বর্ষণ সঙ্গিনী পর্ব-১৭

0
1663

#বর্ষণ_সঙ্গিনী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_১৭

গোলাপ আর গাদা ফুল তাদের সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পরিবেশটাকে মাতিয়ে তুলেছে। সেইসাথে আকাশে উঠেছে গোলাকার থালার ন্যায় চকচকে এক চাঁদ। ক্ষণে ক্ষণে কিছু দল মেঘ এসে চাঁদটাকে ঘিরে ফেলছে আবার ক্ষণে ক্ষণে চাঁদ তার চকচকে রূপ নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছে আমাদের সামনে।

ছাঁদে মানুষের আনাগোনার সাথে সাথে বেড়েছে কিছু চ্যাংড়া ধরনের ছেলেদের আনাগোনা। গ্রাম হোক বা শহর, প্রায় বিয়ে বাড়িতেই কিছু কিছু ছেলেদের দেখা যায় দাওয়াত বিহীন তারা এসে তাদের চাঁদমুখ খানা একবার দেখিয়ে যায় সবাইকে। এরাও তাদের দলেরই অন্তর্ভুক্ত। সব বিয়ে বাড়িতেই যে এরকম হয় তাও কিন্তু নয়।

অনুষ্ঠান চলাকালীন দেখি সার্থক ভাইয়া আর আংকেল মানে সাদুর আব্বু এসে হাজির। আজকের দিনে তাদেরকে আমরা মোটেও আশা করিনি। কারণ তাদের আসার কথা ছিল কালকে। আমরা সবাই মিলে স্টেজের সামনে রাখা চেয়ারগুলোতে বসেছিলাম আর নিজেদের মতো গল্প করছিলাম। কারন এখন বড়দের হলুদ দেওয়ার পালা চলছে। একটু পরেই আমরা হলুদ লাগাবো। তখন সার্থক ভাইয়া এসে রাফিদা আপুর পাশে বসে আপুর কাঁধে ভাইয়ার বাম হাত তুলে দিয়ে বলে,,,

— কি বড় বউ সারপ্রাইজ কেমন দিলাম?

আপু সার্থক ভাইয়ার হাত সরিয়ে একটু রাগী ভাব নিয়ে বলে,,,

— লাজ শরম কি গাজীপুরে সব রেখে আসছো?

–আরে বউ,আমি তো জন্মের আগেই লজ্জা শরম আল্লাহর কাছে রেখে আসছি।(সার্থক ভাইয়া)

–আমার কাছে আসলে লজ্জা শরম সব নিয়া তারপর আসবা। বুঝছ?(রাফিদা আপু)

আমরা সবাই ভাইয়া আর আপুর এমন কথাগুলো ভালোই এনজয় করছিলাম।তখন আমাদের ডাক পড়লো হলুদ ছোঁয়ানোর জন্য।নিয়াজ ভাইয়া একটা সাদা সেন্টু গেঞ্জি পড়া ছিল। একটা টাওয়াল গায়ের উপর দেওয়া ছিল।আর সাথে একটা লুঙ্গি পড়া ছিল।

একে একে রাফিদা আপু,সার্থক ভাইয়া, আলআবি ভাইয়া, সুমনা আপু, আঁখি, সুমাইয়া সহ আরো কিছু ছেলে মেয়ে হলুদ ছোঁয়ালো ভাইয়াকে।সব শেষে আমি, সাদু আর সজল ভাইয়া স্টেজে উঠলাম হলুদ ছোঁয়ানোর জন্য।আমরা তিনজন একটু একটু করে হলুদ দিলাম। হুট করেই আবার সাদু হাতে এক গাদা হলুদ নিয়ে নিয়াজ ভাইয়ার পুরো মাথায় লাগিয়ে দিলো।আমি একগাদা হলুদ নিয়ে ভাইয়ার গালে কপালে লেপ্টে দিলাম।সজল ভাইয়া নিয়াজ ভাইয়ার পুরো শরীরে হলুদ দিয়ে ভরে ফেলল।এইমুহূর্তে নিয়াজ ভাইয়া আর সজল ভাইয়া বসে বসেই একপ্রকার ধস্তাধস্তি করছে।নিয়াজ ভাইয়া নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টায় আছে আর সজল ভাইয়া হলুদ লাগানোর চেষ্টায়।একপর্যায়ে নিয়াজ ভাইয়া না পেরে সজল ভাইয়াকেও হলুদ দিয়ে ভূত বানিয়ে দিল।এখন আমরা দুই হলুদ মানব রূপী ভূতের মাড়ামাড়ি উপভোগ করছি। তাদের কান্ড দেখে তো আমরা সবাই হেঁসে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছি।আসলে এটা আমাদের তিন জনেরই একটা প্লেন ছিল।এর মাস্টার মাইন্ড হলো সজল ভাইয়া। নিয়াজ নামক হলুদ ভূতের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।একটু পরে তাসিফা আপুকে ছবি গুলো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিব বলে।

হাসাহাসির একপর্যায় সাদুর সাথে আমার ধাক্কা লাগে। আমি ছিলাম ওর সামনে। স্টেজের সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাচ্ছিলাম।আর সাদু ছিল আমার পিছনে। ধাক্কা টা সামলাতে না পেরে আমি সামনের দিকে পড়ে যাই।আপনাআপনি আমার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই খেয়াল করলাম আমি পড়ে যাইনি। উপলব্ধি করতে পারছি একজোড়া বলিষ্ঠ হাত আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমার হাত জোড়াও কোন একটা স্থানে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু কোথায় তা ঠিক বুঝতে পারছিনা। তাড়াতাড়ি করে চোখটা খুলে ফেললাম। আমার সামনের ব্যক্তিটিকে দেখে মনে হচ্ছে আমার চোখ কোটর থেকে বের হয়ে আসবে। দেখি আলআবি ভাইয়া তার হাত জোড়া আমার কোমরে চেপে ধরে রেখেছেন। আমার সমস্ত শরীরের ভর তার হাত জোড়ায়। আমার হাত জোড়া গিয়ে আলআবি ভাইয়ার শুভ্র রাঙা পাঞ্জাবির সারি সারি বোতামের দুইপাশে পড়েছে। অর্থাৎ এক হাত তার বাম পাশের বুকে আর এক হাত ডান পাশের বুকে। তাড়াতাড়ি নিজেকে ঠিক করে দাড়িয়ে পড়লাম। দাঁড়িয়ে পুনরায় অবাক হলাম। কারণ আমার দুই হাতে লেগে থাকা কাঁচা হলুদের ছাপ আলআবি ভাইয়ার পাঞ্জাবিতে লেপ্টে আছে। তার শুভ্র পাঞ্জাবিতে কাঁচা হলুদের একজোড়া হাতের ছাপ জ্বলজ্বল করছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি নিয়াজ ভাইয়া, সজল ভাইয়া, সাদু ব্যাতীত আমাদের আর কেউ লক্ষ্য করেনি। তিনজনই আমাদের দিকে অবাক করা চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে।মাথা নিচু করে আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,

–আ..আসলে আমি খেয়াল করিনি।

আলআবি ভাইয়া বলে উঠলেন,,,

–সে সরি।

আমি হকচকিয়ে তার দিকে তাকালাম। আমি তার থেকে এমন কোনো উত্তরই আশা করছিলাম না। এরকম পরিস্থিতিতে যে কেউ ই বলবে “ইট’স ওকে” অথবা বলবে “আমি কিছু মনে করিনি”। এই লোকটা এমন কেন? আর আমিই কি ইচ্ছে করে তার উপর পরতে গিয়েছি নাকি?কিছু টা অভিমান নিয়েই বললাম,,,

–সরি!

বলেই আমি স্টেজ থেকে নেমে এককোনায় চেয়ারে গিয়ে বসে রইলাম।বসে বসে তাসফি আপু কে নিয়াজ ভাইয়ার ছবি গুলো পাঠাচ্ছি আর আমাদের তোলা ছবি গুলোও দেখছি।তখন সাদু এসে আমার পাশে বসলো।কিন্তু ওর সাথে কথা বললাম না।ওর সাথে রাগ করেছি।ধাক্কা টা ওর সাথে লেগেই তখন ওই রকম একটা সিচুয়েশন তৈরি হয়েছিল।তকন সাদু বলল,,,

–কিরে মুখ টা ওমন কেন?

— আমার মুখ আমার ইচ্ছা। (আমি)

আমার সামনে সাদু ওর হাতটা মুষ্টিবদ্ধ করে এনে কিছুটা মাইকের মত করে ধরে বলল,,,

–আচ্ছা বাই দ্যা ওয়ে, রোমান্টিক একটা সিন এর পর আপনার অনুভূতি কি? যদি দর্শকদের একটু বলতেন?

ওর এই কথায় আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলাম।ও যে আমার মজা নিতে এসেছে আমি তা ভালোই টের পেয়েছি। শুরু হয়ে গেল আমাদের মারামারি।এর মধ্যেই হঠাৎ করে খেয়াল করলাম কেউ গিটারে টুংটাং শব্দ করে সুর তোলার চেষ্টা করছে। স্টেজের দিকে চোখ পড়তেই দেখি আলআবি ভাইয়া একটা চেয়ারের উপর বসে হাতে গিটার নিয়ে সেটা বাজাচ্ছে। পড়নে তার সেই পাঞ্জাবি যেটা আমি নষ্ট করে দিয়েছি। গিটার হাতে তাকে আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লাগছে । মনে হচ্ছে তার দিকে তাকিয়েই থাকি । পরক্ষনেই মনে হলো ছি!ছি! এগুলো কি ভাবছি।

গিটারের শব্দ টা ভালই লাগছে। সবাই একসঙ্গে স্টেজের সামনে জটলা পাকালো।আমারও নড়েচড়ে বসলাম। তখন আলআবি ভাইয়া গলা ছেড়ে গাইতে শুরু করলেন,,,

কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে
অন্ধ করে রাখে
তোমারে দেখিতে দেয় না

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?

ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে হারাই-হারাই সদা হয় ভয়
হারাই-হারাই সদা হয় ভয়
হারাইয়া ফেলি চকিতে
আঁশ না মিটিতে হারাইয়া
পলক না পড়িতে হারাইয়া
হৃদয় না জুড়াতে
হারাইয়া ফেলি চকিতে

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?

ওহে কি করিলে বলো পাইব তোমারে?
রাখিব আঁখিতে আঁখিতে
ওহে কি করিলে বল পাইব তোমারে?
রাখিব আঁখিতে আঁখিতে
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ
এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ
তোমারে হৃদয়ে রাখিতে

আমার সাধ্য কিবা তোমারে
দয়া না করিলে কে পারে?
তুমি আপনি না এলে
কে পারে হৃদয়ে রাখিতে?

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?

ওহে আর কারো পানে চাহিব না আর
করিব হে আজই প্রাণপণ
ওহে আর কারো পানে চাহিব না আর
করিব হে আজই প্রাণপণ
ওহে তুমি যদি বল এখনি করিবো
তুমি যদি বল এখনি করিবো
বিষয় বাসনা বিসর্জন
দিব শ্রীচরণে বিষয়
দিব অকাতরে বিষয়
দিব তোমার লাগি বিষয়
বাসনা বিসর্জন

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?

কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে?
কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে?
তোমারে দেখিতে দেয়না
মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয়না
মোহমেঘে তোমারে
অন্ধ করে রাখে তোমারে
দেখিতে দেয়না

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?

তার গানের কন্ঠ মাশাল্লাহ! এতক্ষণ মনে হচ্ছিল কোন এক মোহে পড়ে গিয়েছিলাম । তার গান শেষ হতেই করতালির শব্দে মুখরিত হলো চারপাশ। পুরো গানটাই আলআবি ভাইয়া চোখ জোড়া বন্ধ করে গেয়েছেন। করতালির শব্দে চোখ মেলে তাকালেন। তিনি চোখ খুলতেই আমাদের দুজনের মধ্যে চোখাচোখি হয়ে গেল। গানটা শেষ করে সে আর অপেক্ষা করলেন না। স্টেজ থেকে নেমে সিঁড়ি দিয়ে একেবারে নিচে চলে গেলেন। তার যাওয়ার পরে কয়েকটা ছেলে স্টেজে উঠে নাচলো। একটা মেয়ে গান গেলো।এভাবে রাত বাড়তে বাড়তে দুইটায় এসেও পর্যন্ত নাচ-গানের পর্ব শেষ হলো না।আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। প্রচুর ঘুমও পাচ্ছে। ঘুমের জন্য বারবার চোখের পাতা নেমে আসছে। সাদুকে সহ ওদের সবাইকে একবার জিজ্ঞেস করলাম ওরা কেউ নিচে যাবে কিনা। সবাই বলল না। তাই আমি একাই নিচে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। কিছুটা ঘুম ঘুম চোখেই ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে আসলাম। দেখি উঠোনে সব বড়রা বসে গোল মিটিং এর মতো কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছে। পাশেই ডেকোরেশন এর জিনিসপত্র গুছানো হচ্ছে। কারণ আমাদের বাড়িতে আর অনুষ্ঠান হবে না। এর পরের দুই দিন সেন্টারেই অনুষ্ঠান হবে। তাই বাড়িতে কোন ঝামেলা নেই। উঠোনের দিকে চোখ বুলিয়েই আমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম।ঘুমে আমার চোখ ভেঙে আসছে। এখনই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়বো।

ফ্রেশ হয়ে একটা ঢিলেঢালা থ্রি পিছ পড়ে নিলাম। কারণ আজকে গরম একটু বেশিই পড়েছে। বিছানায় এসেই আমার মহা মূল্যবান সময় গুলোকে নষ্ট না করে বাকিদের জন্য জায়গা রেখে দ্রুত শুয়ে পড়লাম। শুয়ে চোখটা বন্ধ করেছি কিছু সময় হবে। আমার চোখটা লেগে এসেছিল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মনে হলো কোন শীতল বস্তু আমার দুই গালে আর কপালে স্পর্শ করছে। হঠাৎ করে কানে একটা পুরুষালি কণ্ঠ ভেসে আসলো,,,

–গজদন্তিনী!তুমি কি জানো তোমার গজ দাঁত বিশিষ্ট হাসি দেখলে তোমার গজদাঁতে আমার ওষ্ঠদ্বয় ছুয়ে দেয়ার প্রবল ইচ্ছে জাগে।

কানে কোন অপরিচিত কন্ঠ আর এমন একটি কথা ভেসে আসতেই আমি সটান হয়ে বসে পরলাম। জোরে জোরে শ্বাস ক্রিয়া চালাচ্ছি।রুমের লাইটটা অন করে পুরো রুমটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। কিন্তু কাউকেই পেলাম না। এবার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেল মনে মনে ভাবছি কোন প্রেতাত্মা এসে পড়ল না তো রুমে?আয়নায় চোখ যেতেই আমার চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। আমার গালে আর কপালে তিন আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে হলুদ ছোঁয়ানো।এটা দেখে ভয়ে রীতিমতো কলিজার পানি শুঁকিয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে সবাই সবাইকে যেই হলুদ লাগিয়েছিলাম আমি তো তা ভালোভাবেই ধুয়ে এসেছিলাম।এখন আবার এই হলুদ আসলো কীভাবে?আমার আকাশকুসুম ভাবনার মধ্যে ফোনের মেসেজ টোন বেজে উঠলো। তাড়াতাড়ি করে ফোনটা নিয়ে দেখি একটা মেসেজ এসেছে,,,

“আমার #বর্ষণ_সঙ্গিনী”

” সবার পরের ছোঁয়াটা আমিই দিলাম। যদি সবার আগে তোমায় হলুদ ছোঁয়া দিতাম তবে অন্য সকলের স্পর্শে আমার ছোঁয়াটা ঢেকে যেত। এখন আমার ছোঁয়া টাই থেকে যাবে।”

“তোমার বর্ষণ সঙ্গি”

চলবে…………

[বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। অনুগ্রহ করে বাস্তবিক অর্থ খুজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না আর লেখিকা কে ও বিভ্রান্ত করবেন না]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে