Monday, October 6, 2025







বর্ষণের সেই রাতে ❤ পর্ব- ৩৩

বর্ষণের সেই রাতে ❤
পর্ব- ৩৩
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

.
যতবার বাজ পরছে ততোবারি অনিমা ভয়ংকর ভাবে চিৎকার করে উঠছে। কাঁচের দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ মুখ খিচে কানে হাত দিয়ে গুটিয়ে বসে আছে ও। আরো একবার বাজ পরতেই অনিমা চিৎকার করে কেঁদে অস্ফুট স্বরে বলল,

— ” আদ্রিয়ান প্লিজ, আমায় ভেতরে নিয়ে যান, আমার…”

আর কিছু বলতে পারলোনা অনিমা আবারও বাজ পরলো, ও আবারও কাঁদতে লাগল। আদ্রিয়ান একদৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে আছে অনিমার দিকে । এভাবে কিছুক্ষণ সময় কেটে গেলো। অনিমা অনেক আকুতি মিনতি করেছে আদ্রিয়ানের কাছে কিন্তু আদ্রিয়ান কোনো রিয়াক্ট ই করেনি। হঠাৎই বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেলো আর অনিমা এবার এতোটাই হাইপার হয়ে গেলো আর এমনভাবে চিৎকার করতে লাগল যে সেটা দেখলে যে কারো চোখে জল চলে আসবে, কিন্তু আদ্রিয়ান এখনও কোনো রিঅ‍্যাক্ট করছে না। কিছুক্ষণ পর অনিমার পাগলামী আরো বেড়ে গেলো। এতোক্ষণ অনেক চেষ্টা করলেও এবার আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলোনা আদ্রিয়ান। ও দরজা খুলে অনিমার সামনে গিয়ে একটানে দাড় করালো অনিমাকে। অনিমা কিছু না ভেবেই আদ্রিয়ানকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। আদ্রিয়ান অনিমার বাহু ধরে একঝটকায় ওকে সরিয়ে নিলো। এরপর ওর বাহু ধরে ঝাকিয়ে বলল,

— ” কীহ? সমস্যা কী তোমার? কী হচ্ছে এখানে? একটু বাজ পরছে, একটু বৃষ্টি হচ্ছে এতে এমন কী হচ্ছে তোমার? মরে যাচ্ছো তুমি? বলো? বৃষ্টিতে কে মরে যায়? বাজ এখান থেকে অনেক দূরে দূরে পরছে তোমার ওপরে তো পরছেনা? এতো ভয়ের কী আছে হ্যাঁ?”

অনিমা কান্না আর ভয়ের জন্যে কথাও বলতে পারছেনা তবুও আদ্রিয়ানকে ধরে অস্ফুট স্বরে বলে উঠল,

— ” ওরাহ ওরাহ…”

আদ্রিয়ান অনিমার দুই কানের ওপর দিয়ে হাত দিয়ে বলল,

— ” ওরা কেউ নেই এখানে ভালো করে তাকিয়ে দেখো, আর যদি থাকেও তাহলে কেউ কিচ্ছু করতে পারবেনা।”

অনিমা চোখ খিচে বন্ধ করে আছে। বৃষ্টিতে আদ্রিয়ান আর অনিমা দুজনেই পুরো ভিজে গেছে। আদ্রিয়ান এর মুখ থেকে বিন্দু বিন্দু পানি গিয়ে অনিমার মুখে পরছে। আদ্রিয়ান আলতো গলায় বলল,

— ” জানপাখি?”

অনিমা আদ্রিয়ানের এই ডাক শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে। আবারও বজ্রপাত হলো আর অনিমা আদ্রিয়ানকে জরিয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিলো। আদ্রিয়ান অনিমাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” প্রকৃতি কারো শত্রু হয়না অনি, আবার কারো বন্ধুও হয়না। সে নিজের নিয়মেই চলতে থাকে। আমি জানি তোমার সাথে যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। তোমার জীবনের ভয়ংকর মুহুর্তগুলো এই বর্ষণের রাত গুলতেই এসেছে। কিন্তু এর জন্যে দায়ী ঐ মানুষগুলো, ঐ পশুগুলো, এই বৃষ্টি আর বজ্রপাত নয়।”

অনিমা তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানের দিকে আর চোখ দিয়ে নিরব ধারায় পানি পরছে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেনা ও ঢলে পরতে নিলেই আদ্রিয়ান অনিমাকে শক্ত করে ধরে দাঁড় করিয়ে বলল,

— ” আমি জানি বর্ষণের এক রাতে তুমি তোমার আব্বুকে হারিয়েছো, নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছো, এমনকি নিজের মামাতো ভাই তোমাকে রেপ করতে চেয়েছিলো, মলেস্টেড হয়েছিলে তুমি।”

অনিমা আবারো চোখ বন্ধ কেঁদে দিলো। আদ্রিয়ান অনিমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল,

— ” তবে একটা কথা বলোতো? বর্ষণের এই রাতে তুমি কী তুমি শুধুই সব হারিয়েছো? সবই কী অশুভ হয়েছে তোমার সাথে? ঐ দিন মাদার যদি ঠিক সময় না পৌছাতো কতটা ভয়ানক কিছু হতে পারতো বুঝতে পারছো সেটা? আর আমি? আমিতো তোমার জীবণে বর্ষণের এমন এক রাতেই এসছিলাম তাইনা? বর্ষণের সেই রাতেই তুমি আমাকে পেয়েছিলে আর আমি তোমাকে। তাহলে তুমি মনে করো যে আমিও তোমার জন্যে অশুভ?”

অনিমা অস্ফুট স্বরে ‘নাহ’ বলল। আদ্রিয়ান অনিমার কপাল থেকে মাথা তুলে অনিমার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” তাহলে? কেনো ভয় পাচ্ছো? আমি আছিতো তোমার সাথে। টেইক ইট ইসি, মাটিতে হোচট খেয়ে পরে গেলে কেউ মাটিতে হাটা বন্ধ করে দেয় না, গাড়িতে কোনোকারণে এক্সিডেন্ট হলে কেউ গাড়িতে চড়া বন্ধ করে দেয়না। ঠিক সেইভাবেই বর্ষণকে ইগনোর করতে পারোনা তুমি, এটা প্রতি বছর আসবেই এন্ড তোমাকে সেটা ফেস করতে হবে। ”

অনিমা আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে বলল,

— ” আমি..”

আদ্রিয়ান অনিমার বাহু শক্ত করে ধরে বলল,

— ” পারবে। পারতে হবে তোমাকে। ইউ হ্যাভ টু বি স্ট্রং এন্ড ইউ আর স্ট্রং। অন্যকে বাচাঁতে সেচ্ছায় নিজে থেকে বিপদে জরানোটাও একপ্রকার স্ট্রং হবারই পরিচয়। কিন্তু তোমাকে বুঝতে হবে যে তুমি স্ট্রং, তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে তুমি স্ট্রং। আর তাছাড়াও আমি আছি তো তোমার সাথে।”

এটুকু বলে আদ্রিয়ান অনিমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরল তারপর অনিমার কাধে নিজের থুতনি রেখে বলল,

— ” দেখো এই বৃষ্টি, এই ঝিরিঝিরি শব্দ, এই ঠান্ডা হাওয়া, সব কতো সুন্দর। আর এগুলোকে ভয় পাচ্ছো তুমি? ওরা হাসছে তোমাকে দেখে বলছে যে মেয়েটা ভীতুর ডিম।”

অনিমা নিজের অজান্তেই হালকা হেসে দিলো। কিন্তু ক্লান্তির জন্যে আর দাড়িয়ে থাকতে পারলোনা, আদ্রিয়ানের বুকেই অজ্ঞান হয়ে গেলো। আদ্রিয়ান খেয়াল করলো অনিমা শরীর ছেড়ে দিয়েছে। আদ্রিয়ান অবাক হলোনা, কারণ ও জানতো এমন কিছুই হবে। এটা একটা পসিটিভ সাইন। ও অনিমাকে কোলে তুলে ভেতরে নিয়ে গেলো। এরপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ভাবলো যে চেঞ্জ করাতে হবে। ও সার্ভেন্ট ডেকে অনিমাকে ওর আরেকটা শার্ট পরিয়ে দিতে বলল। চেঞ্জ করা শেষে আদ্রিয়ান অনিমার সামনে বসে ওর মাথায় একটা চুমু দিয়ে দিয়ে শরীরে চাদর টেনে দিলো, আর দেখতে লাগলো ওকে, কতোটা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে, একটু আগেও কতোটা হাইপার ছিলো। আদ্রিয়ান জানে ওর কাজ অনেকটা হয়ে গেছে। অনিমার ভয়টা পুরোপুরি না কাটলেও প্রায় কেটে গেছে। আসলে অনিমা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্হ না। টিনএইজ বয়স থেকে পরপর এতোগুলো ধাক্কার কারণে একপ্রকার ট্রমায় চলে গেছে ও। অনিমার ঐ অস্বাভাবিক ভয় পাওয়া দেখেই আদ্রিয়ানের খটকা লাগে আর ও একজন সাইক্রাটিস্ট এর সাথে কথা বলে আর ডক্টর ই ওকে এসব বলে, আর এটাও বলে যে ওর ভয়ের সম্মুখীন হলেই ও ওর ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারবে। আর তাই ওর কষ্ট হলেও অনিমার প্রতি আজ অনেকটাই রুড হয়েছে ও। অনেকটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু যা করেছে পুরোটাই ওর ভালোর জন্যে। খুব বেশি ভালোবাসে এই মেয়েটাকে, কোনোকিছুর মূল্যেই ও হারাতে চায়না ওকে। এসব ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল আদ্রিয়ান।

____________________

রুমে বসে বেশ অস্হির হয়ে উঠছে তীব্র। স্নেহার সাথে কথা বলতে চাইছে, কিন্তু কোথায় একটা বাধছে। হয়তো ইগো বা হয়তো অপরাধবোধ। কিছু না জেনে না বুঝেই মেয়েটার সাথে ওরকম বিহেভ করা ঠিক হয়নি ওর। অনেকক্ষণ দ্বিধা দন্দ্ব কাটিয়ে উঠে ফোন করেই ফেললো স্নেহাকে। অনেকক্ষণ ফোন রিং হওয়ার পর ওপাশ থেকে ভাঙ্গা গলায় ‘হ্যালো’ শব্দটা শুনেই তীব্রর বুকের ভেতরে ধক করে উঠল। আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারছে কেঁদে কেঁদে গলা খারাপ করে ফেলেছে মেয়েটা। তীব্র তবুও নিজেকে সামলে বলল,

— ” আমি তীব্র।”

স্নেহার চমকে গেলো তীব্রর গলা শুনে, নতুন সিমে তীব্রর নাম্বার ছিলোনা ওর কাছে। থাকবে কী করে? তীব্রতো কথাই বলতো না ওর সাথে। কিন্তু তীব্রর ভালোবাসি না কথাটা মনে পরতেই ওর মনে অভিমানের পাহাড় দাড়িয়ে গেলো। স্নেহা নিজেকে শক্ত করে নিয়ে বলল,

— ” কেনো ফোন করেছেন?”

তীব্র ভ্রু কুচকে নিয়ে বলল,

— ” আপনি?”

স্নেহা এবারেরও শক্ত গলায় বলল,

— ” তুমি করে বলার মতো সম্পর্কটা হয়তো আমাদের মধ্যে আর নেই।”

তীব্র বেশ রেগে গেলো স্নেহার কথায়। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

— ” এই কথাটা সামনে বলে দেখতি থাপ্পড় মেরে সবকটা দাঁত ফেলে দিতাম।”

স্নেহার বুকে যেনো এক ধাক্কা লাগলো। আজ দেড় বছর আবার তীব্র ওর সাথে এভাবে কথা বললো, সেই অধিকারবোধ দেখালো। কিন্তু তার সাথে মনে অভিমানটাও চাড়া দিলো। তাই অভিমানী গলায় বলল,

— ” কেনো হ্যাঁ? কোন অধিকারে?”

তীব্র এবার দৃঢ় কন্ঠে বলল,

— ” ভালোবাসার অধিকারে।”

স্নেহা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

— ” হাহ্ ভালোবাসা? সেদিন তো বেশ চমৎকারভাবে এনাউস করে দিলেন যে আপনি আমাকে আর ভালোই বাসেন না, তাহলে?”

তীব্র এবার নরম গলায় বলল,

— ” শুধু মুখের কথাটাই ধরবে?”

স্নেহা এবার কেঁদে দিয়ে বলল,

— ” কেনো? তুমি ধরোনি? বাইরে থেকে যেটা দেখেছো বা বুঝেছো সেটা নিয়েই পরে ছিলে। আমার কথাটা একটা বারের জন্যে ভাবোও নি। একবার জানতেও চাওনি কিছু? সেই বেলা?

তীব্র কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো কী বলবে স্নেহা তো ঠিকি বলছে। ও অনুতাপ মিশ্রিত গলায় বলল,

— “আমি জানি আমি যেটা করেছি সেটা ভুল। আমার তোমার সাথে কথা বলে সবটা জানা উচিত ছিলো। আসলে তোমার এনগেইজমেন্ট এর খবরটা শুনেই মাথা হ্যাং হয়ে গেছিলো আমার, মাথাটা কাজই করছিলো না। আই এম সরি।”

স্নেহা কিছু না বলে ফোন কেটে দিয়ে কাঁদতে লাগলো, এটা কষ্টের কান্না নয়, তীব্র নিজের ভূলটা বুঝে যে ওর সাথে আবার আগের মতো কথা বলেছে এতেই ও খুশি খুব খুশি। আর ওদিকে তীব্র ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। ও জানে স্নেহা আর রাগ করে নেই ওর ওপর, কাল সামনাসামনি গিয়ে একবার জরিয়ে ধরে সরি বললেই ও মাফ করে দেবে ওকে। মান অভিমান যাই থাক ভালোবাসার তো কমতি নেই। তাইতো দেড় বছর আলাদা থেকেও কেউ কাউকে ভোলেনি।

___________________

রিক আজকেও সকালবেলা আধমাতাল হয়ে টলতে টলতে বাড়ি এসছে। মিস্টার রঞ্জিত ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে রিকের দিকে আর কবির শেইখ পাশে বসে আছে। রিকের মেজাজ এমনিতেই খারাপ সকালে আদ্রিয়ান ফোন করেছে ওকে আর এমন কিছু কথা বলেছে যা ওকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। কিচ্ছু চিন্তা করতে পারছেনা ও। ড্রয়িংরুমে গিয়ে রিক আর দাড়ানোর এনার্জি পেলোনা তাই সোফায় বসে পরলো। মিস্টার রঞ্জিত এবার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রেগে গিয়ে বলল,

— ” কী পেয়েছো কী তুমি রিক? সারা দিনরাত মদ,ক্লাব, বার বাকি সময়টা ঐ মেয়েটা এই তোমার জীবণ? কী করছোটা কী তুমি?”

রিক পিটপিট করে মিস্টার রঞ্জিতের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল,

— ” যাই করি, নিরীহ মানুষ খুন করা, গরিবদের জমি দখল করা, সাধারণ মানুষকে দাবিয়ে রাখার নামে শুষে খাওয়ার চেয়ে তো বেটার তাইনা ড্যাড?”

মিস্টার রঞ্জিত তো অবাক হলেনই সাথে কবির শেখ তো ঝটকাই খেলেন এক প্রকার। চায়ে চুমুক দিতে গিয়েও মুখ সরিয়ে নিলেন উনি। মিস্টার রঞ্জিত নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,

— ” কী বলছো এসব?”

রিক একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে মাতাল কন্ঠে বলল,

— ” তুমি বুঝবে না। বাট ইউ নো হোয়াট? আই ওয়ান্ট অনি। ওকেহ? ওকে আমার যেকোনো মূল্যে চাই। সেটার জন্যে যদি আমাকে খুনও করতে হয় তো আমি করবো। ওই আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের কে আমি শেষ করে দেবো। আই উইল কিল হিম। ”

মিস্টার রঞ্জিত আরো রেগে গিয়ে বললেন,

— ” তোমার জন্যে জাস্ট তোমার জন্যে এতটা রিস্ক নিতে হচ্ছে। ঐ হাসান কোতয়াল এর মৃত্যু যেটা সবার কাছে এখনো রহস্য, ঐ মেয়ে সুযোগ বুঝে হাটে হাড়ি না ভেঙ্গে দেয়। তোমার কারণেই তো ওকে বাচিঁয়ে রাখতে হলো।”

রিক এবার টেবিলে একটা বাড়ি মেরে উঠে দাড়িয়ে বলল,

— ” এমন কাজ করো কেনো? যেটা ধামাচাপা দিতে হয়? এতো কীসের লোভ তোমার? এতো টাকা থাকা সত্যেও তোমাকে বেআইনি কাজ করতে হবে? সাথে আমাকেও…”

এটুকু বলেই থেমে গেলো রিক তারপর টলতে টলতে ভেতরে চলে গেলো। মিস্টার রঞ্জিত কতোক্ষণ হা করে তাকিয়ে থেকে নিজেও উঠে চলে গেলো। আর কবির শেখ বসে বস নিজে নিজেই বলল,

— ” নাহ ছেলেটা তো দেখছি নিজের ভেতরের রং একটু একটু করে খুজে পেতে শুরু করেছে, যেটা আমি এতোবছর কুমন্ত্রণা দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছিলাম, তাড়াতাড়ি ই কিছু করতে হবে। তবে ও যে আদ্রিয়ানে মারতে যাবে সেটাতো সিউর। এবার রিক আদ্রিয়ানকে মারে না আদ্রিয়ান রিক কে সেটাই দেখার। তবে যারই মৃত্যু হোক লাভ তো আমারই। তবে আমিতো চাই যে দুজনেই মরুক। একজনের প্রাণ কীকরে চাইবো? আমিকি এতই একচোখা নাকি? যে একজনকে ওপরে পাঠাতে চাইবো আরেকজন কে না। দুজনের জন্যেই সমান কিছুই চাই সেটা হলো মৃত্যু। একচোখামি করবো কীকরে? শত হলেও দুজনেই তো আমার আদরের ভাগ্নে।”
.
#চলবে…

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