#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব__৩৮
কয়েকদিন ধরে দর্শিনীর মান-অভিমানের তীব্রতা আবিদ দারুণ ভাবে আন্দাজ করেছে। সেদিন থেকেই দর্শিনী তাকে মারাত্মক ভাবে ইগনোর করে চলছে। আবিদের সঙ্গে কথা বলছে না। আবিদ বারংবার দর্শিনীর সঙ্গে কথা বলতে গেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আবিদ তার পিছন পিছন ঘুরেছে পযর্ন্ত। কিন্তু বিন্দুমাত্র পাত্তা পায়নি। রাতে দুজনে একই বিছানায় ঘুমায় ঠিকই তবে দুজনের মধ্যে নর্থ পুল সাউথ পুল দূরুত্ব ছিল। দূরুত্ব তৈরি করেছে দর্শিনী নিজেই। আবিদ যতবার কাছে ঘেষার চেষ্টা করেছে দর্শিনী আবিদকে সরিয়ে দিয়েছে। আবিদ বউকে কাছে পেয়েও একটু আদর করতে না পারায় ভিষণ ব্যাথিত ছিল। কিন্তু দর্শিনীর যেন বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। সে তো অভিমান করে আছে।
এদিকে দুইদিন ধরে আসফি দর্শিনীর কাছে অনেকবার এসেছিল ক্ষমা চাইতে। এমনকি ভাবি বলে কান পযর্ন্ত ধরেছে। সে যেহেতু শাস্তি পেয়েছে ভাইয়ের থেকে। এজন্য বারবার বলেছে সেদিনের জন্য সে ভিষণভাবে অনুতপ্ত। দর্শিনী পরবর্তীতে ক্ষমা করেছে আসফিকে। ক্ষমা না করে উপায় ছিলনা। এই কয়েকদিন লক্ষ্য করেছে আসফি ভয়ংকর ভাবে বদলে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা আসফির ফেস দেখে মায়া হচ্ছিলো দর্শিনীর। আবিদ তো সবটাই দেখেছে। দর্শিনীর আসফিকে ক্ষমা করার দৃশ্যটা ভালো লেগেছে তার। কিন্তু প্রজ্জ্বলিনীর সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগাযোগ করেনি দর্শিনী। এতে দর্শিনী নিজেই কষ্ট পাচ্ছিলো। তাই আবিদ দুইবোনকে নিয়ে চিন্তা করছিল। প্রজ্জ্বলিনী অবশ্য অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। সে ভিষণ ভাবে অনুতপ্ত যে আবিদকে রিকুয়েস্ট করেছিলো একবার প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে। হয়তো নিজে থেকে সবটা জানাতো দর্শিনীকে। শুরু থেকে সবটা! তাহলে দর্শিনী ওর সিচুয়েশন বুঝতে পারতো। হয়তো সে বোনকে ক্ষমা করে দিতো। কিন্তু সে বোনের উপর অভিমান করেছে। চায়নি কথা বলতে। মুখের ওপর ফোন কেঁটে দিয়েছে। এতে প্রজ্জ্বলিনী প্রচন্ড কষ্ট পায়। দর্শিনী এমনটা করে নিজেও কেঁদে ফেলে। এদিকে প্রেগন্যান্সির সময়টা খারাপ যাচ্ছে প্রজ্জ্বলিনীর। অল্পতেই শরীর খারাপ লাগে। সে ডিসাইড করেছে সুস্থবোধ করলে একসময় দর্শিনীকে নিজে থেকে করুণ ইতিহাসটা বলবে। কীভাবে সে ঠুনকো আবেগ, কৌতূহল নিয়ে আবিদের মায়ায় পড়েছিল। তারপর রিজেক্ট হয়ে এতোদিন ভুল ধারণা পোষণ করে রেখেছিল। এতসব ভুল ধারণার জন্য প্রজ্জ্বলিনী এমন করেছিলো। চাইছিল না আবিদের মতো লোকের সঙ্গে বোনের বিয়ে হোক। তবে সেইদিন প্রজ্জ্বলিনীর বিবেক তাকে এমনটা করতে দিচ্ছিলোনা। সবটা বলে দিবে প্রজ্জ্বলিনী। প্রিয় বোনের চোখে নিজের জন্য ঘৃণা সহ্য হবে না প্রজ্জ্বলিনীর। এরচেয়ে সবটা জানাতে পারলে হয়তো ভিতর থেকে শান্তি পাবে। তার মনের অশান্তি দূর করা প্রয়োজন, অতীব প্রয়োজন!
আবিদ সত্যি ভিষণ রাগী কিন্তু দর্শিনীর রাগের সামনে কিছুই করতে পারছেনা। তার বউ রেগে আছে এজন্য সে পাত্তা পাচ্ছে না। এটাই নির্মম সত্যি। আবিদ সত্যি জানেনা দর্শিনী কতদিন ধরে তাকে শাস্তি দিবে। তবে এইমুহূর্তে সে ভিষণ অসহায় বোধ করছে। কাউকে বলতে পারছে না সাহায্যের জন্য। দর্শিনী তার সামনেও আসেনা দিনের বেলা। রাতেও দ্রুত ঘুমিয়ে যায়। এদিকে প্রজ্জ্বলিনী বারবার তাকে রিকুয়েস্ট করেছে দর্শিনীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। আবিদ কিছু বলার আগেই দর্শিনী তাকে চুপ করিয়ে দেয়। জোর করেও লাভ হয়না। আবিদ তো জানতো তার সুদর্শিনী বউ তেজস্বিনী! তাই জোর না করে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
.
আদিবা ভিষণ জেদি মেয়ে। সে এতোদিন নিহালের ম্যাসেজের রিপ্লাই পায়নি তবুও প্রতিদিন একটি করে ম্যাসেজ দেয়। রাতে ঘুমানোর আগে বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিহালের আইডি দেখে। নিহালের ফটোতে কে কে কমেন্ট করছে সব চেক করে। লিস্টে থাকার এতোদিন পরে আজকে হঠাৎ নিহালের রিপ্লাই পেয়ে ইমোশনাল ফুল হয়ে গেছে। সত্যি বলতে আদিবার এখন রাগ হচ্ছে। লোকটা আজ রিপ্লাই দিয়েছে। কী প্রয়োজন ছিল রিপ্লাই দেওয়ার? রিপ্লাই দেওয়া একদম উচিত হয়নি, অহমিকা নিয়ে পড়ে থাকতো। সে রাগ করে টেক্সট সেন্ট করলো।
‘আপনাকে এতোদিন ধরে টেক্সট দেই। আপনার কী আমাকে মানুষ বলে মনে হয় না? এতোপরে রিপ্লাই দিয়ে কী বোঝাতে চাইছেন যে আমি আপনার প্রতি কতোটা এগ্রেসিভ, ইন্টারেস্টেড? আর আপনি বিরক্ত হয়ে রিপ্লাই দিচ্ছেন?’
নিহাল সবে মাত্র শুয়েছিল। আদিবার এমন টেক্সট দেখে হতভম্ব হয়ে উঠে বসে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। কী রিপ্লাই দেওয়া যায় এই কথার পরিবর্তে? সে বুঝতে পারছে না। কয়েক মিনিট ধরে কিছু লেখার চেষ্টা করতেই পরক্ষণে আদিবার আরেকটি টেক্সট আসে। নিহাল দেরী করায় আদিবা লিখেছে,
‘আপনি এমন কেনো? একটু সহজ হওয়া যায় না আমার সঙ্গে? আপনার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগে। পরিচয় হওয়ার পর কতোদিন হয়ে গেলো। অথচ আপনি এতোদিন আমাকে ইগনোর করে রেখেছেন। কেনো বলুনতো? এই আপনি কথা বলছেন না, কেনো?’
নিহাল আদিবার কথায় হঠাৎ করে আপসেট হয়ে পড়ে। দর্শিনীর বিয়ের পর থেকে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতটা সম্ভব কাজে ব্যাস্ত থেকে সবটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় আছে। কিছুটা সম্ভবও হয়েছে। দর্শিনীকে আগের মতো হুঠ করে আর মনে পড়েনা। পড়লেও আবিদের মুখটা দর্শিনীর সঙ্গে ভেঁসে উঠে। দৃশ্যটা মারাত্মক তাইতো নিহাল আর ভাবতে চায়না। কিন্তু এগুলো তো আর আদিবাকে বলতে পারবে না। তাই কিছু একটা লিখতে চাইছিল। পরবর্তীতে কেঁটে দিয়ে দ্রুত টাইপ করল,
‘সরি।’
আদিবার সমস্ত রাগ হঠাৎ যেন হাওয়াই মিইয়ে গেলো। ডা. নিহাল রায়হান তাকে সরি বলেছে। ভাবতেই অবাক লাগছে। হঠাৎ এক চিলতে হাসি ঠোঁটের কোণে ফুঁটে উঠল। অকস্মাৎ তার এতো খুশি খুশি লাগছে কেনো? সে দেরী করেনি ততক্ষণাৎ টাইপ করে,
‘সরি কেনো?’
ওপাশ থেকে নিহাল বলে,
‘এতোদিন পরে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।’
নিহাল আবারো টেক্সট দেয়,
‘দেখুন আমি সত্যি দুঃখিত! আপনার টেক্সটের রিপ্লাই দেয়নি বলে, রাগ করবেন না প্লীজ! আমি কিন্তু বিজি পার্সন। ডক্টর মানুষ, বুঝতেই পারছেন সারাদিন রোগী নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হয়। এজন্যই সময় হয়ে ওঠে না। আর যখন সময় পাই ইনবক্স চেক করতে পারিনা।’
আদিবা মন খারাপ করে টাইপ করে,
‘ওওও!’
‘এখন থেকে আপনি রিপ্লাই পাবেন।’
‘আমি অপেক্ষায় থাকবো!’
ব্যাস এই কথাটুকু যথেষ্ট ছিল আদিবার এক চিলতে হাসির জন্য। সে ফোনটা বিছানায় রেখে হানি সিং-য়ের গানে নাচতে থাকে। হানি সিং হচ্ছে আদিবার পছন্দের সিঙ্গার। এই আনন্দঘন মুহূর্তে পছন্দের সিঙ্গারের গানে, নাচটা হওয়ার-ই ছিল।
.
অক্টোবর মাস! থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর। নাতিশীতষ্ণ অবস্থা চারিদিকে। দর্শিনী বৃষ্টি দেখছে। এটা যদি মুহতাসিম ভিলা হতো দর্শিনী প্রজ্জ্বলিনীর সঙ্গে বৃষ্টিবিলাস করতো। তার হঠাৎ বোনের কথা মনে পড়ছে। আগের সব স্মৃতি মস্তিষ্কে উঁকি দিয়ে যায়। তার মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে গেলো। বোনের মুখের উপর ফোন কেঁটে দেওয়ার পর থেকে তিন-চারবার কান্না করেছে। দর্শিনী এমনটা করতে চায়নি কিন্তু বোনকে তো বুঝতে হবে তার রাগ করাটা কতোটা স্বাভাবিক। বোনের উপর রেগে নেই দর্শিনী কিন্তু বড্ড অভিমান করে আছে। সেইদিনের ঘটনা মনে পড়লেই প্রজ্জ্বলিনীর মুখটা ভেঁসে উঠছে। ততক্ষণাৎ কষ্ট অনুভব করছে দর্শিনী। আর আবিদ? সেতো এতোবার সরি বলল কিন্তু দর্শিনী ইচ্ছে করেই ওকে ঘোরাচ্ছে। আবিদের একটু শিক্ষার হওয়ার দরকার আছে। হাসবেন্ড ওয়াইফ তারা। তাদের মধ্যে কোনো কিছু গোপন থাকার কথা না। আবিদ এইটা বলেছিলো তাকে। তবে নিজেই কথা রাখতে পারল না। এতোবড় একটা ম্যাটার লুকিয়ে ভেতরে ভেতরে কতো অশান্তিতে ছিল সবাই। আবিদ নিজেও সবটা জানার পর নিশ্চয়ই ভালোকিছু অনুভব করেনি। ভালো কিছু অনুভব করার মতো কথা, অন্তত না। বিষয়টি অত্যন্ত বিদঘুটে ছিল। তার কাছে আবিদ সবটা লুকিয়ে একদম ঠিক করেনি এজন্য থাকুক দুইদিন এভাবে। একয়েকদিন একটুও পাত্তা দেবে না দর্শিনী, তাকে।
আবিদ রুমে এসেছে। দর্শিনী একবার তার দিকে তাকিয়ে আবার বৃষ্টি দেখায় মন দিয়েছে। আবিদের মাথা গরম হয়ে আছে। একদিন, দুইদিন, চার-পাঁচদিন ধরে দর্শিনীর বাড়াবাড়ি সহ্য করছে। তার অনুভূতি, ভালোবাসাকে মারাত্মক রকমের অগ্রাহ্য করছে দর্শিনী। এতে অনেক অপমানিত হয়েছে আবিদ। সে আর সহ্য করতে পারছে না। আজ আবিদ কথা বলবে দর্শিনীর সঙ্গে। কী চায় কী দর্শিনী? সে মারা যাক? এতে কে বেশি কষ্ট পাবে? দর্শিনী নিজেই পাবে। এভাবে আবিদকে অবহেলা করে কষ্টতো দিচ্ছে, সেইসঙ্গে নিজেও কষ্ট পাচ্ছে। সে এসব আর সহ্য করবে না, মোটেও না।
আবিদ ব্যালকনির দিকে এগোতে থাকে। দর্শিনীর পিছনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ বলে উঠে,
‘রুমে চলো! গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে আমার।’
দর্শিনী না তাকিয়ে বুঝতে পেরেছিল আবিদ তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। সে ওভাবেই বলল,
‘আমি আপনার কথা শুনতে ইচ্ছুক নই, আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী!’
আবিদের কী হলো জানেনা! হঠাৎ সে দর্শিনী হাত ধরে ঘরে নিয়ে যেতে বলল,
‘শুনতে তোমাকে হবে, ইটস ইর্ম্পটেন্ট!’
‘আমার হাতে ব্যাথা লাগছে, ছাড়ুন!’
আবিদ ছাড়েনি বরং সোজা হয়ে দর্শিনীর মুখোমুখি দাঁড়ায়। সে শক্ত করে দর্শিনীর বাহু ধরে তীব্র রাগ নিয়ে বলে,
‘দর্শিনী, কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছো এভাবে? আমি সবটা লুকিয়েছি কিন্তু তোমার কথা ভেবেই। কী শুরু করেছো তুমি? আমার কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করোনা। সবসময় দূরে দূরে থাকছো। আমি তোমার হাসবেন্ড, দর্শিনী। এতটা পর করে দিলে? এজন্যই আমার দিক থেকে শোনার প্রয়োজন বোধ করছো না?’
দর্শিনী অশ্রুসিক্ত চোখে আবিদের শক্ত কঠোর মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। সে হঠাৎ আবিদের হাতের বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে ছটফট করে উঠে। দর্শিনীকে চুপ থাকতে দেখে আবিদ রেগে যায়। সে একটু জোরে ধমক দিয়ে বলে,
‘স্টপ, একদম নড়াচড়া করবা না! দর্শিনী, আনসার মি ড্যাম ইট।’
দর্শিনী একটু ভয় পেয়ে গেছে আবিদের ধমকে। ঠিক সেইসময় দর্শিনীর ফোন বেজে উঠে। আবিদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে দর্শিনীকে ছেড়ে দেয়। সে দর্শিনীকে ফোনটা রিসিভ করতে বলে অন্যদিকে ঘুরে তাকায়। হয়তো এইমুহূর্তে রাগ কন্ট্রোল করতে চাইছে। আবিদের উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ মুখশ্রী লাল হয়ে গেছে। দর্শিনী বুঝতে পারছে সে আবিদকে সত্যিই রাগিয়ে দিয়েছে। এতদিনে আবিদের হালকা রাগ প্রকাশ হলো দর্শিনীর কাছে। না জানি পুরোপুরি রাগলে আবিদকে কতোটা হিংস্র লাগবে। দর্শিনী ভয়ে ভয়ে ফোনটা রিসিভ করে। প্রিয়মা বেগম ফোন দিয়েছেন। দর্শিনী সালাম দিয়ে হ্যালো বলতেই মায়ের কান্নাভেজা কন্ঠ শুনতে পায়। দর্শিনীর আঁতকে উঠে। হঠাৎ তার মা কাঁদছে কেনো?
‘তুমি কাঁদছো কেনো, মা? ঠিক আছো তুমি?’
‘প্রিয় প্র..প্রজ্জ্বলিনী…’
অজানা আতঙ্কে দর্শিনী ভয় পেয়ে যায়। মায়ের কান্না আবার প্রজ্জ্বলিনীর কথা ভেবে উদগ্রীব হয়ে বলে,
‘কী হয়েছে আপুর, মা? কথা বলছো না কেনো?
দর্শিনী প্রায় কেঁদে ফেলেছে। আবিদ স্তম্ভিত হয়ে যায় দর্শিনীকে কাঁদতে দেখে। অজানা আতঙ্কে আবিদ ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গেছে। ফোনের ওপাশে প্রিয়মা বেগম কী বলল শুনতে পায়নি ঠিকই, কিন্তু বড়-সড় বিপদ আন্দাজ করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। দর্শিনীর মনে হচ্ছে তার হৃদয়ে কেউ ছুরিঘা’ত করেছে। তার বোন কালকে তার সঙ্গে একবার কথা বলার জন্য কতো অনুনয় বিনয় করল। দর্শিনী শোনেনি! ফোন কেঁটে প্রজ্জ্বলিনীকে কষ্ট দিয়েছিল। আজ হঠাৎ এমন দূর্ঘটনা। বোনের জন্য প্রচন্ড অপরাধ বোধ হচ্ছে দর্শিনীর। দর্শিনী হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আবিদকে বলে,
‘সময় নেই আবিদ, আমাকে এখুনি হসপিটালে নিয়ে চলুন। আপুর সঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটে গেছে। তাড়াতাড়ি চলুন প্লীজ।’
#চলবে
[ প্রজ্জ্বলিনীর আগের শাস্তিতে অনেকজন দেখি সন্তুষ্ট ছিলোনা। এখন আপনারা বলেন তার কী শাস্তি চান? আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। সবাই কমেন্টে জানাবেন! পর্বটা অগোছালো ভুলত্রু’টি মানিয়ে নিবেন প্লীজ, আর রেসপন্স করবেন ]