বর্ষণ সঙ্গিনী পর্ব-৪৪

0
1566

#বর্ষণ_সঙ্গিনী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_৪৪

আমার জ্ঞান ফিরতেই চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখতে পেলাম। হাত পা নাড়াচাড়া করে উপলব্ধি করলাম আমাকে কোথাও বেঁধে রাখা হয়েছে। সেইসাথে মুখ বাধা। এভাবে কত সময় আছি তা জানি না। তবে বেশ কিছু মুহূর্ত কেটে যাওয়ার পরে কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম আমার মুখমণ্ডলসহ পুরো মাথা অব্দি কোন কালো কাপড় দিয়ে হয়তো ঢেকে রাখা হয়েছে।

মনে হচ্ছে আমি এখানে একা নই। আমার আশেপাশে হয়তো আরো অনেক মানুষ রয়েছে। কারণ একসঙ্গে অনেকের চাপা আর্তনাদ এর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

হঠাৎ ক্যাচ ক্যাচ করে দরজা খোলার একটা আওয়াজ কানে ভেসে আসলো। এরপরই পায়ের শব্দ আর কয়েকটা পুরুষালী কন্ঠের আওয়াজ পেলাম।তারা বলতে লাগলো,,,

–সব গুলিরে মঞ্চের পেছনে নিয়ে যা।(প্রথম কন্ঠ)

–স্পেশাল মাল গুলিরে কি করমু?(দ্বিতীয় কন্ঠ)

— বস ওই গুলিরে পরে উঠাইতে কইসে।(প্রথম কন্ঠ)

তাদের কথোপকথন এর মাঝেই আমার আশেপাশের আর্তনাদ গুলো কিছুটা তীব্র হয়ে উঠলো। তখনই কেউ একজন এসে আমার পায়ের বাধন খুলে বাহু ধরে দাড় করিয়ে দিল। আমার বাহু শক্ত করে চেপে ধরে কোথায় যেন নিয়ে যেতে লাগল। মনের ভয়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের দুর্বলতাও প্রখর হয়ে উঠলো। মনে হচ্ছে হাত পা অসাড় হয়ে আসছে। ঠিক মতো হাটতে পারছি না। ঠিক যেমনটা এখানে ধরে নিয়ে আসার আগে হয়েছিল। হাটতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে নিচ্ছি। কিন্তু কেউ একজন আমাকে ধরে রাখায় পড়ে যাওয়া থেকে বারবার বেঁচে যাচ্ছি।

কয়েক কদম হাঁটার পরে থেমে গেলাম। পাশ থেকে শুনতে পেলাম একজন লোক বলে উঠলো,,,

–এইখানে ই সবগুলারে দাঁড়া করা।

যেখানে দাঁড় করানো হয়েছে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম। হঠাৎ করে কানে ভেসে আসলো,,,

–পন্ঞ্চাশ হাজার।

এরপর আবার শুনতে পেলাম,,,

–পন্ঞ্চান্ন হাজার।

এখানে কি হচ্ছে তা সঠিকভাবে বুঝতে পারছি না। কিসের দাম দর চলছে এখানে? চিন্তার মধ্যে আবার শুনতে পেলাম,,,

–পন্ঞ্চান্ন হাজার এক,পন্ঞ্চান্ন হাজার দুই,পন্ঞ্চান্ন হাজার তিন

–এক লক্ষ।

–এক লক্ষ এক,এক লক্ষ দুই,এক লক্ষ তিন,এক লক্ষ চার,এক লক্ষ পাঁচ।

এই কথাগুলো আগের থেকে একটু সময় বেশি নিয়ে বলা হয়েছে। বলার ভঙ্গিতে বুঝতে পারলাম কোনকিছু নিলামে তোলা হয়েছে।

যত সময় পার হচ্ছে ততই মনের মধ্যে ভয় আর আতঙ্ক বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে বেশকিছু সময় পাড় হয়ে গেছে। এখন পুরোপুরি ভাবে আমি নিশ্চিত এখানে কোন জিনিস নিলামে তোলা হচ্ছে।

মনের মধ্যে নিজে নিজেই একটা কথা বারবার ভেবে চলছি। কোনভাবে মস্তিষ্কের মধ্যে পজেটিভ ভাবনা আনতে পারছি না। নানা দুশ্চিন্তা মাথায় ঘুরছে। আল্লাহর কাছে শত দোয়া করছি যেন আমার ভাবনাটা সত্যি না হয়ে যায়। নিজের অজান্তে ই চোখ থেকে দড়দড়িয়ে গাল বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো।

