প্রিয়তার প্রণয় পর্ব-৩৪ এবং শেষ পর্ব

0
1942

#প্রিয়তার_প্রণয়
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_৩৪( অন্তিমপর্ব)

ইয়াশ এয়ারপোর্টে এসে পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে এপাশ ওপাশ খুঁজে বেরাচ্ছে কিন্তু কোথাও প্রিয়তা নেই। সব যাত্রীকে দেখে নিয়েছে সে। শুধু যেগুলো আহত বা নিহত হয়েছে ওগুলোকে হাসপাতালে এবং ম*’র্গে পাঠানো হয়েছে। ইয়াশের এবার নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে। এয়ারপোর্টে সবাই এসে পৌঁছেছে। ইয়াশ সবাইকে বাড়ি যেতে বলে নিজে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। ইয়াশের কোন দিকে খেয়াল নেই, সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না প্রিয়তা কোনভাবে হাসপাতালে থাকতে পারে। ইয়াশ দ্রুত গাড়ি ড্রাইভ করে ফাঁকা রাস্তাটুকু কিন্তু রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে তার হাসপাতালে পৌঁছতে প্রায় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। সে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যায়, খোঁজ খবর নিয়ে আহত রোগীরা যেখানে আছে সেখানে চলে যায়। আহত সবাইকে এক রুমেই রাখা হয়েছে ডাক্তাএ তাদের দেখছে। সে এগিয়ে যেতেই দুজন এগিয়ে এসে ইয়াশকে নিয়ে যায়।
ইয়াশ এগিয়ে গিয়ে একপাশ থেকে দেখা শুরু করে।
___________

বাসায় কারও মুখে কোন কথা নেই, প্রিয়তার মা তো বিলাপ করে কান্না করেই যাচ্ছে। প্রিয়তার বাবা মাথায় হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে।
ইয়াশের মার একটাই কথা ছেলে মেয়ে দুটো এতদিন পর একসাথে হওয়ার কথা ছিল আর প্রিয়র সাথেই এই দূর্ঘটনাটা হওয়ার ছিল! কারও চোখের পানিই যেন বাধ মানছে না। আরশি বারবার সবাইকে থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। বাহিরে গাড়ি এসে থামার শব্দ হতেই সবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বাহিরের দরজার দিকে গেল।

— দেখ না ছেলেটা বোধ হয় ফিরে এলো, কি যে খবর নিয়ে এলো আল্লাহ জানে….

— চিন্তা করো না মা প্লিজ, আল্লাহ এতটা খারাপ কিছু আমাদের সাথে হতে দেবে না দেখে নিও তুমি।

— তোর কথা যদি সত্যি হতো রে মা! আমার ছেলেটার যে কি অবস্থা হয়েছে তা একমাত্র আল্লাহ জানে। আমার ছেলে তো তখনই পাগল পাগল ছিল।

— এত চিন্তা করো না মা। নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।

বাহিরে কে আসছে, ভেতরে আসতে দেরি করছে দেখে বাহিরে যাওয়ার চিন্তা করে তখনই দারোয়ান দরজায় ছুটে এলো। বেচারা হাপিয়ে উঠেছে।

— আরশি আপা, আরশি আপা…

— কি হয়েছে? কে এসেছে বাহিরে?

— বউমনি….

— বউমনি!! কি বলছো এসব?

__________

ইয়াশ একেএকে সব বেডের রোগীকে দেখে নিয়েছে। যখন শুনলো আহত রোগী আর নেই তখন তার বুকের মধ্যে চিনচিন ব্যথা শুরু হয়ে যায়। চোখ ঘোলা হয়ে আসে, তবে কি তার ভালোবাসাও বিরামহীন হলো না? শেষে এই দূর্ঘটনা নামক দাড়িচিহ্ন থামিয়ে দিলো সবকিছু! কিন্তু প্রিয়তা তো কথা দিয়েছিল সে এসে ইয়াশের বুকটা দখল করে নেবে। কতদিন ইয়াশের বুকটা মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করছে। প্রিয়তা আর ইয়াশের কাটানো মুহূর্তের কথা মনে পড়ছে বারবার। নাহ ইয়াশ আর ভাবতে পারছে না। প্রচন্ড মাতা ব্যথা করছে, মনে হচ্ছে এখনই সেন্সলেস হয়ে যাবে। নিজেকে সামলে নিলো সে। একজন এসে ইয়াশের সামনে দাঁড়ালো।

— স্যার সব রোগী তো দেখা শেষ, এখন শুধু ম*’র্গ বাদ আছে।

— হ্যাঁ? ওহ আচ্ছা ম*’র্গ তাই না! ম*’র্গ বাকি আছে।

— জি স্যার আমার সাথে আসুন।

— ম*’র্গে যেন অন্তত প্রিয় না থাকে, এটা আমি নিতে পারব না আল্লাহ! তুমি প্লিজ ওকে এখানে মিলিয়ে দিও না।

কথাটা বলে চোখের অবশিষ্ট পানি মুছে ম*’র্গে প্রবেশ করল। এয়ারপোর্ট থেকে তিনটা লা*’শ এসেছে তার মানে তিনজন নি*’হত।

ইয়াশ এগিয়ে যেতেই সেই লোক একটা লাশের মুখের ওপর থেকে কাপড় সরাতেই ইয়াশ চোখ বন্ধ করে নেয়। কয়েক সেকেন্ড পর চোখ খুলে অন্য কাউকে দেখে, হাফ ছেড়ে বাঁচে ইয়াশ। মাথা নাবাচক ভঙ্গিতে নাড়ালে লোকটা লা*’শের মুখ ঢেকে দিয়ে অন্যদিকে যায় ইয়াশও পিছুপিছু যায়। আরেকটা লা*’শের মুখের ওপর থেকে কাপড় সরানো হয়, নাহ এটাও না। এবার শেষের টার দিকে যেতে যেতে কেমন আশার আলো ফুটছে আবার ভয়ও লাগছে এই লা*’ শের শারীরিক আকৃতি অনেকটাই প্রিয়তার মতো। এবার ভয়ে ইয়াশের সমস্ত শরীর কাপুনী দিয়ে উঠে। এটা যদি কোনভাবে প্রিয় হয়ে যায় তাহলে কি করবে সে! তার তো আর বেঁচে থাকার কোন সম্বল থাকবে, সে তো কিছু সময়ের জন্য একে অপরের দূরত্ব মেনে নিয়েছিল, না থাকা তো মানতে পারবে না। লোকটা শেষ লা*’শের মুখের ওপর থেকে কাপড় সরাবে ওমনি ইয়াশের ফোন বেজে ওঠে। ইয়াশ লোকটাকে থামতে বলে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে আরশি কল দিয়েছে।

— হ্যাঁ হ্যাঁ আরশি ব বল।

— ভাইয়া এক্ষুনি বাসায় চলে এসো, এক মুহূর্ত আর দেরি করবে না তুমি।

— আবার কি হয়েছে বাসার সবাই ঠিক আছে তো?

— ভাইয়া কিচ্ছু বলতে পারছি না প্লিজ।

— তুই আমার অবস্থা বুঝতে পারছিস না আরশি?

— ভাইয়া বুঝতে পারছি কিন্তু এখন তোমাকে খুব প্রয়োজন।

— মা বাবা ঠিক আছে তো?

— হ্যাঁ, প্লিজ ভাইয়া ফাস্ট চলে এসো।

আরশি কল কেটে দেয়, ইয়াশ বুঝতে পারে না কি হয়েছে। লোকটা অনুমতি চায় শেষ লা*’শটা দেখানোর। ইয়াশ মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বললে লোকটা লা*’শ থেকে কাপড় সরালে ইয়াশ আশ্চর্য হয়ে যায় এটা তো তার প্রিয় না………
ইয়াশ আর কিছু না বলে বেরিয়ে যায় সেখান থেকে, আরশির কলটা তাকে ভীষণ পীড়া দিচ্ছে।
ইয়াশ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। আজকে যেন সত্যি সত্যি রাস্তা বেড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়।

বাসায় ঢুকেই দেখে সবাই এটা ওটা করতে ব্যস্ত। প্রিয়তার মা আর তার মা রান্নাঘরে, বাবারা নেই বসার রুমে আরশিও নেই। আরশি কল দিয়েছিল অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। ইয়াশকে দেখে তার মা এগিয়ে এলো সাথে প্রিয়তার মাও। ইয়াশকে একদম বিদ্ধ*স্ত দেখাচ্ছে।

— সারাদিন অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ি করেছিস এখন যা ফ্রেশ হয়ে নে। আরশি তোর রুমেই আছে পাঠিয়ে দিস।( প্রিয়তার মা)

— হ্যাঁ যা তো বাবা ফ্রেশ হয়ে নে।(মা)

— মা তোমরা কি আমার সাথে মজা করছো? না মানে হাসি হাসি মুখ করে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলছো মানে? প্রিয়কে পাওয়া যাচ্ছে না মা, তোমরা এতটা নরমাল কিভাবে আছো এখন?

— উহু কোন কথা না যা রুমে যা, গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নে। আমরা রান্না শুরু করেছি দুপুরে নিচে এসে খেয়ে যাস।

— মা…..

দুজন আর কথা না বাড়িয়ে রান্না করতে চলে গেল। ইয়াশ বুঝে উঠতে পারছে না কি হচ্ছে এখন তার সাথে! তাদের দুজনের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর আর কোন উত্তর না পেয়ে নিজের রুমের দিকে যায়। আরশির সাথে দেখা হয়ে যায়।

— আমি নিচে তোমার গলা শুনছিলাম বুঝতে পেরেছি তুমি এসেছো।(আরশি)

— সমস্যা কি তোদের আমাকে একটু বলবি প্লিজ? এতটা নরমাল কিভাবে তোরা? প্রিয়তাকে খুঁজে পাই নি আমি এয়ারপোর্ট, সমস্ত হাসপাতাল আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি কিন্তু প্রিয়কে কোথাও পাই নি আমি। অথচ বাসায় এসে অন্যরকম পরিবেশ, তোরা এতটা নরমাল কিভাবে হয়ে গেলি?

— ভাইয়া যেটা হয়েছে হয়েছে ভুলে যাও কষ্ট পেয়ো না। এখন যাও তো তোমার রুমে যাও, ফ্রেশ হয়ে নাও।

— এই আরশি দাঁড়া, বল কি হচ্ছে এসব?

— রুমে গেলেই বুঝতে পারবে…..

কথাটি বলেই আরশি ইয়াশকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। ইয়াশ কি করবে, তার সাথে কি হচ্ছে বুঝতে পারে না।

ইয়াশ নিজের রুমের ভেতরে পা বাড়ালেই সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তিকে দেখে চরমভাবে আশ্চর্য হয়। চোখ বড় বড় হয়ে যায়, শরীর সেখানেই স্থীর হয়ে যায়, চোখ দিয়ে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে। সামনে থাকা ব্যক্তিও তাকে দেখে কান্না করে দেয় দৌঁড়ে এসে ইয়াশকে জড়িয়ে ধরে। অজান্তেই ইয়াশের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়,”প্রিয়”!
ইয়াশ আর এক মুহূর্ত দেরি না করে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে প্রিয়তাকে, চিৎকার করে কান্না করে দেয় ইয়াশ। পুরুষ মানুষ কষ্ট আর কান্না এতটা ভয়াবহ তখন সেটা শুধু প্রিয়তা বুঝেছিল। প্রিয়তাও নিজেকে আটকে রাখতে পারে নি, ইয়াশের বুকে মাথা রেখে ইচ্ছেমতো কান্না করে কষ্ট কমিয়ে নিয়েছিল সে। বুক থেকে মাথা উঠিয়ে ইয়াশের দিকে তাকাতেই ইয়াশ তার ঠোঁট দিয়ে আদরে ভরিয়ে দেয় প্রিয়তার কপাল, চোখ, গাল, ঠোঁট। ঠিক যেন ভালোবাসার ঝড় উঠে গিয়েছে, এই ঝড় বিরামহীন চলবে, থামার নয়।

কেটে যায় অনেকটা সময়, প্রিয়তা বিছানায় বসে আছে আর ইয়াশ প্রিয়তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে। কি হয়েছিল আজকে বলতে থাকে প্রিয়তা,

বিমান থেকে অনেকে আহত হলে তার কোন ক্ষতি হয় নি, কিন্তু নিচে নেমে আসার পর একটা বাচ্চা তার বাবা-মাকে খুঁজে পাচ্ছিলো না জন্য সে বাচ্চাটাকে নিয়ে তার বাবা মাকে খুঁজছিল। অনেকক্ষণ সামনের দিকে বসে থেকেও পায় নি। তারপর খুঁজতে আরম্ভ করে এর মাঝে কেটে যায় অনেকটা সময় অনেকক্ষণ খোঁজার পর তারা পায়। বাচ্চাকে তার মা বাবার কাছে দিয়ে বাসায় আসে, রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকায় অনেকটা দেরি হয়ে যায়। প্রিয়তা ইয়াশের দিকে তাকিয়ে দেখে ইয়াশের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। প্রিয়তা ঠেলে উঠিয়ে বসায় ইয়াশকে।

— তুমি কান্না করছো কেন বল তো?

— আজকে খুব ভয় পেয়েছি জানো, শুধু জানটা বেরোনো বাকি ছিল আমার।

— আমি তো ঠিক আছে তাই না? মেয়ে মানুষের মতো কান্না করবে না তো।

— কান্না করার জন্য মেয়ে মানুষ হতে হয় না ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয় যথেষ্ট। বিশ্বাস কর আজকের মত ভয় আমি কোনদিন পাইনি।

— চলো ঘুরে আসি।

— কোথায়?

— জানি না তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাব।

— এখন?

— বিকেলে।

— আচ্ছা ঠিক আছে যাব।
প্রিয়তা ইয়াশের বুকে মাথা রাখে, এই বুকটা তার একদম নিজস্ব, এখানে কারও ভাগ নেই। এখানে মাথা রেখে সব কষ্ট ভুলে যেতে পারে ঠিক আগের মত।
________

সারাবিকেল দুজন অনেক ঘুরাঘুরি করে সবার জন্য খাবার নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। রাতের ডিনার সেরে ইয়াশ রুমে চলে যায়। প্রিয়তা বসে বসে সবার সাথে গল্প করছে। পরিবেশটা কি সুন্দর ,সবার মুখে হাসি লেগে আছে অথচ কতদিন দেখা হয় নি তাদের। ঘড়ির কাটায় বারোটা বেজে গেছে, কেউ খেয়ালই করে নি কখন এতরাত হয়ে গিয়েছে। সবাইকে ঘুমাতে বলে উঠে দাঁড়ায় ইয়াশের মা, সবাই যার যার রুমে চলে যায়। প্রিয়তা ফোন হাতে নিয়ে দেখে ইয়াশ অনেকবার কল দিয়েছে। দৌঁড়ে রুমে চলে যায় সে।
ইয়াশ বসে বসে কিছু একটা করছিল, প্রিয়তা পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
— স্যরি স্যরি কখন এতরাত হয়ে গিয়েছে বুঝতে পারি নি আর ফোন সাইলেন্ট ছিল।

— কোন কথা না এসো আমার সাথে…(ইয়াশ প্রিয়তাকে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়)

দুজন চুপচাপ দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের চাঁদ দেখছে। হঠাৎ কোমড়ে স্পর্শ অনুভব করে প্রিয়তা। কাধের ওপর মুখ দিতেই আরেকবার চমকে যায় প্রিয়তা। টানা পাঁচ বছর পর প্রিয় মানুষের স্পর্শ নতুনত্ব প্রকাশ করছে।
“ওই যে চাঁদ দেখছো না কেমন একা আছে, তুমি ছাড়া এতগুলো দিন আমার ঠিক এরকম একাকিত্বে কেটেছে। সব থেকেও মনে হচ্ছিলো কিছু একটা নেই। আজকে সেই কিছু একটার শূণ্যস্থান পূরণ করে দিয়েছো। প্রিয়তা ইয়াশের দিকে ঘুরে তাকায়, কিছু বলতে যাবে তখনই ইয়াশ ইশারায় বুঝিয়ে দেয় নাহ আজ আর কোন কথা না অনেকদিন অপেক্ষার পর কাছে আসা, আজকে শুধু ভালোবাসা জায়গা করে নেবে আর কিছু নয়।
ইয়াশকে আরও কাছে আসতে দেখে প্রিয়তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় ঠিক আগের মতো যখন ইয়াশকে দেখলে হৃৎপিন্ড বেহায়াপনা করতো। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে প্রিয়তা। ইয়াশের ঠোঁট দুটো প্রিয়তার ঠোঁট স্পর্শ করলেই সে চোখ বন্ধ করে নিয়ে ইয়াশের শার্ট চেপে ধরে।
কিছুক্ষণ পর প্রিয়তাকে ছেড়ে দিলেও ইয়াশ খেয়াল করে প্রিয়তা এখনও চোখ বন্ধ করে আছে। প্রিয়তার হাত থেকে নিজের শার্ট ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে কোলে তুলে নেয়। প্রিয়তা যেন এবার আর লজ্জায় নিজেকে লুকোতে পারছে না। ইয়াশের বুকে মুখ গুজে চোখ বন্ধ করে নেয়। ইয়াশ প্রিয়তাকে কোলে নিয়ে রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়।

আজকের রাত শুধু ভালোবাসার রাত, প্রিয়জনকে কাছে পাবার রাত। এ রাতে আর কোন দুঃখ নেই, নেই কোন একাকিত্ব। আজকে শুধু ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে, অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে দুজন দুজনকে সবচেয়ে কাছে পাবে শুরু হবে দুজনের একসাথে পথ চলার নতুন এক অধ্যায় যেখানে সবখানে মিশে আছে শুধু বিরামহীন ভালোবাসা আর ভালোবাসা।

গল্পটা কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, যারা পড়ে চুপচাপ চলে যান আজকে অন্তত মন্তব্য আশা করতেই পারি।
অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি এই গল্প থেকে। আমি তানিয়া মাহি দুই একদিনের মধ্যে আবার নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি গল্পটা আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন ভালোবাসার মানুষগুলোকে সাথে নিয়ে।

সমাপ্ত🌼

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে