#প্রিয়_প্রাণ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ১
বিয়ের সাজে বিধ্বস্ত হয়ে ফ্লোরে শুয়ে আছে তোঁষা। নাক দিয়ে চিকন ধারায় র*ক্ত গড়াতে গড়াতে এতক্ষণে শুকিয়ে জমে আছে। কিছুটা লাল তরল ছুঁয়েছে তার চিবুক। সুন্দর রমণী’র বিয়ের সাজটা ও অনেকটা লেপ্টে। মাথার দোপাট্টা’টা অবহেলায় দরজাটার কাছে পরে আছে। তোশা এতক্ষণ যাবৎ এক কোণায় বসে থাকলেও এখন ঘুমাচ্ছে। ক্লান্ত শরীর তার ঘুম চাইছে। রাত গভীর হতে হতে তার ঘুমটাও গভীর হয় একসময়। ঠান্ডা ফ্লোরটাতে একদম গুটিয়ে শুয়ে আছে ও।
দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই আরহামের নজর আটকালো ঘুমন্ত নতুন বউয়ের দিকে। দরজা আটকে ধীরে ধীরে পা ফেলে এগিয়ে আসতেই চোখ যায় তোঁষা’র ব্লাউজ আর লেহেঙ্গা’র মাঝখানে উন্মুক্ত কোমড়ের দিকে। আঁচড়ের মতো লেগেছে ওখানে। আরহাম ঝুঁকে ওকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেয় সেখানটায়। ঘুমের ঘোরেই কিছুটা কাঁপে যুবতী। বাঁকা হেসে তাকে সোজা কোলে তুলে বিছানায় রাখতেই আরহামের হাত জড়িয়ে ধরে সে। ঘুম জড়ানো কন্ঠে ডেকে উঠে,
— আরহাম ভাই।
আরহাম মায়াময় দৃষ্টি ফেলে তোষা’র মুখপানে। তোঁষা’র চেহারাটাতে একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে। একটু ঝুঁকে তোঁষা’র গালে নিজের শক্ত হাতটা রাখতেই সেটা নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে তোঁষা। আরহাম আস্তে করে ওকে বহুতে করে তুলে বুকে জড়ায়। গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
— হুস কাঁদে না তুঁষ। আমি আছি তো।
— আ…আমি ভয় পেয়েছিলাম। আপনি কোথায় ছিলেন?
প্রশ্নটা সে করলো তবে চোখদ্বয় তখনও বন্ধ। আরহাম এবার ওর গালে নজর দিলো গভীর ভাবে। ডান গালটাতে আঙুল ডেবেছিলো তাই লাল হয়ে আছে সেখানটাতে। এবার ঝুঁকলো আরহাম। খুব ধীর ভাবে চুমু খেলো সেই ফুলাফুলা গালে। একদম নরম ফোলা তুঁষের ন্যায় ই তুলতুলে তার তোঁষা’র গাল। আরহামের চোয়ালদ্বয় শক্ত হয়ে এলো। ওর তুঁষে’র এই নরম গালে এই লালদাগ? তাও কি না অন্য পুরুষের? আরহাম কি তা মানবে?কোনদিন ই না। ভেতরে জ্বলে গেলেও বাইরে যথাসম্ভব শান্ত রাখলো নিজেকে। ওর তুঁষ না খাওয়া আজ সারাদিন। গতরাতে ও খেয়েছে কি না সন্দেহ। আস্তে করে তোঁষা’কে তুলে বসিয়ে ঠেস দেয়ালো নিজের বুকের কাছে। নরম গালে হাত দিয়ে ডাকলো আদুরে গলায়,
— তুঁষ?
— উম।
— উঠ সোনা। খাবি না?
— উহু।
— একটু জান।
— ঘুমাবো।
— হ্যাঁ। ঘুমাবি তো। আগে খেতে হবে প্রাণ।
বলে আর অপেক্ষা করে না আরহাম। দুই হাতে বুক থেকে সরিয়ে গালে আলতো হাত বুলিয়ে সজাগ করাতে চায়। অথচ তোঁষা’র ঘুম ছুটছে না। কিছুতেই না। অনেক রাত ঘুম হয় না তার। আজ ও ওর প্রাণে’র বুকে আছে। এখন আর দৈহিক ক্ষুধা ওকে বশে আনতে পারবে না। কিছুতেই না। ওর মনের ক্ষুধা শুধু মাত্র ওর প্রাণ ই মিটাতে পারবে তার বুকে রেখে।
তোঁষা থেকে সাড়া না পেয়ে এবার আরহাম নিজেই ওকে জোর করে তুললো। তোলা বলতে ধরে একদম দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তোঁষা পিটপিট চোখ করে ঢলে পড়তে নিলেই এবার আরহাম ওর বাহু চেপে ধরে। রাগী কন্ঠে ধমকে উঠে কিছুটা,
— একদম নড়বি না তুঁষ। গাল লাল তো হয়ে ই আছে একটা। আরেকটা আমি লাল করে দিব চড়িয়ে।
তোঁষা ফট করে চোখ খুলে। একদম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চেয়েও পারলো না। পায়ে কিছু একটা হয়েছে। আরহাম তাকিয়ে দেখলো পা থেকে মাথা পর্যন্ত। বধু সাজে তার তুঁষ যদিও সাজটা তার জন্য নয়। অন্য পুরুষের জন্য এই সাজ অথচ তুঁষ’টা এখন তার। তার প্রাণ। হঠাৎ নজর যায় উন্মুক্ত পেটের দিকে। কোমড়ের দিকে আঁচড় থাকলেও পেটে বেশ ভালোই একটা ক্ষত। আরহাম হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতে নিলেই তোঁষা হেলে যায় ওর শরীরে। ততক্ষণাৎ করে আগলে নেয় আরহাম৷ ওর তুঁষে’র শরীরটা খারাপ। দূর্বল জান একটা। সোজা কোলে তুলে ওয়াশরুম হাটা দেয় আরহাম৷ নিজের সাথে ধরে দাঁড় করিয়ে নাকের থেকে আসা র*ক্ত মুখে দেয় হাত দিয়ে ডলে। র*ক্ত গুলো শুকিয়ে আঠা হয়ে যাওয়াতে একটু বেশিই ডলতে হলো। সেই সাথে তোঁষা’র পুরো বিয়ের সাজটা ও ধুয়ে দিলো আরহাম৷ কোন চিহ্ন নেই এখন কারো। ওর তুঁষ এখন শুধু মাত্র ওর। তোঁষা’কে পরিস্কার করে আবার কোলে তুলে রুমে এসে ওকে বসালো বিছানার পাশে বড় কাউচটাতে। হাত রাখলো তোঁষা’র গলার কাছে। একে একে খুলে দিলো সকল অলঙ্কার। কানের ভারী দুলটা খুলেই ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে তোঁষা। আরহাম বিচলিত হলো। আঙুল দিয়ে চেপে ধরে কানের লতি। দুলটা খোলার সাথে সাথেই ওখান থেকে র*ক্ত পড়ছে। তোঁষা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,
— আরহাম ভাই, ব্যাথা পাচ্ছি।
— এই তো সোনা। হয়ে গিয়েছে।
আঙুলটা সরিয়ে পাশের ড্রয়ার থেকে মেডিসিন বক্স বের করে আরহাম। এনটিসেপটিক মলমটা আঙুলে নিয়ে আস্তে করে লাগিয়ে দেয় ওর কানে। তোঁষা আরহামের এক হাত ধরে আছে। আরহামের দৃষ্টি শান্ত অথচ ভেতরে চলছে তার দামামা। প্রত্যেকটা আঘাতের শোধ না তুলা অবদি এই দুনিয়া ত্যাগ করবে না আরহাম। ওর প্রাণ’কে আঘাত দেয়ার শাস্তি কতটা ভয়ংকর এবং বিশ্রী তা সকলে বুঝিয়েই ছাড়বে ও।
তোঁষা’র হাত ছাড়িয়ে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে আরহাম। তোঁষা’র পড়নে লেহেঙ্গা আর উপরে ব্লাউজ। মধ্যেখানে উন্মুক্ত তার উদরখানি’র বাইরের চামড়া। সাদা চামড়ায় ক্ষত। বড্ড বিশ্রী ব্যাপার ঠেকলো আরহামের নিকট। ওর তুঁষ শুধু নামেই তুঁষ না সে সত্যিই শীতের সকালে পড়া তুঁষে’র ন্যায়। পাক্কা এক সাদা বরফ খন্ড।
আঙুলে মলম নিয়ে তোঁষা’র পেটে ছোঁয়াতেই ব্যাথায় ছটফটিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যায় তোঁষা। তার জ্বলছে সেখানটায়। আরহাম শান্ত স্বরে বলে,
— চুপচাপ বস তুঁষ। মাথা খারাপ করবি না।
— জ্বলছে।
— একটু সহ্য কর।
কথাটা বলেই উঠে কাউচে বসে আরহাম। নিজের কোলে টেনে বসায় তোঁষা’কে। একহাতে পেছন থেকে ওকে আঁকড়ে ধরে আরেক হাতে পেটের আর কোমড়ের ক্ষত’তে মলম লাগায়। তোঁষা মুখ গুজে আছে আরহামের গলায়। সেখানে মুখ দিয়েই ছটফট করলো কিছুটা। কিছুক্ষণ পরই ওখানে ঠান্ডা অনুভব হয় ওর। আরহাম তখনও একে একহাতে জড়িয়ে অন্য হাত দিয়ে মাথায় হাত বুলাচ্ছে। তোঁষা ঠান্ডা হতেই আস্তে করে ওর মুখটা তুলে। লাল হওয়া গালটাতে মলম লাগিয়ে আলতো করে একটা চুমু খায় সেই গালে। চোখ বুজে নেয় তোঁষা। প্রিয় ছোঁয়া এটা ওর। ওর প্রাণে’র ছোঁয়া। ওর প্রিয় পুরুষটার ছোঁয়া। তোঁষা’র চোখ গলিয়ে পানি পরলো। এই পুরুষটাকে পেতে কম কষ্ট করতে হয় নি তাকে। বহু কষ্টের ফল এই আরহাম ভাই তার। শুধু মাত্র তার তুঁষে’র।
আরহাম ভেজা অনুভব করে গালে। ওর তুঁষ কাঁদে কিন্তু কেন? এখন কেন কাঁদবে? এখন তো সে তার প্রাণে’র কাছে। আরহাম ব্যাস্ত হয়। দুই হাতে তোঁষা’র গাল ধরে অস্থির হয়ে প্রশ্ন করে,
— এই তুঁষ? এই? প্রাণ আমার কেন কাঁদছিস?
— আমি ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর পাব না আপনাকে। আরহাম ভাই? এত দেড়ী কেন করলেন?
কন্ঠ জুড়ে শুধু আকুলতা আর আরহাম’কে না পাওয়ার ভয়। চোখ জুড়ে ভর করে আছে ভীতিকর চাহনি। আরহাম জাপ্টে ধরে ওকে নিজের বুকে। শক্ত থেকেও শক্ত হয় ওর বাঁধন। কম্পমান গলায় রাগ মিশিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলতে থাকে,
— তুই শুধু আমার তুঁষ। আমার প্রাণ তুই। আমি বাদে আর কেউ ই তোকে স্পর্শ করতে পারবে না। কেউ না। আর কাঁদিস না সোনা। তোর প্রাণ এখন তোর কাছে না?
— বাবা মে’রেছে আমাকে। দেখো। গালেরটা বাবা মে’রেছে।
আরহামের শরীরে এবার ভয়ংকর কম্পন হচ্ছে। কিছুতেই যেন থামবে না সেই কাঁপন। তোঁষা ও দুই হাতে তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলো। এত বড় হুষ্টপুষ্ট পেটানো শরীরটা কিছুতেই নিজের বাহুতে আটকাতে পারলো না ও। তবুও কত চেষ্টা তার আরহাম ভাই’কে বুকে চেপে রাখার। যতটুকু পারা গেলো ততটুকু জাপ্টে রাখলো। আরহামের চোখ দুটো তখন ভয়ংকর দেখাচ্ছে। তার তুঁষ’কে যারা আঘাত করেছে তাদের কাউকে সে ছাড়বে না। তাকে দেয়া ওয়াদা ভঙ্গ করার শাস্তিটা বড্ড কঠিন হবে।
তোঁষা’কে রেখে খাবার নিয়ে আসে আরহাম। তোঁষা নাক টানে। আরহাম পাশ থেকে টিস্যু নিয়ে ওর সর্দি মুছে দিয়ে ভাত মেখে তোঁষা’র মুখে লোমকা দিলো। তোঁষা খেতে গিয়েও মুখে, গালে ব্যাথা পাচ্ছে। বাবা থাপ্পড়টা গতরাতে অনেক জোড়েই দিয়েছিলো।
চতুর্থ লোকমা খেতে খেতে তোঁষা বললো,
— আপনি কেন খাচ্ছেন না? আপনিও খেয়ে নিন।
— আগে তোর হোক।
— একসাথে খেলে ভালোবাসা বাড়ে।
— যতটুকু ভালোবাসা আমার কাছে আছে আগে তো এতটুকু সামাল দে। তারপর তোর না পোষালে বাড়িয়ে নিব ভালোবাসা।
তোঁষা গাল ফুলাতেই নিজের মুখেও ভাত তুলে আরহাম। আরহাম খেয়াল করলো ওর তুঁষে’র ফোলা গালে হাসি। দু’জনের খাওয়া হতেই আরহাম ভেজা হাতে তোঁষা’র মুখটা মুছিয়ে দিয়ে একটা টুস্যু দিয়ে ও মুছিয়ে দেয়। তোঁষা সেই এটো টিস্যু দিয়ে আরহামে’র ঠোঁট মুছে দেয়। পুরু ঠোঁট’টা এলিয়ে হাসে আরহাম। এতেই যেন লজ্জা লাগে তোঁষা’র। কদু’র মতো গাল দুটো ধারণ করে রক্তজবার রং। ইশ! এভাবে কেন হাসে ওর আরহাম ভাই? ম’রে না যাবে তোঁষা? এত সুন্দর বলিষ্ঠ দেহের পেটানো শরীরের পুরুষটা তার আরহাম ভাই। পরক্ষণেই ওর মনটা তীব্র প্রতিবাদ জানায়,”গাঁধা তুঁষ আরহাম ভাইয়ের তুই তোঁষা। সে এখন শুধু মাত্র তোর চাচাতো ভাই আরহাম না বরং তোর বিয়ে করা বর”। মনের গহীনে কথাগুলো ভাবতেই পুণরায় লজ্জা লাগে তোঁষা’র। যুবতী’র স্বপ্নের পুরুষ সে। লম্বা চওড়া সুন্দর ফর্সা ত্বকের অধিকারী এই আরহাম ভাই এখন থেকে তার প্রাণ।
আরহাম দেখে তোঁষা’র নত মুখ। আলতো হাতে ছুঁয়ে দেয় গালটা। তোঁষা নাক টানে। আরহাম ওর হাতটা ধরে বলে,
— কাল সব লজ্জা দেখব তোর। আজ ঘুমাবি প্রাণ।
আরহামের কথায় এবার লাল পাঁকা টমেটো’র ন্যায় গাল দুটো ঝুলে গেলো যেন তোঁষা’র। আরহামের মুখে একটু চিন্তার ভাজ। এই জড়ি দেয়া কাপড়ে কিভাবে ঘুমাবে ওর তুঁষ? কিছুই তো আনা হলো না। আরহাম আলমারি খুলে হাতায় একটু। নাহ। তেমন কিছুই নেই। তোঁষা একপলক দেখে ওর আরহাম ভাই’কে। বুঝার চেষ্টা করে কি খুঁজে তার আরহাম ভাই। আরহাম মনযোগ দিয়ে কিছু খুঁজেই যাচ্ছে। না পেয়ে আবার রাগে ফোঁসফোঁস ও করছে। তোঁষা মিনমিন করে ডাকে,
— আরহাম ভাই?
— বল তুঁষ।
— কি খুঁজেন?
— কিছুনা।
— বলুন না। আমি খুঁজে দেই।
— তুই চিনিস কিছু? চুপ করে বস।
— কি এমন খুঁজেন যে বলেন না? আন্ডারওয়্যার?
আরহাম চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই তোঁষা মুখ নামিয়ে নাক টানলো। আরহাম ততক্ষণে পেয়েছে কিছু। এগিয়ে এসে তার সবচেয়ে ছোট টিশার্ট আর একটা টাউজার তোঁষা’কে দিয়ে বললো,
— আমি রুমের বাইরে দাঁড়াচ্ছি। তুই চেঞ্জ কর।
বলেই আরহাম বের হয়। তোঁষা বড়বড় পোশাকের দিকে তাকিয়ে আবার নিজের ছোট্ট দেহটার দিকে তাকায়। এগুলো দিয়ে তো তোঁষা’কে আলাম দাফন দেয়া যাবে।
ভাবতে ভাবতে হাতে তুলে টিশার্টা। নাকের সামনে নিয়ে বুক ভরে শ্বাস টানে। আরহামের ঘ্রাণ আসে এটা থেকে। ঠোঁটে হাসি দেয়া দেয় ওর। বিপত্তি বাঁধে ওটা পড়তে নিলে। ব্লাউজের হুক,ফিতা সব পেছনে। ওর হাত পৌঁছাচ্ছে না ওখানে কিছুতেই। অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ ব্যার্থ ই হলো।
আরহাম প্রায় মিনিট বিশ পর নক করে ভেতরে ঢুকে তোঁষা’কে আগের অবস্থায় দেখে কিছুটা রেগে যায়। তবে ওর লটকানো মুখ দেখে আর কিছু বলে না। জিজ্ঞেস করে,
— চেঞ্জ করতে বলি নি?
— পারছি না তো?
আরহাম দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। তারই বুঝা উচিত ছিলো। তোঁষা’কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে যতটুকু পারা যায় সাহায্য করে চেঞ্জ করতে।
আপাতত তোঁষা’র পড়নে কমলা রঙের ঢোলাঢালা এক টিশার্ট আর লম্বা ঢোলা এক টাউজার। আরহাম ওর পায়ের কাছে বসে টাউজারটা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত গুটিয়ে দিয়ে ওর চুলগুলো আঁচড়ে বেঁধে দেয়। অতঃপর ওকে রেখে নিজেও কাপড় বদলে ফিরে আসে।
তোঁষা’কে নিয়ে শুয়িয়ে দিয়ে যখন আরহাম উঠে যেতে নিলো তখনই ওর হাত টেনে ধরে তোঁষা। মোলায়েম গলায় আরহাম বলে,
— একটু আসছি।
— উহু।
— তুঁষ?
— আচ্ছা ঘুমাব। সত্যি বলছি।
আরহাম মানে। তোঁষা’কে বুকে আগলে নিয়ে মনোযোগী হয় ঘুম পাড়াতে। দুর্বল তোঁষা ও ঘুমিয়ে যায় কিন্তু বুঝে না সদ্য বিবাহিত পুরুষটার বুকে যখন জ্বলছে তুঁষে’র আগুন। ঢোক গিলে আরহাম। সময় দরকার তার। খাওয়ার পরই তোঁষা’কে মেডিসিন দেয়া শুরু করেছে ও। ধীরে ধীরে সবটা ঠিক হবে৷ একদম আরহামের কথামতো হবে। ওয়াদা রাখতে না পারার শাস্তিতা সত্যি ই ভয়াবহ হবে।
#চলবে….?