#ফিরে_পাওয়া
– মারিয়া আফরিন নুপুর
(১ম পর্ব)
বইগুলো সারারাস্তায় ছড়িয়ে পড়ল ধাক্কা লেগে।
ভেবেছিলাম মাথা উঁচু করে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দেবো।
কিন্তু চোখ তুলে মুখের দিকে তাকাতেই বরফের মত জমে গেলাম।
আরেক জোড়া চোখ যে আমার মুখের দিকে স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে। এই সেই চোখ জোড়া, যার দিগন্ত ছড়ানো মায়ায় আমি হারিয়ে ছিলাম।
___’কি ব্যাপার শিমু, তুমি এখানে?’
এই বলেই শিহাব হাঁটু ভেঙে আমার সাথে বই উঠাতে লাগল।
আমি তখনও অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
___’তুমি কি রাস্তায়ই বসে থাকবে নাকি শিমু?’
মুচকি হেসে বলল সে।
সম্বিত ফিরে পেতেই বই তাড়াতাড়ি গোছাতে লাগলাম। বই উঠানো শেষে দাঁড়িয়ে পড়লাম দুজনেই। এই প্রথম আমি কথা বললাম,
___” তুমি এখানে? কবে আসলে?”
শিহাব উত্তরে বলল,
___ ‘এসেছি সপ্তাখানেক হল, সরকারি কলেজের সহকারী ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে জয়েন করেছি’
বলল উনি।
___”আমি এখানেই স্কুলে জয়েন করেছি প্রায় সাত বছর হল।”
___ “এখানে তো রিক্সাও পাবো না।”
___ ” সামনে আর একটু হাঁটলে পেতে পারো। ”
এই বলেই আমি হাঁটা শুরু করলাম।
আমার পাশাপাশি সেও হাঁটতেছে। হঠাৎ তার সেই বিখ্যাত হাসির আওয়াজ আসল কানে। থেমে বললাম,
___” হাসছো কেন?”
আমার দিকে ঘুরে শিহাব বলল,
___” ‘আচ্ছা শিমু বলতো, কত বছর পরে আমাদের দেখা?আগে যখন দেখা হত, তুমি তো অস্থির হয়ে যেতে ভয়ে। কে কখন দেখে ফেলবে!'”
চোখ কুঁচকে বললাম,
___”এই হলো তোমার হাসির কারণ? আচ্ছা তুমিই বল, কতদিন পরে দেখা আমাদের?”
___”‘আট বছর তিন মাস বারো দিন পরে দেখা।”
এই বলেই দুই পকেটে হাত দিয়ে উদাস চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল সে।
স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষন রইলাম। পরে কথা খুঁজে না পেয়ে বললাম,
___” আচ্ছা এখন আছো কোথায়? ”
___ “এই তো কলেজের পাশেই একটা বাসায় উঠেছি। একজন লোক রেখেছি রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব কাজ ওই করে।”
তার উত্তর শুনে আরেকটা প্রশ্ন করার লোভ সামলাতে না পেরেই বললাম,
___”বউ কে এখানে আনো নি?”
উত্তর না দিয়েই শিহাব হাঁটতে শুরু করল।
একটু পরেই আমার বাসার সামনে চলে আসলাম,বললাম,
___”চলো আমার বাসায়। ”
অন্যদিন আসবে কথা দিয়েই, সোজা রাস্তায় হাঁটা শুরু করল সে।
আমার বাসাটা খুব বড় জায়গা নিয়ে না। একতলা বিল্ডিং, বেশ খানিকটা ঘিরে বাউন্ডারি ওয়াল দেয়া। সামনেই বেশ বড় একটা উঠানের মতো। মফস্বল শহর গুলোতে যেমন হয় আর কি। মেইন গেটের সামনেই বিশাল কামিনী ফুলের ঝাড়। বাসায় ঢোকার রাস্তার দুই পাশে গোলাপ আর গাঁদা ফুলের গাছ। আসলে বাসাটা আমি আমার মত করেই সাজিয়েছি। অতি চাকচিক্য কখনোই আমার ভালো লাগে না। তাই সব কিছু সাদাসিধে রাখতেই ভালোবাসি।
বাসায় ঢুকেই ডাক দিলাম ঝিনুককে। ঝিনুক আমার মেয়ে, এবার সাড়ে ছ’তে পড়েছে,ক্লাস টু এ পড়ে। বাসায় ও আর আমার এক দূরসম্পর্কের খালা থাকে। বলতে গেলে উনিই ঝিনুককে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে। খালাকে জিজ্ঞেস করলাম,” ঝিনুক কই?” খালার উত্তর দিল রুমেই আছে।
দরজা হালকা ফাঁকা করে দেখলাম মামনিটা মন দিয়ে ড্রইং করছে। আস্তে করে চলে আসলাম নিজের রুমে।
রাতে খাওয়ার পরে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের রুমে আসলাম। সমরেশ মজুমদার বরাবরের মতই আমার প্রিয় লেখক। তার ‘সাতকাহন’ বইটা নিয়ে বারান্দায় চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলাম। পাতা উল্টাচ্ছি কিন্তু চোখের সামনে যেন আজ থেকে দশ বছর আগের ছবি সেলুলয়েড ফিতার মত একের পর এক সামনে আসছে।
তখন সবে ইন্টার পাশ করে বাংলা নিয়ে অনার্সে ভর্তি হয়েছি। নবীন বরন অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্টেজের মাঝামাঝি সারির চেয়ারে বসে আছি। প্রিয়া ফোনে ছবি তুলছিল। ইচ্ছা না থাকা স্বত্তেও দাঁত কেলিয়ে পোজ দিতে হচ্ছিল। হঠাৎই ভরাট গলার আওয়াজ আসলো। সবার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। সামনে চেয়ে দেখি পাক্কা পাঁচ ফুট এগারোর কম হবে না, মাথায় একরাশ চুল, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, একহারা শরীর, ডিপ ব্লু পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামা পরে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করতে আসছে একটা ছেলে।
প্রথম দেখায় যারে বলে প্রেমে পড়ে গেছিলাম।
পাক্কা সাড়ে তিন ঘন্টার অনুষ্ঠানে কি হয়েছিল না হয়েছিল বলতে পারব না কিন্তু উপস্থাপক কি করেছে না করেছে সব মুখস্ত বলে দিতে পারব।
পরে জানতে পেরেছিলাম, নাম তার শিহাব।
ফুটবল খেলত কলেজের হয়ে। ইংলিশ ডিপার্টমেন্টর তুখোড় স্টুডেন্ট ছিল।
বিতর্ক থেকে শুরু করে কলেজের সব ফাংশনে তার উপস্থিতি ছিল বাধ্যতামূলক।
সে নাই মানে অনুষ্ঠান বন্ধ। এমন করেই যাচ্ছিল দিন।
মাঝে মাঝে কোন কারন ছাড়াই ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট এর সামনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করতাম, শুধু তারে একপলক দেখার জন্য। এমন করেই চলে গেল প্রথম বর্ষটা।
আমার এই একতরফা প্রেম কাহিনী কি করে যেন প্রিয়া জেনে গেল। কতক্ষন রাগ করল কতক্ষন বকা দিল। পরে জিজ্ঞেস করল আমি শিহাব ভাইকে বলেছি কি না যে, আমি তাকে পছন্দ করি। মিনমিনিয়ে বললাম, এটা কি বলার কোন বিষয় নাকি?
প্রিয়া সাপের মত ফোঁস করে বলল, “তুই মনে মনেই মন কলা খেয়ে যা।”‘ এই বলেই আল্লাহর বান্দা আমাকে ফেলে সোজা হাঁটা শুরু করল।
আমি তখনও থ হয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি, এত রাগের কি বললাম আমি? পরের শুক্রবার প্রিয়া এসে আমাদের বাসায় হাজির। এসেই আম্মুকে তেল মাখতে শুরু করল যে আমাকে নিয়ে যাবে ওর সাথে ওদের বাসায়।
আম্মু প্রথমে রাজি না হলেও পরে, প্রিয়ার চাপাচাপিতে রাজি না হয়ে উপায় ছিল না। তখন আমার আর প্রিয়ার খুশি দেখে কে!
আমাকে বলল, ‘দোস্ত খুব সুন্দর করে রেডি হবি আজকে, যাতে তোরে দেখলে পরীও লজ্জা পায়।’
ওর মাথায় একটা গাট্টা মেরে বললাম, ___”পরীরা যদি আমাকে দেখে লজ্জা পায় সেটা খুব টেনশনের ব্যাপার।তাদের বয়ফ্রেন্ড জ্বিনরা, ওদের রেখে আমার সাথে ডেটিং মারবে। ”
এই কথা বলার পরে ও খিল খিল করে হেসে দেয়।
হালকা গোলাপি রঙ এর জামা আর সাদা ওড়না পাজামা পরে যখন চুল খুলে এসে দাঁড়ালাম প্রিয়া দেখেই বলল,
___’ওরে শিমুরে! তুনে তো মুঝে মার ডালা! একদম গোলাপের মত লাগছে তোকে।'”
চোখ কুঁচকে বললাম,
___তুই কি যাবি? নাকি আম্মুর মত ঘুরে যাওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবি?
তাড়াতাড়ি দুইজনে প্রিয়াদের বাসায় আসলাম।
আন্টির হাতের মজার মজার খাবার খেয়ে দুপুরে দুজন অনেক মজা করলাম। বিকালে হঠাৎই প্রিয়া বলল,
___’শিমু আমাদের ছাদে যাবি? খুব ভালো লাগবে তোর।”
আমি রাজি হয়ে বললাম,
___” চল এক্ষুনি চল। ”
ও আমাকে বসতে বলে কই যেন গেল… একটু পরেই লাফাতে লাফাতে এসে বলল, ___”‘চল চল, তুই এখনও বসে আছিস কেন? ছাদে যাব চল।”
দুই জনে ছাদে যাওয়ার জন্য উঠতেই ও বলল,
___”‘তুই ছাদে যা আমি আম্মুকে চা দিতে বলে আসি।”
আমি আস্তে আস্তে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম কার্নিশ ঘোরানো কোমর অব্দি উঠানো দেওয়াল। পুরোটাই গোলাপের টব দিয়ে ঘেরা। অনেক গোলাপ আর গোলাপের কুঁড়িও আছে। একটা গোলাপের কুঁড়ি দেখে এতটাই ভালো লাগল যে, সোজা আলতো করে কুঁড়িটাকে ধরে গালের সাথে লাগালাম। মুখ যখনই ঘুরিয়েছি হঠাৎই দেখি ছাদের কোনায় কে জানি দাঁড়য়ে আছে। সোজা হয়ে তাকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! এ তো দেখি শিহাব!
সাদা শার্টের স্লিভ ভাঁজ করে কনুই পর্যন্ত উঠানো, কালো প্যান্ট। এলোমেলো চুল, মুখে সেই খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে উদাস মনে।
তখনই মনে হলো, আমি স্বপ্ন দেখছি না তো? উনি এখানে কেন? ঘুরেই বলতে গেলে ছোট খাটো এক ম্যারাথন দৌড় দিলাম। ওই দিন হয়ত উসাইন বোল্টও আমার সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করলে হেরে যেত। কিন্তু সিঁড়ির ঘরে যেয়েই হার্ড ব্রেক কষতে হল। রাস্তা আগলে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়া।
___”‘কি হয়েছে, ভূত দেখেছিস নাকি তুই?”‘ বড় বড় নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে বললাম,
___” ছাদের কোনায় কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। ”
প্রিয়া টানতে টানতে আমাকে নিয়ে গেল। এসে দাঁড় করালো শিহাবের সামনে। তখন বুঝলাম যে, আমি সত্যিই দেখেছি এটা শিহাবই।
প্রিয়া যখন টেনে আমাকে তার সামনে নিয়ে আসলো, সে তখন হাসতেছে আর আমি লজ্জায় মনে মনে বলছি, হে ছাদ তুমি দ্বিখণ্ডিত হও আমি নিচতালায় চলে যাই!
___”‘শিহাব ভাইয়া শিমু না অনেক কিছু তোমাকে বলতে চায়, কিন্তু বেচারীর বলার সুযোগই পায় না।”
এই বলেই খিল খিল করে হেসে উঠলো প্রিয়া।
পরে ‘চা আনি’ বলেই ঘুরে চলে গেল।
মনে মনে বকছিলাম প্রিয়াকে, চা আনতে কয় বার যেতে হয়? আস্তে আস্তে শিহাব আমার একদম সামনাসামনি এসে দাঁড়িয়েছিল। বুঝতে পারছিলাম মাতাল মাতাল এক জোড়া চোখ আমাকে গভীর ভাবে দেখছে।
চোখে না দেখলেও সেই চাহনির তীব্রতায় আমি পুড়ে যাচ্ছিলাম।
___”‘এই মেয়ে, যাকে এত ভালোবাসো অন্তত একবার বলতে তো পারো নাকি? অহেতুক ইংলিশ ডিপার্টমেন্টর সামনে ঘোরাঘুরি, ডিবেট ক্লাবে না থেকেও দৈনিক হাজিরা, এতই যখন ভালোবাসো বললেই পারো।”
আমি তখনও মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে আছি। সে ধীর পায়ে আরো এগিয়ে এলো, ফিস ফিস করে কানের কাছে বলল,
___”‘এত সুন্দর একটা মেয়ে যদি প্রতিদিন সামনে ঘোরাঘুরি করে, আমি তো ভালোই দেবতারাও চোখ ফেরাতে পারবে না। কেন জানি না আজকে গোলাপের চে’ও সুন্দর লাগছে তোমাকে। এখনও কি চুপ থাকবে, নাকি কিছু বলবে?'”
তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল খুব বড় একটা ভূমিকম্প হচ্ছে আর বিল্ডিং সহ নড়তেছে খুব জোরে জোরে।
মনে আছে শুধু এটুকুই বলতে পেরেছিলাম যে, “আমি পানি খাবো।” এই ছিল আমার ভালোবাসার প্রথম দিন।
এরপরে কলেজ ক্লাসের ফাঁকে, ছুটির পরে দেখা হত।
অত কথা তো হত না কিন্তু দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
ভালোবাসার প্রতিটা কথা, বেশিরভাগ চোখ দিয়েই আদান প্রদান হত। মফস্বল শহর, যদি আব্বু শুনতে পায়, এই ভয়েও খুব বেশি কথা বলতাম না।
এমন করেই যাচ্ছিল দিনকাল। দেখতে দেখতে শিহাবের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। মাস্টার্স কমপ্লিট ঢাকায় করবে। পয়লা ফাল্গুনের দিন প্রিয়া এসে হাজির।
আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে বাইরে। আম্মু বারবার বলছিল আব্বু শুনলে রাগ করবে। প্রিয়া কিভাবে জানি আম্মুকে রাজি করিয়ে ফেলে আবার।
সেদিন বাসন্তী কালারের শাড়ি পরেছিলাম বাসন্তী কালারের ব্লাউজের সাথে।
কপালে লাল টিপ, মাথায় হালকা হাতে একটা এলো খোপা। হাতে পরেছিলাম লাল কাঁচের চুড়ি। আমাকে দেখে প্রিয়া হাঁ করে চেয়ে বলেছিল, ‘শিমু করেছিস কি, বেচারা ঢাকা যাচ্ছে পড়তে তার মাথাটা খারাপ না করলেই কি নয়?’
চোখ মটকে বলেছিলাম, “যাবি, নাকি পুলিশ ডাকবো?”
দুই বান্ধবী রিক্সা নিয়ে কাঠেরপুলে আসছিলাম। পরে আস্তে আস্তে ভেতরে ঢুকি। একটু হাঁটার পরেই দেখি শিহাব ঢেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ব্লাক শার্ট আর হোয়াইট প্যান্ট পরে। পায়ে ব্ল্যাক স্নিকারস। শার্টের হাতা বরাবরের মতই একটু গোটানো।
হাতে রিষ্টওয়াচটা দেখলে মনে হয় শুধু তার জন্যই বানানো হয়েছে।
প্রিয়া আমাকে ঠেলে দিয়ে বলল, তুই যা আমি আছি।
গুঁটি গুঁটি পায়ে তার সামনে যেয়ে দাঁড়ালাম আমি।
আমাকে দেখেই সে এগিয়ে আসলো, আমার যেন হার্টবিট বন্ধ হয়ে আসছিল। কাছে আসতেই পারফিউমের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে উঠল আমার চার পাশ।
হাত ধরে বলল, ‘”চলো সামনে যেয়ে বসি।'”
হাঁটতে হাঁটতে কিছু দূর আসলাম। একটা বড় পুকুরের মতো। তার কিনারে বসতে যাব এমন সময় থামিয়ে দিল সে, পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে বিছিয়ে দিয়ে বলল, “এখানে বসো।”
দুজনেই বসে চুপ করে আছি অনেক্ষন।
সে হাসি দিয়ে বলল,
___” ‘আমি কি তোমার নিরবতা শুনতে এখানে এসেছি না কি?'”
আমি যখন মুখ তুলে তাকালাম, তখন আমার চোখ ভর্তি পানি।
___” ঢাকাতে অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে আছে। তুমি ওখানে গিয়ে আমাকে ভুলে যাবে না তো?”
হাত দিয়ে মুখটা উঁচু করে সে। টের পাই কপালে তার উষ্ণ ঠোঁটের আলিঙ্গন। শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেই স্পর্শ যেন অনুভব করছিল। সে এক অন্য অনুভূতি।
___”নিজেকে হয়ত ভুলে যাবো, তোমাকে কখনও না। মাত্র তো দুই বছর এরপরেই চাকরি পেয়ে তোমাকে আমার করে নেবো।”
‘ এই বলেই বড় এক দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে।
পকেট থেকে একটা আধফোটা গোলাপ কুঁড়ি বের করে খোঁপায় গুজে দেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল
“‘আমার জন্য অপেক্ষা করো…”
চলবে।