প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০৮
#jannatul_ferdous
খাবার মুখে দিয়েই ঝালে রাদের মুখ জ্বলে যাচ্ছিলো।চিৎকার দিতেই রাগিনী এসে পানি খাওয়ালো রাদকে।তারপর ফ্রিজ থেকে মিষ্টি এনে দিলো।
রাদ-ভাবি আমি রুমে যাচ্ছি।
রাগিনী-আচ্ছা যাও।রিত্ত তোর ছেলেমানুষী এখনো কমলো না।আমি জানি এটা তুই করেছিস।
রিত্ত-নিজে মনে হয় যেন কত্ত বড় হয়ে গেছোত।
রোদ-শালিকা এ জীবনেও বড় হবে না।সকাল সকাল আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে।
রাগিনী-তুমি রাতে আমাকে ভিজালে কেন?
রোদ-তাই বলে তুমি আমাকে ভিজিয়ে দিবে।
রাগিনী-যা করেছি একদম ঠিক করেছি।তুমি আগে করছো কেন?
রিত্ত-এদের মাঝে থেকে কান শেষ করা ছাড়া উপায় নেই।আমি রুমে যাচ্ছি।
রোদের আম্মু-আরে সকাল সকাল দুই জন মিলে কী শুরু করলে।
রোদ-আম্মু তোমার বউ মা যা অত্যাচার করে।
রোদের আম্মু-(রোদের কান ধরে)তুই নিশ্চয়ই ওকে রাগিয়েছিস।
রোদ-আম্মু ছাড়ো লাগছে তো।
রোদের আব্বু-আরো জোরে দাও মেয়েটা কালকে মাত্র এই বাড়িতে আসলো আর তুই ঝড়গা করছিস।আয় তো মা এই দিকে আয়।
রাগিনী-হুমম একদম ঠিক আছে।
রোদের আব্বু-চল মা একসাথে নাস্তা করবো।
রোদের আম্মু-তোমরা বসো আমি নাস্তা আনতেছি।
রোদ-এই খাওয়া ছাড়া কিচ্ছু পারলে আম্মুকে একটু হেল্প করো।
রোদের আব্বু-আমার মা টা কী এই বাড়িতে এসেছে এসব করতে নাকি।
রোদের আম্মু-তুই এভাবে একদম বলবি না ওকে।
রাগিনী-আহহহহ
রোদ-কী হইছে?
রোদের আম্মু-হাত কেটে পেললি তো।দে ছুরিটা দে।রোদ একটু ব্যান্ডেজ করে দে ওকে।
রাগিনী-লাগবে না আম্মু।
রোদের আম্মু-কত খানি কেটে গেছে,চুপ থাক।
ব্যান্ডেজ করে দিয়ে রোদ নিজ হাতে খাইয়ে দিলো রাগিনীকে।
রাগিনী-তুমি খাবে না?
রোদ-এত টা কেয়ারলেস কেন তুমি?
রাগিনী-আমি খেয়াল করিনি।
রোদ-তুমি বুজো না আমারও কষ্ট হয়।
রাগিনী-আর করবো না এরকম।যা করবো দেখে শুনে করবো।
রোদ-মনে থাকে যেনো।
রাগিনী-হুমম।
কিছুক্ষন পর রিত্ত আবারও নিছে নামলো।
রিত্ত-ভাইয়া।
রোদ-বলো।
রাগিনী-আমি বাড়ি যাবো।
রোদ-কালকে যাইয়ো।
রিত্ত-তোমরা কাল যাবে আমি আজকে যাবো।
রোদ-আচ্ছা রাদকে বলে দিচ্ছি।
রিত্ত-ঠিক আছে।
রিত্ত চলে যেতেই রোদ বললো—-
কি ব্যাপার রিত্ত হঠাৎ বাড়ি যাওয়ার জন্য এরকম করতেছে কেন?
রাগিনী-জানি না।
রোদ-থাক যাক।
রাগিনী-মনে নয় ওর ক্লাশের জন্য।
রোদ-হয়ত।
যাওয়ার সময়-ই হঠাৎ শুভকে দেখলো রিত্ত।শুভকে আজকে অনেকটাই খুশি দেখাচ্ছে।রিত্তের চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরলো।রাদ মুছে দিলো।তারপর ইশারাতে কান্না করতে নিশেধ করলো।রিত্ত মুচকি হাসি দিলো।
রিত্তকে রেখে বের হতেই শুভ্রের সাথে দেখা হলো রাদের।
রাদ-ভাইয়া কেমন আছো?
শুভ্র-ভালো তুই কেমন আছিস?
রাদ-ভালোই।কই যাচ্ছো?
শুভ্র-যাচ্ছিলাম শুভ আর দেশে থাকতে চাই না।তাই সব ঠিক করতেছি।
রাদ-মানে কেনো?
শুভ্র-কিছুদিন ধরেই ওকে দেখে অন্য রকম লাগছিলো।কেমন জানি হয়ে গেছে।আজকে হঠাৎ জানালো ওকে যে কোনো একটা দেশে পাঠিয়ে দিতে।
রাদ-আচ্ছা যাও তাহলে।
শুভ্র-হুম ভালো থেকো।
রাদ-আসি।
;
কিছুদিন পরেই শুভ দেশ থেকে চলে যাবে।তাই আজকে তার ডায়েরীটা লিখতে বসলো।
মায়াবতী,,,,,,
তুই আমাকে ছাড়া অনেক ভালো থাকবি।তোর চোখের পানি মুছতে অন্য একজন সবসময় তোর সাথে আছে।কয়েকটা ভুল রিপোর্ট আমার জীবনটাকে এভাবে এলোমেলো করে দিলো।তোকে কেড়ে নিলো আমার থেকে।সেদিন ডাক্তার কেনো ভুল রিপোর্ট দিয়েছিলো, কেনো বললো আমার ব্লাড ক্যান্সার।এরকম না বললে তোকে হারাতে হতো না।
জানিস রিপোর্ট গুলোই ভুল এটা জানতে বড্ড দেরি করে পেলছি।তার আগেই আমার মায়াবতীটাকে ভালোবাসতে অন্য কেউ চলে আসলো।
ভালো থাকিস।আমি চলে যাচ্ছি অনেক দূরে।যেখানে গেলে শুভর অশুভ ছায়াটা তোর উপর আর পরবে না।অনেক কাঁদিয়েছি তোকে,তার জন্য ক্ষমা করে দিস।
শুভ……!!!!
চলবে……….