বসের সাথে প্রেম
পর্ব-১২
লেখা- অনামিকা ইসলাম।
ফোনের ওপাশ থেকে অদ্ভুত শব্দে হাসির আওয়াজ যেন থামছেই না। ক্রমাগত বেড়েই চলছে সে আওয়াজ।
রাগে ফোন’টা রেখে দিলাম। এদিকে সিয়াম ভাইয়া’টাও কেমন গম্ভীর হয়ে গেছে। একই বাসায়, একই ছাদের নিচে থাকলেও ওনাকে কেন জানি দুরের মানুষ মনে হতো। অনেক বেশী দুরের মানুষ। ওনার এই যে এত ইগ্নোর সেটা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। আর তাছাড়া ইদানিং ওনার ফোনালাপটা খুব বেশী বেড়ে গেছে। যতবার’ই কাজের জন্য কিংবা একটা না একটা বাহানায় ওনার কাছে গিয়েছি, ততবারই দেখি হেসে হেসে কথা বলছে ফোনে। কেন জানি ব্যপারটা সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছিল। আজ অফিস থেকে ফেরার পথে ইচ্ছে করেই ওনার গাড়ির সামনে গেলাম। ওনি দেখেও গাড়ি থামালেন না, আমায় একটা বারও জিজ্ঞেস করলেন না-
দাঁড়িয়ে কেন মাঝরাস্তায়?
গাড়িতে উঠ কিংবা
বললও না রাস্তার একপাশ দিয়ে যাও….
প্রচন্ড রকম হতাশা আর কষ্ট বুকে চেপে সেখান থেকে চলে আসি রিক্সা দিয়ে…
বাসায় এসে কিচ্ছু খায়নি,
কেন জানি ভেতরটা অজানা এক অভিমানে কেঁদে উঠল।
রাত্রে কিছুতেই ঘুম আসছিল না। জানালার পাশে চুপটি করে চোখ বোজে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ’ই ফোন’টা বেজে উঠল। রিসিভ করতেই সেই কন্ঠ।
~আপনি আমার এই নাম্বারও জানেন?
★জানিই তো। সেই জন্য’ই তো কল দিতে পারলাম। ঘুমাওনি?!!!
~না….
★কার জন্য জেগে আছ?
নিশ্চয় তোমার সিয়াম ভাইয়ার জন্য…..
~ওনি আমার কে?যে ওনার জন্য জাগতে হবে?
★সেকি! কালকেই না বললে তুমি ওনাকে ভালোবাসো….?!!!
~`আমি ওনাকে ভালোবাসি না। এই সম্পর্কে আর কোনো কথায় শুনতে চাই না।
★কিন্তু আমি যে বলতে চাই। বলতে চাই, আমি তোমাকে ভালোবাসি। অনেক বেশী ভালোবাসি।
~কিন্তু আমি আপনাকে ভালোবাসি না। আমি সিয়াম ভাইয়াকে ভালোবাসি।
★আমি জানি তো। আর সিয়ামও তোমাকে ভালোবাসে।
~এই! আপনি কে বলেন তো? একটু আগে বলছেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন, এখন আবার বলছেন সিয়াম ভাইয়াও আমাকে ভালোবাসে। এসবের মানে কি? কে আপনি?
আমার পরিচিত কেউ?
আর সিয়াম ভাইয়াকে কিভাবে চিনেন?
★ভুল তো কিছু বলিনি। সিয়াম তোমাকে ভালোবাসে এটা যেমন সত্যি তেমনি আমিও তোমাকে ভালোবাসি এটা দিনের আলোর মতই সত্যি। আর আমি কে জিজ্ঞেস করছ না?
আমি তোমার শুভাকাঙ্খী….
~ তা শুভাকাঙ্খী সাহেব! আপনি এত কিছু জানেন, এটা জানেন না যে সিয়াম ভাইয়া অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে..?!!!
★যতটুকু জানার দরকার ঠিক ততটুকুই আমি জানি। আপনার মত এত বেশী আমি জানি না। আমি জানি যে, সিয়ামের জীবনে একটাই ভালোবাসার মানুষ ছিল সে- মায়া! সিয়ামের মায়া-পরি।মানমন্দিরের সিংহাসনে যার বসবাস সে মায়া। মায়া সিয়ামের কল্পরাজ্যের রাজকুমারী। যার মায়া মায়া মুখ দেখে সিয়াম বার বার মরতে রাজি।
~মানে কি? ওনি তো আমায় বলছে…(…)….???
★ভুল বলছে। ও ওর মায়াপরিটাকে ভিষণ ভালোবাসে। এতটাই ভালো যে ওর বিয়ের সমন্ব নিয়ে বাবা যখন মায়ের সাথে কথা বলে তখন ও মুখ লুকিয়ে কাঁদে। কখনো ছাদে আবার কখনো বা বাগানে গিয়ে। ওর মায়া পরির চোখের জল সে সহ্য করতে পারে না, তাই মায়াপরিটা কখন অসুস্থ হয়ে কাঁদে তখন ও ওর রুমের দরজা লাগিয়ে কান্না করে…..
~……..
★কি হলো ম্যাম?
চুপ করে আছেন কেন? এবার বিশ্বাস হলো তো?!!!
~কিসের বিশ্বাস হবে? ওনি কখনো আমায় ভালোবাসেনি, আর বাসতে পারবেনও না। ওনি ভালোবেসে থাকলে আমায় বলত, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ওনি আমায় বোনের মত দেখে….
★বোন ও কখনো’ই তোমাকে মানতে পারেনি, পারবেও না। আর তোমাকে বলার কথা বলছ না?
ও তোমাকে একবার নয়, শতবার বলতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিবার’ই তোমার ভাইয়া ডাকটার কাছে হেরে গিয়ে চলে এসেছে। ঐতো ১৪ফেব্রয়ারির কথা মনে নেই?!!! সেদিন একগুচ্ছ ফুল হাতে ও যে পার্কে গিয়েছিল সেটা তোমার জন্য’ই। কিন্তু আফসোস!
সেদিনও ও তোমায় মনের কথা বলতেতে পারে নি। পারেনি বুঝাতে কতটা ভালোবাসে। তুমিও কি হুম?
পারলেনা ওর চোখ দেখে বুঝে নিতে ওর না বলা কথাগুলো?!!!
প্রিয় মানুষটির চোখ দেখেই তো তার মনের কথা বুঝে ফেলার কথা। আচ্ছা, আদৌ কি তুমি ওকে ভালোবাসতে পেরেছ? মনে হয়ত না!
না হলে ঠিক’ই ওকে বুঝতে। বুঝতে কতটা যন্ত্রণা বুকে নিয়ে ছেলেটা বেঁচে আছে।
আচ্ছা, আজ কি মনে করে ওর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলা? মরার শখ জাগছিল নাকি ওকে পুরোটাই মারতে চেয়েছিলস যা ছিল বাকি…
শেষের কথাগুলো মায়া কেন জানি খুব বেশী আপন, খুব বেশী চেনা মনে হচ্ছিল। কে আপনি, কন্ঠটা এমন শুনাচ্ছে কেন? বলতে গিয়ে উত্তরটা আর শুনতে পায়নি। সাথে সাথে ফোনটা কেটে দেয় অচেনা লোকটা….
ছেলেটির ডায়েরী_
দীর্ঘ ৬মাস পর ডায়েরীটা হাতে নিলাম। এই কয়মাস এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে ডায়েরীটা কিছুতেই হাতে নিতে পারিনি। আর নিব’ই বা কিভাবে?!!!
দিনে অফিস, কাজ পাশাপাশি সিসি টিভির ফুটেজে ওকে দেখা নিয়েই ব্যস্ত আর রাত্রে ফোনালাপ। শুভাকাঙ্খী সেজে কন্ঠ পরিবর্তন করে ওর সাথেই যে ফোনালাপে ব্যস্ত থাকা।
ভালো’ই কাটছিল দিনগুলো, মন্দ না। মন্দ তখন লাগত যখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওকে ইগ্নোর করতে হতো। ওর কথার জবাব না দিয়ে ওকে এড়িয়ে যেতে আমার খুব খুউব কষ্ট হত। তবুও করতে হতো বন্ধুর আদেশে। বন্ধু আতিকের কড়া নির্দেশ ওকে ইগ্নোর করে যেতে আর ফোনে শুভাকাঙ্খী সেজে মিষ্টি আলাপ করতে। আমি বুঝি না ও কেন এমন করতে বলছে? সত্যি’ই কি এটা করলে মায়া আমার হয়ে যাবে? ও আমার কাছে এসে কান্না করে মনের কথা বলবে? কিংবা ফোনে অচেনা লোক সেজে সিয়াম সম্পর্কে কিংবা সিয়াম ওকে কতটা ভালোবাসে এটা বুঝিয়ে বললে ও কি ছুটে আসবে আমার কাছে? জাপটে ধরবে আমায়?!!!!
এসব কিছুর কোনো সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই, তবুও একবুক আশা বেঁধে আছি। ও আসবে।
আসতেই হবে ওকে….
ওকে ইগ্নোর করে যখন ওকে ফেলেই একা একা অফিস থেকে চলে আসতাম তখন ও কি করত জানি না, তবে আমি সিয়াম রুমের দরজা আটকে দাতে দাত চেপে কান্না করতাম। কখনও বা গাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে রাস্তায় লুকিয়ে থাকতাম, মায়াপরিটা কি করছে দেখার জন্য। কখনো বা গরমে ভিঁজে ভীর বাসে করে বাসায় যেতাম শুধু ওর কষ্টটা অনুভব করার জন্য।
একটা সময় আসে যখন অনুভব করতে পারি ও কেমন যেন একটা চাপা কষ্ট বুকে চেপে থাকে সবসময়…
– একদিনের কথা মনে হলে এখনও হাসি পায় খুব।সেদিন ও ইচ্ছে করেই আমার রুমে চলে আসে। আমি তাকাতেই ছুটে চলল বাইরের দিকে। পিছন থেকে ডেকে বললাম, কি চাই?!!!
উত্তরে আমতা আমতা করে বলল, চা?!!!
চা খাবেন?!!!
~ মাত্র তো চা রেখে গেলে? এই চা’য় তো খাওয়া শেষ হয়নি? আবার কিসের চা?
আজকে কি তুমি আমায় চা খাইয়েই রাখবে?!!!
মুখ ভার করে পাগলীটা চলে গেল। মনে মনে বলছি-
পাগলী একটা…!!!
বললেই তো হয় আপনাকে দেখতে এসেছি।??
,
সেদিন অফিস ছিল না। দুপুরে রুমে শুয়ে আছি। রাতে ফোনে কিভাবে কি বলব সেটাই ভাবতেছি। হঠাৎ করেই জানালার পাশে এসে দাঁড়ালো। আমি দেখেও না দেখার ভান করলাম। অনেকক্ষণ ধরে উঁকি ঝুকি মেরে আমায় দেখছিল। আমি মুখ টিপে হাসছিলাম। প্রায় আধঘন্টা হয়ে যাওয়ার পরও ও যখন একই ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তখন আমি ফিরে তাকালাম। ও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। চা নাকি কফি লাগবে সেটাই নাকি জিজ্ঞেস করতে আসছিল?☺
-‘ ভর দুপুরবেলায় সিয়াম ঘুমায়, সেটা কি তুমি জানো না?!!! মাথা নিচু করে চলে গেল…
,
সেদিন সন্ধ্যার আগে ছাদ থেকে ফিরছিলাম। রুমের কাছে এসে দেখি দরজার ফাক দিয়ে উকিঝুকি মারছে। কাছে এসে কি হলো বলতেই লাফ দিয়ে উঠল।
ইয়ে মানে আপনার কিছু লাগবে কি না জিজ্ঞেস করতে এসেছি।
~মায়া, শুনো! এ বাড়িতে কাজের লোক আছে। ওরাই আমার দেখাশুনা করে। আমার কিছু লাগলে ওদেরকে আমি জানাব। শুধু শুধু তোমার কষ্ট করতে হবে না। যাও, রুমে গিয়ে নামাজ পড়….
মাথা নিচু করে চলে গেল বেচারি… ??
,
পরদিন অফিসে গেলাম।
একটু পরপর রুমের কাছে এসে আমায় দেখে যাচ্ছে, কখনো বা কাজের বাহানায় কাছে আসছে।
-‘ মিস মায়া! আমার আপনাকে দরকার পরলে আমি আপনাকে ডাকব, এভাবে দরজার সামনে এসে উকিঝুকি মারবেন না। কথাটা কর্কশ কন্ঠে বলেছিলাম।
ঠিক আছে, স্যার বলে লজ্জায় মাথা নিচু করে চলে গেল আমার মায়া পরিটা।
-‘ হায়রে!
এতই যখন আমায় ছাড়া থাকতে পারিস না, তখন একটা বার মুখ ফুটে বল না। বাবা-মাকে সেদিন’ই মেনেজ করিয়ে তোকে বিয়ে করে ফেলব। তখন আর উকিঝুকি মেরে দেখতে হবে না।??
,
সেদিন ফোনে আবুলতাবুল কি সব বলছিলাম।
ইচ্ছে করেই বলছি। ওকে জেলাস ফিল করানোর জন্য ফোন কানে নিয়ে মিছেমিছি কথা বলছি। ভেবেছিলাম সিনামার নায়িকাদের মত করে আমার কাছে এসে, হাত থেকে ফোন নিয়ে, কলার চেপে ধরে বলবে!!!
কিসের কথা এত, হুম?
তুই শুধু আমার, অন্য কারো না। আর কখনো যদি ফোনে কথা বলতে দেখি তাহলে মেরেই ফেলব।’
-‘ না, তা আর হলো কই?
স্বপ্ন স্বপ্ন’ই রয়ে গেল….
,
সেদিনও ওকে রেখেই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরি। বিভিন্ন কারনে মনে প্রচন্ড রাগ ছিল ওর উপর। গাড়ি নিয়ে যখন রাস্তায় চলে আসলাম, তখন দেখি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটছে। গাড়ি থেকে নেমে ইচ্ছে হচ্ছিল কয়টা থাপ্পর কিংবা ধমক দেই। কিন্তু দিলাম না। রাগ দেখিয়ে হনহন করে চলে গেলাম। সেদিন বাসায় গিয়ে ওর রুমে ঢুকি। ভেবেছিলাম আমার ডায়েরীটা রেখে আসব ওর বিছানায় কিন্তু রাখতে পারলাম না।
যখন ওর ডায়েরীটা চোখে পরল তখন ডায়েরীটা হাতে নিয়ে রুমের দিকে ছুটে চললাম।
রুমে গিয়ে একের পর এক পৃষ্ঠা পরছিলাম, আর চমকে যাচ্ছিলাম।
-‘ Ohh,my god!
ও আমায় এতটা ভালোবাসে? এতটা?!!!!
অথচ একটাবারের জন্য মুখ ফুটে বলতে পারেনি?!!!
ওর ভালোবাসার কাছে আমার ভালোবাসা যে অতি নগন্য….
দীর্ঘ ৪বছর ধরে নিরবে-নিভৃত্তে, নিঃস্বার্থভাবে ও আমায় ভালোবেসে গেছে। কখনো পাওয়ার আশা করেনি, শুধু দুর থেকেই শুভকামনা করে গেছে….
এতটা ভালোবাসে ও আমাকে?
কোথায় রাখব ওর এত ভালোবাসা?!!!
কাঁদতেছিলাম আর ডায়েরীটা বুকে জড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে মা চলে আসে রুমে। কি হয়েছে জানতে চায়…
ডায়েরীটা লুকিয়ে রেখে বললাম কিছু না….
মা চলে যায় রুম থেকে…
ওর ডায়েরীটা আগের জায়গায় রেখে আসি……
সেদিন আর অচেনা শুভাকাঙ্খী হয়ে ওকে ফোন করার শক্তি পাচ্ছিলাম না। ভেবে নিয়েছিলাম আর ফোন করব না। এবার যা বলার সামনাসামনি বলব। কিন্তু বন্ধুদের অনুরোধে শেষবারের মত ওকে ফোন দিলাম। জানিয়ে দিলাম সিয়াম ওকে কতটা ভালোবাসে….
কথা বলার সময় এতটাই আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম যে ভুল করে আমার আসল কন্ঠে কথা বলে ফেললাম। বুদ্ধিমতি মেয়ে বুঝতে না পারলে সেটা টের পায় কিছুটা। তাই জিজ্ঞেস করে,
কে আপনি? আপনার কন্ঠ’টা বলার আগেই লাইনটা কেটে দিয়ে বড়সড় নিঃশ্বাস নিলাম।
ভেবেছিলাম আমার প্রতি ওর ভালোবাসা সবে মাত্র জন্ম নিয়েছে কিন্তু বুঝতে পারিনি ও আমায় এতদিন ধরে ভালোবেসে যাচ্ছে নিরবে….
আর যখন বুঝতে পারলাম তখন আমার ভালোবাসাটাও জানানোর প্রয়োজন মনে করলাম। তাই বলে দিলাম-
সিয়ামের মনের অব্যক্ত কথা….
পরদিন__
নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাসায় বিরাট আয়োজন করা হয়েছে।সাইমার বন্ধুবান্ধব সবাই উপস্থিত হয় বাসায়। আমার বন্ধু-বান্ধবও…..
পুরো ছাদ’টা লাল-নীল ভাতি দিয়ে সাজানো হয়। দিনটি নববর্ষের হলেও বাসায় এই যে এত বন্ধুবান্ধব সব ছিল মায়ার জন্য। মায়াকে যেভাবেই হোক মনের কথাটি বলতে পেরেছি আর ও নিজেও আমায় ভালোবাসে এই জন্য মূলত এই পার্টি…
সবাই যখন নেচে গেয়ে বিভিন্ন ভাবে দিনটি সেলিব্রেট করছে মায়া তখন সাইমার সাথে সবার জন্য খাবার পরিবেশনে বিজি…
মায়া একপাশ থেকে একে একে সবাইকে যখন পানির গ্লাস দিয়ে আসছিল, তখন’ই মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। ও কাছে এসে যখন সরবতের গ্লাসটা আমার দিকে এগিয়ে দিচ্ছিল তখন আলতো করে ওর হাতটা স্পর্শ করি। ও কেঁপে উঠে। গ্লাসটা ছাড়তে গিয়ে পুরো সরবতের গ্লাসের পুরো সরবত গায়ে পরে যায়। গায়ের কোর্ট’টা ভিঁজে একাকার হয়ে যায়।সাইমার ডাকে ও যখন মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছিল,
তখন’ই পিছন থেকে ওকে ডাক দেই _
” এই মেয়ে! এই?!!!
দাঁড়াও…..
ও চমকে পিছনে তাকালো…
এগুলো মুছবে কে?
উপস্থিত সকলে আমার দিকে তাকালো…..
চলবে….