#বউ
#তাহরীমা
#পর্ব-০৯
আদ্রর চাচারা এখন প্রায় গ্রামের বাড়িতে ই থাকেন।সকালেই শুনেছে তার চাচি মারা গেছে।এদিকে মেঘতার বয়স একবছর।মেঘতা ছোট মানুষ তাকে সহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে তাহু আর আদ্র ই যায়।মেঘতাকে মেহুর কাছে দিয়ে যায়।
মেহু মেঘতাকে খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে।দুজনের চেহারা এক হওয়ায় মেঘতা মেহুকে ও মাম্মাম বলে।
তাহু কয়েকদিন হলো বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।আদ্র যখন তারা চাচি মারা যাওয়ার খবর বললো।তখন তাহুর বাবা তাহু আর আদ্র গ্রামে যায়।
তাহুকে মানুষটা অনেক স্নেহ করতো তাই চাচিকে শেষবারের মতো দেখতে যায়।
.
পাশের গ্রামে তাহুদের গ্রামের বাড়ি।জানাজা শেষেতাহুর বাবা বলে তাহুরা যেন আগেই চলে যায়।গ্রাম ঘুরে উনি পরে আসবেন।
তাহু আর আদ্র গাড়িতে বসে।পাশাপাশি হাত ধরে ই বসে।তাহু মেহুর নাম্বার বোন নাম দিয়েই সেইভ করেছে।মেহুকে সে কল করে।
মেহু কল রিসিভ করে বলে–“আপু কতদূর?”
–“এইতো কাছেই আসছি।মেঘতা কই,কি করে?”
–“এইতো ঘুম পাড়িয়েছি।”
–“বোন ভাল করে খেয়াল রাখিস।দুইদিকে বালিশ দিয়ে রাখ,আবার না বিছানা থেকে পড়ে যায়।”
–“আপু আমি দেখে রাখবো চিন্তা করো না।”
তাহু কল কেটে দেয়।
কিছুক্ষণ পর ই উল্টো দিক থেকে একটা গাড়ি এসে ওদের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
_____________
মেহু বেহুশ হওয়ার পর ই তাহুর মা দৌড়ে আসেন।মেহুকে বেহুশ হতে দেখে তিনি ঘাবড়ে যান।মেহুকে ভাল করে বিছানায় শুয়ে দেন
ফোনটা আবারো বেজে উঠলে তিনি রিসিভ করেন।তারপর তাহুর এক্সিডেন্ট এর কথা শুনে ডুকরে কেঁদে উঠেন।
.
তারপর লাশ দুটো নিয়ে আসার জন্য ঠিকানা টা বলে।আদ্র তাহুর কিছুক্ষণ পরেই মারা যায়।দুজনকেই নিয়ে আসা হয় তাহুদের বাড়ি।তাহু যাওয়ার আগে মেহুকে পইপই করে বলেছিল তার মেয়েটাকে দেখে রাখতে।কিন্তু সারাজিবনের জন্য দেখে রাখার কথা তো বলেনি।
তাহুর সেই হাসিমুখটা মায়ের বারবার মনে পড়ে।তাহুর মার বুক ফেটে কান্না আসে।পৃথিবীর সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা হলো সন্তানের মৃত মুখ দেখা।
.
মেহুর হুশ ফিরে আসলে সে ভাবে স্বপ্ন দেখেছিল হয়ত।
তারপর আপুর কথা মাথায় আসতেই সে রুম থেকে দৌড়ে যায়।
অনেক দূর থেকে সাদা কাপড়ে দুইটা লাশ।
মেহু লাশ একটার মাথার কাছে বসে।কাপড় উল্টায়।
–“আপু!
মেহুর চিৎকারে আশেপাশের সব মানুষ ডুকরে কেঁদে উঠে।
–“এইটা কথা ছিল না আপু।আমাকে ছেড়ে যেতে পারিস না।”
কিন্তু তাহু কথা বলেনা।মেহুকে শান্তনা দিয়ে বলেনা–“বোন কাঁদিস না তোর কষ্টে আমার ও কষ্ট হয়।কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা।”
কিন্তু না তাহু কিছুই বলেনা।তাহু চুপ আদ্র ও চুপ।এভাবে কেন এরা চুপ করে আছে।
মেহু আবারো তাহুর গালে হাত রাখে।আর ছোট করে বলে–“আপু।অ আপু বল না এভাবে চলে যাওয়ার কথা ছিল কিনা?”
তাহু তাও চুপ।তারপর মেহু চিল্লিয়ে বলে,
–“কিভাবে আমি আপু ছাড়া থাকবো।এ পৃথিবীতে আমার যে একটা আপু ছিল,ভালবাসা ছিল।কে আমায় আগলে রাখবে,কে গুছিয়ে দিবে।কে আমার খুজ রাখবে?আমায় স্বার্থপর পৃথিবীতে রেখে তুই চলে যেতে পারিস না।”
কেউ মেহুকে আটকায় না।যত কথা আজ মেহু ই বলবে।তাহু শুধু শুনবে।তাহুর বাবাকে খবর দেয়া হয়।তিনি গ্রাম থেকে ছুটে আসেন।
তাহুকে দেখে তিনি একদম ই ভেঙ্গে পড়েন।শুধু কথা বলেন না তাহুর মা।এককোণায় চুপচাপ বসে রইলেন।অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথরের মতো।
মেহু কেঁদে কেঁদে দূর্বল হয়ে চুপচাপ হয়ে যায়।সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আদ্র তাহুকে পাশাপাশি কবর দেয়া হবে।আর কবর গ্রামেই দেয়া হবে।
তাহু আর আদ্রকে গ্রামে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।গ্রামের মানুষ তাহুর কথা শুনে ই কেঁদে ফেলে।আসলে অতি আদরের হলে বোধহয় তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয়!
লাশের গাড়িতে তাহুর বাবা ছিল।পুরা রাস্তায় তিনি কেঁদেছিলেন।মেঘতা ঘুম থেকে উঠে।মেহু তখন তাড়াহুড়া করে গ্রামে যাওয়ার জন্য।মেহুকে দেখে বলে–“মাম্মাম!”
সব কথা মেঘতা বলতে পারেনা।মাম্মাম,খাব, এই সেই একটু আধটু বলে।
মেহু মেঘতাকে বুকে জড়িয়ে নেয়।আপুর শেষ স্মৃতি।এই স্মৃতিকে মেহু সারাজিবন বুকে আগলে রাখবে।
.
মেঘতাকে নিয়ে সবাই গ্রামের বাড়ি আসে।তারপর তাহু আর আদ্রকে দাফন করে।সেদিনের পর থেকে মেহু আর শহরে যায় না।শহরে আপুর স্মৃতি গুলো তাকে খুঁড়ে খুঁড়ে খায়।শহরে যাওয়ার কথা ভাবলে তাহুর জন্য কান্না পায়।
____________________
(বর্তমান)
সেদিনের পর থেকে মেহু আড়ালে তাহুর জন্য কাদে।আজ মেহুর বিয়ে হয়েছে এটা দেখে সবচেয়ে বেশি খুশি হতো তাহু। মেহু আজ সব নিজে নিজে কাজ করে,সব গুছিয়ে করে মেহু এখন আর বেশি বকবক করেনা।অথচ তার আপু কিছুই দেখে যেতে পারলো না।
মেহু চুপ হয়ে যায়।মেঘের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে গড়িয়ে পরে।মেঘের মা সেই কখন থেকে কাঁদছেন হিসেব নেই।
আস্তে আস্তে মেহু দূর্বল হয়ে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে যায়।মেঘ ‘মেহুউ’ বলে চিৎকার করে উঠে।
.
