প্রেম প্রেম খেলা পর্ব-০৬

0
1066

#প্রেম_প্রেম_খেলা
#পর্ব_০৬
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

পাঁচ বছরে যতগুলো মিউজিক ভিডিও হবে সবগুলো তে আমার পার্টনার হিসেবে আমি শুধুমাত্র আপনাকেই চাই।কারণ আমি টাকার জন্য মডেলিং করছি না।আমি শুধুমাত্র আপনাকে পছন্দ করি বলে এই রকম পেশায় এসেছি।তাছাড়া কারো ক্ষমতা ছিলো না আমাকে এই পেশায় আনার।
এই বলে অহনা সবগুলো টাকা আদ্রিয়ানের মুখে ছুড়ে দিলো।আর বললো আপনি যদি আমার প্রস্তাবে রাজি থাকেন তবেই আমি নেক্সট শুটিং এ উপস্থিত থাকবো।তাছাড়া আমি আসবো না শুটিং এ।এতে আপনার যা করার করে নিন।এই বলে অহনা চলে গেলো।

আদ্রিয়ান আর তার বন্ধুরা অহনার এমন মেজাজ দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেলো।তারা তো সবাই অহনাকে সহজ সরল মেয়ে ভেবেছিলো।কিন্তু এই মেয়ে তো মোটেও সহজ সরল নয়।

সানি তখন বললো,দোস্ত কি করবি এখন?এই মেয়ে তো অন্য কারো সাথে মডেলিং করতে কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।তাহলে কি নতুন কোনো মডেলকে খুঁজবো?

আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে বললো,ওই মেয়ে বললো আর হলো নাকি?সে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সাইন করেছে।ওকে এই কাজ করতেই হবে।

উল্লাস তখন বললো, দোস্ত এই চুক্তি দিয়ে কিছু হবে না।কারণ চুক্তিতে তো তোরই নাম লেখা আছে।আর অহনা তো বলছে না তোর সাথে সে কাজ করবে না।সে তো তোর সাথে কাজ করতেই চাচ্ছে।

তানহা তখন বললো, আমি বুঝছি না, তোরা সবাই এই মেয়ের পিছনে এভাবে পড়ে আছিস কেনো?এই মেয়ে ছাড়া কি আর অন্য কেউ নাই?

আদ্রিয়ান তখন বললো তুই যদি এই সহজ জিনিস টা বুঝতি তাহলে তুই আমার জায়গায় থাকতি।তুই বুঝতে কেনো পারছিস না তানহা?এই মেয়ে এখন সেলিব্রিটি। আর সবাই ওকে এখন ভালোভাবেই চেনে।আর জানিসই তো চেনা মানুষের কদর বেশি।এই বলে আদ্রিয়ান বের হয়ে গেলো তার কাজে।

তবে আদ্রিয়ান মনে মনে ভাবতে লাগলো, এভাবে পিছপা হলে চলবে না।যে করেই হোক অহনাকে রাজি করাতেই হবে।তাছাড়া সে নেক্সট উইক দেশের বাহিরে যাবে।প্রায় এক মাস সে দেশে থাকতে পারবে না।তাই বলে কি তার শুটিং অফ থাকবে?না, কিছুতেই হবে না সেটা।সেজন্য তার নেক্সট ভিডিও টা সানি আর অহনাকে দিয়েই করাতে হবে।

▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️

অহনা মন খারাপ করে ঘর বন্দি অবস্থায় আছে।সে ভাবতেই পারছে না আদ্রিয়ান তাকে টাকার বিনিময়ে কিনতে চাইছিলো।অহনা তখন মনে মনে বললো,আদ্রিয়ান আপনি কেনো বুঝতে পারছেন না আমি শুধুমাত্র আপনাকে ভালোবাসি। এজন্যই আমি মডেলিং পেশায় এসেছি।আপনি কোনদিন বুঝবেন আমার ভালোবাসা?

হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো।

এসময় আবার কে এলো?এই বলে অহনা চোখের পানি মুছিয়ে দরজা খুলতে গেলো।

অহনা দরজা খুলতেই দেখে আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে।আদ্রিয়ান কে দেখামাত্র অহনা বললো,
আপনি এখানে?

আদ্রিয়ান অহনার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে বাসার ভিতর প্রবেশ করলো।আর চারদিকে ভালো করে দেখে বললো, একাই থাকো বাসায়?

অহনা বললো হুম।

আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে বললো তাহলে তো তোমার ভালোই সাহস দেখি।চেহারা দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারো না।

–মানে?

–কিছু না।

অহনা তখন বললো চা না কফি?

–আমার ব্যাপারে এতো কিছু জানো আর এটা জানো না আমি কি পছন্দ করি?

অহনা সেই কথা শুনে কফি রেডি করতে গেলো।

এদিকে আদ্রিয়ান ভাবতে লাগলো কিভাবে অহনাকে সে রাজি করাবে?

কিছুক্ষন পর অহনা কফির ট্রে এনে আদ্রিয়ানের হাতে দিলো।

আদ্রিয়ান কফির মগ হাতে নিয়ে বললো,তুমি খাবে না?

অহনা মাথা নেড়ে বললো না।সে আর একটি কথাও বললো না।

আদ্রিয়ান তখন বললো মন খারাপ?এভাবে চুপচাপ আছো যে?

অহনা কোনো উত্তর দিলো না।

আদ্রিয়ান তার কফির মগ টা রেখে হঠাৎ অহনার হাত ধরে বললো,
অহনা আমি আজ একটা বিশেষ কারনে তোমার কাছে এসেছি।আশা করছি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দেবে না।

অহনা তখন বললো, আমি জানি আপনি কেনো এসেছেন?আমি আগেও বলেছি আর এখনো বলছি,আমি অন্য কারো সাথে শুটিং করতে পারবো না।বিশ্বাস করুন আমার মডেলিং করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই।আমার এসব ভালো লাগে না।

আদ্রিয়ান তখন বললো আমি সাথে থাকলেও কি আপত্তি আছে তোমার?

–মানে?

আদ্রিয়ান তখন বললো,তোমার সানির সাথে শুটিং করতে হবে না।আমিই থাকবো নেক্সট ভিডিওতে।

অহনা আদ্রিয়ানের কথা শুনে বললো হঠাৎ এভাবে মত পাল্টালেন যে?

আদ্রিয়ান তখন বললো, সত্যি বলতে কি আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি অহনা।সেদিন সবাই ছিলো বিধায় বলতে পারি নি।আজ সেজন্য একাকি ভাবে বলতে এলাম।

আদ্রিয়ানের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে অহনা একদম গদগদ হয়ে গেলো।তার বিশ্বাসই হচ্ছে না আদ্রিয়ান নিজের মুখে বলছে কথা টা।

অহনা তখন বললো আপনি সত্যি বলছেন?

আদ্রিয়ান এবার অহনাকে তার কাছে টেনে নিয়ে বললো, ভালোবাসা নিয়ে কেউ কি মিথ্যা কথা বলে?সত্যি তোমাকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলছি।

অহনা সেই কথা শুনে লজ্জায় আদ্রিয়ানের থেকে একটু দূরে সরে গেলো।তার যে স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেলো।সে তো এটাই চাই যে আদ্রিয়ান তাকে ভালোবাসুক।

হঠাৎ আদ্রিয়ান অহনার কাছে চলে আসলো।আর তার মুখ স্পর্শ করে ঠোঁট বাকা করে বললো,ভাগ্যের কি পরিহাস তাই না?তুমি আমাকে কত করে চাই তে,আর আজ পেয়েই গেলে।

অহনা সেই কথা শুনে বললো, মন থেকে কিছু চাইলে সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই তার মনোবাসনা পূরণ করে দেন।

আদ্রিয়ান তখন বললো এখন তো আমার সবকিছু তোমারই।আমার ভালো মন্দ সব টা এখন তোমাকেই সামলাতে হবে।

অহনা সেই কথা শুনে বললো, এখনো সেই অধিকার হয় নি আমার।যেদিন সবার সামনে আমাকে বিয়ে করবেন,পুরো দেশের লোক জানতে পারবে এই কথা।সেদিন এই অধিকার পেয়ে যাবো আমি।

আদ্রিয়ান হঠাৎ অহনাকে জড়িয়ে ধরে বললো, সেই অধিকার যদি আমি তোমাকে এখনি দিয়ে দেই?

আদ্রিয়ানের এমন কথা শুনে অহনার ভয় হতে লাগলো।তার পুরো শরীর পাথরের মতো জমে গেলো।আদ্রিয়ান কোন অধিকারের কথা বলছে?

আদ্রিয়ান তখন একটা রিং বের করে বললো, তোমার হাত টা বাড়িয়ে দাও অহনা।আমি আজকেই তোমাকে নিজের করে পেতে চাই।

অহনা তখন বললো এইভাবে চুপি চুপি রিং পড়ানোর কোনো মানেই হয় না আদ্রিয়ান। সবার সামনে যেদিন পড়াতে পারবেন সেইদিন পড়িয়েন।আমি অপেক্ষা করে থাকবো?

আদ্রিয়ান তখন বললো সবার সামনে রিং পড়ানোর টাইম এখনো আসে নি অহনা।এই বলে আদ্রিয়ান আবার অহনার হাত টেনে আনলো।আর রিং টা পড়াতে ধরলো।

অহনা তখন বললো, আমার বহুদিনের ইচ্ছা আপনি আমার বান্ধুবীদের সামনে আমাকে প্রপোজ করবেন।যদি রিং টা ওদের সামনে পড়াতেন খুব খুশি হতাম আমি।

আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে বললো অহনা তুমি বুঝতে কেনো পারছো না? এভাবে সবার সামনে এখনি আমাদের রিলেশনের কথা প্রকাশ করা যাবে না।তোমার আমার ভালোবাসার কথা শুধু আমরা দুইজনই জানবো।বললাম তো পরে সময় হলে সবাইকে জানিয়ে দেবো।

অহনা তখন বললো সবাই কে বলতে হবে না তো।আমার শুধু তিনজন বান্ধুবির কথা বলছি।ওরা সত্যিটা কাউকে বলবে না।আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড ওরা।

আদ্রিয়ান অনেক ভেবে চিনতে বললো ওকে।তাহলে তোমার ফ্ল্যাটেই আসতে বলো সবাইকে।আমি সন্ধ্যার সময় ফ্রি আছি।

অহনা আদ্রিয়ানের কথা শোনামাত্র বললো,সন্ধ্যার সময় না।এখনি ডাকছি ওদের।আপনি জাস্ট আধাঘন্টা সময় দিন আমাকে।ওরা আমার বাসার আশেইপাশেই থাকে।

আদ্রিয়ান মনে মনে ভাবলো এ কোন ঝামেলায় পড়ে গেলাম?

এদিকে অহনা আর দেরী না করে টুশু কে কল করলো।

টুশু কল রিসিভ করেই বললো,অহনা?
তা এতো দিন পর কি মনে করে কল দিলি?এখন তো সেলিব্রিটি হয়ে গেছিস?আমাদের কথা কি মনে আছে?

অহনা তখন বললো তোরা আমাকে ভুলে যেতে পারিস কিন্তু আমি যাই নি।

অর্পা তখন বললো আমরা যে তোকে ভুলে গেছি তুই সেটা কি করে ভাবলি?আমরা তো জাস্ট তোর পাগলামি বন্ধ করার কথা বলেছিলাম।কিন্তু তুই তো সেটা শুনলিই না বরং আমাদের কে ছেড়ে হোস্টেল থেকে বের হয়ে গেলি।

অহনা তখন বললো এখন এসব রাগ অভিমানের কথা বাদ দে।অর্পা আর সনিয়াকে সাথে করে নিয়ে এই মুহুর্তে আমার বাসায় চলে আয়। খুবই ইমপরটেন্ট একটা কথা আছে।

–এখন?এখন হবে নারে।

অহনা সেই কথা শুনে বললো তাহলে কখন আসতে পারবি?

টুশু তখন বললো সন্ধ্যার দিকে যাবো।

অহনা সেই কথা শুনে বললো ওকে।তবে মিস যেনো না হয়।

–ঠিক আছে।এই বলে টুশু কল কেটে দিলো।

অহনা এবার আদ্রিয়ান কে বললো আপনার কথামতো ওদের কে সন্ধ্যার সময়ই আসতে বললাম।আপনি কিন্তু অবশ্যই আসবেন।

আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে বললো ঠিক আছে।এই বলেই আদ্রিয়ান চলে গেলো।

▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️

সন্ধ্যার সময় টুশু,অর্পা আর সনিয়া আসলো।হোস্টেল থেকে চলে যাওয়ার পর এই প্রথমবার তারা অহনার সাথে দেখা করতে আসছে।এর আগে অহনা আর আদ্রিয়ানের মিউজিক ভিডিও রিলিজ হওয়ার দিন ওরা সবাই কংগ্রাচুলেশনস জানিয়ে ছিলো।তারপর আর কথা হয় নি তাদের।যেহেতু অহনা এখন একজন সেলিব্রেটি হয়ে গেছে সেজন্য তারা আর নিজের থেকে কথা বলতে চায় না।অহনা কথা বললেই তবে দিয়ে তারা কথা বলে।

অহনা অনেকদিন পর তার বান্ধুবীদের দেখে ভীষণ খুশি হলো।অহনা ওদের কে নিয়ে গেস্ট রুমে চলে গেলো।কি সুন্দর করে সাজিয়েছে অহনা ফ্ল্যাট টা।সবার চক্ষু একদম ছানাবড়া হয়ে গেলো।

হঠাৎ টুশু জিজ্ঞেস করলো,আজ কি কোনো বিশেষ দিন অহনা?এতো সুন্দর করে কেনো সাজিয়েছিস?

অহনা তখন হাসতে হাসতে বললো,জাস্ট কিছুক্ষন অপেক্ষা কর।এমনিতেই দেখতে পারবি।

এরই মধ্যে কলিং বেল বেজে উঠলো।অহনা দরজা খুলতেই দেখে আদ্রিয়ান এসেছে।তার হাতে সুন্দর একটা ফুলের তোড়া।আর কিছু গিফট বক্স।আদ্রিয়ান কে আজ খুবই হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছিলো।কালো শার্ট আর কোর্ট পরিহিত আদ্রিয়ান কে দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছিলো না।অহনা তো এমনিতেই ওর প্রেমে ফিদা আর আজ তো একদম পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তার।

এদিকে কলিং বেলের আওয়াজ শুনে অর্পা, সনিয়া আর টুশুও এগিয়ে আসলো।তারা নিজেরাও আদ্রিয়ান কে দেখে একদম পাগল হয়ে গেলো।এই প্রথমবার ওরা আদ্রিয়ান কে এতো কাছ থেকে দেখছে।তারা বিশ্বাসই করতে পারছে না তাদের সামনে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে।

আদ্রিয়ান ফুলের তোড়া টা অহনার হাতে দিলো।আর অহনার বান্ধুবীদের দেখে বললো,তোমরাই তাহলে এই পাগল টার বান্ধুবি?

অহনা সেই কথা শুনে বললো, এই আপনি আমাকে পাগল বললেন কেনো?

আদ্রিয়ান তখন বললো,পাগল কে পাগল বলবে না তো কি বলবে?

অহনা সেই কথা শুনে মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে গেলো।

কিন্তু হঠাৎ আদ্রিয়ান অহনার হাত ধরে টেনে তার সামনে আনলো।আর হাঁটু গেড়ে বসে বললো,আই লাভ ইউ পাগলি।উইল ইউ মেরি মি?

অহনা আদ্রিয়ানের কথা শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো।তার মনে হচ্ছে সে ভুল শুনছে।

এদিকে অর্পা,সনিয়া আর টুশু সেই কথা শুনে মুখে হাত দিলো।কারণ তাদের সত্যি বিশ্বাস হচ্ছিলো না এটা।এ তারা কি দেখছে?আদ্রিয়ান তো সত্যি সত্যি অহনাকে প্রপোজ করছে।

আদ্রিয়ান তখন ইশারা করে বললো, দাও হাত টি বাড়িয়ে।এই বলে আদ্রিয়ান নিজেই অহনার হাত টি টেনে নিয়ে আংটি পড়িয়ে দিলো।আর সবার সামনে অহনার কপালে একটা কিস করে বললো,আই লাভ ইউ সো মাচ।
অহনা তখন সাথে সাথে আদ্রিয়ান কে জড়িয়ে ধরে বললো, আই লাভ ইউ সো মাচ টু।

টুশু তখন অহনাকে বললো শেষমেশ আদ্রিয়ান কে পটেই নিলি।তোর জিদ আছে অহনা।

অহনা তখন বললো,আজ বিশ্বাস হলো আমার কথা?তোরা না বলতি আমি পাগল?আমাকে নাকি পাগলা গারদে থাকা উচিত।
এখন কি মনে হচ্ছে?

অর্পা তখন বললো আমরা তো ভেবেছিলাম অতোবড় একজন সেলিব্রেটি মানুষ তোকে কি করে ভালোবাসতে পারে?কিন্তু সে যে সত্যি সত্যি তোকে এভাবে প্রপোজ করবে?ও মাই গড।সত্যি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না এটা।

সনিয়া তখন বললো, ভাইয়া আপনার নিজের কন্ঠে একটা গান শুনতে চাই আজ।প্লিজ। প্লিজ।প্লিজ।

আদ্রিয়ান সেই কথা শুনে অহনাকে বললো তাহলে কিন্তু তোমাকে ডান্স করতে হবে।তবেই আমি গাইবো।

অহনা সবার সামনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছিলো।

টুশু তখন বললো এভাবে লজ্জা পাচ্ছিস কেনো অহনা?রাজি হয়ে যা।ইসঃ তোর কি কপাল মাইরি।সংগীত শিল্পী আদ্রিয়ান তোকে প্রপোজ করলো।

আদ্রিয়ান হঠাৎ তার সুরেলা কন্ঠে গেয়ে উঠলো,

Suraj Hua Maddham, Chaand Jalne Laga
Aasmaan Yeh Haai Kyoon Pighalne Laga…

অহনা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলো।হঠাৎ আদ্রিয়ান অহনার হাত ধরে কাছে টেনে আনলো।আর তাকে নাচাতে লাগলো।এরপর আর অহনাকে বলতে হলো না।সে একা একাই নেচে যাচ্ছে।

এদিকে আদ্রিয়ান গাইতেই আছে,

Suraj Hua Maddham, Chaand Jalne Laga
Aasmaan Yeh Haai Kyoon Pighalne Laga…

Main Thehra Raha, Zameen Chalne Lagi
Dhadka Yeh Dil, Saans Thamne Lagi
Oh, Kya Yeh Mera Pehla Pehla Pyaar Hai
Sajna, Kya Yeh Mera Pehla Pehla Pyaar Hai

Ho Oh Oh, Oh Oh Oh Oh Oh, Aa Aa Aa Aa Aa Aa
Suraj Hua Maddham, Chaand Jalne Laga
Aasmaan Yeh Haai Kyoon Pighalne Laga
Main Thehri Rahi, Zameen Chalne Lagi
Dhadka Yeh Dil, Saans Thamne Lagi
Haan, Kya Yeh Mera Pehla Pehla Pyaar Hai
Sajna, Kya Yeh Mera Pehla Pehla Pyaar Hai

কিছুক্ষন পর আবার কলিং বেল বেজে উঠলো।অহনা তখন তার নাচ বন্ধ করে বললো,ফুড পান্ডাতে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম।হয় তো খাবার নিয়ে এসেছে।এই বলে অহনা দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো।কিন্তু দরজা খুলতেই অহনার চোখ একদম বড়বড় হয়ে গেলো।

কারণ মিডিয়ার লোকেরা এসেছে।

এদিকে অহনার আসতে দেরি হওয়াই টুশু,অর্পা আর সনিয়া এগিয়ে আসলো।

অহনা সবাইকে একসাথে দেখে বললো, আপনারা এখানে?

মিডিয়ার লোকেরা তখন একসাথে বলে উঠলো,ম্যাম আমরা খবর পেয়েছি আদ্রিয়ান স্যার আপনার ফ্ল্যাটে এসেছে।আপনাদের দুইজনের মধ্যে কিসের সম্পর্ক সেটা আমরা জানার জন্যই এসেছি।

অহনা তখন বললো আমরা আমাদের নেক্সট মিউজিক ভিডিও নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি।সে সম্পর্কেই কথা হচ্ছে আমাদের মধ্যে।

হঠাৎ একজন বললো কিন্তু রুমের ডেকোরেশন দেখে, আর আপনার সাজসজ্জা দেখে তো তেমন টা মনে হচ্ছে না।ম্যাডাম কিসের পার্টি হচ্ছে আজ বলবেন প্লিজ।

এবার আদ্রিয়ান এগিয়ে আসলো।আদ্রিয়ান কে দেখামাত্র সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লো।আর একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলো।

#চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে