প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০৭

0
3320

প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০৭
#jannatul_ferdous

রাগিনীর লজ্জামাখা মুখটা দেখি আরো সুন্দর।নতুন ভাবে প্রেমে পরলাম আবার।তবে রাগী মুখটাও ভালো ছিলো।
——-বলেই রাগিনীকে কোলে তুলে নিলো রোদ।

রাগিনী-আরে কী করছো?

রোদ-আমার বউকে কোলে নিলাম।তাতে তুমি বলার কে?

কোলে নিয়ে সারা রুম ঘুরিয়ে তারপর বিছানায় রাখলো রাগিনীকে।

রাগিনী-উফফফ ঘুম আসতাছে আমার।গুড নাইট রোদ।

রোদ-তুমি ঘুমাবা?

রাগিনী-হুম অনেক রাত হলো,প্রায় ১টা বাজে।

রোদ-না তুমি ঘুমাবা না।

রাগিনী-তাহলে তোমাকে পাহারা দিবো নাকি জেগে জেগে।আমার ঘুম আসে ঘুমাবো।

বলেই চোখ বন্ধ করতেই রোদ পানি ডেলে দিলো রাগিনীর মুখে।রাগিনী লাফিয়ে উঠে গেলো বিছানা থেকে।

রাগিনী-এটা কী হলো।আমার শাড়ি সহ সব ভিজে গেলো।

রোদ-ওকে খুলে পেলো।

বলেই শাড়ি টান দিলো শাড়ি ধরে।রাগিনী সাথে সাথে শাড়িটা ধরে পেললো।

রাগিনী-রোদ এটা কিন্তু খুব বেশি হচ্ছে।

রোদ-আমার বউকে আদর করবো তাতে তুমি নিশেধ করছো কেন।

বলেই শাড়ি টান দিয়েই কাছে নিয়ে আসলো রাগিনীকে।কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলো।আস্তে আস্তে মিশে গেলো দুইজন একসাথে।

অনেক দিনের অপেক্ষা পূর্ণতা পেলো আজকে।রোদ তার #প্রথমদেখায়ভালোবাসা-র মানুষটাকে আজ আপন করে পেলো।

;

সকালে রাগিনীর ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলো রোদ তাকিয়ে আছে তার দিকে।

রাগিনী-কী দেখছো?

রোদ-আমার রাগিনীকে।

রাগিনী-আচ্ছা দেখা শেষ হলে উঠতে হবে।

রোদ-আরেকটু প্লিজ।

রাগিনী-একদম না।

রোদ-আচ্ছা ওয়ারড্রপে একটা নীল শাড়ি আছে, আজকে এটাই পরবে।

রাগিনী-ওকে।

ফ্রেশ হয়ে বের হতেই রাগিনী দেখলো রোদ ঘুমাচ্ছে।রাগিনী গিয়ে পানি ডেলে দিলো।

রোদ-এটা কী হলো?

রাগিনী-রাতে যা হইছিলো।

রোদ-উফফ বিরক্তিকর।

রাগিনী-তুমি মাঝেমধ্যে ভুলে যাও কাকে রাগাতে আসো।এটা রাগিনী হুম কথাটা মাথায় রেখে দিবেন রোদ চৌধুরী।

রোদ-আচ্ছা কি হলো শাড়ি হাতে কেনো?

রাগিনী-আমি শাড়ি পরতে পারি না।

রোদ-আচ্ছা ৫মিনিট দাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।

;

রোদ ফ্রেশ হয়ে এসে হাত থেকে শাড়িটা নিয়ে পড়াতে শুরু করলো।

রাগিনী-রোদ এভাবে ধরছো কেনো?

রোদ-না ধরলে পরাবো কীভাবে?

রাগিনী-কি পড়াচ্ছো তা তো দেখছি।

রোদ-কী করবো,তোমার কাছে আসলেই আমার শুধু তোমাকে আদর করতেই মনে চাই।মনে হয় যেনো তোমার নেশা আমাকে গ্রাশ করে তাই তো এমন করি।ইচ্ছে করছে তো এখন…

রাগিনী-ইশশশ তোমার মুখে দেখি কিছুই আটকায় না।আমাকে যেতে হবে।

রোদ-আচ্ছা কুচিটা ঠিক করে দিচ্ছি।

শাড়ি পড়ানো হতেই রাগিনী চলে যেতে নিলে রোদ আবার ধরলো রাগিনীকে।

রাগিনী-কী?

রোদ-বাকি আছে?

রাগিনী-কী বাকি আছে?

রোদ-কাছে আসো।

রাগিনী-না।

রোদ সামনে এসে কপালে ছোট করে একটা ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো।তারপর রাগিনীর ঠোঁটে ঠোঁট মিলাতেই রাগিনী ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

ওইদিকে রাদ রিত্ত গিয়ে টেবিলে বসলো।

রাদ-ওই যাও তো আমার নাস্তটা আনো।

রিত্ত-ওহ নাস্তা খাবে।

রাদ-হুমম কিচেনে আছে গিয়ে নিয়ে আসো।

(রিত্ত কিচেনে গিয়ে দেখলো তেমন কেউই নাই)

রিত্ত-খাওয়াবো তোরে আজকে।জন্মের মত খাওয়াবো।

বলেই খাবারে মরিচের গুঁড়া মিশাতে শুরু করলো।মিশিয়ে খাবারটা রাদের সামনে রাখলো।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে