বর্ষন ছোঁয়ায় মিষ্টি রোদ পর্ব-২+৩

0
1757

#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-০২ এবং ০৩
ছোঁয়া ভেজা চোখ দু’টো নিয়ে ছবি গুলোর দিকে তাকলো।
জীবনের সব কন্ট্রোল যেন এই বাজে লোকটার হাতে।
ভিশন কষ্ট হচ্ছে আজ।
ছবি গুলো ছোঁয়ার প্রান ছিল।
ভিশন প্রানবন্ত চমৎকার ছবিগুলো।
মন খারাপ করে খাবার না খেয়ে শুয়ে পরলো ছোঁয়া।।
কিছুক্ষণ পর কারোর ফোন এলো ছোঁয়ার ফোনে।
চোখ খুলে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে অচেনা নাম্বার,
ফোনটা নিয়ে ফোনটা পিক করে,
ওপাস থেকে কন্ঠ আসে,
–আসসালামু আলাইকুম ছোঁয়া।
–ওয়া আলাইকুম সালাম। কে?
–রোদ।।
–রোদ!
–হ্যাঁ সকালে যাকে নিয়ে সব সমস্যা হলো।
–,ভাইয়া হটাৎ ফোন করেছেন।
–আসলে বলতে ফোন করেছি যে সব ঠিক হয়ে গেছে ছোঁয়া আমি প্রমান করে দিয়েছি তুমি আর আমি নির্দোষ।
–কিন্তু কিভাবে ভাইয়া।
–বুদ্ধি থাকলে উপায় হয় এই ভার্সিটির সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে।
— আপনি কিভাবে,
–তুমি তোমার ছোট্ট একটা মাথায় আর এসবের চাপ নিও না কাল তোমার কাছে পিওন ক্ষমা চাইবে ওর জন্য সব হয়েছে।
–না ভাইয়া উনি বড়ো আমার থেকে ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে না৷
,–বড়ো বলে কি ভুল সঠিক হয়ে যাবে ছোঁয়া।
–না তা না৷। —
–তাহলে কাল ভার্সিটিতে এসো কথা হবে।
–জি ভাইয়া।। –
–খেয়েছো তুমি?
–না ভাইয়া৷। —
–আমি জানতাম তুমি খাও নি।।
এখন খেয়ে নেও এখন ত সব ঠিক আছে।
–ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক বড়ো বোঝা নামালেন আমার উপর থেকে।
–ধন্যবাদের কি আছে বলো তোমার মত একটা মেয়ের সঙ্গে এমন হবে তা কি করে মেনে নেই।
–আপনিও ত ফেঁসে গেছিলেন।
–আমি একটা ছেলে আমার তেমন কিছু হতো না কিন্তু তোমার হতো।।
ছোঁয়া মৃদু হাসলো।
রোদ সেটা ফিল করতে পারলো।
–আর কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নেও ছোঁয়া।
–ঠিক আছে ভাইয়া আপনিও খেয়ে নিবেন।
কথাটা বলে ফোনটা কেটে দিলো ছোঁয়া।
এখন আর ভয় নেই সব ঠিক হবে ভেবেই ছোঁয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠে।
ফোনটা রেখে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নেয়।
তার পর বারান্দায় আসে।
ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন বিকাল ৪ টা।
সময় টা পার হয়ে গেল কিভাবে কিভাবে।। রোদের ফোন পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেছে এমনিতেই।
হটাৎ করে আবার বর্ষন এর কর্কশ কন্ঠ,
–ছোঁয়া।
ছোঁয়া সামনে থেকে মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়,
–জি ভাইয়া,
–একটা ড্রেস পরে নে বাইরে যাবার।
আর চুল খুলো খুলে রাখবি আর মুখে কিছু লাগাবি না নিচে আয়।
হটাৎ বর্ষন এর এমন কথায় কিছুটা অবাক হলো ছোঁয়া।
–কেন ভাইয়া?
–এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই আসতে বলেছি এসো।
কথাটা বলেই বর্ষন চলে গেল।
ছোঁয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
বর্ষন এর কথা মতো প্রস্তুত হয়ে নিচে এলো।
নাহলে ত আর কোন উপায় ও নেই।
যদি বলি যাবো না ত নিজেই না জামাকাপড় পাল্টে রেডি করে দেয়।
একে নিয়ে কোন বিশ্বাস নেই ছেলেটা ভিশন পাঁজি।।
পাঁজি না কর্কশ৷।
নিচে আসতে ছোঁয়া দেখলো বর্ষন তার মায়ের সাথে হেঁসে কথা বলছে।
ছোঁয়াকে দেখে বলল,
–আম্মু তাহলে আসি।
বর্ষন ভাইয়া ছোট থেকেই আমার মা কে আম্মু বলে।
আমার মা রা দুই বোন ভাই নেই।
দুই বোন ই এক জায়গায় থাকে বর্ষন ভাইয়াদের বাসা এখান থেকে বেশি দুর না।
আমার মা ছোট।
বড়ো খালামনি আমি তাকে শুধু খালামনি ডাকি নামটা weird হলেও আমার কাছে এটা এক বস্তা ভালোবাসা।
শুধু মাত্র শুধু খালামনি আমায় বোঝে অনেক ভালো বোঝে।
বর্ষন ভাইয়ার বাজে টর্চার থেকেও উনি আমায় বাঁচায় মাঝে মাঝে সব সময় ত সাথে থাকে না থাকলে হয়ত বাঁচাত।
–ছোঁয়া চল,
–কিন্তু কোথায়।
আমার প্রশ্ন শুনে বর্ষন ভাইয়া রাগি দৃষ্টিতে তাকালো,
–এতো প্রশ্ন আমার ভালো লাগে না।
–আচ্ছা ওকে।
আমি চুপ হয়ে গেলাম।
আমার হাত ধরে নিয়ে আমায় গাড়িয়ে বসলো।
গাড়ির গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আছি।
বাইরে ঝির ঝির বৃষ্টি।
আর হাওয়া বইছে।
শহরের রাস্তা ভিজে।
এই রাস্তায় তেমন কোন লোক নেই।
কিন্তু রাস্তা টা অসাধারণ সুন্দর।।
সচ্ছ পানির বিন্দু গুলো গাছের পাতায় লেগে আছে।
মেঘ মেঘ আবহাওয়া সত্যি এক অন্য রকম ফিলিংস।
কিছু সময় পর আমরা একটা নদীর কাছে পৌছালাম।
বেশ মনোরম পরিবেশে।
–নাম।
–বৃষ্টি হচ্ছে ত।
–এই বৃষ্টি তে কিছু হবে না।
বর্ষন ভাইয়া সাথে নেমে আসলাম।
নদীর কাছে।
নদীর উপরে একটা কাঠের তৈরি রাস্তা তবে মাত্র কিছু দুর পুরোটা নদীর এপার ওপার না।
মনে হচ্ছে আজি তৈরি।
নতুন একেবারে।
–ছোঁয়া।
বর্ষন ভাইয়ার ডাকে পেছন ফিরলাম।
তার হাতে একটা ফুলের বেড়ি।
মাথায় দেওয়া বেড়ি।
এবার আমার মাথায় আসল আমার আঁকা ছবির কথা।
আমি ঠিক এমনি একটা ছবি এঁকেছিলাম।
একটা মেয়ের মাথায় ফুলের বেড়ি মেয়েটা এমনি একটা নদীর কাছে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালম।
সে আমায় বেড়ি টা পরিয়ে দিয়ে কিছুটা দুরে গিয়ে একটা ছবি তুলে নিলো।
তার পর আমার কাছে এসে আমার গাল তার দুই হাতের মাঝে নিয়ে নিলো।
তার এমন ছোঁয়াতে কেঁপে উঠলাম আমি।
তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
সে কিন্তু আহামরি ফর্সা না। সে শ্যামলা বর্ণের মানুষ। কিন্তু তার চোখ দুটো আর হাসি টা ভিশন মায়াবী।
কিন্তু সে ৬ফুট ১ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা। তাকে দেখতো হলে আমায় মাথা উঁচু করতে হয়।
তার চুল গুলো অনেক ঘন।
আর একটু বড়ো।
আপাতত সে পরে আছে একটা শার্ট যার হাতা ফোল্ড করা।
আমি চোখ মেলে তাকে দেখছি।
আমাকে দেখে সেই মিষ্টি হাসি আকে মুখে,
–ছোঁয়া তুই না এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলি।
–কেন?
–এভাবে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকিস।
(হেঁসে)
ওনার কথায় মুখ নামিয়ে নিলাম।
ওনার থেকে নিজেকে ছাড়াতে চাইলাম। কিন্তু পারলাম না সে আরও শক্ত করে আমাকে ধরে বসলো,
–না ছাড়ানোর চেষ্টা করবে না।
আমার ভালো লাগে তোমার এই বাচ্চা মুখ।
হটাৎ করে বর্ষন ভাইয়া এতো নরম কি করে হয়ে গেল।
অজান্তেই তার জন্য ভালোলাগা কাজ করছে।
এক পলসা বৃষ্টি ঝিড়ি ঝিড়ি গুড়ি কনা মাটিতে পারছে সাথে তার মুখে আমার মুখে।
আবহাওয়া মাতাল করা বাতাস।
সাথে তার শরীরের মাতাল করা ঘ্রাণ।
আমি পাচ্ছি একটু একটু।
ইচ্ছে হচ্ছে সময় টা এখন থমকে যাক।
আমি এভাবে দেখি তাকে।
কিন্তু এমন কেন মনে হচ্ছে।
এমন ত মনে হবার কথা নয়।
–চল তোকে চা খাওয়াই।
আমাকে নিয়ে আবার গাড়িয়ে চলে এলো বর্ষন ভাইয়া।
অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে চা খেতে এলাম।
এখন ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
তাই রেইন কোর্ট পরে বের হলাম
ছাউনি তে দাঁড়িয়ে পাশাপাশি চা খাচ্ছি।
চায়ের দোকান টাও আমার কেমন জানি চেনা মনে হচ্ছে।
কিছু সময় লক্ষ্য করে দেখার পর বুঝতে পারলাম এমন একটা দৃশ্য আমি এঁকেছিলাম।
ঠিক এমনি চায়ের দোকানের পাশে ছাউনিতে একটা মেয়ে রেইন কোর্ট পরা হাতে চা।
–ছোঁয়া।
হটাৎ বর্ষন ভাইয়ার ডাকে তার দিকে তাকালম,
সে ক্যামেরা নিয়ে আমার ছবি তুললো।
আমি বুঝতে পারছি না লোকটা আমাকে দিয়ে সব ছবি নষ্ট করিয়ে এখন সেগুলোকে প্রান কেন দিতে চাইছে।
সত্যি কি উনি কর্কশ নাকি শুধু আমি তাকে যা ভাবি সে এক দম বেতিক্রম।
এখনো বিষয়ে টা আমার কাছে পরিষ্কার না।
চলবে,
(কে নায়ক? এই প্রশ্নের উত্তর এতো জলদি পাওয়া যাবে না।
জানতে হলে পড়তে থাকেন)

#বর্ষন_ছোয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-০৩
এই বৃষ্টি মাখা রংতুলির বিকাল টা সত্যি আমার কাছে স্বপ্নের মতো।
বর্ষন ভাইয়া আমার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে।
খুবই কাছে।
তার মুখে আজ কোন রাগ নেই।
তার ভেতর আজ কোন অভিযোগ নেই।
না আছে কোন অভিমান।
আমারো সত্যি তার প্রতি কোন অভিমান নেই।
–ছোঁয়া।
–জি।
–বাসায় দিয়ে আসি চল।
বর্ষন ভাইয়া আমায় বাসায় পৌঁছে দিলো।
তার পর নিজের বাসায় চলে গেল।
আমি রুমে এসে কাপড় পাল্টে শুয়ে পরলাম।
ভিশন ঘুম পাচ্ছে।
চোখ দুটো ঘুমের জন্য বুঁজে নিতে হটাৎ ফোন বেজে উঠলো।
ঘুম ঘুম এই সময় ভিশন বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরলাম
অনেকটা শান্তির ঘুম ভঙ্গ হবার রাগ নিয়ে বললাম,
–হ্যালো আসসালামু আলাইকুম কে?
–ওয়া আলাইকুম সালাম।
রোদ বলছি আমার নাম্বার টা সেভ করো নি?
–জি না ভাইয়া কিছু লাগবে?
–না খেয়েছিলে?
–হ্যাঁ ভাইয়া।
–ওহ ঘুমোচ্ছো বুঝি??
–হ্যাঁ একটু ক্লান্ত।
–আচ্ছা ঘুমাও আমি রাখছি।
রোদ ফোনটা কেটে দিতে ছোঁয়া ঘুমিয়ে যায়।
রাত ২ টার দিকে উঠে খাবার খেয়ে পড়া শেষ করে আবার ঘুমিয়ে যায় ছোঁয়া।
সকাল ৯ টা,
ছোঁয়া ভার্সিটির জন্য বের হলো।
রাস্তায় দাঁড়াতে হটাৎ বর্ষন গাঠি নিয়ে ছোঁয়ার সমনে এসে দাঁড়ালো।
ছোঁয়া চোখ সরু করে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে তাকালো।
এর অবশ্য কারন আছে।
এই ত ছোয়ার ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পরে প্রথম দিনের কথা,
ফ্লাস ব্যাক,
ছোঁয়া বেশ ফুরফুরে মনে বের হয় বাসা থেকে ভার্সিটিতে যাবে বলে।
রাস্তায় রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে।
হটাৎ বর্ষন তার গাড়ি নিয়ে এলো ছোঁয়া জানত বর্ষন আর ও একি ভার্সিটিতে।
তাই মনের মাঝে বেশ আনন্দ নিয়ে ভাবলো বর্ষন বুঝি ওকে নিতে এসেছে আর ওকে নিয়েই যাবে।
ছোঁয়া বর্ষন কে দেখে ভিশন খুশি হলো।
বর্ষন ছোঁয়ার সামনেই গাড়ি থামালেও ছোঁয়াকে না দেখার ভান করে অন্য একটা মেয়েকে গাড়িতে করে নিয়ে চলে গেল
ছোঁয়া অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলো।
কি আজব ছেলেটা।
ছোঁয়া মনটা একটু খারাপ করেই ভার্সিটি তে চলে গেল।
বর্তমান,
ছোঁয়া রিকশা দেখে ডাক দিলো,
–এই মামা যাবা।
তখনি হটাৎ বর্ষন গাড়ি থেকে নেমে ছোঁয়ার হাত ধরে গাড়িয়ে বসায়,
–আরে সমস্যা কি আপনার।
ছাড়ুন।
–বেশি কথা বললে গাড়িতে লক করে চলে যাবো কিন্তু।।
ছোঁয়া চুপ হয়ে গেল বর্ষন যে মানুষ সে মুখে যা বলে তাই ই করে।
বর্ষন ছোঁয়ার হাত টা শক্ত করে ধরে রেখেছে।
ছোঁয়া ভিশন অবাক হচ্ছে বর্ষন কে দেখে।
বর্ষন এমনি একটু উৎভট কাজ করলেও এমন কখনো করে নি যে।
ছোঁয়া চুপচাপ বসে আছে।
বর্ষন এক হাতে ছোঁয়ার হাত শক্ত করে ধরে সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করছে।
ছোঁয়ার প্রতিটা আঙুলের ভাজে বর্ষন এর আঙুল গুলো দেওয়া।
এ যেন এক মোহ।
যা কাটবে না কখনো।
ছোঁয়া চুপচাপ রইলো পুরোটা রাস্তা।
বর্ষন ও কোন কথা বলে নি।
ভার্সিটিতে পৌঁছে ছোঁয়ার হাতটা আলগা করে দেয় বর্ষন।
–যা ক্লাসে যা।
ছোঁয়া কিছু না বলে চলে আসে।
ক্লাস শেষ করে বর্ষার সাথে ক্যান্টিনে আসে ছোঁয়া।
ছোঁয়া বসে কফি খাচ্ছে আর বর্ষাকে বর্ষন এর সব কথা খুলে বলছে,
–ভাইয়া বেশ অবাক করা আচরণ করছে তাই না বর্ষা।
–হ্যাঁ রে স্যার সত্যি ভিশন অবাক করা আচরণ করছে।
–কি করতে হবে বল ত।
–আমার কি মনে হয় জানিস।
–কি।
–বর্ষন ভাইয়া তোকে ভালোবাসে।
–কিহ,
–হুম।
–তুই ও না। কি থেকে কি বানাস।
–দেব কানের উপর এক চড়,
–ও মা কেন?
–তুই কি গাঁধি।
–কেন?
–কোন মেয়ের হাত ধরা তার কাছে আসতে চাওয়া এগুলা কিসের সংকেত।
–এগুলা ত শুধু মাত্র একটা মেয়েকে ব্যবহার করা সখ মেটানোর সংকেত ও হতে পারে।
–তাহলে বর্ষন ভাইয়াকে নিজেকে ছুতে কেন দিস।
–তাই ত,
–হুম তাই ত।
তুই আর ওনার কাছে জাবি না ওনাকে সোজাই বলবি।
বুঝতে পেরেছিস।
–হুম
–হেই ছোঁয়া।
পেছন থেকে রোদের কন্ঠ পেয়ে ছোঁয়া পেছনে ফিরলো।
রোদ এসে ছোঁয়া আর বর্ষার কাছে বসলো,।–
–কি করো দুই বান্ধবী মিলে,
–গল্প ভাইয়া।
–ওহ আচ্ছা ত ছোঁয়া মন ভালো।
–জি আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া।
–আমিন,
–তার পর বলো কি খাবে,
–এখন কিছু না ভাইয়া আমরা এখন বাসায় যাবো।
–বাসায় যাবার আগে একটা কাজ করি।
–কি কাজ?
–চলো তোমায় একটা অসম্ভব সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাই।
–না না আমি কোথাও যাবো না।
–আরে বর্ষা বোঝাও বান্ধবী কে।
–না না ভাইয়া আমাদরে এখন উঠা উচিত।
–আরে দুই জনি দেখি সমান।
–ভাইয় পরে এক দিন।
–ওকে মাই ডিয়ার ছোঁয়া।
ছোঁয়ার হাতে হাত রেখে রোদ মুচকি হেসে চলে গেল।
ঘটনা এতো দ্রুত হয়ে গেল যে ছোঁয়া বুঝতেই পারে নি রোদ এভাবে ওর হাতে হাত রাখবে।
দুর থেকে কেউ এই দৃশ্য বেশ সুন্দর করেই দেখেছিল।
যেন স্লো মোর করে দৃশ্য টা বার বার তার চোখের সামনে ভেসে আসছে।
ছোঁয়া বর্ষা কে নিয়ে উঠে বাসায় চলে আসে।
বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে পড়তে বসে।
কিছুক্ষণের মধ্যে বর্ষন চলে আসে।
ছোঁয়া আজ আসার সময় কিছু সাদা রঙের কাঁচের চুড়ি কিনে এনেছে।
সেগুলো হাতে নিয়ে দেখছে কেমন লাগে,
হটাৎ বর্ষন এর আগমনে।
চুড়ি গুলো না খুলে বর্ষন এর কাছে পড়তে বসে,
–পড়া হয়েছে সব গুলো।
–হ্যাঁ ভাইয়া।
–বাহ বেশ খুশি মনে হচ্ছে।
–আসলে ভাইয়া আসার সময় এই চুড়ি গুলো পেলাম সুন্দর না।
বর্ষন কে দেখিয়ে,
বর্ষন চুড়ি গুলোর দিকে তাকাতে রাগে চোখ লাল বর্ণ ধারন করে।
–এগুলা তোকে কে দিয়েছে ছোঁয়া (দাঁতে দাঁত চেপে)
–কে দিবে ভাইয়া আমি কিনেছি (অবাক হয়ে)
বর্ষন ছোঁয়ার হাত ধরে ছোঁয়াকে টানতে টানতে ওয়াসরুমে নিয়ে এসে দরজা লক করে পানি ছেড়ে দেয়,
ছোঁয়া অবাক হয়ে বলে,
–কি হয়েছে ভাইয়া।
–এগুলা তোকে তোর বয়ফ্রেন্ড গিফট করেছে তুই সেগুলো পরে আমায় দেখিয়ে বলছিস সুন্দর হয়েছে কি না।
বর্ষন ছোঁয়ার হাতের সব চুড়ি গুলো ভেঙে দেয়,
চুড়ির কিছু টুকরো হাতে ঢুকে যায়,
ছোঁয়া ব্যাথায় কেঁদে দেয়,
–ভাইয়া ব্যাথা পাচ্ছি।

–ব্যাথা পবার জন্য ই ধরেছি। (রেগে)
পানির বিন্দু গুলো হাত বেয়ে পড়ছে।
ছোঁয়ার খত স্থানে জ্বলে যাচ্ছে।
সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে ছোঁয়া।
হটাৎ বর্ষন এর এই হিংস্র রুপ কেন
তা বুঝে উঠতে পারাছে না ছোঁয়া।
কি তার দোষ।
কিসের জন্য বর্ষন এমন করছে।
–ভাইয়া প্লিজ ছাড়ুন আর সহ্যা হচ্ছে না। (কেঁদে)
ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে বর্ষন ছোঁয়াকে ছুঁড়ে ফেলে চলে গেল।
ছোঁয়ার দম আঁটকে আসছে ব্যাথায়।
এদিকে ভিজে অবস্থা।
অনেক কষ্ট ফ্লোর থেকে উঠে মাকে ডাকে ছোঁয়া।
ছোঁয়ার মা এসে মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে দৌড়ে যায়
,–কি করে হলো মা এমন,
–মা পড়ে গেছি পা পিছলে।
ছোঁয়ার মা ছোঁয়ার কাপড় পাল্টে দিয়ে ওকে নিয়ে শুইয়ে ড্রেসিং করিয়ে দিলো।
ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে আছে।
বর্ষন এর এমন হিংস্রতা তার হৃদয় কে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।।
এদিকে কাল বৃষ্টিতে ভেজা আজ দুইবার ভেজা সব মিলিয়ে ভিশন জ্বর এলো ছোঁয়ার সাথে শ্বাসকষ্ট।
ভিশন ভাবে অসুস্থ হয়ে পরলো ছোঁয়া।
রোদ ছোঁয়ার ফোন না পেয়ে বর্ষাকে ফোন করলো,
জনাতে পারলো ছোঁয়া অসুস্থ,
চলবে,
(রিচেক দিতে পারি নি বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন ভিশন ব্যাস্ত আমি)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে