#বর্ষণ_সঙ্গিনী
#হুমাশা_এহতেশাম
#পর্ব_১৫
আমার”বর্ষণ সঙ্গিনী”,
জানো তো বৃষ্টি পড়ার সময় টা যে অনেক রোমাঞ্চকর?কাঁথা মুড়ি দিয়ে তোমার মাথা আমার পাজোরে রেখে বৃষ্টির শব্দের সাথে সাথে আমাদের দুজনের গল্পের আসোর কিন্তু ভালোই জমবে।তাই না?এই উইশটা কিন্তু অবশ্যই পূরণ হবে।আজকে একটাই ইচ্ছে বললাম। আস্তে আস্তে সব জেনে যাবে।প্রতিদিন ভার্সিটিতে যেয়ো কিন্তু। মাঝে মাঝে মিস দেও কেনো?তাহলে তো আমিও আমার বর্ষণ সঙ্গিনীকে মিস করি।আর মাত্র তো কিছু দিন।এরপর থেকে আর মিস করতে হবে না আমার বর্ষণ সঙ্গিনী কে।আজকের মতো এখানেই আল্লাহ হাফেজ।
তোমার”বর্ষণ সঙ্গী”।
ম্যাসেজটা পড়ে শোয়া থেকে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম। ছিঃ!ছিঃ!ছিঃ!এই ব্যাটার সাথে আমি কোন দুঃখে এক কাঁথা মুড়ি দিতে যাবো।এই লোক তো বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছে।লোকটাকে আমি রিপ্লাই দিলাম,,,
–আপনার কাঁথায় আপনি শুয়ে থাকেন। মন চাইলে কাঁথা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খান।কিন্তু আমাকে আর ম্যাসেজ দিবেন না, আর ডিস্টার্ব করবেন না।আর একবার যদি ম্যাসেজ দিয়েছেন তাহলে আমি আর আমার বান্ধবী মিলে আপনার চোখ কোটর থেকে বের করে মারবেল খেলব।
উফ!!!আজাইরা পাবলিক যত্তসব!!!৪-৫দিন তো ভালই ছিলাম। কোনো ম্যাসেজের ম ও তো আসতো না। আজকে কোথা থেকে উদয় হলো এই লোক?অনেক সময় অপেক্ষা করেও লোকটার কোনো রিপ্লাই আসেনি।
মাগরিবের নামাজ পরে স্যান্ডউইচ বানালাম।সচারাচর বাসায় বার্গার-স্যান্ডউইচ বানানো হয় না। নিয়াজ ভাইয়া অফিস থেকে আসার সময় মাঝে মাঝে নিয়ে আসে।আবার আমাদের বাইরে গিয়েও খাওয়া হয়। তাই বাসায় বানানো ওইভাবে হয়ে ওঠে না।আমার জন্য, বাবার জন্য বানিয়ে আর একটা ভাইয়ার জন্য তুলে রাখলাম।বাসায় সামান্য নুডলস রান্না করলেও তা থেকে কিছুটা ভাইয়ার জন্য তুলে রাখি।ছোটবেলা থেকেই ভাইয়াকে রেখে না আমি কিছু খেতাম আর না ভাইয়া আমাকে রেখে কিছু খেতো।
রাতের বেলা বসে বসে পড়ছি।রুমে একেবারে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে। ফ্যানের ঘটর ঘটর শব্দটা পর্যন্ত নেই।তার প্রধান কারণ হলো বাইরে টিপটিপ ছন্দে বৃষ্টি পড়ছে। তার অস্তিত্ব কে জানান দেওয়ার জন্য চারপাশকে শীতল করে তুলেছে।এমন সময় বিকেলের ওই ম্যাসেজ এর কথা মনে পড়তেই শরীরে কেমন শিহরণ বয়ে গেল।ঠিক তখনই বিছানায় থাকা মোবাইল টা বেজে উঠলো। হাতে নিয়ে দেখি”রানু মন্ডলের ২য় ভার্ষণ”আমাকে কল দিচ্ছে।অর্থ্যাৎ আমার প্রানপ্রিয় বান্ধবী। কল রিসিভ করে আমি হ্যালো বলার আগেই সাদু বলে উঠলো,,,
–জানছ সাদমান ভাইয়ার না পা মচকে গেছে।
আমি আমার প্রিয় মানুষগুলোর মনোভাব অতি সূক্ষ্ম ভাবে পরখ করতে না পারলেও এটুকু অন্তত বুঝতে পারি কখন তাদের মনটা ভালো আর কখন তাদের মনটা খারাপ। যেমন এখন সাদুর কন্ঠেই প্রকাশ পাচ্ছে ওর সাদমান ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগছে।
ওকে আমি বললাম,,,
–কীভাবে হলো?
–সন্ধ্যা থেকেই তো বৃষ্টি হচ্ছে একটু একটু।সাদমান ভাইয়া তাদের বাড়ির গেটের সামনে রিকশা থেকে নামতে নিয়ে পিছলে পরে যায়।হাত পা তো ছিলে গেছে সাথে বা পা মচকে গেছে। (সাদু)
–ফোন দিয়েছিলি?(আমি)
–না।আমিই তো নাম্বার ব্লক করে রাখছিলাম।এখন একটু কেমন জেনো লাগতেছে তাকে ফোন দিতে। (সাদু)
–ভালোবাসিস কিনা সেটা তুই ই জানছ।কিন্ত আমি জানি তোর তাকে পছন্দ। আর এইটাও জানি তোর ইচ্ছে হচ্ছে তাকে কল দিতে।দেরি না করে তাড়াতাড়ি কল করে খবর নে।(আমি)
–যাহ্।আমি তো নিজে থেকে কোন দিন তাকে কল করি নাই।এখন আমি করলে কি ভাববে?(সাদু)
–ভাববে তার প্রিয় মানুষটা তার সাথে আছে,তার ভালোবাসায় জোড় আছে।(আমি)
–আচ্ছা তাহলে কল করি?(সাদু)
আমি একটু মৃদু হেঁসে বললাম,,,
–কর কল।আমি রাখলাম।
সকালে উঠে নাস্তা বানিয়ে নাস্তা খেয়ে ভার্সিটি যাওয়া,এসে বাবার সাথে দুপুর এর খাবার খাওয়া,বিকেলে ঘুমানো অথবা বই পড়া অথবা সাদুর সাথে ফোনে ওর আর সাদমান ভাইয়ের প্রেমগল্প শোনা, রাতে ভাইয়া আসলে খেয়ে দেয়ে পড়া শেষ করে ভাইয়ার সাথে গল্প করে ঘুমাতে যাওয়।এইভাবেই এক সপ্তাহ কেটে গেল।
আজ আমরা সবাই গ্রামে যাবো।পরশু ভাইয়া আর তাসফি আপুর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হবে। আমার নানা আর দাদা হলো ছোট কালের বন্ধু। একই গ্রামের ছেলে। তারউপর বাজারের এপার আর ওপার দুজনের বাড়ি। সখ্যতা তাদের একটু বেশি ই।দুই বন্ধু মিলেই দাওয়াত এর কাজ সহ বিয়ের আরো কাজের দেখাশোনা করছে। তাসফি আপু চলে গেছে গ্রামে আরো দুই দিন আগে।হলুদের একদিন আগে যাওয়ার কারণ ভাইয়ার চাকরি। অফিস তো আর নিজের না।তাই নিজ ইচ্ছায় ছুটিও কাটানো যায় না।সব মিলে ভাইয়া ছুটি পেয়েছে কেবল ৮ দিনের।তাই আমরা হলুদের একদিন আগে যাচ্ছি।
আমাদের সাথে সাদু, আন্টি আর রাফিদা আপু যাবে। আঙ্কেল বলেছে বিয়ের দিন আসবে। সার্থক ভাইয়া আসবে কি না তা সিওর না।
একেবারে ছোট থেকেই আমাদের দুই পরিবারের পরিচয়। ছোট থেকেই একই স্কুলে পড়ার সুবাদে আমার আর সাদুর ঘনিষ্ঠতা যেমন বেড়ে যায় আমাদের দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠতাও তেমন বেড়ে যায়। আমাদের দুই পরিবারের রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সাদুর আব্বুর পরিচিত একজন লোকের কাছ থেকে আমরা মাইক্রো ভাড়া করেছি। সকাল সাতটার দিকে তৈরি হয়ে আমি, নিয়াজ ভাইয়া আর বাবা সাদুদের বাসার সামনে আসি।মূলত গাড়ি আসবে ওদের বাসার সামনে। এসে দেখি ওরা তিনজন দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছে। আমি গিয়ে সাদুর হিজাব ধরে টানাটানি শুরু করে দিলাম। আর বললাম,,,
–কিরে আজকেই তো আমার ভাইয়ের বিয়া হইয়া যাইতাছে না। এত সাজছোস কেন?
–কই সাজছি আমি?খালি তো একটু আইলাইনার দিছি।চোখে কি বেশি দেখছ?(সাদু)
–আগে কবি না? আমিও দিয়া আইতাম। (আমি)
কথা বলতে বলতেই আমরা গাড়িতে উঠলাম। আমাদের গাড়িটা কিছুদূর গিয়েই মেইনরোডে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল। তখনি দেখি হুর হুর করে সজল ভাইয়া আর আলআবি ভাইয়া গাড়িতে উঠলেন। সামনের সিটে নিয়াজ ভাইয়া আর ড্রাইভার আঙ্কেল বসেছিলেন। তাদের পিছনে আন্টি, রাফিদা আপু আর বাবা বসেছে।তাদেরও পিছনে আমরা দুই বান্ধবী শান্তি মত গল্প করতে করতে যাওয়ার জন্য বসেছিলাম। কিন্তু সেই শান্তি আর কপালে জুটল না। আমরা দুই বান্ধবী ৩ সিটে আরাম করে বসে ছিলাম সেখানে সজল ভাইয়া আলআবি ভাইয়া এসে ভাগ বসালো। আমাদের দুই জনের বদলে ৪ জন চাপাচাপি করে বসতে হলো। মাঝখানে আমি আমার বাম পাশে আলআবি ভাইয়া আর ডান পাশে সাদু। আলআবি ভাইয়ের পাশেই সজল ভাইয়া।নিয়াজ ভাইয়া আন্টির সাথে সজল ভাইয়া আর আলআবি ভাইয়ার পরিচয় করিয়ে দিল।
আমার পাশের গবেটটা গাড়ি বা বাসে উঠলেই ঘুমিয়ে পড়ে। আমাদের গাড়ি কিছুদূর যাওয়ার পরে সাদু ওর মাথা আমার কাঁধে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পরল। আমার গা ঘেষে কেউ বসলে বা দাড়ালে অস্বস্তি বোধ হয়। এই মুহূর্তেও হচ্ছে। একেতো সাদু পারলে আমার কোলে এসে বসছে তার ওপর আবার আরেক পাশে আলআবি ভাইয়া। এই মুহূর্তে খুবই অসহ্যকর লাগছে পরিস্থিতিটা। হঠাৎ করেই দেখি আলআবি ভাইয়া আমার একটু কাছে এসে আমার উপর দিয়ে হাত নিয়ে সাদুর মাথাটা সরিয়ে জানালার সাথে ঠেকিয়ে দিল।তার কাজে অত্যন্ত অবাক হলাম।উনি বুঝলো কীভাবে? আমার জায়গায় যে কেউই থাকলে অবাক হতো। আমি তাকে প্রশ্ন করেই বসলাম,,,
— ওকে সরিয়ে দিলেন কেন?
–ইচ্ছে হলো তাই?(আলআবি ভাইয়া)
তার জবাব দেয়ার ধরন দেখে মনে হল সে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক জোর করে গলা থেকে শব্দ বের করলেন
— ইচ্ছে হলেই সরাবেন? (আমি)
–হ্যাঁ সরাবো। কারণ… (আলআবি ভাইয়া)
–কারণ?(আমি)
–নট ইন্টারেস্টেড টু সে।(আলআবি ভাইয়া)
আমি নিজেই বিড় বিড় করে বললাম,,,
–হ্যা তাতে ইন্টারেস্ট থাকবে কেন? ইন্টারেস্ট থাকবে তো শুধু “ক্লিন ইট ক্লিন ইট” করতে।
— আমি তোমার থেকে একশো হাত দূরে নই। আমার কান আছে সবই শুনতে পাই।(আলআবি ভাইয়া)
এতক্ষণ আমরা আস্তে আস্তেই কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে আলআবি ভাইয়া এই কথাটা একটু জোরে বলে ফেললেন। তখন পাশ থেকে সজল ভাইয়া বলে উঠলেন,,,
— কি শোনাশুনি করছ তোরা?
তখন নিয়াজ ভাইয়াও পিছনে তাকালেন। বলতে গেলে সবাই আমাদের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। তখন আলআবি ভাইয়া নিয়াজ ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,,,
–তোর বোন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিল। আমি বলেছি নাক জেনো না ডাকে।ও অস্বীকার করছ ও নাকি নাক ডাকে না।
হায়! হায়! মুহূর্তের মধ্যেই এমন একটা ডাহা মিথ্যে কথা উনি কিভাবে বললেন। এই বুঝি সত্যবাদী? তখন নিয়াজ ভাইয়া বলে উঠলেন,,,
— কিরে নাক ডাকিস কবে থেকে?
আমি জবাবে বললাম,,,
— আমি নিজেও জানিনা।
ভাইয়া আর কথা না বাড়িয়ে সামনে মুখ করে বসে পড়লো। আমার পাশে তাকিয়ে দেখি সাদু মরা ঘুম ঘুমিয়েছে। যার জন্য এত কাহিনী তারই কোনো খবর নেই। ওর এই ঘুম এখন আমার আর সহ্য হচ্ছে না। ইচ্ছা করেই ওকে জোরে একটা গুঁতো মেরে উঠিয়ে দিলাম। সাদু বিরক্তি নিয়ে উঠে বলল,,,
–কি ?কি সমস্যা তোর? ঘুমের মধ্যে এত গুতাগুতি করছ কেন?
আমিও ওকে শুনিয়ে দিলাম,,,
–ইচ্ছে হলো তাই।
লেগে গেলো আমাদের দুজনের ঝগড়া। আমাদের শান্তির ঝগড়ার এক পর্যায়ে অশান্তি নিয়ে এলো আলআবি ভাইয়া। উনি হুংকার দিয়ে বলে উঠলেন,,,
–জাস্ট স্টপ ইট!
এমন এক চিৎকার শুনে আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল। তাকে সব সময় আস্তে কথা বলতে শুনেছি। এই প্রথম জোরে ধমক দিলেন সামনাসামনি। তার বাজখাঁই ধমকে আমি আর সাদু দুজনেই চুপ হয়ে গেলাম।রাফিদা আপু তখন বলে উঠলো,,,
–কোন জায়গায় গেলে শান্তি মত থাকতে পারিস না তোরা? আগে ওখানে পৌঁছে নেই তারপর দুইটাকে একরুমে আটকে রাখবো। তখন যত খুশি একটা আরেকটার চুল ছেড়াছেড়ি করিস।
এরপর থেকে আমরা দুজন একেবারে পিনপতন নীরবতা পালন করলাম। আমাদের নীরবতা পালন শেষ হলো একেবারে নানু বাড়িতে এসে। নানু বাড়িতে প্রথমে আসার কারণ কালকে আমরা নানু বাড়ির সবাইকে নিয়ে দাদু বাড়িতে যাব।
আমরা যখন নানু বাড়ি এসে পৌঁছালাম তখন ঘড়ির কাঁটা প্রায় তিনটার ঘরে। নানু বাড়িতে খালামণি আর খালু ও এসে পড়েছেন। আমাদের গাড়ি বাড়ির উঠোনে আসতেই সবাই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। উঠানেই কুশল বিনিময় শেষ করে আমরা বাড়িতে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নেই। সবাই মিলে একসাথে খাব বলে আমার নানা বাড়ির সবাইকে না খাইয়ে রেখেছে। তার কথা আমরা বাড়িতে পৌঁছালেই দুপুরে সবাই একসাথে খাব। আন্টি আর সাদু এর আগেও একবার আমাদের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল।
আমার নানু বাড়িতে খাবার রুম আলাদা। এখানে সবাই আমরা একসাথে মাটিতে মাদুর পেতে বসে খাই। আমার সাথে সাদু বসেছে আর আরেক পাশে বসেছে রাফিদা আপু। আমদের খাওয়ার মাঝামাঝি পর্বে হঠাৎ করে বিকট শব্দে বেজে ওঠে,,,
“দয়াল তোওওওওওওর লাইগা রেএএএএ”
তখন আমি কেবল পানির গ্লাস টা নিয়ে এক ঢোক পানি মুখে দিয়েছিলাম। হঠাৎ এমন শব্দ হওয়া তে আমার বিষম লেগে যায়। মুখের পানিটাও পড়ে যায়। সাদু বসে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে মাছের কাঁটা বেছে বেছে খাচ্ছিল হঠাৎ সাদুও কিছুটা লাফিয়ে উঠে। আমার খালামণি মাছের তরকারি নিয়ে নানার প্লেটে দিচ্ছিল। খালামনির হাত ফসকে মাছের টুকরো টাও প্লেটের বাইরে পড়ে যায়।সজল ভাইয়া আয়েশি ভঙ্গিতে একটা গরুর হাড্ডি চাবাচ্ছিলেন।হাড্ডি টা পড়তে পড়তে গিয়ে এক পর্যায় বেঁচে যায়।সবাই ই রিতীমতো চমকিয়ে একপ্রকার লাফিয়ে ওঠে।
চলবে…………
[বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। অনুগ্রহ করে বাস্তবিক অর্থ খুজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না আর লেখিকা কে ও বিভ্রান্ত করবেন না]