প্রিয়সীর চিরকুট পর্বঃ ০৩(শেষ পর্ব)

0
3273

প্রিয়সীর চিরকুট পর্বঃ ০৩(শেষ পর্ব)
– আবির খান

আজ অনেক দিন পর বিকেলে বের হয়েছি। হাঁটতে হাঁটতে শ্যাওলার ঘাটে পৌঁছালাম। এখানে এসেতো আমার চক্ষুতো চড়ক গাছ। কারণ আমি দেখছি শ্যাওলার ঘাটের সবচেয়ে বড় গাছটাতে অনেক ধরনের রঙবেরঙের কাগজ সুতা দিয়ে ঝুলানো। আর ঘাটে চালতা ফুল দিয়ে লিখা,”প্রিয়সী”। আমি দ্রুত কাগজগুলোর কাছে গিয়ে সেগুলো পড়তে শুরু করলাম। আমি এতোটা অবাক হলাম যা বলার বাইরে। কারণ তাতে লিখা ছিলো,

-“ভালোবাসি প্রিয়সী”

এরমধ্যে আবার কয়েকটি বড় রঙিন কাগজে আমার সব পছন্দের জিনিসের নাম লিখা। যেমন, নীল শাড়ী, শিউলি ফুল, চুড়ি, গল্প, ডাইরি কলম, ফুচকা, চকলেট। আমি যেন অবাকের সাত আসমানে আছি এখন। কারণ কেউ এত্তো নিখুঁতভাবে আমার সব পছন্দের জিনিসের কথা জানতে পারে না। কিন্তু এ কিভাবে জানলো?? কে এই ব্যক্তি?? কে??

আর ভাবতে পারছি না। খুব অস্থির লাগছে। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসি। বাসায় এসেও নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারছিনা। তাই ফোন দিলাম রিমিকে। ও সব জানতো। তাই ওকে আজকের ঘটনাটা খুলে বললাম। কিন্তু ও ব্যস্ততা দেখিয়ে আমাকে কোনো পাত্তা না দিয়ে বলল,

— ঘুমিয়ে পর ভালো লাগবে।

বলেই ফোনটা কেটে দেয়। ওর উপর যে তখন কি পরিমাণ রাগ উঠলো তা বলার বাইরে। এরপরও কতক্ষণ পায়চারী করে না খেয়েই ঘুমিয়ে পরি। ঘুমের মাঝে আম স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি ওদিকে ঝড় উঠেছে আমি খায়নি বলে। আমার মামাও আমার খালার বাসায় থাকে। আমার মামা মনে করেছে খালামনি আমাকে বকা দিয়েছে বলে আমি খায়নি। তাই খালামনিকে বকাবকি করছে৷ আমার অনেক মজা লাগছে আর হাসিও পাচ্ছে। একটুপর ঘুরে পিছনে ফিরতেই দেখি মামা খাবার হাতে বিছানায় বসে আছে। আমি অবাক হয়ে যাই। বরাবরের মতোই আমার মামা কখনো আমাকে আমার বাবার কমতি অনুভব করতে দেয়নি। সবসময় নিজের মেয়ের মতো আমার দেখাশোনা করেছে। আজও তার ব্যাতিক্রম হলো না। কি আর করার চুপচাপ উঠে মামার হাতে খেয়ে নি। আমাকে খাইয়ে তারপর মামা শান্ত হন। যাক খেয়ে আমি আবার ঘুমিয়ে পরলাম।

ঘুম ভাঙলো সকালে। আজকে আকাশটা খুব মেঘলা হয়ে আছে। আমিতো সেই খুশি। নিচে নামতে নামতে ভাবছি, আজ বাগানের শিউলি গাছটার কাছে গিয়ে বসব। আমার পছন্দের গাছটা লাগানো হয়েছে। ছোট হলেও মাশাল্লাহ ভালো ফুল ফোঁটে। গাছটার কাছে যেতেই দেখি অনেক বড় একটা চিরকুট ঝুলানো। আমি চোখ কচলিয়ে আবার তাকিয়ে বলি, আমার মনে হয় চিরকুট ফোবিয়া হয়েছে। বলে নিজেই আবার হাসছি। নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলাম না সত্যিই চিরকুটটা আছে। আমি দ্রুত চিরকুটটা নিলাম আর খুলে পড়তে শুরু করলাম,

-“এই যে প্রিয়সী, আজ তাহলে মনটা ভালো আছে তাই না?? আমি জানি মেঘলা আকাশের সাথে শিউলি ফুল পেলে আপনি বড্ড বেশি খুশি হন। হাতের বামপাশের ডালটায় দেখুন, শিউলি ফুলের মালা গাথা আছে।”

আমি পাশে তাকিয়ে দেখি সত্যিই শিউলি ফুলের মালা। মালাটা দেখে আমি পুরো অবাক। এত্তো সুন্দর মালা আগে কখনো দেখেনি। সেখানে কিন্তু গলার মালা, হাতের মালা, মাথায় পরার মালাও আছে। আমি মালা গুলো হাতে নিয়ে আশেপাশে খুঁজলাম তাকে। কিন্তু কোথাও তাকে পেলাম না। হতাশ হয়ে মালাগুলো নিয়ে বাসায় আসলাম। আর ভাবছি, কে হতে পারে?? যে আমার এতো কিছু জানে। কিন্তু ধরা দিচ্ছে না কেনো?? আর কতো?? তবে কি সে আমার একাকিত্বের সঙ্গী হতে চায়?? নাকি আমাকে কষ্ট দিতে যায়। আর ভাবতে পারছি না। তবে আজ কিন্তু রাগ হচ্ছে না তার উপর। ভালো লাগছে এই সবটা। আজ মালাগুলো পরে অনেক গুলো ছবি তুললাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি কলেজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই কলেজে চলে যাই। কলেজে গিয়ে আমার বেস্টু রিমিকে আমার তোলা সব ছবিগুলো দেখালাম। ও হাতে ফোন নিয়ে অনেকক্ষন বসে দেখলো। কিন্তু অবাক করার কথা হলো ও একবারও মালাগুলোর কথা বলল না। আমিও রাগে আর কিছু বললাম না। ক্লাস শেষ করে বাসায় যাচ্ছি হেঁটে। হঠাৎই একটা ছোট্ট মেয়ে এসে আমার হাত ধরে নিচে বসিয়ে আদর করে আমার হাতে একটা চিরকুট দেয়। আমি কে দিয়েছে জানতে চাইলে সে কোনো ভাবেই বলে না। বরং চিরকুটটা দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায়। আমি চিরকুটটা খুলে পড়তে শুরু করি। তাতে লিখা,

-“প্রিয়সী, মালাগুলোতে আপনাকে বেশ লাগছিলো। ভালোবেসে ফেলেছি আবারও।”

আমি চিরকুটটা পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। আমিতো এই ছবিগুলো কাউকে দেখায়নি। উনি কিভাবে দেখলো!!! আমি চিরকুটের পিছনে ঘুরিয়ে দেখলাম সেখানে লিখা,

-“ভালোবাসবেন তো আমায়??”

আজ চোখে অশ্রু এসে পরলো। কোনো ভাবেই এই নোনাজলকে ধরে রাখতে পারলাম না। কেনো এমন হলো তাও জানি না। ভালোবাসা নামের যেই শব্দটা শুনতে আমার বিরক্ত লাগতো, আজ সেই শব্দটা শুনে আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছে। তবে কি আমিও তাকে ভালো… নাহ আর এসব ভাবা যাবে না। সামনে পরীক্ষা। এখন পড়ালেখায় মন দিতে হবে।

আজ ২ মাস কেটে গেলো। পরীক্ষাও শেষ। তাই ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছি। আমরা সবাই একটা রাস্তায় হাঁটছি। ওরা হাঁটতে হাঁটতে নাকি ক্লান্ত হয়ে পরেছে তাই একজায়গায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। কিন্তু আমারতো হাৃটতে ভালোই লাগে। তাই ওদের রেখে সামনে হেঁটে যাচ্ছি। কিছু দূর যেতেই আমার মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো। কারণ আমি দেখছি একটা গোলাপের বাগান সামনে। কাঠগোলাপ গুলো এতোই সুন্দর যে কাছে না গিয়ে আর পারলাম না। হঠাৎ চোখ আটকালো একটা গোলাপ দেখে। কারণ সেখানে গোলাপের কাটায় একটা চিরকুট। আমার তখন নিজেকে পাগল পাগল লাগছিলো। চিরকুটে লেখা ছিলো,

-” প্রিয়সী, পরীক্ষা ছিলো বলে বিরক্ত করিনি। আপনাকে বড্ড দেখতে ইচ্ছা করছে।”

চিরকুটটা পড়ে কান্না করে দি। আমি হয়তো খুব তৃষ্ণার্ত ছিলাম চিরকুটের জন্য। এটা পেয়ে এখন খুব ভালো লাগছে। গতকাল আমার মন খুব অস্থির ছিল। আজ খুশির সাথে অস্থিরতা দিগুন বেরে গিয়েছে। কারণ আমি যে উনাকে বলতে পারছিনা আমারও যে খুব উনাকে দেখতে ইচ্ছা করছে। ভিষণ ইচ্ছে করছে। মন প্রাণ থেকে ইচ্ছা করছে।

বন্ধবীদের কাছে ফিরে গেলাম। ওদের সব খুলে বললাম। ওদের বললাম এই ছেলেটাকে খুঁজে দিতে। কিন্তু সবাই আমার কথা শুনলেও, আমার বেস্টু রিমি আমার কোনো কথাই শুনলো না। আমার প্রচুর রাগ হলো ওর উপর। রাগ করে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পরি। খুব কষ্ট হচ্ছিলো বুকের ভিতর৷ কারণ কেউই তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিমি। সে কেমন জানি করছে। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। মন চাচ্ছে খালি কান্না করি। তাকে কি আমার আর পাওয়া হবে না। এসব ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমের দেশে হারিয়ে যাই।

সকালে ফেইসবুকে ঢুকে দেখি একগাদা ম্যাসেজ। আসবেই বা না কেনো। আজ যে আমার জন্মদিন। সবাই উয়িশ করছে আমাকে। আমি আমার জন্মদিনে সবসময় সকালে বাইরে হাঁটতে যাই। আজও তার ব্যাতিক্রম হলো না। যথারীতি সেই শিউলি ফুলের গাছটা কাছে যেতেই দেখি দুইটা রঙিন গিফট বক্স। আমি বাসায় নিয়ে আসি। আনতে আনতে ভাবি, হয়তো আমার ফাজিল ফ্রেন্ডরা এই কাজ করেছে। কারণ ওরা একমাত্র জানে আমি এই দিনে সকালে শিউলি তলায় যাই। বাসায় এনে বক্সটার রেপিং পেপার খুলেতো আমি আবার সক। কারণ সেই চিরকুট। চিরকুটে লিখা,

-” প্রিয়সী আপনার এই বিশেষ দিনে আপনার জন্য সামান্য কিছু উপহার।”

আমি তাড়াতাড়ি বক্সটা খুলে দেখি, নীল শাড়ী, নীল চুড়ি, কাজল, আইলাইনার। সাথে আরেকটা বক্স ছিলো। সেটাও খুলে দেখি, আবার একটা চিরকুট। তাতে লিখা,

-“খুব শীগ্রই দেখা হবে।”

আমার মন খুব খুশি হতো তার চিরকুট পেলে। তাকেতো কখনো দেখেনি। তার এই চিরকুটের ভিতরে তাকে খুঁজে নিতাম আমি। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে। রিমি ফোন দিয়েছে। ফোন রিসিভ করতেই উয়িশ করলো আর বলল, আজ বিকেলে আমার বাসায় আসবে। ঠিকই বিকেলে রিমি এসে হাজির। খালামনির কাছ থেকে আমাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পার্মিশন নিয়ে ফেলে রিমি। পরে আমার রুমে এসে আমাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলে। কারণ ও নাকি অামাকে অাজ নিজ হাতে সাজাবে। আমিও বাধ্য মেয়ের মতো ফ্রেশ হতে চলে যাই। এসে দেখি উনার দেওয়া আজকের প্রতিটা জিনিস বের করে রেখেছে রিমি আলমারি থেকে। আমার কোনো কথা না শুনেই জোর করে সব পরিয়ে একদম পরীর মতো সাজিয়ে দেয়। আমার নিজেরও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমি এতো সুন্দর। এরপর আমাকে নিয়ে ও একটা রেস্টুরেন্টে চলে যায়। সেখানে আমাদের সব বান্ধবীরা ছিলো। আমরা সবাই একসাথে বসি। হঠাৎই ওয়েটার একটা প্লেটে করে আমার সামনে ঢাকনা দেওয়া কি যেন একটা রাখলো। আমি ঢাকনা খুলে দেখি সেই নীল কাগজের চিরকুট। ঠোঁটের কোনায় অজান্তেই একচিলতি হাসি এসে পরে।চিরকুটটা খুলে পড়ি,

-” প্রিয়সী”

আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমরা ছাড়া আর কেউ নেই। আর আমার বান্ধবীরা ফোন চালাচ্ছে অনেক মনোযোগ দিয়ে। হঠাৎই রিমি এসে কোথা থেকে আমার চোখটা বেঁধে দেয়। আমি অবাক হয়ে যায়। আমাকে কোথায় যেন নিয়ে গেলো। আমি একা দাঁড়িয়ে আছি কোনো শব্দ নাই। হঠাৎ কানে একটা কথা ভেসে আসলো।

-“অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো প্রিয়সী।”

আমি তাড়াতাড়ি চোখের বাঁধন খুলেতো অবাক। আমাকে দেওয়া সকল চিরকুটের কপি সব দেয়ালে লাগালো। সেই প্রথম থেকে আজ অবধি সব। আর ঠিক মাঝখানে লিখা,

-” হ্যাপি বার্থডে আমার প্রিয়সী।”

আর সাথে সাথেই আমার সব ভূত পেত্নী বন্ধবীগুলো দৌড়ে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আবার উয়িশ করে। এরমধ্যে হঠাৎই কে যেন আবার পিছনে থেকে হাত দিয়ে আমার চোখ ঢেকে দিয়ে অন্য দেয়ালের দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে চোখ থেকে হাত সরিয়ে ফেলে। আমি তাকিয়ে দেখি আমার অনেক ছবি লাগানো। আর তাতে লিখা,

-“ভালোবাসি প্রিয়সী। খুব বেশি ভালোবাসি।”

আমার চোখে নিমিষেই অশ্রুতে ভরে গেলো। আমি দ্রুত পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই উনি। যে সেদিন বৃষ্টিস্নাত দিনে আমাকে ছাতার নিচে জায়গা দিয়ে ছিলো। সেই উনি যে তার সুগন্ধি রুমাল আমাকে দিয়েছিলো। সেই উনি যে আমাকে এতো দিন চিরকুট দিয়ে আমার মনে তার জন্য জায়গা করে নিয়েছে। হ্যাঁ সেই উনিই। যার আজও ফর্সা মুখের ঠোঁটের কোনায় সেই বাকা হাসিটা আছে৷ আমি বাকিদের দিকে তাকিয়ে বললাম,

— তোরা সব জানতি তাই না?? রিমি তুইও??(আমি)

ওরা শুধু সবাই আমাকে দেখে হাসছে। আমি তার দিকে তাকালাম। সেও হাসছে। আর পারলামনা নিজেকে ধরে রাখতে। এতো অপেক্ষার পর তার দেখা মিলেছে। খুশিতে আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে তাকে জড়িয়ে ধরি। তার বুকে দু তিনটে কিল ঘুষিও দি। অনেকটা সময় আমাকে অপেক্ষা করিয়েছেন উনি। খুব শক্ত করে তাকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরি। আমি পেয়েছি আজ আমার একাকিত্বের সঙ্গীকে। হ্যাঁ আমি আজ পেয়েছি। আমি ওনাকে ছেড়ে ব্যাগ থেকে সেই রুমালটা বের করে তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলি,

— আপনার সেই রুমাল। সবসময় সাথে নিয়েই ঘুরি। এটাতো আপনার প্রিয় মানুষটার তাই না?? যার নাম “R” দিয়ে শুরু হয়।

উনি একটু হাসি দিয়ে রুমালটা আমার হাতে তার হাত দিয়ে চেপে ধরে বললেন,

— আমার প্রিয় মানুষটাতো শুধু তুমি। আর “R” দিয়েতো তোমারই নাম।”রুহি”। পাগলি একটা।

— আপনি আমার নামও জানতেন?? কার কাছ থেকে??

— ওই যে তোমার বেস্টু রিমি।

আমি রিমির দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছি। কিচ্ছু বলেনি আমাকে শয়তান্নি। এবার উনিও আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেন,

— প্রিয়সী তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি।

আমিও অশ্রুসিক্ত নয়নখানা তার পানে করে বলি,

— আমিও যে খুব ভালোবাসি।

বলেই তাকে আবার জড়িয়ে ধরি। আর সেই সাথে আমাদের একে অপরের মন এক হয়ে গেলো। এটাই ভালোবাসা।

– সমাপ্ত।

© আবির খান।

ধন্যবাদ সবাইকে পড়ার জন্য। যারা সাথে ছিলেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু।

– কোনো ভুল হলে মাফ করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে