প্রথম দেখায় ভালোবাসা Part-01
লেখা-jannatul ferdous.
একটা মেয়ের প্রোপাইলে ডুকতে ভালোই লাগে রোদের।মাঝেমধ্যই প্রোপাইলে ডুকে আপলোড দেওয়া পিকে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে সুন্দর সুন্দর কমেন্টসও করে।কিন্তু মেয়েটা কোনো রকম ভাবেই পাত্তা দিচ্ছিলো না।কিছুদিনের মধ্যে মেয়েটাকে রোদের খুব ভালো লেগে গেছিলো।তাই একদিন নিজে থেকেই মেসেজ করে পেললো রোদ মেয়েটাকে।
রোদ-হ্যালো।
মেয়েটা-জ্বি বলুন।
রোদ-নাম কী আপনার?
মেয়েটা-রাগীনি।
রোদ-ওয়াও নাইচ নেইম।তবে আইডির নামের মত আপনিও মায়াবী।
রাগিনী-হুম ধন্যবাদ।
রোদ-থাকেন কই?
রাগিনী-বাড়িতে।
রোদ-বাড়ি কই?
রাগিনী-বাংলাদেশে।
রোদ-জায়গার নাম কী?
রাগিনী-নাম দিয়ে আপনার কাম কী?
রোদ-বলা যায় না বুজি?
রাগিনী-বললে যদি আবার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন।
রোদ-প্রোপাইলের পিক গুলো কার?
রাগিনী-প্রোপাইল মালিকের।
রোদ-তাহলে তো আসতেই পারি যদি প্রোপাইল মালিকের আপত্তি না থাকে।
রাগিনী-আপত্তি আছে তো।
রোদ-কিসের আপত্তি?
রাগিনী-আমি তো প্রেম করে বিয়ে করবো।
রোদ-তাহলে চলো করি।
রাগিনী-আয়নায় নিজেকে দেখেছো?
রোদ-হুম অনেকবার দেখেছি
রাগিনী-দেখতে কেমন?
রোদ-আমি নিজের কথা নিজে কীভাবে বলি।
রাগিনী-আমি বলি?
রোদ-বলো।
রাগিনী-তুই দেখতে একটা বান্দর,মুখপোড়া হনুমানের বড় ভাই,এনাকন্ডার মত,জিরাফের মত মুখ লম্বা,হাতির মত মটু।
বলেই ব্লক দিয়ে দিলো রীগিনী রোদকে।এগুলা দেখে রোদ পুরো থ হয়ে গেলো।রীতিমত অপমান করলো রাগিনী রোদকে।
রোদ-দাঁড়া তোকে আমি দেখাচ্ছি।
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই রাগিনী আইডিতে ডুকতে পারছিলো না।ওইদিকে রোদ বসে বসে রাগিনীর অনলি মি-এর পিকগুলো দেখছিলো।
রোদ-ওয়াও এত কিউট।নীল শাড়িতে মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগছে।চোখ ভর্তি কাজল,কাচের চুড়ি দেওয়া হাতে।তোমাকে যখন ভালো লেগেছে তখন তো আমার করেই ছাড়বো।
আইডি থেকে পিক গুলো নিজের ফোনে নিয়ে নিলো রোদ।তারপর আইডির ফোন নম্বরে কল দিলো রাগিনীকে।
রোদ-হ্যালো রাগিনী।
রাগিনী-কে?
রোদ-রোদ।
রাগিনী-কোন রোদ?
রোদ-কালকের কথা মনে নেই?
রাগিনী-ও তুই হনুমানের বাচ্চা।
রোদ-চুপপপ তোমার আইডি কিন্তু আমার কাছে।
রাগিনী-তার মানে তুই সেই আমার জন্মগত শত্রু।
রোদ-আইডি চাই?
রাগিনী-হুমম।
রোদ-তাহলে আমার সাথে মিট করো।
রাগিনী-এ্যা আইডির জন্য মিট করতে পারবো না।
রোদ-আমি তাহলে তোমার বাড়ি গিয়ে উঠলো।তোমার সব লোকেশন কিন্তু আমি জেনে গেছি।তারপর তোমার বাবা মাকে……
রাগিনী-না না না করবো।
রোদ-হুম গুড গার্ল।মেসেজ করে বলে দিচ্ছি কোথায় আসতে হবে?আর হ্যা নীল শাড়ি,চোখে কাজল আর নীল কাচের চুড়ি পড়ে আসবে।ঠিক তোমার অনলি মি-তে রাখা ছবিটার মত।
রাগিনী-আচ্ছা।
ফোন রেখে দিতেই রাগিনী নিজেই নিজেকে বকছে।কেন যে কাল এত কিছু বলতে গেলো।এখন এত সেজেগুজে নাকি দেখা করতে যেতে হবে ওই মুখ পোড়া হনুমানটার সাথে।??
বিকেলে রাগিনী অপেক্ষা করছে আর ঘড়ি দেখছে।মুখে বিরক্তির চাপ।রোদ দূরে আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখছে রাগিনীকে।রাগিনীর বিরক্তিকর মুখটা দেখে মিটি মিটি হাসছে রোদ।
রাগিনী-সেই কখন থেকে বসে আছি।এখনো আসলো না।দূর আমার টাইমের মনে হয় যেনো কোনো মূল্য নেই।
রাগিনী উঠে চলে আসতে চাইলেই রোদ আসলো।দেখেই মুখ বাকা করলো রাগিনী।
রোদ-নামটা যেমন তুমি মানুষটাও তেমন।
রাগিনী-তো কী করবো।জানেন আজকে আমার বিএফের সাথে দেখা করার কথা ছিলো,আপনার জন্য হলো না।
কথাটা শুনেই রোদ থমকে গেলো।কি বলছে রাগিনী এসব।তাহলে প্রথম দেখায় ভালো লাগা তারপর ভালোবাসা সব মিথ্যে হয়ে যাবে।
চলবে…????✌