#প্রেম_প্রার্থনা
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
[১১]
-‘এই মুহূর্তে তুই আমাকে বেছে নিবি নয়তো তোর রাজনীতি। যদি আমাকে নিস তাহলে আমি তোর মনমতো হয়ে উঠবো। আর যদি রাজনীতি নিস তবে বিচ্ছেদ কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিচ্ছেদ মানে বুঝেছিস, ডিভোর্স! সত্যি বলছি, তোকে আমি ডিভোর্স দিবোই দিবো।’
-‘স্পৃর্ধা একটু বেশি দেখিয়ে ফেললি না?’
-‘বেশ করেছি।’
-‘কলার ছাড়।’
-‘আমার কথার জবাব চাই।’
-‘আমি রাজনীতি বেঁছে নিলাম। এবার যা পারিস করে নে।’
-‘ আমার যখন মূল্যই নেই তাহলে বিয়ে করেছিস কেন? ওহ মজা নিতে? ফূর্তি করতে?’
-‘স্পর্শী, ভাষা সংযত কর আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিস না।’
-‘তুই করতে পারলে আমি বলতে পারব না? তোরা সবাই আমাকে পেয়েছিসটা কি? আমি তোদের খেলার পুতুল? মন মর্জি কিছুই থাকতে পারে না আমার? বাসা থেকে বলে মেনে নে, মেনে নে, আর তুই মূল্যই দিস না। আমি কুকুর?বারবার দূরছাঁই করবি আর তোর পদতলে পড়ে থাকব?ওই এমিলির মতো আমাকে বিধবা দেখার জন্য রাজনীতি ছাড়বি না তাই না? এমিলির বরের মতো রাস্তাঘাটে পড়ে ম/রার এত শখ?’
-‘এবার বুঝলাম এত রাগের কারণ। বস, মাথাটা ঠান্ডা কর, আগে আমার পুরো কথাটা শুন।’
-‘কিচ্ছু শোনার বাকি নেই আমার। থাক তুই তোর রাজনীতি নিয়ে। আজকের পর ভুলেও আমার সামনে আসবি না। যদি আসিস আগে তোকে খু/ন করব তারপর আমি বি/ষ খাবো।’
একথা বলে স্পর্শী রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেল রুদ্রও বাঁধা দিলো না। এত রাগের কারণ এতক্ষণ বুঝলো রুদ্র। বিয়েটা নাকি মানেও না আবার ওকে নিয়ে ভয়ও পায়। একেই বলে মেয়েমানুষ, মুখ এক মনে আরেক। একথা ভেবে রুদ্র মুচকি হেসে গালে হাত বুলালো। চিঙ্গিসখানের নাতনির হাতে এত জোর! গালটা এখনো জ্বলে যাচ্ছে। নতুন নতুন বিয়ে করে
বরদের নাতি আদর সোহাগের কমতি থাকে না। অথচ সে..!
এসব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেঝের দিকে দৃষ্টি গেল। পুরো রুমে বিরিয়ানির ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এভাবে খাবার নষ্ট করার অপরাধে শাস্তি দিতেই হবে তাহলে পরবর্তীতে এমন করার আগে দশবার ভাববে। বলার আগেই মুখের সামনে হাজার রকমের খাবার পেয়ে যায় এজন্য বোঝে না ক্ষুধার জ্বালা, খাবারের মর্ম। মনে মনে এসব আওড়িয়ে ঝাড়ু এনে সবপরিষ্কার করে মুছল। আড়চোখে দেখে এলো গেস্টরুম বন্ধ থাকায় স্পর্শী ড্রয়িংরুমে বসে ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদছে।
রাগ কমলে ঠিকই আসবে ভেবে রুমে এসে বিছানার উপর বসল। ল্যাপটপ নিয়ে জুরুরি ইমেইল চেক করল। পরবর্তী ইমেইল ওপেন করতেই স্পর্শী দরজা আঁটকে দিলো বাইরে থেকে। দরজা বন্ধ দেখে রুদ্র চট করে উঠে স্পর্শীর নাম ধরে ডাকতে লাগল। কিন্তু স্পর্শীর সাড়াশব্দ পেল না। একটু পরে মেইন দরজা খোলার শব্দ শোনা গেল। স্পর্শী বাইরে যাচ্ছে না তো? তাছাড়া মেইন দরজা খুলবেই বা কেন?যদি এমনই হয় তবে থাপ্পড় একটাও মাটিতে পড়বে না। থাপ্পড়ে মাথার ভূত ছুটিয়ে দিবে। বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছে সে।এতক্ষণ নিজের রাগ কনট্রোল করলেও এবার অসহ্য লাগছে। রুদ্র পুনরায় ডেকে সাড়া না পেয়ে বাইরে যেতে নিষেধ করল। ওর আদেশ অমান্য করে যদি যায়ও তবে ভ/য়ংকর শাস্তি দিবে।
চিৎকার করে একথা বলার পরেও স্পর্শীর সাড়া পেল না।
এখন ঘড়ির কাঁটা বারোর ঘরে। এতরাতে বের হওয়াও রিস্ক তাছাড়া এমিলির লোকসহ অন্য শত্রুরাও উৎ পেতে আছে।
সবসময় তাদের উপর নজর রাখছে। তারা যদি কোনোভাবে জানতে পারে স্পর্শী বাইরে তাও একা তবে তাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে। না, যেভাবেই হোক আঁটকাতে হবে। তারপর রুদ্র চট করে ফোন তুলে গেটের দারোয়ানকে কল করল। দারোয়ান চেয়ারে হেলান দিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল।ফোনে কল পেয়ে হুড়মুড় করে উঠে পরপর দুইবার সালাম নিলো। তখন রুদ্র সালামের জবাব নিয়ে জানিয়ে দিলো স্পর্শীকে যেন বাইরে যেতে না দেয়। জোরাজারি, কান্নাকাটি, এমনকি সে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি খেলেও না। ওর কথা শুনে দারোয়ান থতমত খেয়ে কিছু বলার আগেই কল কেটে ফোন রাখতেই বাইরের
দরজা আঁটকানোর শব্দ পাওয়া গেল। তারমানে স্পর্শী যায় নি, ফিরে এসেছে। এই মেয়ে শান্তি দিলো না। অতঃপর রাগে গজগজ করতে করতে সে এসির পাওয়ার বাড়িয়ে বিছানায় বসল। তোয়ালে নিয়ে মুখ, কপাল, ঘাড়, মুছে ছুঁড়ল কোণায় রাখা বিন ব্যাগের উপরে। মানুষ চারটা বিয়ে করে চারটা বউ সামলায় কীভাবে? তার এক বউ’ই কাল ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে। চার টা বউ হলে চারদিকে থেকে প্যারা।একজনই বিয়ের শখ
আহ্লাদ মিটিয়ে দিচ্ছে আর লাগবে না। তখন দরজার কাছে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে রুদ্র দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-‘তাড়াতাড়ি দরজা খোল নয়তো আজ তোর খবর আছে।’
-( সাড়াশব্দ নেই)’
-‘কথা কী কানে ঢুকছে না? আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিস না স্পর্শী এর ফল ভালো হবে না।’
তখন দরজার ওপাশ থেকে স্পর্শীও সমান তালে বলে উঠল,
-‘লাস্টবার বলছি, আমি নাকি রাজনীতি?’
-‘দরজাটা আগে খোল তারপর বলছি আমি।’
-‘না।’
ওর মুখে ‘না’ শুনে রুদ্র রাগে দুঃখে আর একটা শব্দও ব্যয় করল না। চোখে মুখ শক্ত করে বসে রইল। কাফিকে একটা কল করতে গিয়েও ফোনটা রেখে দিলো। বেচারা এখন বউ নিয়ে ঘুমাচ্ছে বোধহয়। ওর মতো তো আর বিচ্ছু বউ কপালে
জুটে নি, ঘুমাবেই তো। ওদিকে স্পর্শীও আর কিছু জিজ্ঞাসা করলো না। দরজার ওপাশে দেওয়ালে হেলান দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে যেন সব কথা ফুরিয়ে গেছে। স্পর্শী বাসায় আছে জেনে রুদ্র একগ্লাস পানি খেয়ে চুপ করে শুয়ে দরজা খোলার অপেক্ষা করতে লাগল। তার এই অপেক্ষার পালা চলতেই থাকল ঘড়ির কাঁটাও এগোতে থাকল। শুয়ে থাকতে থাকতে একটা সময় রুদ্রর চোখজোড়ায় ঘুম নেমে এলো।
ঠিক আধঘন্টা পরেই হঠাৎ’ই তার ঘুম ছুটে গেল। তড়িঘড়ি
উঠে দরজা খোলা নাকি পরখ করল। না, এখনো খোলে নি দেখে চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াল।
তারপর চোখে, মুখে, পানি ঝাপটা দিয়ে রুমে এসে দাঁড়াতেই থমকে গেল। চোখে মুখে বিষ্ময়। কম্পিত পায়ে এগিয়ে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো দরজার কাছে। দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে আসা লাল তরল হাতে নিয়ে পরখ করল। পরখ করে বুঝল এটা র/ক্ত। এখানে র/ক্ত এলো কোথা থেকে? স্পর্শী! স্পর্শী ঠিক আছে তো? সে উঠে দরজায় জোরে জোরে বারি মেরে উচ্চস্বরে স্পর্শীকে ডাকতে থাকল কিন্তু এবারো সাড়াশব্দ পেল না। তাই বাধ্য হয়েই কাফিকে কল দিয়ে বাসায় আসার কথা জানাল। রুদ্রর কন্ঠস্বর শুনেই মনে হচ্ছে খারাপ কিছু ঘটেছে। তাই সে রুমাকে নিয়ে রুদ্রর বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। দশ মিনিটে তারা ফ্ল্যাটের দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে গেল। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। কাফি সময় অপচয় না করে পিন কোড বসিয়ে দরজা আনলক করল। এই পিন সে আর রুদ্র ছাড়া কেউ জানে না। তারপর তারা ভেতরে প্রবেশ করে রুদ্রর রুমের দিকে যেতেই স্পর্শীকে দেখে থমকে গেল। রুমা ‘ইয়া আল্লাহ’ বলে আর্তনাদ করে স্পর্শীর কাছে দৌড়ে গেল।
স্পর্শীর মাথাটা নিজের কোলে তুলে ডাকতে লাগল। কাফি দ্রুত পানি এনে মুখে ছিঁটা দিয়েও কাজ হলো না। তখন রুদ্র জোরে দরজায় থাবা দিয়ে দরজাটা খুলতে বলল কাফিকে।
কাফি দরজা খুলতেই রুদ্র বেরিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল৷ দরজার সামনে স্পর্শী অবচেতন হয়ে পড়ে আছে। ওর পাশে ধারালো ছু/রি আর স্পর্শীর কাঁ/টা হাত থেকে গড়িয়ে পড়ছে র/ক্ত। এইটুকু দেখেই সে স্পর্শীকে কোলে তুলে হাঁটা ধরলো।
কাফি আর রুমা ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে ফোনে কল করতে করতে ছুঁটলো রুদ্রর পিছু পিছু। তারপর তারা গাড়িতে উঠে দ্রুত’ই পৌঁছাল চেনাজানা কাছের হসপিটালে। পেশেন্টের অবস্থা দেখে ডাক্তারও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করলেন।
ওটির দরজা বন্ধ হতেই রুদ্র ওটির সামনে থাকা চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ল, শরীরে যেন বিন্দুও শক্তি নেই। এই সামান্য কারণে এমন কিছু ঘটবে ভাবতেও পারে নি সে। যে মেয়েটা ছোটো থেকে র/ক্ত দেখতে পারে না সেই মেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে! আচ্ছা, এটা কী ঘৃণার বশে নাকি অভিমান? পূর্বেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে কথা কাটাকাটি হয়েছে এমনতো
হয় নি, তবে আজ কেন? সে তো বোঝাতে চেয়েছে, বলতেও চেয়েছে, রাজনীতি কেন বেছে নিয়েছে তবুও..! এমন নানান প্রশ্নে বিদ্ধ হয়ে চেয়ারের হাতলে মাথা ঠেকিয়ে সে চোখ বন্ধ
করে নিলো। এত অবধি কত মানুষ মেরেছে তার ঠিক নেই,
কারো হাত ভেঙেছে, পা ভেঙেছে, কারো মাথাও ফাটিয়েছে, এমনকি মা/রতে মা/রতে মেরেও ফেলছে ক’জনকে। তাদের রক্ত দেখে তো এমন হয় নি। তবে আজকে কেন স্পর্শীর রক্ত দেখে শরীর অবশ হয়ে আসছে? এর আগে কখনো মনে হয়
র/ক্ত ভয় পাওয়ার জিনিস। তবে এ মুহূর্তে শরীরে লেপ্টানো র/ক্ত দেখে ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে তার বুকেই কেউ ছুরি চালিয়েছে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তার হৃদপিন্ডটাকে দ্বিখন্ডিত করে ফেলছে। গাড়িতে উঠেই তার রুমাল দিয়ে স্পর্শীর হাত বেঁধে দিয়েছিল কিন্তু র/ক্ত পড়া থামে নি। বরং রুমাল ভিজে তার টি-শার্টে র/ক্ত লেপ্টে গেছে। এই রক্তের দাগ যেন তার বুক কামড়ে ধরছে। অসহ্য ব্যথায় তোড়পাড় করে দিচ্ছে তার বক্ষপাশ।
তখন এক নার্স এসে জানাল রক্তের প্রয়োজন। পেশেন্টের শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে শরীর ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ইমিডিয়েট রক্তের প্রয়োজন। একথা শুনে রুদ্র ফোনটা বের করার আগেই কাফি জানতে চাইল স্পর্শীর রক্তের গ্রুপ কী।
পূর্বের ঘটনায় জানা গেছে স্পর্শীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে। সে বলতেই কাফি জানাল তারও এ পজেটিভ রক্ত। তখন নার্স কাফিকে সঙ্গে যেতে বললে কাফিও হাঁটা ধরল। আর রুদ্র
ওদের যাওয়ার দিকে নিষ্পলকভাবে তাকিয়ে রইল। এভাবে অনেক সমস্যা গড়ালো, রাত কেটে ভোরে আলোও ফুটলো।
রক্ত দেওয়ার পরপর রুদ্র কাফিকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
তার বিশ্রামের প্রয়োজন। কাফি রক্ত দিয়ে বের হওয়ার পরে সে খেয়াল করেছে রুমার ( কাফির বউ) ছটফটানি। মেয়েটা বড্ড বেশি ভালোবাসে কাফিকে। তার সামনে কিছু বলতে না পারলেও দেখেছে রুমার চোখে মুখে দুঃচিন্তার ছাপ। হয়তো ভেবেছিল র/ক্ত দিলে কাফি অসুস্থ হয়ে যাবে। তাদের কথা ভেবে রুদ্র সামনে থাকা স্পর্শীর দিকে তাকাল। তার চোখের ঘুম কেড়ে নিয়ে মেয়েটা কি সুন্দর নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। স্বার্থপর গুলো এমনই হয়। একজনের ঘুম কেড়ে নিয়ে তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, হাসতে পারে, বাঁচতে পারে। একবারও ভাবেও না অপরপাশের মানুষটা কেমন আছে, কেমন থাকবে, তারা আদৌও বাঁচতে পারবে তো? পৃথিবীর বুকে সবাই নিজস্বার্থে উন্মাদ। সামনে থাকা মেয়েটাও সেই দলের অর্ন্তভুক্ত। যদিও এখন বিপদমুক্ত সে। কেবিনে দেওয়া হয়েছে। পরনে হালকা পেস্ট রংয়ের হসপিটালের পোশাক। দুই হাতে ক্যানেলা করে স্যালাইন আর রক্ত যাচ্ছে। মুখ ফ্যাকাশে। কাঁ/টা স্থানে আট
থেকে দশটার মতো সেলাই পড়েছে। রুদ্র সেই হাতটার দিকে তাকিয়ে আছে। স্পর্শী এখনো অবচেতন। তবে বিজ্ঞ ডাক্তার জানিয়েছে দু’এক ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরবে। রুদ্র বসে বসে তার জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করছে। পরনে গতকাল রক্তমাখা টি-শার্ট। চোখজোড়া লাল টকটকে। মুখভঙ্গি পূর্বের মতোই স্বাভাবিক। তার অপেক্ষার পালা ঘন্টা তিনেক পরে। স্পর্শী
টিপটিপ করে চোখ খুলে রুদ্রকে দেখে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো।
ঘাড় ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালেও তার চোখের কোণা বেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে অজস্র নোনাজল। তখন রুদ্র তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
-‘খু্ব ব্যথা করছে? কাঁদিস না ঠিক হয়ে যাবে।’
জবাবে স্পর্শী হ্যাঁ না কিছুই বলল না শুধু কাঁদতেই থাকল।
একটুপরে ডাক্তার এসে ইনজেকশন পুঁশ করতে গেলেই তার কান্নার গতি বেড়ে গেল। রুদ্র ধরতে গেলে নিঁখুতভাবে তাকে
সরিয়ে অন্যদিন মুখ ফিরিয়ে ডুঁকরে কেঁদে উঠলো। রুদ্র শুধু চুপ থেকে দেখে যাচ্ছে তার কান্ড। তারপর ডাক্তার মেডিসিন লিখে দিয়ে সাবধানে থাকতে বলে চলে গেলেন। রুদ্র হাতের প্রেসক্রিবশনটা নিয়ে দরজার কাছে যেতেই স্পর্শী বাঁধভাঙা কান্না আঁটকে বলল,
-‘ আমি নাকি রাজনীতি? ‘
একথা শুনে রুদ্র থমকে দাঁড়িয়ে গেল। তবে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে তাকাল না স্পর্শীর দিকে। কয়েক সেকেন্ড পর সেভাবে দাঁড়িয়েই জবাব দিলো,
-‘রাজনীতি।’
To be continue………..!