার সময় দরজাটা বন্ধ করে আসবি যেন মা দুরে থেকে ভিতরে বান্ধরটাকে না দেখে….
বাই, বাই…..
সাইমা চলে যায় ওর মাকে নিয়ে দরজা থেকে বেশ ক্ষাণিকটা দুরে।
——-……..(মায়া)
__ কি হলো? আম্মু ডাকছে না?!!! যাও তাড়াতাড়ি……
(সিয়াম)
__ কিন্তু…..(….)…..(মায়া)
কোনো কিন্তু নাই।
তুমি তাড়াতাড়ি ড্রেস চেঞ্চ করে মায়ের কাছে যাও। এই আমি চোখ বন্ধ করলাম….(সিয়াম)
– আপনার সামনে?!!!
আমি?
ড্রেস চেঞ্জ করব?!!!(মায়া)
__ আমার সামনে কোথায়? আমি তো চোখ বন্ধ করে ফেলব এখনি….(সিয়াম)
আমি রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করব, এই বলে মায়া কাপড় চোপড় নিয়ে চলে যাচ্ছিল তখন’ই সিয়াম হাত’টা ধরে ফেলে মায়ার….
মায়া…!!!!
তুমি মায়ের সামনে আমায় লজ্জা দিতে চাও আমায়?
__ এ কথা বলছেন কেন, স্যার?!!!(মায়া)
– আমি জানি তুমি আমায় ঘৃণা করো, প্রচন্ড ঘৃণা করো। আমাকে তুমি আর ভালোবাসো না এটাও জানি… তাই বলে তুমি আমায় এভাবে ছোট করে দিবে মায়ের সামনে? মা তোমার হাতের কাপড় দেখে তোমায় ধরে বাথরুমে নিয়ে আসবে, তখন?!!!
মা কি আমায় দেখতে পাবে না?!!! আমি কি লজ্জা পাবো না?!!!
— মায়া নিশ্চুপ….
__ সিয়াম আবারো বলা শুরু করল, আমি জানি মায়া তুমি আমায় আর ভালোবাসো না, কিন্তু একসময় তো বাসতে। সেই ভালোবাসার দোহাই দিয়ে বলছি, প্লিজ তুমি এভাবে যেও না। ড্রেস চেঞ্জ করে তারপর যাও….
__ মায়া জল ছলছল চোখে সিয়ামের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল, তারপর….
____
_ হুম, চোখ বন্ধ করুন, আমি চেঞ্জ করব…..(মায়া)
_ সিয়াম, একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর মায়ার হাত থেকে ওড়নাটা নিয়ে শক্ত করে বেঁধে নেয় চোখগুলো। মায়া ফ্যালফ্যাল চোখে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকে….
__ কি হলো?!!!! করো….
ড্রেস চেঞ্জ করো….[সিয়াম]
_ ঘোর কাটে মায়ার।চোখের জল মুছে ড্রেসটা চেঞ্জ করে নেই। কিন্তু একি?!!!
ওড়না যে ওনার কাছে মনে মনে ভাবে মায়া।
– তোমার হলো?!!!(সিয়াম)
__ হুম, কিন্তু ও….(…….)…(মায়া)
ওড়না তো?!!!
নো টেনশন, আমি চোখ বন্ধ করেই তোমার হাতে ওড়না’টা দিচ্ছি….
সিয়াম ধীরে ধীরে ওড়নাটা চোখ থেকে খুলে চোখ বন্ধ রেখেই ওড়নাটা মায়ার দিকে এগিয়ে দেয়….
মায়া ওড়না’টা গায়ে জড়িয়ে কাপড়গুলো একপাশে বালতিতে রেখে চলে যাচ্ছিল তখন’ই সিয়াম আবারো মায়ার হাতটা ধরে ফেলে…
__ কিছু বলবেন, স্যার?(মায়া)
__ হুম, ২মিনিট সময় হবে? জাস্ট ২মিনিট….!!!(সিয়াম)
__ এভাবে বলছেন কেন, স্যার? বলেন, কি বলবেন…(মায়া)
– মায়া, আমি সেদিনের ব্যবহারে লজ্জিত। ভিষণ লজ্জিত। বিশ্বাস করো মায়া, আমি এমন করতে চাইনি। আমার কাছে তোমার ভালোবাসার মূল্য অনেক ছিল। মায়া আমি পরিস্থিতির স্বীকার। ওরা যে এমন করবে সেটা জানতাম না, আর যখন জানতে পারি তখন তাদের কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। না বুঝেই আমি ওদেরকে কসম দিয়েছিলাম যা বলে তাই শুনব। বুঝতে পারিনি ওরা আগে থেকে এ প্ল্যান করছে…..
__ মায়া, প্লিজ করো আমায়….
আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি। আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও প্লিজ….
আর আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতে আমায় এতটা ভুল বুঝবা….!!!
আমি জানি মায়া। এখন তুমি আমায় ঘৃণা করো, আমায় আর বিয়ে করতে চাও না।
প্লিজ মায়া তোমার কাছে একটা অনুরোধ-
প্লিজ, বাবা-মায়ের মনে কষ্ট দিও না। তুমি আমায় বিয়ে করো। আমার জন্য নয়, বাবা মায়ের জন্য এটুকু করো প্লিজ….
ভয় নেই, আমি কখনো স্বামীর অধিকার নিয়ে তোমার সামনে যাব না…(সিয়াম)
_ মায়া বেশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সিয়াম মায়াকে বলছে, একটা কিছু বলো মায়া….
কিন্তু মায়া যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে সিয়ামের কথা শুনে। ও আসলে জাস্ট কল্পনাও করতে পারছে না সিয়াম ওর সম্পর্কে এমন ধারনা মনে পুষে নিয়ে বসে আছে। মায়া যেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না, চোখ থেকে গড়িয়ে অশ্রু ঝরে পরছে মায়ার।
এদিকে সিয়াম?!!!
সিয়াম মায়ার হাতটা ছেড়ে দেই….
আমি জানতাম মায়া, তুমি আমায় ক্ষমা করবে না। বেশ করো না….
বিয়ের ব্যপারটা একটু ভেবে দেখো। বাবা-মায়ের প্রতি একটু করুণা হলে বিয়েটা করিও, না হয়তো নয়….__ কি হলো? আম্মু ডাকছে না?!!! যাও তাড়াতাড়ি……
(সিয়াম)
__ কিন্তু…..(….)…..(মায়া)
কোনো কিন্তু নাই।
তুমি তাড়াতাড়ি ড্রেস চেঞ্চ করে মায়ের কাছে যাও। এই আমি চোখ বন্ধ করলাম….(সিয়াম)
– আপনার সামনে?!!!
আমি?
ড্রেস চেঞ্জ করব?!!!(মায়া)
__ আমার সামনে কোথায়? আমি তো চোখ বন্ধ করে ফেলব এখনি….(সিয়াম)
আমি রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করব, এই বলে মায়া কাপড় চোপড় নিয়ে চলে যাচ্ছিল তখন’ই সিয়াম হাত’টা ধরে ফেলে মায়ার….
মায়া…!!!!
তুমি মায়ের সামনে আমায় লজ্জা দিতে চাও আমায়?
__ এ কথা বলছেন কেন, স্যার?!!!(মায়া)
– আমি জানি তুমি আমায় ঘৃণা করো, প্রচন্ড ঘৃণা করো। আমাকে তুমি আর ভালোবাসো না এটাও জানি… তাই বলে তুমি আমায় এভাবে ছোট করে দিবে মায়ের সামনে? মা তোমার হাতের কাপড় দেখে তোমায় ধরে বাথরুমে নিয়ে আসবে, তখন?!!!
মা কি আমায় দেখতে পাবে না?!!! আমি কি লজ্জা পাবো না?!!!
— মায়া নিশ্চুপ….
__ সিয়াম আবারো বলা শুরু করল, আমি জানি মায়া তুমি আমায় আর ভালোবাসো না, কিন্তু একসময় তো বাসতে। সেই ভালোবাসার দোহাই দিয়ে বলছি, প্লিজ তুমি এভাবে যেও না। ড্রেস চেঞ্জ করে তারপর যাও….
__ মায়া জল ছলছল চোখে সিয়ামের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল, তারপর….
____
_ হুম, চোখ বন্ধ করুন, আমি চেঞ্জ করব…..(মায়া)
_ সিয়াম, একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর মায়ার হাত থেকে ওড়নাটা নিয়ে শক্ত করে বেঁধে নেয় চোখগুলো। মায়া ফ্যালফ্যাল চোখে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকে….
__ কি হলো?!!!! করো….
ড্রেস চেঞ্জ করো….[সিয়াম]
_ ঘোর কাটে মায়ার।চোখের জল মুছে ড্রেসটা চেঞ্জ করে নেই। কিন্তু একি?!!!
ওড়না যে ওনার কাছে মনে মনে ভাবে মায়া।
– তোমার হলো?!!!(সিয়াম)
__ হুম, কিন্তু ও….(…….)…(মায়া)
ওড়না তো?!!!
নো টেনশন, আমি চোখ বন্ধ করেই তোমার হাতে ওড়না’টা দিচ্ছি….
সিয়াম ধীরে ধীরে ওড়নাটা চোখ থেকে খুলে চোখ বন্ধ রেখেই ওড়নাটা মায়ার দিকে এগিয়ে দেয়….
মায়া ওড়না’টা গায়ে জড়িয়ে কাপড়গুলো একপাশে বালতিতে রেখে চলে যাচ্ছিল তখন’ই সিয়াম আবারো মায়ার হাতটা ধরে ফেলে…
__ কিছু বলবেন, স্যার?(মায়া)
__ হুম, ২মিনিট সময় হবে? জাস্ট ২মিনিট….!!!(সিয়াম)
__ এভাবে বলছেন কেন, স্যার? বলেন, কি বলবেন…(মায়া)
– মায়া, আমি সেদিনের ব্যবহারে লজ্জিত। ভিষণ লজ্জিত। বিশ্বাস করো মায়া, আমি এমন করতে চাইনি। আমার কাছে তোমার ভালোবাসার মূল্য অনেক ছিল। মায়া আমি পরিস্থিতির স্বীকার। ওরা যে এমন করবে সেটা জানতাম না, আর যখন জানতে পারি তখন তাদের কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। না বুঝেই আমি ওদেরকে কসম দিয়েছিলাম যা বলে তাই শুনব। বুঝতে পারিনি ওরা আগে থেকে এ প্ল্যান করছে…..
__ মায়া, প্লিজ ক্ষমা করো আমায়….
আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি। আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও প্লিজ….
আর আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতে আমায় এতটা ভুল বুঝবা….!!!
আমি জানি মায়া। এখন তুমি আমায় ঘৃণা করো, আমায় আর বিয়ে করতে চাও না।
প্লিজ মায়া তোমার কাছে একটা অনুরোধ-
প্লিজ, বাবা-মায়ের মনে কষ্ট দিও না। তুমি আমায় বিয়ে করো। আমার জন্য নয়, বাবা মায়ের জন্য এটুকু করো প্লিজ….
ভয় নেই, আমি কখনো স্বামীর অধিকার নিয়ে তোমার সামনে যাব না…(সিয়াম)
_ মায়া বেশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সিয়াম মায়াকে বলছে, একটা কিছু বলো মায়া….
কিন্তু মায়া যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে সিয়ামের কথা শুনে। ও আসলে জাস্ট কল্পনাও করতে পারছে না সিয়াম ওর সম্পর্কে এমন ধারনা মনে পুষে নিয়ে বসে আছে। মায়া যেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না, চোখ থেকে গড়িয়ে অশ্রু ঝরে পরছে মায়ার।
এদিকে সিয়াম?!!!
সিয়াম মায়ার হাতটা ছেড়ে দেই….
আমি জানতাম মায়া, তুমি আমায় ক্ষমা করবে না। বেশ করো না….
বিয়ের ব্যপারটা একটু ভেবে দেখো। বাবা-মায়ের প্রতি একটু করুণা হলে বিয়েটা করিও, না হয়তো নয়….
ও আমায় এতদিনে এটুকু বুঝলো?!!!
মায়া আর পারছে না….
চোখের জল মুছে সেখান থেকে ছুটে চলে যায়….
বিকেলে সাইমার সাথে ওর শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়।
সিয়ামের সাথে সেদিন আর দেখা করেনি মায়া। সিয়াম তখন ঘুমিয়ে ছিল, মায়া এক নজর সিয়ামকে জানালা দিয়ে দেখে চলে যায় সাইমার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ওদের বাড়িতে। এই মাত্র মায়া শুনেছে এই বাড়ি থেকেই মায়াকে বিয়ে দিবে। এখন থেকে মায়া সাইমার শ্বশুরের মেয়ে হয়েই থাকবে। আর ঐ মেয়েকে বিয়ে করবে বিশিষ্ট শিল্পপতির একমাত্র ছেলে সুদর্শন যুবক সিয়াম। যাকে সেই প্রথম দেখা দেখে’ই একটু একটু করে ভালোবেসে ফেলে, তার সাথেই বিয়ে হচ্ছে মায়ার। আমি কত ভাগ্যবতী….
একসাথে কতকিছু পেয়ে গেলাম।
ওহ! আমার জীবনের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যেটা সেটা তো ভুলেই গেছিলাম।
– যাকে ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করব, কিন্তু তার সাথে কোনো হাসবেন্ড-ওয়াইফের মধ্যকার সম্পর্ক’টা হবে না।
হবে না বলতে ও কখনো’ই আমার সামনে হাজবেন্ডের অধিকার নিয়ে দাঁড়াবে না। এই মুহূর্তে মায়া সাইমার শ্বশুর বাড়ির কোনো একটা রুমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
— সত্যি’ই মায়া! তুই বড় ভাগ্যবতী….আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে নিজেই তাচ্ছিল্যের স্বরে কথাটা বলে মায়া…..
শিগ্রয় আসছে মহাপর্ব……
বিয়ের পর্ব….