#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব__৪০
প্রজ্জ্বলিনীকে হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে। এখন সে সুস্থ আছে। উজান তাকে হসপিটাল থেকে বাসায় নিয়ে গেছে। প্রজ্জ্বলিনী হসপিটালে থাকা কালীন দর্শিনী তাকে নিয়মিত দেখতে গেছিলো। এভাবেই কেটে গেছে পুরো সপ্তাহ। কালকে আবিদ তাকে বোনের কাছে রেখে এসেছিল। আজকে আবার আবিদ তাকে বাসায় নিয়ে যাবে। দর্শিনী আরো দুইদিন থাকতে চাইছিল কিন্তু আবিদ তাকে থাকতে দিবে না। বিকালের দিকে আবিদ আসবে বলে দিয়েছে। আবিদ দর্শিনীকে বারবার টেক্সট করে বলেছে, মিস ইউ বউ! তোমাকে ছাড়া সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এখন আর একা থাকতে ভালো লাগে না আমার। অনেকদিন পরে তাদের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়েছে। এজন্য দর্শিনী বাধ্য হয়ে তৈরি হচ্ছে। মুখের উপর মানা করার সময়টা আবিদ দেয়নি তাকে, অবশ্য দর্শিনী মিস করছিল তার সুদর্শন স্বামীকে। এমনকি দর্শিনী তাকে আগামীকাল এখানেই থেকে যেতে বলেছিল। কিন্তু আবিদ অন্যের বাসায় কম্পফিটিবল না। তার এডজাস্ট করতে মিনিমাম সময় লাগে। দর্শিনী পরবর্তীতে তাকে আর জোর করেনি।
দর্শিনী কাল থেকে প্রজ্জ্বলিনীর রুমে অবস্থান করেছে। যেহেতু দর্শিনী এখানে ছিল তাই বোনের সঙ্গে থাকাকালীন পুরোটা সময় বোনকে দেখেছে। উজান দুইবোনকে স্পেস দিতে অন্যরুমে ছিল। দুইবোন নানান খোশগল্পে মেতে উঠে। অন্যদিকে উজান তখন বাহিরে ক্লাইন্টদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করতে ব্যাস্ত। বোনের সঙ্গে দর্শিনীর সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়ে গেছে। প্রজ্জ্বলিনীর আবিদের প্রতি কোনো টান ছিলনা। শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণবশত ভুল বুঝেছিল আবিদকে। ভেবেছিল আবিদ তাকে মিথ্যা বলেছে। আবিদ হয়তো অগোচরে ভিষণ খারাপ একজন মানুষ। তার ধারণা ছিল আবিদ দর্শিনীর যোগ্য না। এজন্য চায়নি দর্শিনীর সঙ্গে তার বিয়ে হোক। কিন্তু তার সব ধারণা ভুল প্রমাণ হয়ে গেছে। প্রজ্জ্বলিনী এখন বোঝে তার বোনের জন্য আবিদ সবচেয়ে পারফেক্ট ডিসিশন ছিল। এর আগে উজান তাকে একবার বলেছিল! তখন প্রজ্জ্বলিনী মানতে চায়নি। তবে এখন মানে। প্রজ্জ্বলিনী আফসোস করে, অযথা ভালো মানুষটার প্রতি আ’ক্রোশ ক্রো’ধ পুষে রাখা উচিত হয়নি। আবিদ যখন একটু আগে দর্শিনীকে ফোন দেয়, দর্শিনী তখন বোনের সামনে রিসিভ করেছিল। প্রজ্জ্বলিনী তখন অর্ধশায়িত অবস্থায় আবিদ দর্শিনীর খুনসুটি ময় ভালোবাসা দেখে মিষ্টি-মধুর হেসেছে। দর্শিনী তখন অসহায় চোখে বোনের দিকে তাকিয়েছিল। বোনের হাসি মুখ দেখে তার ভালোলাগা কাজ করছিল সেইসময়।
দর্শিনী কালো রঙের সফট শাড়ি পড়েছে। কালো তার ফর্সা শরীরে দারুণ ফুটে উঠেছে। দর্শিনী রেডি হয়ে মসৃণ বাদামি চুলগুলো আঁচড়ে নেয়। ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপগ্লস লাগিয়ে আয়নায় দেখে নেয়। সবকিছু একদম পারফেক্ট লাগছে। প্রজ্জ্বলিনী বিছানায় অর্ধশায়িত। দর্শিনী বোনকে ইশারা করে দেখায় সব ঠিকঠাক আছে নাকি? প্রজ্জ্বলিনী ইশারায় আঙ্গুল দিয়ে দেখায় একদম পারফেক্ট। সবকিছু ঠিকঠাক করে দর্শিনী বোনকে জড়িয়ে বিদায় জানায়। প্রজ্জ্বলিনী ইমোশনাল হয়ে যায়! চোখে জল মুখে হাসি প্রবাদের মতো। প্রজ্জ্বলিনী তাকে আবার আসতে বলে। ইদানিং প্রজ্জ্বলিনী একটুতেই কেমন কান্নাকাটি করে দেয়। অবশ্য উজান তাকে খুব সুন্দর করে সামলে নিতে পারে। প্রেগন্যান্সির পুরোটা সময় উজান বউকে টাইম দিবে বলে ভার্চুয়ালেই অফিস দেখাশোনা করছে। পরিবার বলতে উজানের বাবা ছাড়া কেউ নাই। তাই প্রজ্জ্বলিনীর দায়িত্ব পুরোটাই উজানের। প্রিয়মা বেগম বলেছিল এই সময়টা প্রজ্জ্বলিনীকে তার কাছে রাখতে। উজান জানায় আরো পরে। এমনিতে সে বউকে ছাড়া থাকতে পারেনা। একটু চোখের আড়াল হলেই অস্থির হয়ে যায়। বিয়ের পর প্রতিটা পুরুষ বউকে চোখে হারাতে শুরু করে। আশরাফ সাহেব অবশ্য উজানকে প্রজ্জ্বলিনীর সঙ্গে মুহতাসিম ভিলায় থাকতে বলেছিল। উজান জানায় প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই থাকবে। আপাতত সে-একাই প্রজ্জ্বলিনীর ভালোমতো দেখভাল করতে পারবে। সত্যি সত্যি উজান প্রজ্জ্বলিনীর যত্নে ত্রুটি রাখেনা। বউকে বড্ড ভালোবাসে। বউ প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর সেইযত্ন আরো বহুগুণে বেড়েছে। সে সারাক্ষণ প্রজ্জ্বলিনীকে সময় দেয়। যখন অফিশিয়াল কাজ করে সেই সময়টা বাদে। প্রজ্জ্বলিনী, তবুও সবাইকে মিস করে। প্রেগন্যান্সির মুড সুয়িং এর কারণে খুব দ্রুত বিরক্ত হয়ে যায়। এই সময়টাতে মেয়েদের এমন সমস্যা হয়ই।
তবে পুরো একদিন দর্শিনীর সঙ্গ পেয়ে প্রচন্ড হাসিখুশি ছিল সে। এখন দর্শিনী চলে যাচ্ছে বলে খারাপ লাগছে তার। দর্শিনী বোনকে জড়িয়ে ধরে জানায়, পরে আবার আসবে। বোনকে নিচে নামতে বারণ করে হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে যায়, দর্শিনী। লিভিংরুমে উজান ছিল। সবেই মিটিং শেষ করেছে। দর্শিনীকে রেডি হয়ে বের হতে দেখে বলে,
‘স্নো হোয়াইট, আজকেই চলে যাচ্ছো?’
‘হ্যাঁ ভাইয়া, যেতে হবে উনি নিতে আসছে।’
‘আরো দুইদিন থেকে যেতে পারতে, স্নো হোয়াইট!’
‘বিশ্বাস করুন ভাইয়া, আমার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমার উনি বলেছে আবার পরে আসতে। অনিচ্ছুকভাবে যেতেই হচ্ছে।’
উজান ল্যাপটপ বন্ধ করে বলে,
‘ঠিক আছে, স্নো হোয়াইট! এবার আবিদকে নিয়ে আসবে কিন্তু।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে! আপনি, আপনার এবং আপুর যত্ন নিবেন। আমার আপুকে দেখে শুনে রাখবেন, টাইম দিবেন। মাঝেমধ্যে ব্যালকনির রোদে নিয়ে যাবেন। তাহলে ঘরে একা অস্বস্তি ফিল করবে না। সুস্থ থাকবে, মন ভালো থাকবে। সকালের রোদটা ইনপরটেন্ট অনেক।’
উজান ঘড়িতে সময় দেখে বলে,
‘আবিদ কী এখুনি আসবে?’
‘হ্যাঁ! গাড়ি নিয়ে আসছে বলল। আপুকে বিদায় জানিয়ে এসেছি। কাঁদছিল আপু; আপনি যান আমি চলে যাব সমস্যা হবেনা।’
‘ভেতরে আসবে না? ভেতরে আসতে বলো।’
‘মনে হয় না আসবে। অন্যদিন আসতে বলব।’
উজান দর্শিনীকে বাই বলে, উপরে প্রজ্জ্বলিনীর কাছে চলে যায়। অন্যদিকে দর্শিনী অপেক্ষা করে আবিদের ফোনকলের। কয়েক মিনিট বাদেই আবিদ ফোন দেয়। দর্শিনী রিসিভ করলে আবিদ বলে,
‘বাহিরে অপেক্ষা করছি!’
‘আসছি আমি।’
বলে দ্রুত দর্শিনী সদরদরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। যাওয়ার আগে অবশ্য মেইডদের বলে, দরজা লাগিয়ে দিতে। আবিদ গাড়িতেই অপেক্ষা করছিলো। দর্শিনীকে কালো শাড়িতে দেখে একদফা হার্টবিট মিস করলো মনে হয়। হঠাৎ বুকের বাঁ-পাশে হাত দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিলো। দর্শিনী গাড়ির কাছাকাছি আসতেই আবিদ দরজা খুলে দেয়। দর্শিনীর হাতে কিছু গিফট ছিল। সেগুলো গাড়ির ব্যাক সিটে রেখে আবিদের পাশে বসে। গিফটগুলো উজানের দেওয়া। আবিদ গাড়িতে এসি চালু করে বলে,
‘রেডি? আমরা আজকে ডেটে যাবো।’
‘বিবাহিত কাপলদের ডেট?’
‘এক্সাটলি! একটু ঘুরাঘুরি, কোথায় যেতে চাও?’
‘কোন লেকের পাশে!’
‘শিয়র?’
‘ইয়াপ!’
‘ডান!’
কিছুক্ষণ পরে আবিদ একটা লেকের পাশে গাড়ি থামায়। সময়টা বিকাল! আকাশটা সাদা নীল। আশপাশ জনবহুল নাহলেও অনেক মানুষকে দেখা যাচ্ছে। আবিদ গাড়ি থেকে নেমে দর্শিনীকে নামতে সাহায্য করে। দুজনে লোকজনের থেকে দূরে লেকের পাশে হাত ধরে হাঁটতে থাকে। আবিদ একটু পরপর তার সুদর্শিনীর দিকে তাকাচ্ছে। দর্শিনী নিরব নিশ্চুপ হয়ে আছে। আবিদ তাকে দেখছে! এটা সে অনুভব করতে পারছে। দর্শিনী ঠোঁটে মারাত্মক সুন্দর হাসি নিয়ে আবিদের দিকে তাকায়। আবিদ যেনো আবারো হার্টবিট মিস করলো। উফফফ, এতো সুন্দর হাসি কেনো তার বউয়ের? দর্শিনী, আবিদের মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরে সমস্যা চলছিল। অবশ্য দর্শিনী নিজেই অন্যজনের রাগ আবিদকে দেখিয়ে; দূরুত্ব তৈরি করেছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আবিদের ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি দেখা গেলো। সে মনে মনে ঠিক করে সময় সুযোগ পেলে সব দূরুত্ব ঘুচিয়ে দিবে। সামনে একজন বয়স্ক লোক ফুঁচকা বিক্রি করছিল। দর্শিনী দেখেই আবিদের কুনই ধরে বলে,
‘চলুন না স্বামী, দুজন মিলে ফুঁচকা খাই?’
দর্শিনী কিউট ফেস করে আবিদকে কনভেন্স করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আবিদ বলে,
‘দরকার নেই! এখন ফুঁচকা খেতে হবে না।’
‘আমি এখন ফুঁচকা খাবোই, প্লীজ প্লীজ!’
‘দর্শিনী, ফুঁচকা আনহাইজেনিক।’
‘নাহ, আপনার ভুল ধারণা! আমি গেলাম।’
দর্শিনী এগিয়ে যায়। সে ফুঁচকা ওয়ালাকে বলে ঝাল ঝাল করে ফুঁচকা বানাতে। আবিদ দর্শিনীকে নিষেধ করলে শোনেনা বিধায় আবিদকেও সেখানে যেতে হয়। লোকটি একপ্লেট ফুঁচকা তৈরি করে দর্শিনীকে দেয়। দর্শিনী একটা ফুঁচকা তেঁতুলের টকে মিশিয়ে মুখে পুরে নেয়। অনেক মজার ছিল ফুঁচকা কিন্তু একটু ঝাল। দর্শিনী আবিদকে একটা খেতে বলে; তবে আবিদ খেতে চায়নি। সে জোর করে খাইয়ে দেয়। যেহেতু নাগা মরিচের ঝাল ছিল! মাত্র দুইটা খেয়েই আবিদের প্রচন্ড ঝাল লাগে। লোকটির কাছে পানি ছিলোনা। এদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে। ঝালে আবিদের করুণ অবস্থা। দর্শিনীর ও একটু ঝাল লাগছে। পানির বোতল ছিল গাড়িতে। আবিদ ফুঁচকা ওয়ালাকে হাজার টাকার নোট দেয়। লোকটি নিতে চায়নি; কিন্তু আবিদ নিতে ইশারা করে চলে যায়। যাওয়ার আগে বলে এবার থেকে পানি রাখতে। লোকটি অবাক হয়ে আবিদ দর্শিনীকে চলে যেতে দেখল।
গাড়িতে আবিদ একটু পরপর পানি খাচ্ছিলো। সে বরাবরই ঝাল এভোয়েড করে। আজ দর্শিনী জোর করেছে বলে খেলো। দর্শিনী আবিদের অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসছে। আবিদ গম্ভীর হয়ে দর্শিনীর দিকে তাকায়। দর্শিনী আরেকটা বোতল দিয়ে পানি খাচ্ছে। দর্শিনী আবিদের ঝালে অস্থির সুদর্শন মুখোবয়ব দেখে হাসি কন্ট্রোল করতে চাইছে। তবে আবিদের নজরে পরে যায়। আবিদ তাকে দেখে বলে,
‘লাইক সিরিয়াসলি দর্শিনী, আমি ঝালে কষ্ট পাচ্ছি। আর তুমি কী না হাসছো?’
দর্শিনী ঠোঁটে আঙ্গুল চেপে বলে,
‘কই নাতো? আপনি আমাকে হাসতে দেখেছেন? আপনার মনে হয় হ্যালুসিনেশন হচ্ছে, অতিরিক্ত ঝালে ভুলভাল দেখছেন।’
দর্শিনী মুখ ঘুরিয়ে হেসেই যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে দেখে আবিদ ঢকঢক করে বোতলের সব পানি খেয়ে নেয়। এবার দর্শিনী সিরিয়াস হওয়ার ভঙ্গিতে বলে,
‘মিষ্টি খেলে ঠিক হয়ে যাবে! সামনেই কোন মিষ্টির দোকানে গাড়ি থামান আমি এনে দিচ্ছি।’
আবিদ তড়িৎ গতিতে দর্শিনীর দিকে তাকায়। হঠাৎ তার ঠোঁটের কোণে সুক্ষ্ম হাসির রেখা দেখা যায়। সে দর্শিনীর উদ্দেশ্যে বলে,
‘নো নিড! আমি নিজেই নিয়ে নিতে পারবো, বউ।’
দর্শিনীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আবিদ তার দিকে অগ্রসর হয়। দর্শিনী কিছুটা আন্দাজ করে তাকে সরিয়ে দিতে চায়। আবিদ শোনেনি! দর্শিনীর নরম গালে আলতো করে হাত ছুঁয়ে ধরে। দর্শিনীর শরীর ঝিমঝিম করে উঠে। বাঁধা দেওয়ার আগেই আবিদ তার পুরুষালি ঠোঁট দ্বারা দর্শিনীর নরম কমল ঠোঁট আঁকড়ে ধরে। দর্শিনী তৎক্ষণাৎ চোখ বন্ধ করে নেয়। আবিদ দীর্ঘ সময় নিয়ে দর্শিনীর ঠোঁটে চুম্বন করে! দুজনের নিঃশ্বাস গাঢ় হয়। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আবিদ বেপরোয়া ভাবে দর্শিনীর ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে। ঐভাবেই আবিদ তাকে গাড়ির ফ্রন্টসিটে শুয়ে চুমু খেতে থাকে। সারা মুখে আদুরে স্পর্শ দিয়ে গলায় সিক্ত ঠোঁট জোড়া ডুবিয়ে মৃদু কামড় দেয়। দর্শিনী সহ্য করে নেয়। আবিদ একসময় তার শাড়ির আঁচল সরিয়ে দিতে চায়।অবস্থা ভয়াবহ দেখে দর্শিনী আবিদকে সরাতে চাইলে আবিদ বিরক্ত হয়ে বলে,
‘ডোন্ট মুভ! আই ওয়ান্ট ইউ নাও, বউ!’
দর্শিনী এবার আবিদের বুকে হাত দ্বারা বাঁধা দিয়ে বলে,
‘প্লীজ স্টপ।’
‘হোয়াই? কতোদিন তোমাকে কাছে পায়নি। আই রিয়েলি ওয়ান্ট ইউ!’
‘এটা আপনার বেডরুম নয় আবিদ; এটা পাবলিক প্লেস। মানুষ আছে আশেপাশে তাকিয়ে দেখুন!’
আবিদ তড়িৎ উঠে বসে। জনবহুল না হলেও আশেপাশে মানুষজন আছে। তবে গাড়ির কাচ লাগানো ছিল। লোকজন থেকে বেশ খানিকটা দূরেই পার্ক করা। তবে সাবধানতা অবলম্বন করাই বেটার। দর্শিনী উঠে বসে, এলোমেলো চুলটা ঠিক করে নেয়। তার মুখে লজ্জায় লাল আভা ফুঁটে উঠেছে। দুজনে কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছে না। আবিদের ঝাল কমে গেছে অনেক আগে। আজকে দর্শিনীর বাঁধা দেওয়াতে আবিদ যেন আহত হয়েছে। তবে তার সুদর্শিনী বউ ঠিক কাজটাই করেছে। সন্ধ্যা নেমে এসেছে!আবিদ দ্রুত গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে। আবিদ মৃদু লজ্জিত। তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে চায় সে। ছেলে মানুষ নিজের শখের নারীর প্রতি দ্রুত কন্ট্রোল হারায়। আজ যেন আবারো প্রমাণিত হলো।
পুরো রাস্তা আবিদ, দর্শিনী দুজনেই নিশ্চুপ ছিল। চৌধুরী ভিলাতে পৌঁছে দর্শিনী নিজেকে ঠিকঠাক করে নেয়। এমন লজ্জা রাঙা মুখে কারো সামনে পড়তে চায়না। সবাই যখন নিজেদের মধ্যে ব্যাস্ত ছিল।আবিদ তখন গটগট পায়ে নিজের রুমে চলে যায়। দর্শিনী হঠাৎ মন খারাপ করে ভাবে, আবিদ কী তার উপর রেগে গেছে? দর্শিনী নিজেও করুণ ফেস করে রুমে চলে যায়।
#চলবে
[ গল্পে রোমান্স পড়ার চেয়ে লেখা কঠিন বিষয়। লিখতে গিয়ে কতোবার ইডিট করতে হয়েছে আমাকে। সবাই ভুলত্রু’টি মানিয়ে নিবেন প্লীজ, আর রেসপন্স করবেন ]