মেঘ মেহুকে কোলে নিয়ে রুমে যায়।বিছানায় শুয়ে দেয়।ডাক্তারকে কল করতে নিলে মেঘের মা বলে–“কিছু হয়নি ঠিক হয়ে যাবে।কাদতে কাদতে দূর্বল হয়ে গেছে।”
মেঘ মেহুর দিকে একনজর তাকিয়ে পাশে বসে চুপ করে থাকে।
মেঘের মা মাথায় হাত বুলায়–“কি ভাবছিস?”
মেঘ নিঃশব্দে কাদে।
–“তাহু নেই এটা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে।এমনটা না হলেও কি পারতো না।অন্তত বেচে থাকতো।পছন্দের মানুষের মৃত্যু যে কতখানি কষ্টের কিভাবে বুঝাবো আম্মু?”
–“তাহু চলে গেছে।কিন্তু মেহু তো আছে।তাকে ভালবাসা যায় না?”
মেঘ চুপ।
–“মেহুকে ভালবেসে আগলে রাখ।অবহেলা করিস না।সম্পর্কে অবহেলা শব্দটা ডুকলে হারিয়ে যাবে যে টের পাবিনা।তখন তুই একেবারে একা হয়ে যাবি।”
মেঘের কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।মেহুর দিকে তাকায়।সত্যি মেঘ তাহুকে দূর থেকে দেখে এমন করছে,আর মেহু যে তাহুর ভালবাসার মানুষ ছিলো মেহুর কেমন লাগছে।কেন মৃত্যু এত নিষ্ঠুর হয়?কেন?
কত মায়া কত ভালবাসা।এই একটা শব্দে সব শেষ।
__________
রাতের খাবার গুলো মেঘের মা রেডি করে।মেহু আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকায়।মেঘতা দাদাইয়ের সাথে বাইরে ঘুরতে গেছিলো তারা ফিরে আসে।মেঘতা হেসে মেহুর কাছে আসে।
–“জানো মাম্মাম আজকে দাদাইয়ের সাথে অনেক জায়গায় ঘুরেছি!”
মেহু হাসার চেষ্টা করে বলে–“ভালো হয়েছে।”
মেঘ মেহুকে ঘুমাতে দেখে বাইরে গেছিলো আবার ফিরে আসে।মেহুর দিকে তাকিয়ে বলে–“আম্মু ভাত খেতে ডাকছে।চলো?”
মেঘতা মেহুর হাত ধরে বলে–“চলো মাম্মাম যাই।”
মেহু উঠে দাঁড়ায়।মেঘ ও পিছন পিছন আসে।রাতের খাবার সবাই একসাথে খায়।মেহু কিছু বলেনা।আপুর কথা মনে পড়ছে তার।আর তাহুর কথা মনে পড়লে তার আর কিছুই ভাল লাগে না।
মেঘ মেহুকে আর বিরক্ত করে না।মেঘ আগে থেকে মেঘতাকে পাশে শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।তাহুর একমাত্র চিহ্ন।একে মেঘ ভালবাসবে।খুব করে ভালবাসবে।মেঘতার কপালে চুমু একে সে ও পাশে শুয়ে পড়ে।কখন যে ঘুম চলে আসে বুঝতে পারে না।
মেঘ চলে যায় স্বপ্নের দেশে।
“তাহু মেঘতাকে নিয়ে খেলা খেলছে।আর হেসে হেসে মেহুকে বলছে-” আমার মেয়ের সাথে খেলা করবি?”
মেহু ও মাথা নেড়ে সায় দেয়।মেহু মেঘতার সাথে খেলা করতেই মেঘ সেখানে আসে।আর তাহুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।তাহু হেসে হেটে হেটে অনেক দূরে চলে যায়।মেঘ তখন মন খারাপ নিয়ে বসে পড়ে।
মেহু মেঘতাকে কোলে নিয়ে মেঘের পিঠে হাত রাখে।মেঘ মুখ তোলে দেখে মেহু হাসছে।আর বলছে–“আপনাকে আমি একটা কঠিন কাজ দিবো।হয় আপনি অতীত ভুলবেন নয়ত বর্তমান হারাবেন।যেকোনো একটা ই বেছে নিবেন,হয় অতীত নয় বউ।অতীত মনে রেখে বউকে অবহেলা করবেন তা তো হতে পারেনা?আমরা চলে যাবো সীদ্ধান্ত আপনার।এই বলে মেহু মেঘতা কে নিয়ে চলে যায়।
মেঘ বিড়বিড় করে।
–“আমি বউকে বেছে নিবো।আমি তাহুর ভালবাসা দুটোকে আগলে রাখবো।প্লিজ যেও না।”
.
.
মেহু মেঘের মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে মন হাল্কা করলো।তারপর রুমে এসে দেখে মেঘ চোখ বন্ধ করে কি যেন বিড়বিড় করছে।
মেহু মেঘের পাশে বসে হাল্কা করে ধাক্কা দিলো
–“শুনছেন কি হলো আপনার, এমন করছেন কেন?”
মেঘ তখন চোখ খুলে।মেহুকে দেখে আচমকা জড়িয়ে ধরে।মেহু একদম বোকা বনে যায়।
–“আমাকে ছেড়ে যেও না।আমি অতীত ভুলব না,কারণ সে আমার প্রথম ভালবাসা ছিলো।সে আজিবন সম্মানিত থাকবে,তবে আমি বউকে ছাড়তে রাজি না।আমি তাহুর দুই ভালবাসাকে সারাজিবন আগলে রাখবো যতদিন বাচবো।আমি ও যে মায়ায় জড়িয়েছি।পবিত্র সম্পর্কের মায়া।আমি এ মায়ার বাধন ছাড়বো না।মরে যাবো।
মেহু সেসব শুনে কেঁদে ফেলে।মেহু তখন মেঘকে শান্তনা দেয় যে তারা কোথাও যাবেনা অযতা এসব চিন্তা করছে।
মেঘ তখন শান্ত হয়।তারপর মেহুর দিকে তাকিয়ে বলে–“ভালবাসি মেহু।”
মেহু অবাক হয়।মেঘের যে কি হলো কে জানে।
স্বপ্ন দেখে বেশি ভয় পেয়েছে নাকি।
মেঘের কথা বলার চিৎকারে মেঘতার ও ঘুম ভেঙ্গে যায়।মেঘতা তখন উঠে বসে চোখ কচলিয়ে বলে–“কি বাবাই তুমি আবার মেহু বলে ডাকছো,নাম ধরে বলছো যে?যেয় আমি ঘুমিয়েছি সুযোগ নিয়েছো?
মেঘ তখন অসহায় মুখ করে মেহুকে বলে–“বউ!
মেঘতা মুখ চেপে হাসে।আর মেহু খিলখিল করে হেসে উঠে……..
মেঘতা তারপর বলে–“চলো ঘুমায় আমরা।”
মেঘ এতে সায় দেয়।এক পাশে মেঘ এক পাশে মেহু মাঝে মেঘতা।মেঘ এক হাত দিয়ে মেঘতাকে জড়িয়ে ধরে।মেহু এক হাত দিয়ে মেঘতাকে জড়িয়ে ধরে একদম পারফেক্ট এখন।
মেঘতা ঘুমিয়ে পড়লে মেঘ আস্তে আস্তে উঠে বসে।তারপর মেহুর পাশে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে–“ঘুমিয়ে গেছো?”
মেহু চোখ খুলে তাকায়–“ঘুম আসবে ও না।”
মেহুর মন খারাপ দেখে মেঘ বলে–“চলো ছাদে যায়।যাবে?”
–“এত রাতে?”
–“তাতে কি?”
মেহু আর মেঘ ছাদে যায়।পাশাপাশি বসে।তখন মেঘ বলে–“অনেক দিন পর ইচ্ছে করছে গিটারে সুর তুলতে।যদি একটা গান গায় রাগ করবে?”
মেহু মাথা নাড়ায়।মানে রাগ করবে না।মেঘ গান গাইতে শুরু করে,
তুমি কোন কাননের ফুল
কোন গগনের তারা
তোমায় কোথায় দেখেছি
যেন কোন স্বপনের পারা
তুমি কোন কাননের ফুল
কোন গগনের তারা।
কবে তুমি গেয়েছিলে
আঁখির পানে চেয়েছিলে ভুলে গিয়েছি
শুধু মনের মধ্যে জেগে আছে
ওই নয়নের তারা।
তুমি কোন কাননের ফুল
কোন গগনের তারা।
তোমায় কোথায় দেখেছি
যেন কোন স্বপনের পারা।
তুমি কথা কোয়ো না,
তুমি চেয়ে চলে যাও।
এই চাঁদের আলোতে
তুমি হেসে গলে যাও,
আমি ঘুমের ঘোরে চাঁদের পানে,
চেয়ে থাকি মধুর প্রাণে।
তোমার আঁখির মতন দুটি তারা
ঢালুক কিরণ-ধারা।
তুমি কোন কাননের ফুল
কোন গগনের তারা।
__________________
মেহু ভোরে ঘুম থেকে উঠে।তারপর মেঘকে ডাকে নামাজের জন্য।বউ হিসেবে এটা যে একমাত্র দায়িত্ব।মেহু ফিসফিস করে বলে।নইলে যে মেঘতা উঠে যাবে।
–“এই যে উঠে যান নামায পড়বেন।”
মেঘের নামাজ পড়ার অভ্যাস আছে তাই মেহুর ডাকে সে উঠে পড়ে।মেঘ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আসে।
মেহু ও নামাজ পড়ে নেয়।আজকের দিনটা অন্যরকম।আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সবকিছুর জন্য।
মেহু ভোরে উঠে আর ঘুমায় না।ব্রেকফাস্ট রেডি করে সকলের জন্য নাস্তা রেডি করে।একে একে সবাই উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়।তারপর নাস্তা খেয়ে নেয়।মেহুর হাসিমাখা মুখ দেখে মেঘের মায়ের ও ভালো লাগে।মেহু মেঘতাকে ও খাইয়ে দেয়।
মেঘ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়।আর মেহু মেঘতাকে পড়াতে বসায়।
.
কিন্তু মেঘতা কিছুই পড়বে না।মেহু অনেক্ষন ধরে চেষ্টা করে পড়ানোর জন্য।না মেঘতা পড়বে না উলটা কান্না করে দেয়।এবার মেহু রেগে বলে–“মাইর দিবো না পড়লে।”
মেঘ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো।মেঘতার কান্না দেখে সে কোলে নেয়।
তারপর মেহুর দিকে তাকিয়ে বলে–“বাচ্চারা কোন বিষয়ে ভীত থাকলে তাকে কিভাবে সাহস দেয়া যায় সেটাই চিন্তা করো।রাগ দেখালে সমাধান কিছুই হবে না।”
মেহু হ্যা না বলে চুপ করে থাকে।রাগ কন্ট্রোল করা যায় না যে,এটা মেহুর বদ অভ্যাস।
মেঘ তখন মেঘতাকে বলে–“পড়ালেখা করা ভাল তো।যারা ভালো মেয়ে তারা ই পড়ালেখা করে,যেমন তোমার মাম্মাম ভালো বলেই পড়ালেখা করেছে।আর যারা পড়ালেখা করে তাদের সবাই আদর করে,চকলেট পায়।”
মেঘতা সেটা শুনে খুশি হয়ে বলে–“সত্যি বাবাই?”
–“হ্যা।”
–“তাহলে আমি পড়বো।তোমার বউ টা আমাকে এত কিছু বুঝিয়ে বলে নাই তো।”
মেহু অবাক চোখে তাকায়।
মেঘ একটু সাপোর্ট দিয়ে বলে–“এটা রাগিবউ তো এজন্য।”
মেঘতা ও বলে–“হ্যা।”
মেহু তখন ছোট করে ভেংচি কেটে বলে–“ভালো হয়েছে।”
মেঘতা মেঘ দুজনেই মুচকি হাসে
চলবে…………….