একে একে প্রিয় মানুষগুলোর প্রতিচ্ছবি চোখে ভেসে উঠলো। নিয়াজ ভাইয়ের সাথে বসে বসে গল্প করা, আমার প্রতি ভাবির নেয়া যত্ন, বাবার আদর, আমার আর সাদুর খুনশুটির মুহূর্ত। আর সব শেষে ভেসে উঠলো হৃদ মাঝারে যত্ন করে রাখা মানুষটার ভালোবাসা।

আমার বাঁ বাহুতে ধরে খুব জোরে টান মারতেই আমার হুঁশ ফিরে আসলো। আমাকে ধরে আবারো কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মনে হলো দুই তিন ধাপ সিঁড়ি পাড় করে কোনো উঁচু জায়গায় আমাকে দাঁড় করানো হয়েছে। আমার মাথা থেকে কালো কাপড় জাতীয় কিছু সরিয়ে ফেলতেই আমি হতভম্ব হয়ে আমার সামনে তাকিয়ে রইলাম।

এই মুহূর্তে আমি একটা মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমার সামনে আনুমানিক পন্ঞ্চাশ থেকে ষাট জন এর মতো পুরুষ মানুষ চেয়ারে বসা।তারা কেউ যুবক, কেউ মাঝ বয়সি,কেউ আমার বাবার বয়সি।আশপাশের পর্যবেক্ষন করতেই খেয়াল করলাম পুরনো সেঁতসেঁতে আধভাঙ্গা দালান আর প্রাচীরে ঘেরা পুরো এড়িয়াটা।আমার ডান পাশে চোখ পরতেই দেখি আরো দুটো মেয়ে আমার থেকে কিছুটা দূরে দাড়িয়ে আছে।দুজনের ই মুখোমন্ডল সহ পুরো মাথা কালো কাপড়ে ঢাকা।হাত দুটো পিছনে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে।এভাবে আমাকেও বেধে রাখা হয়েছিল।

যখন মেয়ে দুটোকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম ঠিক তখনই কেউ একজন বলে উঠল পাচঁ লক্ষ।আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে বা পাশে তাকাতেই পাঁচ টা চেনা মুখ দেখতে পেলাম।সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে ভয় আর আত্মঙ্ক মিশ্রিত অনুভূতি অনুভব করলাম।ভয়ে শরীরে লোম দাঁড়িয়ে গেল।এতক্ষণ যেই ভয় টা পাচ্ছিলাম ঠিক তাই হলো।এখানে মেয়েদের নিলামে তোলা হচ্ছে।আর এই জঘন্যতম কাজটা করছে সেদিনের সেই রাকিব নামের ছেলেটা।এখানে সেদিনের পাঁচ জনই উপস্থিত। সাথে আজকে আবার একজন এক্সট্রা রয়েছে।আজ ওরা মোট ছয়জন।তাদের প্রত্যেকের মুখে লেগে আছে এক ভয়ংকর হাসি।ওদের হাসিতে আমার বুক কেঁপে উঠলো। আমি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলাম। কারন আমার যা বোঝার আমি এতক্ষনে বুঝে গিয়েছি। তখনই রাকিব বলে উঠলো,,,

— হেই বেবি! ডোন্ট ক্রাই! তোমাকে আমরা সুখের ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। কোথায় ধন্যবাদ দেবে তা না করে ড্রামা শুরু করে দিয়েছ।

তার কথায় আমি দ্বিগুণ জোড়ে কাদঁতে লাগলাম আর বলতে লাগলাম,,,

–প্লিজ ছেড়ে দিন।আল্লাহর দোহাই আমাদের সকল কে ছেড়ে দিন।দয়া করে ছেড়ে দিন।

তখন ওদের সাথে থাকা অপরিচিত লোকটা বলে উঠলো,,,

–এতো কাঠখড় পুড়িয়ে তোর ওই প্রেমিককে ধোঁকা দিয়ে তোকে ধরে এনেছি কি ছেড়ে দেয়ার জন্য?এনিওয়েজ অনেক সময় নষ্ট করে ফেলছিস।রাকিব শুরু কর।

তখন রাকিব আবার বলতে শুরু করলো,,,

–পাঁচ লক্ষ।

আমার সামনে বসে থাকা মানুষরূপি অমানুষ গুলো শুরু করে দিল তাদের দামদর করা।প্রত্যেকের চোখে রয়েছে লালসার ছাঁপ।প্রতি শ্বাস নেয়ার সময় মনে হচ্ছে পরের শ্বাস টা বুঝি না নিতে পারলেই ভালো হবে। প্রত্যেক পলকে পলকে আলআবি ভাইয়ার চেহারা টা ভেসে উঠছে।এমুহূর্তে যে পীড়াদায়ক অনুভূতি কে আলিঙ্গন করছি তাতে মনে হচ্ছে মৃত্যু ও বুঝি এর থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।জীবনে আমল করা সকল দোয়া দুরুদ মস্তিষ্ক থেকে খুব কষ্টে উগ্রে বের করছি।কারণ হলো এমন কুৎসিত আর লোমহর্ষক পরিস্থিতিতে দোয়া-দুরুদ সঠিকভাবে পাঠ করতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।আল্লাহর কাছে অনবরত দোয়া করে যাচ্ছি যেন আল্লাহ এমন কাউকে পাঠিয়ে দেন যে আমাকে আর এখানে থাকা সকল মেয়েগুলো কে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে।

আমার দাম বেড়ে এখন নয় লক্ষে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তাও আবার বাবার বয়সি লোকটা এই নয় লক্ষ পর্যন্ত টেনে এনেছেন। ঠিক যে মুহূর্তে নয় লক্ষ চার বলা হয়েছে সেই সময় একজন একেবারে পিছন থেকে বললেন,,,

–বিশ লক্ষ।

সকলের দৃষ্টি এখন সেদিকে ই।আমি ও দেখার জন্য সেদিকে দৃষ্টি দিতে ই মনে হলো দেহে প্রাণ ফিরে পেলাম।হয়তোবা আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করে নিয়েছেন।কারণ এখানে স্বয়ং আলআবি ভাইয়া উপস্থিত।এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে এখান থেকে দৌড়ে গিয়ে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

ঠিক তখনই রাকিব এর সাথে থাকা অপরিচিত ছেলেটি তেড়ে এসে আলআবি ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। এতক্ষণে আলআবি ভাইয়া ও মঞ্চের অনেকটা সামনে এসে পড়েছেন।আলআবি ভাইয়া কে উদ্দেশ্য করে ওই অপরিচিত লোকটা বলল,,,

— তুই মচকাবি তবু ভাঙবি না তাইতো?

–আমি কি হই সেটা পরে দেখা যাবে। কিন্তু তুই এখন মচকাবি, ভাঙবি আর একেবারে গুড়ো গুড়ো হয়ে যাবি।(আলআবি ভাইয়া)

–সে না হয় দেখা যাবে। কিন্তু এখন বল তোর প্রেমিকাকে এই মঞ্চে দেখে কেমন লাগছে? তোর মালটা কিন্তু হেব্বি। একবার পেছনে তাকিয়ে দেখ সবাই কেমন নেয়ার জন্য পাগলা কুত্তার মত করছে।(অপরিচিত লোক)

আলআবি ভাইয়া লোকটার দিকে তাকিয়ে রহস্যে পরিপূর্ণ একটা হাসি হেসে বললেন,,,

–প্রশ্ন যখন তুই ই করেছিস উত্তরটা না হয় তুই ই দে।

তখন আলআবি ভাইয়া মঞ্চের উপর উঠে এসে আমার কিছুটা দূরত্বে থাকা মেয়ে দুটোর মাথার উপর থাকে কালো কাপড় সরিয়ে মুখের বাধন খুলে দিল। সঙ্গে সঙ্গে অপরিচিত লোকটা কাতর কন্ঠে বলে উঠলো,,,

— মম!এমি!তোমরা।

আমার পাশের যে দুজন কে মেয়ে মনে করছিলাম তাদের মধ্যে আসলে একজন মেয়ে আমার সমবয়সী আর একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা। মধ্য বয়স্ক মহিলা বলে উঠলো,,,

— ছিঃ! এই কুলাঙ্গার ছেলেকে আমি পেটে ধরে ছিলাম?এখন মনে হচ্ছে তুমি ছোট থাকতেই তোমাকে মেরে ফেললাম না কেন?

আলআবি ভাইয়া বলে উঠলেন,,,

— কিরে এবার তুই বল এই মঞ্চে তোর মা আর বোনকে দেখে কেমন লাগছে? শুধু এতোটুকুই জানতে চাই।তোর মতো ভাষা আমি ব্যাবহার করতে পারব না। তাই আর বেশি কিছু বললাম না।এবার উত্তরটা দে।

এমি নামের মেয়ে টা বলে উঠলো,,,

–ব্রো তোকে দিয়ে অন্তত এমন জঘন্য ধরনের কাজ আশা করি নি কখনই।

এখানে থাকা প্রত্যেকটা মানুষ নিশ্চুপ হয়ে আছে। ওই ছেলেটা ও মাথানত করে রেখেছে। নিরবতা কাটিয়ে আলআবি ভাইয়া ছেলে টাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,,,

–শোন মিথুন যেমন কুকুর তেমন মুগুর, বলে কথাটা নিশ্চয়ই শুনেছিস।যে যেমন তাকে তেমন ভাবেই বোঝাতে হয়।আজ তোর মা বোনকে নিলামের মঞ্চে দেখে তোর ভিতরে যেমন লাগছে ঠিক তেমন এখানে থাকা প্রতিটা মেয়ের পরিবার যখন জানবে তাদের আদরের মেয়ের সাথে কি হচ্ছে বা হতে চলেছিল তখন তাদেরও অনুভূতি তোর মতই হবে। আজ একবার ভেবে দেখ দেড় বছর আগের আফসানা নামের মেয়েটার পরিবারের অবস্থা কি হয়েছিল। আজ তুই তোর মা-বোনকে এখানে জীবিত দেখতে পাচ্ছিস। কিন্তু আফসানার পরিবার মেয়েটাকে জীবিত দেখতেও পায়নি।

একটু থেমে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার ছেলেটাকে অর্থাৎ মিথুন নামের ছেলেটাকে বললেন,,,

— তোকে আজ এই পরিস্থিতিতে দাঁড় না করিয়ে এই কথাগুলো তোকে যদি আমি সুন্দরভাবে সাবলীলভাবে বলতাম তাহলে এই কথাগুলোর মর্ম কোনদিনও বুঝতি না।শুধুমাত্র তোকে বোঝানোর জন্য আমাকে তোর মতই খারাপ পন্থা অবলম্বন করতে হলো।

আলআবি ভাইয়া মিথুনের মায়ের দিকে তাকিয়ে তাকে বললেন,,,

–আন্টি আপনাদের এমন একটা বাজে পরিস্থিতিতে দাঁড় করানের জন্য আমি খুবই দুঃখিত। এমনটা না করলে আপনার ছেলে কে থামানো যেত না।

–তোমাকে আমি চিনি না। তবে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।তোমার দুঃখিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।এমন ছেলে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো বেশি। এক্ষুনি তুমি পুলিশ কে ইনফর্ম করো।ওকে পুলিশে দেও।(আন্টি)

–সেটা তো আপনি বললেও দিব না বললেও দিব।(আলআবি ভাইয়া)

এরপর আলআবি ভাইয়া বলে,,,

–এই কাজের সাথে জড়িত এবং যারা এখানে বসে আছেন তাদের মধ্যে যুবকদের বলছি, এতোই যখন রাতের সঙ্গী প্রয়োজন তাহলে বিয়ে করে নেও।এখান থেকে যে মেয়েটাকে নিচ্ছ সেও তো তোমার বোন হতে পারতো।মধ্য বয়সী আঙ্কেল দের বলছি,বাসায় গিয়ে আন্টি কে সময় দিন।তার সাথে গল্প করুন।তার সাথে রাত্রিযাপন করুন। কেউ তো বাধা দিচ্ছে না।বরং আল্লাহ নিজে আপনার স্ত্রী কে আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন। আর বাবার বয়সীদের বলছি,আপনারা ও নিজেদের স্ত্রী কে নিয়ে ভাবুন না।এখানে এসে মেয়ের বয়সী একটা মেয়ে কে নিয়ে টানাটানি করছেন কেন।

আলআবি ভাইয়া তার কথা শেষ করতেই পুলিশ এসে হাজির হলো এখানে।শাফিন ভাইয়াও আছে সাথে।মিথুনকে সহ রাকিবদেরও এরেস্ট করে নিয়ে যাওয়া।আর মেয়েগুলোকেও আপাতত থানায় নিয়ে যাওয়া হলো।

আলআবি ভাইয়া আমার কাছে এসে৷ আমার হাতের আর মুখের বাধন খুলতেই আমি তাকে জাপটে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে লাগলাম।

চলবে…………

[বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। অনুগ্রহ করে বাস্তবিক অর্থ খুজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না আর লেখিকা কে ও বিভ্রান্ত করবেন না]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে