#প্রেম_প্রার্থনা
#লেখনীতে_নূরজাহান_আক্তার_আলো
[০৫]
আজ রবিবার। রৌদ্রোজ্জ্বল সুন্দর একটা দিন। জানালার দোড় গোড়ায় তেজী রোদের মেলা। ঘড়ির কাঁটা তখন নয়ের ঘরে। স্পর্শী স্কুল ড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বিরক্ত মুখে দাঁড়িয়ে আছে।একজোড়া জুতোও খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ গতদিনেও জুতো গুলো এখানে রেখেছিল। এদিকে স্কুলেরও দেরি হয়ে যাচ্ছে। দেরি করে স্কুলে গেলে পেছনে বসতে হয়। স্যাররাও চালাকের চালাক পেছনে বসলে ঘুরে তাকেই পড়া
ধরে। পড়া না পারলে অপমান করে। ছেলেদের রুম আলাদা বিধায় সেই অপমান তেমন গাঁয়ে লাগে না। সত্যি বলতে গাঁ সওয়া হয়ে গেছে।মোদ্দাকথা ইংলিশ স্যার বাদে কারো কাছে
অপমানিতও হয় না। তার যত সমস্যা ইংলিশেই। এসব ভেবে
আর দাঁড়িয়ে না থেকে চেঁচিয়ে ওর মাকে ডেকে উঠল। তখন
মরিয়ম বেগম চুলা মুছতে মুছতে জবাব দিলেন,
-‘ ম্যাঁ ম্যাঁ না করে খুঁজে দেখ।’
-‘ পাচ্ছি না আমি। তুমি এসে খুঁজে দিয়ে যাও ।’
-‘কতদিন বলি নিজের জিনিস ঠিকঠাকভাবে গুছিয়ে রাখ, গুছিয়ে রাখ। শুনিস আমার কথা? আমিও পারব না খুঁজে যেতে।’
-‘তাহলে আমিও স্কুলে যাবো না।’
-‘পিঠে মার পড়ার আগে স্কুলের দিকে হাঁটা ধর।’
একথা শুনে স্পর্শী কথা না বাড়িয়ে রুমের দিকে চলে গেল। এর মিনিট দুয়েক পরপরই দৌড়ে ড্রয়িংরুম পেরিয়ে বেরিয়ে গেল। তারপর আর কোনো কথাবার্তা সাড়া শব্দ শোনা গেল না। সকালে নাস্তা করেছে, টিফিনের টাকাও নিয়েছে, তাহলে স্কুলেই গেল ভেবে মরিয়ম বেগম নিজের কাজে মন দিলেন।
রান্নাঘরের মেঝেতে বসেই বড় মা পটলের খোসা ছাড়াচ্ছেন।
পাশে দুই আঁটিলাল শাক আর একটা লাউ রাখা। দু’কেজি
আলু গড়াগড়ি খাচ্ছে মেঝের এককোণে। অন্য এক পাতিলে তাজা কৈ মাছগুলো খলবল করে লাফাচ্ছে। কৈ মাছ ভাজা ভীষণ পছন্দ স্পর্শীর। মেয়ের পছন্দ জানেন বলেই বাজারে দেখামাত্রই কিনেছেন। তবে শুধু মেয়ের জন্যই নয় এনেছেন সবার জন্যই। বড় মা একমনে দুপুরে যা রান্না হবে সেগুলোই কেটে কুটে রাখছেন। যাতে রান্নার সময় তাড়াহুড়ো না লাগে।রান্নাঘরে দু’জা যে যার কাজে ব্যস্ত। এমনিতেই উনি খুব কম কথা বলেন। এককথায় স্বল্পভাষী! উনি স্বল্পভাষী বলে প্রথম সাক্ষাতে অনেকেই অহংকারী মনে করেন। অথচ কাছ থেকে দেখলে, মিশলে, বোঝা যায় উনি কতটা স্বচ্ছ মনের। এছাড়া
উনি বিশেষ এক গুনে গুণান্বিতও বটে। বিশেষে গুনটি হচ্ছে
উনি অতি খুশিতে ডগমগ হোন না আবার অতিশোকে ভেঙে পড়েন না। সব সময় স্বাভাবিক, নিশ্চল। সকল পরিস্থিতিতে
মাথা ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা উনার আছে৷ যেমন দিনের ঘটনা।
সেদিন উনি চাইলে রুদ্র আর স্পর্শী বিয়েতে আপত্তি করতে পারতেন, রুদ্রকে এতিম বলায় স্পর্শীকে এক থাপ্পড় মারতে পারতেন।কিন্তু এর কোনোটাই উনি করেন নি বরং পরেরদিন রুদ্রকে বলেছিলেন,
‘সে ছোট, রাগের বশে এসব বলে ফেলেছে কিন্তু তুমি ছোট নও। এসব কথার রেশ ধরে রাগ পুষে রেখো না। রাগ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না বরং ধ্বংস করে।’
উনার কথা শুনে আপনাআপনি উনার প্রতি সন্মানটা আরো বেড়ে গেছে। আর সন্মান এমন জিনিস না চেয়ে নেওয়া যায় আর না কেড়ে নেওয়া যায়। নিজ গুনেই সন্মানের যোগ্য হয়। সেদিনের কথা স্মৃতিচারণ করে মরিয়ম বেগম জায়ের দিকে একবার তাকিয়ে গলা পরিষ্কার করে বললেন,
-‘স্পর্শীর কথায় কষ্ট পেও না ভাবি। জানোই তো ভেবেচিন্তে কথা বলে না সে। রুদ্রকে কথাগুলো রাগের বশেই বলেছে।’
-‘হঠাৎ একথা কেন?’
-‘তোমার মুখটা খুব শুকনো লাগছে আজ। ‘
-‘কোমরের ব্যথাটা বেড়েছে তাই হয়তো। আর শুন কয়েকটা কথা বলার ছিল। স্পর্শী তোর মেয়ে হলেও সে এখন আমার ছেলের বউ। আমারও অধিকার আছে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
-‘কি সিদ্ধান্ত?’
-‘তোর ভাইয়া (রুদ্রর বাবা) একটুপরেই চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বের হবে। আমি চাচ্ছি স্পর্শীও সঙ্গে যাক। তুই স্পর্শীর ব্যাগ গুছিয়ে দে, দু’তিন থাকার মতো জামাকাপড় দিস।’
-‘কিন্তু স্পর্শী তো স্কুলে চলে গেছে।’
-‘না যায় নি। জুতো খুঁজে না পেয়ে ড্রেস বদলে ছাদে গেছে। হয়তো কবুতরকে খাবার দিতে। আমি দেখেও বলি নি কারণ আমি চায় স্পর্শী যাক, ওরা যত দূরে দূরে থাকবে তত দুরত্ব বাড়বে।’
-‘কিন্তু স্পর্শী যে বলল রুদ্র নাকি জিনিসপত্র কার গাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেও নাকি কোথাও যাচ্ছে।’
।
-‘আমি নিষেধ করেছি রুদ্রকে।
-‘ওহ আচ্ছা।’
-‘শোন মরিয়ম, ছোটরা যখন ভুল করে তখন তাদের সুন্দর করে বোঝানোর দায়িত্ব বড়দের ঘাড়েই পরে। আমি জানি রুদ্র এই ব্যাপারে মুখ ফুটে কিছু বলবে না তাও তোর জন্য। কারণ তুই মেয়েকে ছাড়া থাকতে পারিস না। কিন্তু পরিস্থিতি এখন উল্টো কথা বলছে এটা তোকেও বুঝতে হবে। স্পর্শী
ছেলেমানুষী করবেই। তার বয়সটাই এমন। কিছুদিন আগেও একটা ভুল করতে যাচ্ছিল আবার করবে না এর গ্যারান্টি কী?আর এখন রুদ্রর বাসায় ফেরা মানে নিজের ক্ষতি করা তাও করবে সে। তবুও নিজের সুবিধার কথা কাউকেই বলবে না। তাই আমি ভেবেছি রুদ্রর কাছে থাকুক স্পর্শী। এতে যদি
দূরত্বটা ঘুচে। দু’একসঙ্গে থাকলে, একে অপরকে সময় দিলে তাদের সম্পর্কটা একটু হলেও সহজ হবে। যেটা এই বাড়িতে সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয় জানিস? কারণ তারা এই বাসারই ছেলে মেয়ে। একটু কিছু হলে স্পর্শী আমাদের নালিশ করবে
কান্নাকাটি করবে, রাগের বশে রুমও আলাদা করে ফেলবে।
যেটা হবে সংসার ভাঙার অন্যতম কারণ। যদি পূর্বে তাদের সম্পর্ক থাকতো তাহলে চিন্তা থাকতো না কিন্তু হঠাৎ’ই বিয়ে হওয়াতে ওরাও অস্বত্বিতে পড়বে /পড়েছে। যেখানে চাচাতো ভাই বোন ছিল তারা।সব মানিয়ে নিতে একটু সময় দরকার।
এখন তাদের সম্পর্ক জোড়া লাগাতে আমাদের উচিত ওদের কাছাকাছি থাকার সুযোগ করে দেওয়া। আমি কি বলছি তা বুঝতে পারছিস? আর চট্টগ্রামে যত যায়ই করুক একসঙ্গে, একরুমে ,থাকতে বাধ্য তারা।’
-‘তা ঠিক। কিন্তু রুদ্র কী রাজি হয়েছে?’
-‘না, সে এখনো জানে না স্পর্শীরা যাচ্ছে ওর কাছে।’
-‘ভাইয়া যাচ্ছে তাও জানে না? ভাইয়া কোনো কাজে যাচ্ছে নাকি এমনি ঘুরতে?’
-না, ‘স্পর্শীকে রাখতে।’
তারপর দুই জা আলোচনা করে অন্য সদস্যদের জানালেন। দাদীমা এবং স্পর্শীর বাবাও মত দিলেন। আর বড় বাবা তো জানতেন এই ব্যাপারে। উনার সঙ্গে আলোচনা করেই বড় মা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উনাদের আলোচনা শেষ হতেই স্পর্শী প্রবেশ করল। মুখভর্তি হাসি নিয়ে কিছু বলার আগেই ওর মা অবাক হয়ে বলল,
-‘কি রে তুই স্কুলে যাস নি?’
-‘না আমার একজোড়াও জুতো নাই কি পরে যাবো?’
-‘কিহ্! তাহলে গত সপ্তাহে কেনা জুতো জোড়া কই?’
-‘আরে কী যে বলো না আম্মু? ওগুলো বের করলে পুরনো হয়ে যাবে তাই বের করি নি। তাছাড়া একদিন স্কুলে না গেলে কিছু হবে না।’
একথা বলে দাঁত বের করে খিলখিল করে হাসল। তার হাসি দেখে বাকিরাও হাসলেন। তখন বড় বাবা স্পর্শীকে জানাল উনি বেড়াতে যাচ্ছেন, সে যাবে নাকি? বেড়ানোর কথা শুনে স্পর্শী আনন্দে লাফ মেরে উঠে রাজি হয়ে গেল। ওর মুখশ্রী জুড়ে ছড়িয়ে গেল উৎফুল্লতা। বাসায় শুয়ে বসে বোরিং না হয়ে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দে সে জানার প্রয়োজনবোধও করলো না কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে। আর কেউ বললোও না আগা বাড়িয়ে। তারপর স্পর্শী মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে চলল মহা আনন্দে। ভুলেও আন্দাজ করতে পারল না তার
এত আনন্দের ভাটা পড়বে অপ্রিয় এক মানুষের মুখ দেখে।
যার উপস্থিতিই তার বিরক্তের কারণ।
_________________________
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই কোনোমতে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা না করে বেরিয়েছিল রুদ্র। ফিরলো কিছুক্ষণ নাগাদ। ততক্ষণে দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। মাগরিবের আজানও হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। রুদ্রর ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরটা বিছানা পেতে চাইছে। এই মুহূর্তে ফ্রেশ হওয়ার এনার্জিটুকুও যেন নেই তার শরীরে। সে ঘামে ভেজা শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে রুমের চারিদিকে দৃষ্টি বুলালো। কেউ নেই থাকার কথাও না। কারণ এত বড় ফ্ল্যাটে সে একাই থাকে। ইদানিং ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরে শূন্য রুমে ভালো লাগে না। কেমন শূন্যতা বিরাজ করে চারদিকে। কাউকে বোধহয় খুব দরকার এত বড় ফ্ল্যাটে। এই
দেওয়াল গুলোও যেন কথা বলার তৃষ্ণায় কাতরাচ্ছে। কেন এমন মনে হয় কে জানে?নাকি প্রেম তৃষ্ণার তার বুক তৃষ্ণার্ত বলে দেওয়ালের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে? হবে হয়তো। তাদের
বাসায় যেমন এক চঞ্চল প্রজাপ্রতি রযেছে। ঠিক তেমন এক
প্রজাপ্রতি এখানে থাকলে মন্দ হয় না। সারাক্ষণ এ-রুম হতে ও-রুম ছুঁটে বেড়াতে। যার উপস্থিতিতে ঠোঁটর কোণে ফুটতো রাগমিশ্রিত মুচকি হাসি। এসব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে গোসল সারতে গেল। যা হবে তা ভেবেও লাভ নেই। এরচেয়ে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নেওয়া উত্তম। সে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াতেই কলিংবেল বেজে উঠল। অসময়ে কারো উপস্থিতিতে প্রচন্ড বিরক্ত ফুটে উঠল তার ক্লান্ত মুখশ্রীজুড়ে। তবে কে দেখার দরকার ভেবে আইহোল দিয়ে দেখে অবাক না হয়ে পারল না। ততক্ষণে পুনরায় কলিংবেল বেজে উঠল।
সে খালি গায়েই দরজা খুলে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল। আর তাকে দেখে স্পর্শী বেজার মুখটা অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলো।
আগে যদি জানতো বড় বাবা রুদ্রর এখানে আসবে তাহলে জীবনেও আসতো না। স্বেচ্চায় এই ষাঁড়ের কাছে এসে গুঁতো খাওয়ার কোনো ইচ্ছেই তার ছিল না। এই লোকটা না পারে দুটো ভালো কথা বলতে আর না পারে দিল খুলে হাসতে।এর কাছে ভালো কিছু আশা করায় বৃথা।
ওদেরকে দেখে রুদ্র বাবাকে সালাম দিয়ে দরজা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ওর বাবা ভেতরে প্রবেশ সোফায় বসেছে। কিন্তু স্পর্শী অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। ওর কান্ড দেখে এবার রুদ্রই মুখ খুললো,
-‘ভেতর আসার ইচ্ছে নেই বুঝি? ওকে থাক তাহলে। আশা করি মশার সঙ্গে ভালোই রাতটা কাটবে, শুভ রাত্রি।’
একথা বলে দরজা আঁটকাতে গেলে স্পর্শী রাগে গজগজ করে ভেতরে প্রবেশ করলো। রাগে দুঃখে বড় বাবার দিকেও ফিরে তাকাল না। গটগট করে হেঁটে যে রুমের দরজা খোলা সেই রুমে ঢুকে উল্টো ঘুরে বসে রইল। রুদ্র বাবার সঙ্গে কথা বলে গেস্টরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলল। ছেলের কথা শুনে উনি গেস্টরুমে চলে গেলেন। আর রুদ্র খাবার অর্ডার করে রুমের গিয়ে দেখল ফুলোরাণী মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
মুখ দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেঁদে দিবে। তাই সেও আপাতত
কোনো কথা না বলে মিটিমিটি হেসে ওয়াশরুমে চলে গেল।
শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে সে খেয়াল করল তার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। মনটা খুব ফুরফুরে। মেজাজও বেশ চাঙ্গা।
এসব ভেবে হেসে জলদি’ই গোসল সেড়ে বের হলো। স্পর্শী আড়চোখে তাকে দেখে নজর ফিরিয়ে নিলো। রুদ্র আকাশি রংয়ের টি-শার্ট আর কালো টাওজার পরে রুম থেকে বের হলো। তখনই অর্ডারকৃত খাবার চলে এলো। সে খাবার সার্ভ করতে করতে তার বাবা এসে পাশে বসলেন। বাবা ও ছেলে
স্পর্শীর অনুপস্থিতিতে একটা ব্যাপারে আলোচনাও সেরে নিলেন। তবুও স্পর্শীর সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না আর ফ্রেশ হয়ে এখানেও এলে না। তাই বাধ্য হয়ে উনারা খেয়ে নিলেন।
ঘড়ির কাটা তখন দশের ঘরে। অনেক জার্নি হয়েছে বিধায় রুদ্রর বাবা বিশ্রাম নিতে রুমে চলে গেলেন। আর রুদ্র সব পরিষ্কার করে স্পর্শীর খাবার নিয়ে রুমে গিয়ে দেখে ফ্রেশ না হয়ে বালিশববিহীন উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে স্পর্শী।
সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে খাবার ঢেকে এগিয়ে গেল স্পর্শীর দিকে। তাকে সুন্দর করে শুইয়ে দিয়ে ড্রিম লাইট অন করে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। সেদিন রাতে স্পর্শী জাগল না খেলোও না।
তার পছন্দের বিরিয়ানি সেভাবেই ঢাকা অবস্থায় পড়ে রইল।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধল পরেরদিন সকাল আটটায়। যখন ঘুমে ঢুলুঢুলু হয়ে ড্রয়িংরুমে গিয়ে জানতে পারল বড় বাবা তাকে রেখে ফিরে গেছেন। এখন থেকে তাকে রুদ্রর সঙ্গেই থাকবে হবে।
To be continue………..!!