প্রেমপরশ পর্ব-০৩

0
39

#প্রেমপরশ
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৩

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

থামলো আরোহী। সাথে সাথে ওপাশ থেকে গুরুগম্ভীর কণ্ঠে জবাব এলো,

“তুই নাকি আমাকে বদমাইশ বলেছিস?”

আরোহী থতমত খেয়ে গেল। পরক্ষণেই চোখ মুখ শক্ত হয়ে উঠলো তার। এই টুকু সময়ে এই কথাও তূর্ণের কর্ণে পা’চা’র করে দেওয়া হয়ে গেছে। এটা তার ভাই নাকি শত্রু! তবে তাকে এই মুহূর্তে ভয় পেলে চলবে না। তূর্ণ কে হে যে তাকে ভয় পেতে হবে? ভয় পেলেই লোকটা মাথায় চড়ে বসবে। কাল কেমন ঠাস ঠাস দুটো থাপ্পর মে’রে গেল। গাল দুটো এখনও যেন অবশ হয়ে আছে। মনের মধ্যে সাহস সঞ্চয় করলো আরোহী। জ্বীহ্বা দ্বারা ওষ্ঠ ভিজিয়ে বলল,

“বদমাইশকে বদমাইশ বলবো না তো ভালো বলবো নাকি?”

তূর্ণ কপালে ভাঁজ ফেললো। রুক্ষ কণ্ঠে বলল,

“কি বললি আবার বল তো।”

“বদমাইশ বলেছি বদমাইশ।”

কথাটা বলে আরোহী একটা ছোট শ্বাসও ফেলতে পারলো না বোধহয়। তার আগেই কলটা কেটে গেল ওপাশ থেকে। অবাক হলো মেয়েটা। এক চোট ঝগড়া করার আগে তো কল কাঁটার ছেলে তূর্ণ নয়। সেখানে এত বড় একটা শব্দ “বদমাইশ” বলেছে তবুও কল কেটে দিয়েছে? আশ্চর্য তো! আরোহী আর তেমন ভাবলো না বিষয়টা নিয়ে। কেটেছে বেশ ভালোই হয়েছে। নয়তো এই সকাল সকাল আবার একটা তর্ক বিতর্কে জড়াতে হতো। মেয়েটা হাতের মোবাইলটা বিছানার পাশে রেখে আবারও চোখ বন্ধ করে নিল। যদিও এখন আর ঘুম আসবে না তবে কিছুক্ষণ মটকা মে’রে পড়ে থেকে যত রাজ্যের আজগুবি চিন্তাভাবনা তো করা যাবে।

কিছু মুহূর্তও গড়ালো না। এর মধ্যেই আরোহীর কক্ষের বন্ধ দরজায় শব্দ হলো ধুপ ধাপ। ধরফরিয়ে উঠে বসলো মেয়েটা। চোখ বড় বড় করে তাকালো দরজার পানে। এই ক্ষণে আবার কে এলো! আর এভাবে দরজাতেই বা আঘাত হানছে কেন? আয়াশ নয় তো? তখন দুই চার বাক্য শুধিয়ে ছেলেটাকে ভাগিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার এসেছে নিশ্চই তাকে বিরক্ত করতে। কপাল কুঁচকানো আরোহী। এর যন্ত্রনায় এ গৃহেই যে তার বসবাস দায় হয়ে পড়েছে। তবে দরজায় পড়া আঘাত যে থামার নয়। মনে হচ্ছে দরজাটা ভেঙে ফেলবে এক্ষুনি। মেয়েটা দ্রুত নেমে দাঁড়ালো বিছানা থেকে। ওড়নাটা ভালোভাবে শরীরে জড়িয়ে যত্রতত্র পায়ে এগিয়ে গিয়ে খুললো দরজাটা। অমনি আঁতকে উঠলো সে। একি! এ তো আয়াশ নয়। এ তো তূর্ণ। আরোহীর স্মরণে এলো একটু আগে তূর্ণের সাথে ফোনালাপের কথা, ভীত হলো তার হৃদয়। ঢোক গিলে আবারও দরজাটা আটকে দিতে উদ্যত হলে এক হাত তুলে আটকে দিল তূর্ণ। কি দানবীয় শক্তি এই পুরুষের শরীরে! তবুও আরোহী তার প্রচেষ্টা চালালো। কিছুটা সময় নিয়ে চেষ্টা করলো দরজাটা বন্ধ করে দিতে। কিন্তু পারলো না। তূর্ণ তার এক হস্ত দ্বারাই পরাস্ত করে দিল ছোট মেয়েটাকে। শক্তহাতে ধাক্কা মে’রে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো ভিতরে। এগিয়ে গিয়ে বেশ আয়েশী ভঙ্গিতে বিছানায় বসে শুধালো,

“ফোনে যেন কি বলেছিলি? আমি যেন কি?”

আরোহী এলোমেলো দৃষ্টি ফেললো। পরপর ফাঁকা ঢোক গিলে জবাব দিল,

“কককই কিছু না তো। একদম কিছু না।”

“একটু আগে না তুই আমাকে বদমাইশ বলেছিলি। এর মধ্যে ভুলে গেলি?”

“ককই কখন? কিভাবে? আমি আপনাকে বদমাইশ বলবো কেন? আপনি তো আরও সব সময় বলি আপনি ভীষণ সৎ, আদর্শবান, সুশীল এবং ভদ্র পুরুষ।”

কি মিথ্যা! কি মিথ্যা! এই মেয়ে তো খাঁড়ার উপরে মিথ্যা বলছে। তূর্ণ বিছানা ছাড়লো। আরোহীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,

“এত মিথ্যা কিভাবে বলছিস? তোর বুক কাঁপছে না? মামনি যে হায় হায় করে বলেছিল ‘মেয়েটা আমার বিগড়ে যাচ্ছে’ আজ তো দেখছি সত্যিই তুই বিগড়ে যাচ্ছিস।”

আরোহী আমতা আমতা করলো। এই ক্ষণেও নিজেকে বাঁচাতে সে আরও তর্কে জড়ালো। কণ্ঠে ধ্বনি তুলে বলল,

“প্রমাণ কি যে আমি মিথ্যা বলছি?”

তূর্ণ হতবাক হয়ে পড়লো। প্রথমে তাকে বদমাইশ বললো, তারপর মিথ্যা বললো, এখন আবার প্রমাণ চাইছে? মেয়েটা তো ইদানীং ধুরন্ধর হয়ে যাচ্ছে বেশ। নাহ একে এবার একটা শাস্তি না দিলেই নয়। নয়তো পরে যাবে ‘এতদিন আদর সোহাগে লালন করা গরু গোয়াল শূন্য করেই অন্যত্র ছুটতে চাইছে।’ তূর্ণ একবার সরু দৃষ্টিতে তাকালো আরোহীর পানে অতঃপর পকেট হাতরে নিজের ব্যক্তিগত মুঠোফোনটা হাতে তুলে নিল। তাতে একটু আগে আরোহীর আর তার কল রেকর্ডটা চালিয়ে দিল উচ্চশব্দে। সেখানে বেশ স্পষ্টভাবেই শোনা যাচ্ছে আরোহী তূর্ণকে বদমাইশ বলেছে। বিস্মিত হলো মেয়েটা। এই ছিল এই পাজী লোকের মনে? শেষে কিনা মিথ্যা বলেও বাঁচতে পারলো না! কে বলেছিল একে কল রেকর্ড চালু করে রাখতে? না না পরিবেশ বেশ গরম। এখন এই স্থান থেকে পালানোই উত্তম কর্ম। আশেপাশে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিজের পালানোর পথ খুঁজলো আরোহী। অতঃপর ছুটে পালাতে চাইলো দরজার বাহিরে। তবে তা আর হলো না। মেয়েটা দৌড় শুরু করতেই পিছন থেকে খপ করে তার হাতটা টেনে ধরলো তূর্ণ। বাঁকা হেসে বলল,

“এবার কোথায় পালাবি তুই? আমাকে বদমাইশ বলা! এবার তোকে দেখাচ্ছি মজা।”

“আমি আর কখনও আপনাকে বদমাইশ বলবো না তূর্ণ ভাই। আমার ভুল হয়ে গেছে, মাফ করে দিন।”

আরোহী হাত মোচড়ালো। কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল উক্ত কথাগুলো। তবুও তূর্ণ ছাড়লো না তার হাত। সকালের বাসী মুখেই হাত টেনে নিয়ে বেরুলো কক্ষের বাইরে। আরোহী নিজেকে মুক্ত করার আরও চেষ্টা চালালো। ব্যস্ত হয়ে বলল,

“আমি এখনও হাত মুখ ধুইনি তূর্ণ ভাই, ঘুম থেকে উঠে চুলটাতেও এখনও অব্দি চিরুনি করিনি। রাস্তার মানুষ দেখলে কি বলবে? মামা মামীই বা কি বলবে? আমি বরং হাত মুখ ধুয়ে একটু তৈরি হয়ে নেই তারপর আপনাদের বাড়িতে যাব।”

“নতুন নতুন শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিস না যে তোকে তৈরি হয়ে যেতে হবে। এভাবেই চল আমাদের বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হবি।”

তূর্ণের কাঠ কাঠ কণ্ঠস্বর‌। মেয়েটাকে সে টেনে নিয়ে এলো সিঁড়ি থেকে। নিচে নামতেই সম্মুখে পড়লেন ইরা।তূর্ণকে দেখেই যেন আনন্দে গদগদ হয়ে পড়লেন তিনি। এক গাল হেসে বললেন,

“আরে তূর্ণ বাবা যে! কখন এলে?”

তূর্ণ একবার ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো আরোহীর পানে। অতঃপর আবার ইরার পানে তাকিয়ে বেশ হাসি মুখেই বলল,

“এই তো একটু আগেই এসেছি মামনি। আর এসেই তোমার এই বলদী মেয়েটাকে টেনে হিচড়ে রুম থেকে বের করে আনতে হলো। মা যেতে বলেছে ওকে আর ওর কত বড় সাহস একবার ভেবে দেখো, মায়ের আদেশকে উপেক্ষা করে ঘরের দ্বার দিয়ে বসে ছিল।”

ইরা একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাকালেন আরোহীর পানে। মেয়েকে এত বলে, এত বকে তবুও আদব কায়দা শিখাতে পারলেন না বোধহয়। পৃথা গুরুজন।‌ সে ডেকেছে অবশ্যই সে ডাককে গ্রহন করা তার মেয়ের কর্তব্য। তা না, গুরুজনের ডাককে উপেক্ষা করে দরজায় খিল বসিয়েছিল বাঁদর মেয়েটা। ইরার চোখ মুখ কিঞ্চিৎ রুক্ষ হলো। থমথমে কণ্ঠে বললেন,

“দিন দিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছো তুমি। গুরুজনদের কথাও অমান্য করতে শিখেছো আজকাল। এই শিক্ষাই কি আমি তোমাকে দিয়েছিলাম?”

“মা, তুমি….”

কণ্ঠে তোলা বাক্যের সমাপ্তি ঘটার আগেই আরোহীকে থামিয়ে দিলেন ইরা। আদেশের সুরে বললেন,

“যাও গিয়ে দেখো তোমার বড় মামী ডেকেছে কেন। আর ফের গুরুজনদের কথা উপেক্ষা করার চেষ্টা করলে একদম চাপকে সিধে করে দেব বলে দিলাম।”

ইরা হতাশ হলো। বুঝলো এখানে কিছু বলে কোনো লাভ নেই। এও তূর্ণের পক্ষে। অবশ্য পক্ষে থাকবে নাই বা কেন? ইরার ভাইয়ের ছেলে তো তূর্ণ। একই বংশের রক্ত বইছে দুইজনের শরীরে। এই বাড়িতে আরোহীর ভাই শত্রু, মা শত্রু শুধু একটু ভালো আছে বাবা। সেই বাবাটা যে এই মুহূর্তে কোথায় গেল? মেয়েটা গলা উঁচিয়ে এদিক ওদিক দৃষ্টিপাত করে খুঁজলো বাবাকে। কিন্তু কোথাও দেখা পেল না তার। নিশ্চই শুক্রবার সকালে উঠেই বাজারে চলে গিয়েছেন। হতাশ হলো আরোহী। আর কি করার? তার কপালটাই খারাপ। এখন না চাইতেও এই বদমাইশ তূর্ণর সাথেই যেতে হবে। কেউ তাকে বাঁচাতে আসবে না, কেউ না। ও বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবার কি করবে কে জানে! চারদিকে শুধু হতাশা আর হতাশা।

৩.
চারদিকে ব্যস্ততা বেড়েছে। বৃক্ষ হীন শহরের বুকটায় সূর্যের আলো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে অনেকটা। চৌধুরী বাড়ির সদর দরজা গলিয়ে আরোহীর হাত ধরে তূর্ণ ভিতরে প্রবেশ করতেই তাদের পানে ছুটে এলো ছোট অনয়। এ বাড়ির ছোট ছেলে অর্থাৎ তূর্ণের ছোট কাকা তারেকের ছেলে এই অনয়। বয়স আর কতই বা হবে। বড়জোর চার কিংবা সাড়ে চার বছর। এখনও অব্দি সব বুঝ ক্ষমতা তার না হলেও পাকা পাকা কথা আর, কথায় কথায় প্রশ্ন করায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে সে। অনয় ছুটে এসেই পথ আগলে দাঁড়ালো তূর্ণ এবং আরোহীর। ভ্রুদ্বয়ে কিঞ্চিৎ ভাঁজ ফেলে শুধালো,

“আলোপ্পি তোমাকে এমন পাগলীর মতো দেখাচ্ছে কেন?”

আরোহী হতাশ হলো। শেষে কিনা তাকে দর্শনে ছোট অনয়ও পাগলীর সাথে তুলনা দিচ্ছে? অবশ্য দিবে নাই বা কেন? যেভাবে ঘুম থেকে তুলে গ’রু’র ন্যায় টেনে হিচড়ে নিয়ে এলো তূর্ণ। তাকে দেখে তো পাগলীর ন্যায়ই মনে হবে। রাস্তার লোকেরাও নিশ্চই তাকে দেখে এমনটাই ভেবেছে! এই লোকের অত্যাচারে এতদিন নিজ গৃহে কোনো মান সম্মান ছিল না আরোহীর। এখন দেখা যাচ্ছে গৃহের বাহিরেও থাকবে না। মেয়েটার হৃদয়ে যেন তূর্ণের প্রতি ক্রোধ নড়েচড়ে উঠলো। রুক্ষ দৃষ্টিতে সে তাকালো তূর্ণের পানে। তূর্ণ ভীষণ সাবলীলভাবে উপেক্ষা করলো সে দৃষ্টি। অনয়ের পানে তাকিয়ে শুধালো,

“কেন তোর আলোপ্পিকে আজ আলুর মতো লাগছে না আর?”

অনয় তার ছোট ছোট চোখ দ্বারা ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করলো আরোহীকে। অতঃপর বেশ বিচক্ষণতার সাথে জবাব দিল,

“নাহ, আজ আর আলুর মতো লাগছে না। দিদুন আমাদের বাড়ির ঐ পাশে কি যেন একতা গাছ লাগিয়েছে না ঐতার মতো লাগছে।”

অনয় ছোট বয়সেই সব কথা সুন্দর সাবলীলভাবে উচ্চারণ করতে পারলেও তার ‘ট’ এবং ‘ত’ এই দুটো অক্ষর উচ্চারণে বেজায় সমস্যা। আরোহী কপাল কুঁচকালো। এরা দুই ভাই মিলে আবার কোন সবজির সাথে তাকে মিলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে? অনয় ছোট। তার কণ্ঠে আরোহী আপি/আপ্পি দুটো শব্দ উচ্চারণ না করতে পেরে সে তাকে আলোপ্পি বলেই ডাকে। যদিও মেয়েটার মনে হয় আলোপ্পির তুলনায় আরোহী আপি এটা সহজ, কোনো যুক্তবর্ণ নেই। বারবার অনয়কে এ ব্যাপারে বলার পরেও সে আলোপ্পিতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আর সেই আলোপ্পির আলো থেকে তূর্ণ বানিয়েছে “আলু।” এতদিন তো এই দুই ভাই মিলে আলু আলু করে তার জীবনটা অতিষ্ঠ করে তুলেছিল কিন্তু এখন আবার নতুন কোন সবজির সাথে তাকে জড়াতে চাইছে? আরোহী কপাল কুঁচকে রেখেই অনয়কে প্রশ্ন করলো,

“তুই কোনটার কথা বলছিস?”

অনয় গালে হাত দিল। ভাবুক ভঙ্গিতে বলল,

“ঐ যে বাড়ির ওপাশে দিদুন লাগিয়েছে। লম্বা, চারপাশে পাতা দিয়ে ঢাকা মাথায় আবার পাগলীর মতো চুল আছে। একদম ঠিক তোমার মতো।”

অনয়ের বর্ণনায় চিন্তায় পড়ে গেল তূর্ণ এবং আরোহী। কি এমন হতে পারে যেটা লম্বা, চারপাশ পাতা দিয়ে ঢাকা আবার মাথায় চুলের মতো? তূর্ণের দাদী অর্থাৎ তাহমিনা বেগম বাড়ির আশেপাশে তো বেশ অনেক গাছই লাগিয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সের অবসর সময়ে এই করেই তার সময় কেটে যায়। এর মধ্যে কোন গাছটা? ভাবতে ভাবতে তূর্ণ হুট করেই বলল,

“ভূট্টা! তুই কি ভূট্টার কথা বলছিস অনয়?”

অনয়ের চোখ মুখ চকচক করে উঠলো। মাথা ঝাঁকিয়ে তৎক্ষণাৎ জবাব দিল,

“হ্যা হ্যা ভূত্তা ভূত্তা।”

তূর্ণের ওষ্ঠ প্রসারিত হলো। অনয়ের মাথায় হাত দিয়ে তার চুলগুলো এলোমেলো করে বলল,

“বাহ! বেশ ভালো বর্ণনা দিলি তো ভূট্টার। নির্ঘাত তুই একদিন ভুট্টা বিজ্ঞানী হবি।”

অনয়ের চোখে মুখে গম্ভীরতার ছাপ ফুটে উঠলো রাতারাতি। তূর্ণের বক্তাব্যের প্রতিবাদ করে সে বলে উঠলো,

“না না আমি ভূত্তা বিজ্ঞানী হবো না। আমি হবো দিদুনের গল্পের ভূত্তা কুমার আর আলোপ্পি হবে ভূত্তা কুমারী। তারপর আমার ভূত্তা কুমারীকে রাক্ষস ধরে নিয়ে যাবে। আমিও এক সাহসী ভূত্তা কুমার হয়ে সাত সমুদ্রর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে ভূত্তা কুমারীকে উদ্ধার করে আনবো।”

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে