প্রেম বিভ্রাট পর্ব-০৩

0
597

#প্রেম_বিভ্রাট
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_০৩

ফারাজ ও মীরা নিজেদের সামলাতে না পেরে দুইজন দুজনকে ওপেনলি কিস করে। সেইসময় ওইদিক দিয়ে রাস্তায় ক্রস করছিলো আরমান শেখ। আরমান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। তার একমাত্র বোন ওপেনলি একটা ছেলেকে কিস করছে। আরমানের প্রচুর রাগ উঠে। নিজেকে সামলিয়ে বলে এইসব কি নোংরামো?

ফারাজ মীরাকে ছাড়িয়ে দিয়ে বলে। আপনার কি সমস্যা? একটা ছেলে মেয়ে একে অপরকে ভালোবাসছে। আপনার যদি লজ্জা থাকতো তাহলে এখানে কথা না বলে চুপচাপ রাস্তা ক্রস করতেন!

মীরা নিজের চোখ উপরে তুলতেই ভয় পেয়ে যায়।মীরা ফারাজের পিছনে লুকিয়ে বীড়বীড় করে বলে চুপ থাকো ফারাজ। ইনি হলো আমার ভাই আরমান শেখ।

তোমার ভাইতো কি হয়েছে? তাই বলে আমাদের মাঝ মা বলে তোতলাতে থাকে?

কিরে তোতলাচ্ছিস ক্যান? বল আরো করবি প্রেম? তুই জানিস আমি কে? কার উপজেলায় পা রেখেছিস তুই? আমি এক্ষুণি যদি ইচ্ছে করি তোর পা ভেঙ্গে ফেলে রাখবো এখানে। কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

আমি জানি আপনি কে? সবকিছু জেনেই আমি আপনার বোনের প্রেমে পড়েছি। ভয় পাইনা কাউকে আমি। আমি একজন হার্ট সার্জন। হার্ট সার্জন হয়ে মানুষকে ভয় পাওয়া আমার কাজ না। কত রোগীর অপারেশন সাকসেসফুলি করবো প্রতিদিন তা আপনার ধারণার বাইরে।

তুই ডক্টর?
জ্বি।
তারমানে মীরা তুই মেডিকেলে পড়াশোনার ফাঁকে এসব করে বেড়িয়েছিস। বের হ ওইখান থেকে।

” মীরা বের হয়ে বলে ভাইয়া তুমি যা দেখছো এসব কিছু হয়নাই এখানে। ফারাজ খুব ভালো ছেলে। ”

” আমি ওর হয়ে তোকে উকালতি করতে বলিনি। আমি যা ডিসিশন নেই, তুই ভালো করেই জানিস। সেই ডিসিশন একদম ফাইনাল ডিসিশন। পৃথিবী উল্টে গেলেও আমার কথা নড়চড় হয়না। আজ থেকে তোর পড়াশোনা সব বন্ধ। আগে তোর বিয়ে তারপর পড়াশোনা। ”

” এসব তুমি কি বলছো ভাইয়া। ফারাজ খুব ভালো ছেলে। আমি ওকে ভালোবাসি। আমিয়ো তোমার বোন, বিয়ে যদি করতেই হয় ফারাজকেই করবো। ”

মীরার স্পষ্টবাদী কথা শুনে,ফারাজ অবাক হয়ে যায়। কারণ যেই মেয়ের সাথে দুই বছর প্রেম করলো। কখনো তাকে এতো সাহসী হতে দেখে নাই সে। সবসময় শান্তশিষ্ট থাকতো মীরা সেই মীরা আজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ফারাজের গর্বে বুক ফুলে গেলো।

” তুই বিয়ে করবি না। মীরার দুই গালে দুইটা ঠাটিয়ে চড় মারে আরমান শেখ। ”

ফারাজ এবার রাগ হয়ে যায়। আরমানকে মারতে উদ্যত হয়। কিন্তু মীরা আটকিয়ে দিয়ে বলে কি করছো তুমি ফারাজ।

” দেখ মীরা দেখ কোন অভদ্র ছেলেকে ভালোবাসিস তুই। তোর সামনে তোর ভাইয়ের গায়ে হাত তুলতে আসে। এই দিন দেখার জন্য তোকে পড়াশোনা করাইছিলাম। আমার আগেই উচিত ছিলো তোকে বিয়ে দেওয়া। রাস্তায় আমি সিনগ্রেট করতে চাইনা মীরা। বাড়িতে যা তুই। আমি এই ছেলেকে দেখে নিচ্ছি। ”

” ভাইয়া ক্ষমা করো ফারাজকে। ফারাজ খুব ভালো ছেলে। আমি ওর কাছে অনেক ভালো থাকবো। দয়া করে তুমি বাধা দিয়ো না। তুমিতো আমার ভালো চাও। আমার জীবনের সব সুখ শুধুই ফারাজকে ঘীরে।”

” হ্যালো আলী তোমার দলবল নিয়ে এক্ষুনি আমার বাগানবাড়ির রাস্তায় আছো। একটা ছেলে আমার বোনকে প্রচুর ডিস্টার্ব করতেছে। মেরে হাড়গোড় ভেঙ্গে দাও। দ্রুত চলে আসো। ”

” মীরা এইটা তোমার ভাই নাকি। আমি দেখছি ইনি একজন পাথরের মুর্তি। এনাকে বুঝিয়ে লাভ নাই। আপনি আমার বা’ল ও ছিড়তে পারবেন না। আমিয়ো ফজলুল শেখের ছেলে ফারাজ শেখ। রাজনীতি আমারো রক্তে মিশে আছে। দেখি কে আমার হাড় গোড় ভাঙ্গে। হাড় গোড় জয়েন্ট লাগাই আমি। ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম এইখানেই দাড়িয়ে থাকবো দেখি কে আমার কি করতে পারে? ”

” কি তুই ফজলুল আঙ্কেলের ছেলে। তোর তো সাহস কমনা জেনেশুনে তুই আমার বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলছিস। মীরা তুই জানতি না ফজলুল শেখ আমাদের সাথে কি করেছে? এরপরেও তুই তার ছেলের সাথে কেন প্রেম করলি। আমার ইচ্ছে হচ্ছে তোকে এখন কুঁচি কুঁচি করে কাটি। ”

” ভাইয়া আমি জানতাম না ফারাজ ফজলুল আঙ্কেলের ছেলে। ভালোবাসা কি বাবা মায়ের পরিচয় জেনে হয়। ভালোবাসা সৃষ্টি হয় দুটি মন থেকে। আমার আর ফারাজের মনে কোনোরকম শয়তানি নেই। আমাদের ভালোবাসা মেনে নাও। ”

” তুই শুনে রাখ। ভূল মানুষ কে ভালোবেসেছিস তুই। তোকে আমার বাবার মেয়ের পরিচয় দিতেও ঘৃণা লাগছে। এতোকিছু জানার পরেও ভালোবাসার কথা বলছিস? জাতীয় সংসদে কতবার বসি আমি তবুও ওই ফজলুলের সঙ্গে মুখোমুখি একবারো হইনা। আরেকবার যদি তুই তোর মুখে ফারাজকে ভালোবাসার কথা বলিস। ভূলে যাবো মীরা নামের আমার কোনো বোন ছিলো? ”

” কেনো ভাইয়া আমার বাবা কি করেছে? বাবার নাম জানামাত্র এতো কিসের ঘৃণা আপনার। ”

” এই প্রশ্ন তোর বাবাকে যেয়ে করিস? ”

আরমান শেখ মীরার হাত টেনে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয় । মীরা বলে ভাইয়া আমি যাবোনা তবুও জোড় করে টানতেই থাকে । ফারাজকে এসে আলীর দলবল ধরে মার দেয়। অন্তকোষ বরাবর লাথি মারে আলী। ফারাজ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। আরমান শেখ বলে আলী ওকে ছেড়ে দে। আরেকবার যদি এখানে আসে প্রাণে বাচবে না।

আলীরা চলে যায়। ফারাজ মাটিতে পড়ে রয়।

বেশকিছুক্ষণ পর ফারাজের জ্ঞান ফিরে। ফারাজ মীরার ফোন নম্বরে ডায়াল করে কিন্তু নম্বর সুইচ অফ বলে। ফারাজ রেগেমেগে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে ফজলুল শেখকে বলে বাবা আমি বিয়ে করবো।

এই কথা শুনে ফজলুল শেখ বিস্মিত হয়ে যায়। মনে মনে বলে ছেলে বড় হয়েছে তাই বলে নিলর্জ্জের মতো বলবে বাবা আমি বিয়ে করবো। আজকাল কার ছেলেমেয়ে বলে কথা। তার উপর ডক্টর।

” ফারাজ তোমার কোনো পছন্দ আছে? ”
” হ্যা বাবা। ”
” মেয়েটার নাম কি? কোন গ্রামে বাড়ি। বাবা মায়ের নাম কি? ”

” বাবা মেয়ের নাম মীরা শেখ। আরমান শেখের একমাত্র বোন। জাতীয় সংসদের এমপি। বাবা মারা গিয়েছে আট বছর হলো ”

” ব্যাস! আর বলতে হবেনা। অন্য কোনো মেয়ে থাকলে আমার কাছে এসে বলিয়ো। এই মেয়ের সাথে তোমার কখনো বিয়ে দিবোনা। আর তা না হলে আমার পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করতে হবে? ”

” কেনো? মীরাকে না দেখেই হুট করে এরকম ডিসিশন। আমি জানি তুমি আরমান শেখকে চিনো। কারণ ও একজন এমপি তুমিয়ো এমপি। জাতীয় সংসদে বারবার উঠাবসা হয়। শুধুমাত্র আরমান শেখের বোন হওয়ার জন্য আমি আমার মীরাকে পাবো না? ”

” হুম! ”
” কিন্তু বাবা ও আরমান শেখের বোন বলে এরকম করছো। কি হয়েছিলো অতীতে তোমাদের জানতে পারি আমি। ”
” অতীত ঘাটলে শুধু হিংস্রতাই প্রকাশ পাবে ভালোবাসা নয়। এই কথা বলে ফজলুল শেখ চলে যায়।”

ফারাজ দ্বিধায় পড়ে যায়। ফারাজকে অতীত জানতে হলে তার দাদির কাছে হেল্প চাইতে হবে। কারণ দাদি কখনো ফারাজকে নিরাশ করবে না। ফারাজ দাদির কাছে যায়। দাদি তোমার সাথে আমার কথা আছে। আমাকে একটু সময় দিতে পারবে?

” পাগলটা। তোমাকে আমি কখনো না করতে পারি। বড় হয়ে গেছো বলে দাদিকে তো ভূলেই গেছো। তা আজ কি মনে করে দাদির ঘরে। কি দরকার পড়লো দাদির কাছে ফারাজ ভাইয়ের? ”

” দাদি আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসি। ”
” বেশ ভালো কথাতো। মেয়েটার ছবি আছে? ”
” হুম। ”
” দেখিতো ফারাজ ভাইয়ের সঙ্গে কেমন মানায়। ”

ফারাজ মোবাইল টা অন করে গ্যালারিতে ঢুকে। নৌকা ভ্রমণের কাপল পিকগুলো দাদিকে দেখায়।

” ওয়াও! বেশ সুন্দরী তো মেয়েটি। মেয়েটির নাম কি? থাকে কোথায়। বাবা মায়ের নাম কি? মেয়েটা কোথায় পড়াশোনা করে? ”

” মেয়ের নাম মীরা শেখ। আট বছর আগে মীরার বাবা মারা গেছে। তখন থেকে মীরা ভাইয়ের অধীনে বড় হওয়া। তার ভাই জাতীয় সংসদের সদস্য অর্থাৎ একজন এমপি। নাম আরমান শেখ। ”

নাম শোনামাত্রই দাদির মুখটা পান্ডুর হয়ে যায়। এইটা তুমি কি করলে দাদুভাই? পৃথিবীতে আর কোনো মেয়ে ছিলো না। আরমান শেখের বোনকে ভালোবাসতে হলো। এই ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পাবেনা।

” কেনো দাদি? ”

তাহলে শুনো ফারাজ। আরমানের বাবা তোমার একমাত্র ফুপিকে ভালোবাসতো। আরমানের বাবা ছিলো একজন নেশাগ্রস্ত লোক। একজন নেশাগ্রস্ত লোকের সঙ্গে আমরা কি তোমার ফুপিকে বিয়ে দিতে পারি। তাই তোমার বাবা ও দাদা মেয়ের ভালোর জন্য অন্য জায়গায় জোড় করে বিয়ে দেয়। কিন্তু আরমানের বাবা তোমার ফুপিকে সংসার করতে দেয়নাই। তোমার ফুপির নামে খারাপ খারাপ কথা বলে তার স্বামীকে। এরপরে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে আমার মেয়ের বাঁচার পথ বন্ধ করে দেয়। এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে তোমার ফুপি সুসাইড করে মারা যায়। বলেই কেঁদে দেয় দাদি।

ফারাজ কথাটি শুনে কষ্ট পায়। ফুপি তাহলে এরজন্য আত্যহত্যা করেছিলো। কিন্তু এইখানে আমি ও মীরা কি দোষ করলাম?

এমন সময় ফজলুল শেখ তার মায়ের রুমে ঢুকে ফারাজকে বলে। প্রতিশোধ চাই ফারাজ। মৃত্যুর বদলে মৃত্যু। মীরাকে ভূলে যাও। ভূলেও কখনো ওই মেয়েকে বিয়ে করার কথা আমাকে বলবে না। আমায় যদি এই কথা আরেকবার বলো। তাহলে আমার মরামুখ দেখবে।

ফারাজ দাদি ও বাবার দিকে পিটপিট তাকিয়ে নিজের রুমে চলে আসে।

” দেখ মীরা যার ফুপির জন্য আমার মা কখনো ভালোবাসা পায় নাই বাবার। স্বামীসুখ পায় নাই কখনো। তুই তার বংশের সাথে প্রেমে গেলি। ভূলে যা তাকে নাহলে বাবাকেও যেভাবে হারিয়েছিস। আমাকেও সেইভাবে হারাবি। ”

” মীরা ছলছল নয়নে বলে। ঠিক আছে ভাইয়া। ”

কালকে তোর বিয়ে। ছেলে একজন ডক্টর। বিয়ের পরে তোকে পড়াশোনা করাবে। ফারাজের মতোই একজনকে এনে দিচ্ছি। আমার মান সম্মান ডুবাস না বোন। তুই যদি কোনো কিছু ভূল সিদ্ধান্ত নিস তাহলে আমার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে মনে রাখিস।

বিয়ের কথা শুনে মীরা বিস্মিত হয়ে যায়। মূহুর্তের মধ্যে চোখে আধার নেমে আসে। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।

কি মীরা কথা বলছিস না কেনো? বল তুই কালকে বিয়ে করবি?

মীরা কোনো কথা বলেনা দেখে আরমান ধমক দেয়। কাল যদি তুই বিয়ে না করিস আমাকে আর জ্যান্ত পাবিনা বলে দিলাম।

মীরা ভয় পেয়ে যায়। এরপরে আরমানকে বলে আমি রাজি ভাইয়া।

” রাত ২.০০ টা বাজতে চললো। ফারাজ অনেক চেষ্টা করার পরেও মীরার সাথে যোগাযোগ করতে পারছেনা। ফেসবুকে মেজেস। নম্বরে মেজেস। ফোন নম্বরে কল। কোথাও মীরাকে পাচ্ছে না। ফারাজ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলো মীরার ফোন আরমান শেখ নিয়ে নিছে। ফারাজের ঘুম না আসাতে এক পাতা ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুম যায়। ”

” ভোর ৫.০০ টা মীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে ফোন নিয়ে ফারাজকে ফোন করে, কিন্তু ফারাজ ফোন তুলেনা। উপায় না পেয়ে ১০.০০ টা এসেমেস করে, কিন্তু একটাও সিন করেনা ফারাজ। মীরা কোনো উপায় না পেয়ে আদনানকে ফোন করে। ”

” হ্যালো কে বলছেন? ”
” আমি মীরা। ফারাজকে জানিয়ে দেন আজকে বিকালের মধ্যে আমাকে পালিয়ে নিয়ে যেতে না পারলে আমার বিয়ে অন্য জায়গায় হয়ে যাবে। আমি ফারাজকে কল করছি, কিন্তু ফারাজ কল ধরছে না। এসেমেস করে রাখছি সিন করছেনা। আমার ফোন ভাইয়ার কাছে আছে। এটা ড্রাইভারের ফোন নম্বর কল দিয়েন না আর কখনো আল্লাহ হাফেজ। ”

” আদনান হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে। কিন্তু কানেকশন কেটে যায়। আদনান বুঝতে পারলো না তিনদিনের মধ্যে ফারাজ ও মীরার মধ্যে এমন কি হলো যারজন্য হুটহাট বিয়ে অব্দি কেইস চলে গেছে। এরপরে আদনান ফারাজকে কল করে। কিন্তু ফারাজ কল তুলেনা। আদনান কৌতূহলী হয়ে ফারাজের বাসার দিকে তখনি রওনা দেয়। ”

আদনান এসে দেখতে পায় ফারাজ বিভোরে ঘুমাচ্ছে। পাশে ঘুমের ঔষধের পাতা পড়ে আছে। আদনানের বুঝতে বাকি রইলো না ফারাজ কি করছে? মূহুর্তের মধ্যেই আদনান স্যালাইন এনে ফারাজকে পুশ করে দেয়।

ফারাজের বাড়ির সবাই টেনশনে পড়ে যায়। ফারাজ এরকম কিছু করতে পারে তাদের ধারণা বাইরে ছিলো।ওরা মনে করেছিলো রাতে ঘুম হয়নাই তাই দিনে ঘুমাচ্ছে। আদনান সবাইকে শান্তনা দেয় সন্ধ্যা ৭.০০ টায় জ্ঞান ফিরবে চিন্তার কিছু নাই।

সন্ধ্যা ৭.০০ টায় জ্ঞান ফিরে ফারাজের। চোখ খুলে আদনান কে দেখতে পায়।

” আদনান তুই এখানে। এখন কয়টা বাজে? সিগারেট হবে। ”
” সন্ধ্যা ৭ টা ৮ মিনিট ফারাজ। সিগারেট খাওয়া এখন তোর জন্য ঠিকনা। ”
” এই শ্লা! এখন তুই ঠিক করবি আমার জন্য কোনটা ঠিক কোনটা নয়। আমিয়ো নিজেও একজন ডক্টর। ”

অনেক দেরি করে ফেললি ফারাজ। তোর ফোনটা দেখ। ফোনের মেজেস অপশনে যা।

আদনানের এই কথা শুনে কৌতূহলী হয়ে মেজেসে গিয়ে মীরার মেজেস দেখেই কোনো কথা না বলে ফারাজ দৌড় দেয় মীরার বাড়ির উদ্দেশ্য।

এই ফারাজ কই যাচ্ছিস। এখন তোর শরীর ঠিক না। পিছনে পিছনে আদনান ও ছুটে যায়। এরপরে অটোতে করে মীরার বাড়ির যায় দুজনে।

কিন্তু এসে শুনতে পায় মীরাকে আকদ পড়াচ্ছে কাজী সাহেব অন্য ছেলেকে স্বামী হিসাবে কবুল করে নেওয়ার জন্য। মীরা হাজী সাহেবের আকদ শেষে চারদিকে মাথা তুলে চারদিকে চেয়ে ফারাজকে দেখতে পায়। পিছনে আড়াল করে বন্দুক তাক করে আছে তার ভাইয়ের গুন্ডাগুলো।

” কাজী সাহেব বলে বলো মা কবুল। ”

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে