প্রেমপরশ পর্ব-০৯

0
17

#প্রেমপরশ
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৯

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

নিজে থেকেই সে বেলী গাছগুলো থেকে ফুলগুলো তুললো এক এক করে। সে ফুলগুলো সে বাড়িয়ে দিল আরোহীর পানে। হাসিমুখে বলল,

“তোর অধিকার।”

মেয়েটা খুশি হলো ভীষণ। উৎফুল্ল ভঙ্গিতে দুই হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিল ফুল গুলো। ওষ্ঠে হাসি ফুটিয়ে বলল,

“আপনাকে অনেকগুলো ধন্যবাদ।”

তূর্ণ আলতো হাসলো। আরোহী ফুলগুলো নিয়ে হাসি মুখেই পা বাড়ালো সম্মুখ পানে। অমনি ভ্রু কুঁচকে এলো তূর্ণের। পিছু ডেকে সে বলল,

“দাঁড়া।”

আরোহী দাঁড়িয়ে পড়লো। পিছু ফিরে শুধালো,

“আবার কি হয়েছে?”

“তোর পায়ে কি হয়েছে? এভাবে পা টেনে টেনে হাঁটছিস কেন?”

আরোহী আমতা আমতা শুরু করলো। ইতস্তত করে জবাব দিল,

“পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি একটু।”

তূর্ণ হুট করেই চটে গেলো। মেজাজ বিগড়ালো তার। কিছুটা ধমকের সুরেই বলল,

“একটু ব্যথা পেয়েছিস নাকি বেশি তা তো হাঁটার গতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”

থামলো ছেলেটা। একটা নিঃশ্বাস টেনে ফের বলল,

“আর কিভাবে পড়ে গিয়েছিলি বল তো। এত বড় মেয়ে হয়েছিস এখনও ঠিকভাবে হাঁটতে পারিস না। এখানে ওখানে ঠাস ঠুস পড়ে গিয়ে ব্যথা পাস। তোকে কি এখন আমার ধরে ধরে হাঁটা শিখাতে হবে নাকি?”

“বৃষ্টির মধ্যে এসেছি তো। পায়ে পানি ছিল খেয়াল করিনি। ভেজা পায়ে টাইলসের উপর পাড়া দিতেই পিছলে পড়েছি।”

তূর্ণের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো। রুক্ষ স্বরে সে বলল,

“হয়েছে আর অজুহাত দিতে হবে না। বিছানায় বস গিয়ে যা।”

আরোহী ইতি উতি করলো না। বাধ্য মেয়ের মতো বসলো বিছানায়। তূর্ণ এগিয়ে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে সেখান থেকে একটা ফাস্ট এইড বক্স বের করে আনলো। সেটা ঘেটে একটা ক্যাপসিকাম প্লাস্টার নিয়ে বসলো আরোহীর পায়ের কাছে। আদেশ দিয়ে বলল,

“পা টা দে।”

আরোহী পা দিল না বরং গুটিয়ে নিল আরও। মিনমিনিয়ে বলল,

“ওসব কিছু লাগাতে হবে না। এমনিই ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে।”

তূর্ণ এক পলক তাকালো আরোহীর পানে। অতঃপর হাত বাড়িয়ে জোর করে সে নিজের দিকে টেনে নিল পা টা। উল্টে পাল্টে দেখতে শুরু করলো ব্যথার স্থাল। অমনি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো আরোহী। তূর্ণ কপাল কুঁচকালো অতঃপর জিজ্ঞেস করলো,

“কি হয়েছে? পাগল হয়েছিস? ওভাবে হাসছিস কেন?”

আরোহী হাসতে হাসতেই জবাব দিল,

“সুরসুরি লাগছে পায়ে।”

তূর্ণ ততটা পাত্তা দিল না মেয়েটার কথায়। সে তার নিজের মতো করে যত্ন করে আরোহীর পায়ের ব্যথা স্থানে ক্যাপসিকাম প্লাস্টারটা লাগালো। মেয়েটাকে সাবধান করে বলল,

“একদম দৌড়াদৌড়ি করবি না। আস্তে আস্তে হাঁটবি।”

আরোহী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যা বলল। অতঃপর বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। পা টা একবার উল্টে পাল্টে দেখে পা বাড়ালো কক্ষের বাইরে। নাহ ছেলেটাকে যতটা খারাপ সে ভেবেছিল ততটাও খারাপ না। একটু আধটু ভালোও আছে।

আরোহী তূর্ণের কক্ষ থেকে বেরিয়ে সোজা চলে এলো নিচে। এ বাড়িতে তার যা নেওয়ার জন্য এই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও আসা তা তো নেওয়া হয়েই গেছে। এখন আর এখানে থেকে লাভ কি? তাই আর সে সময় ব্যয় না করে পা বাড়ালো বাড়ির সদর দরজার পানে। গলা উঁচিয়ে রান্নাঘরে রান্নার কাজে নিয়োজিত মামীদের উদ্দেশ্য করে বলল,

“মামী গেলাম আমি।”

কথাটা বলে সামনের দিকে আর দুই কদম যেতেই ছোট্ট অনয় দৌড়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ালো তার। কোমড়ে হাত দিয়ে বলল,

“কোথায় যাচ্ছো ভূত্তা কুমারী?”

আরোহী হাসলো। অনয়ের গাল টেনে দিয়ে বলল,

“বাড়িতে ফিরছি ভূত্তা কুমার। তুমি যাবে আমার সাথে?”

অনয় ডানে বামে মাথা ঝাঁকালো। আর একটু এগিয়ে এসে মেয়েটার ওড়নার এক কোনা টেনে ধরে বলল,

“তুমি যেতে পারবে না। আজকে আমার সাথে থাকবে।”

“তা কি করে হয়? আমি না গেলে আম্মু চিন্তা করবে তো। তার থেকে তুমি আমার সাথে চলো।”

আরোহীর কথার মধ্যে সেখানে এসে উপস্থিত হলো পৃথা। মেয়েটার বাড়িতে ফেরার কথা শুনেই রান্নাঘর থেকে ছুটে এসেছে সে। এসেই অনয়ের সাথে তাল মিলিয়ে বলল,

“তোর মাকে আমি কল করে দেব। সে আর চিন্তা করবে না। তুই আজ আমাদের বাড়িতে থেকে যা।”

“কিন্তু মামী…..”

“কোনো কিন্তু না। বাইরে কি বৃষ্টি দেখেছিস? এমনি আসার সময় একটা আছাড় খেয়েছিস।‌ আরেকটা খাওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি? যা ঘরে যা, তনায়া ওদের সাথে গল্প গুজব কর। আজ আর বাড়িতে যেতে হবে না।”

পৃথা নিজের কথাগুলো বলে চলে গেল। আরোহীও আর মামীর কথার উপরে কিছু বলার খুঁজে পেল না। অগত্যা তাকে থেকে যেতে হলো এ বাড়িতেই। অনয় খুব খুশি হলো তার ভূত্তা কুমারীর থাকায়। মেয়েটাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল তনয়াদের কক্ষে। সেখানে তনয়া, তুলি আর তানিয়া আড্ডা দিচ্ছিলো। আরোহীকে দেখে খুশি হলো তারাও। তুলি এবং তানিয়া ছুটে এসে দুই দিক থেকে জড়িয়ে ধরলো আরোহীকে। তুলি কিঞ্চিৎ উৎফুল্ল হয়েই শুধালো,

“তুমি কখন এসেছো আপু?”

“এই তো একটু আগেই।”

কথাটা বলেই আরোহী নিজেকে ছাড়িয়ে নিল মেয়ে দুটোর বাহু বন্ধন থেকে, বসলো মেঝেতে। ওড়নার ভাঁজে রাখা বেলী ফুলগুলো সম্মুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে বলল,

“সুঁই সুতার বাক্সটা দে তো মালা গাথি একটু।”

তানিয়া তৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়ে সুঁই সুতার বাক্সটা নিয়ে এলো। আরোহী সুইয়ে সুতা গেথে শুভ্র রঙা ফুল গুলো তুলে মালা গাঁথতে শুরু করলো সুন্দরভাবে। তনয়া, তানিয়া, অনয় এবং তুলি গোল‌ করে বসলো মেয়েটার চারপাশে। তনয়া নিজের ভ্রুদ্বয় কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত করে শুনালো,

“বেলী ফুল পেলি কোথায়?”

“তূর্ণ ভাইয়ের বারান্দা থেকে এনেছি।”

আরোহীর উত্তরে অবাক হলো তনয়া, তানিয়া এবং তুলি। যে গাছের আশেপাশে তূর্ণ কাউকে ঘেঁষতে দেয় না, একটা পাতা পর্যন্ত ছিঁড়তে দেয় না। আজ সে গাছের এত ফুল সে আরোহীকে দিয়ে দিল? এটা কিভাবে সম্ভব? নাকি মেয়েটা চু’রি করে এনেছে। হ্যা তাই হবে হয়তো। নয়তো তূর্ণ তার গাছের একটা পাতা ছিঁড়তে দেওয়ারও ছেলে নয়। যদি সত্যিই আরোহী চু’রি করে এতগুলো ফুল ছিঁড়ে আনে তবে আজ তার কপালে নির্ঘাত দুঃখ আছে। তুলি কিছুটা ভয়ার্ত কণ্ঠেই শুধালো,

“তুমি কি এই ফুলগুলো চু’রি করে এনছো আপু?”

আরোহী তাকালো তুলির পানে। কপাল কুঁচকে জবাব দিল,

“চুরি করে আনবো কেন? তূর্ণ ভাই নিজে আমাকে এ ফুল দিয়েছে।”

সকলের অবাকের মাত্রা বাড়লো। তানিয়া অবাক স্বরেই শুধালো,

“তূর্ণ ভাই নিজে দিয়েছে!”

“না দিয়ে যাবে কোথায়? ঐ গাছে তার যতটা অধিকার আমারও ততটাই অধিকার। সে তো শুধুমাত্র বাজার থেকে গাছগুলো কিনে এনেছে কিন্তু লাগিয়েছি তো আমি। তারপর গাছের পরিচর্যাও তো ডেকে ডেকে আমাকে দিয়েই করায় সে।”

তবুও যেন আরোহীর কথা বিশ্বাস করতে পারলো না কেউ। সন্দিহান দৃষ্টিতে তারা তাকালো ফুলগুলোর পানে। তখনই কক্ষে প্রবেশ করলো তূর্ণ। অনয়ের পানে তাকিয়ে বলল,

“কিরে ভূট্টা কুমার কি করছিস?”

অনয় একবার তাকালো তূর্ণের পানে অতঃপর আবার বেলী ফুলগুলোর পানে দৃষ্টি দিয়ে জবাব দিল,

“আমার ভূত্তা কুমারীর মালা গাঁথা দেখি।”

তনয়া, তানিয়া এবং তুলি ভেবেছিল তূর্ণ এই ফুলগুলো এখানে দেখে ক্ষেপে যাবে, চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করবে কিন্তু তার কিছুই ঘটলো না। তাহলে কি আরোহী সত্যিই বলছিলো? তূর্ণ এতো গুলো ফুল সব দিয়ে দিয়েছে মেয়েটাকে? তনয়া, তানিয়া এবং তুলি গোল গোল চোখে তাকালো একবার তূর্ণের পানে অতঃপর আবার আরোহীর পানে। তূর্ণ একটু উকি মে’রে দেখলো আরোহীর মালা গাঁথা অতঃপর আবার বলল,

“তা ভুট্টা কুমারের কি এখন ফুল কুমার হওয়ার ইচ্ছে জেগেছে নাকি? এদিকে আয় আমার কাছে।”

অনয় উঠে এলো। তূর্ণ বেশ আঁটসাট বেঁধে বসলো কক্ষের বিছানায়। ছেলেটাকে আরও কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলো,

“বল তো জোনাকি কাকে বলে।”

অনয় কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে ভাবলো। তার ছোট মাথায় ধরলো না এত কিছু। বেচারা ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে জবাব দিল,

“জানি না। তুমি বলো।”

তূর্ণ বুক ফুলালো। বেশ ভাবসাব নিয়ে বলল,

“যে প্রাণীর পা*ছা*য় রাতের আঁধারে বাতি জ্বলে তাকেই জোনাকি বলে।”

আরোহী নাক মুখ কুঁচকালো। বড় ভাই হয়ে ছোট ভাইকে কি সব শিক্ষা দিচ্ছে। এইসব কারণেই তো আজকালকার ছেলেমেয়ে গুলো বয়সের তুলনায় পেকে যায় বেশি। দিন দিনে এক একটা বেয়াদব তৈরি হয়। তূর্ণ নিজে তো একটা বেয়াদবই এখন এই ছেলেটাকেও বেয়াদব বানাচ্ছে। অনয় চোখ বড় বড় করলো। আগ্রহ নিয়ে শুধালো,

“কোন প্রাণীর পা*ছা*য় বাতি জ্বলে?”

“জোনাকির।”

“জোনাকি কি?”

“বললাম তো যে প্রাণীর পা*ছা*য় রাতের আঁধারে বাতি জ্বলে তাকেই জোনাকি বলে।”

“কোন প্রাণীর পা*ছা*য় বাতি জ্বলে?”

নিজের করা প্রশ্নে নিজেই ফেঁসে গেল তূর্ণ। ছোট অনয়ের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্নে চর্কির মতো ঘুরে উঠলো বেচারার মাথাটা। শেষে আর উপায় না পেয়ে তূর্ণ বলল,

“তুই আজ থেকে খেয়াল রাখবি কোন প্রাণীর পা*ছা*য় বাতি জ্বলে। কোনো প্রাণীকে এমন দেখলেই দৌড়ে আমার কাছে আসবি। আমি তোকে একদম হাতে ধরে জোনাকি চিনিয়ে দেব।”

অনয় মাথা ঝাঁকালো। মুখে বলল,

“আচ্ছা।”

১২.
রাত গড়িয়েছে বেশ। চারিদিকটা কালো আঁধারে ছেয়ে গেছে। বাহিরে এখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির অস্তিত্ব রয়েছে। জনমানবেরও সাড়াশব্দ নেই তেমন। সবাই ঘুমিয়েছে বোধহয়। চৌধুরী পরিবারের সকলেও ইতমধ্যে ঘুমে নিমজ্জিত। তবে ঘুম নেই অনয়ের চোখে। যদিও সন্ধ্যার সময়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে কিন্তু রাত্রির এই ক্ষণে এসে সে ঘুম ভেঙে গেছে। ছেলেটা বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করলো, হাত পায়ের প্রতিকৃতি দেখলো। কিন্তু ঘুম যে কোনোভাবেই দুই চোখে ধরা দিচ্ছে না। অনয় আরও একটু সময় নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুষ্টুমি করলো। অতঃপর বিরক্ত হয়ে উঠে বসলো। মায়ের মাথার কাছ থেকে টর্চাটা নিয়ে নীরবে নিঃশব্দে মা বাবার মাঝ খান থেকে উঠে গেল সে। পা টিপে টিপে বেরিয়ে গেল কক্ষ থেকে। হাতের টর্চটা জ্বালিয়ে

“খোকাবাবু যায়, লাল জুতা পায়। বড় বড় দিদিরা সব উঁকি মে’রে চায়। থেমে গেল আড্ডা, কমে গেল ঠান্ডা।”

দেবের “সেদিন দেখা হয়েছিল” ছবিটার এই গানটা গুনগুন করতে করতে ছেলেটা এসে দাঁড়ালো বসার কক্ষে। ঠিক তখনই তূর্য বাড়িতে ফিরলো। অফিসের একটা কাজে গিয়ে বৃষ্টির দরুন আটকে পড়েছিল সে। তাই ফিরতে ফিরতে এতটা দেরী। তবে বাড়ির আরেকটা চাবি তার কাছে থাকায় ভিতরে ঢুকতে খুব একটা অসুবিধা পোহাতে হয়নি। কিন্তু এখন সমস্যা দাঁড়িয়েছে দরজা আটকানো নিয়ে। এক হাতে মোবাইলে ফ্ল্যাশ জ্বালানো অন্য হাতে ছাতা। এখন সে দরজাটা আটকাবে কিভাবে? ছাতাটা না হয় নিচে রাখা যাবে কিন্তু মোবাইলের ফ্ল্যাশ তো দরজা আটকাতে প্রয়োজন হবে। অন্ধকারে তো আর দরজা আটকানো সম্ভব নয়। তূর্য ছাতাটা নিচে রাখলো অতঃপর প্রথমে দাঁত দিয়ে মোবাইলটা কামড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করলো। কিন্তু তাতে খুব একটা সুবিধা না করতে পেরে ফ্ল্যাশ জ্বালানো মোবাইলটা চেপে রাখলো দুই পায়ের মধ্যভাগে। পিছন থেকে হঠাৎ এ দৃশ্য দেখে চোখ বড় বড় হয়ে গেল অনয়ের। অন্ধকারের মধ্যে তূর্যের এ দুই পায়ের মধ্যে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে রাখাটা দূর থেকে মনে হচ্ছে যেন পা*ছা*য় বাতি জ্বলছে। অনয়ের হঠাৎ মনে পড়লো তূর্ণের কথা। সে তো বলেছিল জোনাকির পা*ছা*য় বাতি জ্বলে। আর এই ধরণের প্রাণী দেখলে তাকে ডেকে আনতে। অনয় দ্রুত ছুট লাগালো তূর্ণের কক্ষের পানে। গলা উঁচিয়ে বলল,

“জোনাকি পেয়েছি তূর্ণ ভাই। জোনাকি পেয়েছি। এ প্রাণীর পা*ছা*য়*ও বাতি জ্বলে।”

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে