প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০৬
#jannatul_ferdous
রোদের কথা শুনে রাগিনী অজ্ঞান হয়ে গেলো।রোদ পানি এনে আবার জ্ঞান ফিরালো রাগিনীর।
রাগিনী-ও মা গো আমি যাবো না তোমার সাথে।আমি বাড়ি যাবো।
রোদ-তুমি তো আমাকে ভালোবাসো।
রাগিনী-আমি কোনো ভূতকে ভালোবাসি না।
রোদ-আমাকে তো ভালোবাসো।
রাগিনী-এই তোমাকে ভূতের মত দেখাচ্ছে না কেন।ভূতের তো বড় বড় নখ,বড় বড় দাঁত আর উল্টা পা থাকে,এরপর ভূত তো সাদা কাপড় পড়ে তুমি এইগুলা কী পরছো।
রোদ-বিয়ে করতে হলে এগুলাই পরতে হয়।
রাগিনী-তাহলে আমার ভূতের সাথে বিয়ে হইছে।আব্বু তুমি আমাকে ভূতের সাথে বিয়ে দিলে।
রোদ-আরে দূর আমি ভূত হয় নাই।
রাগিনী-তাহলে তুমি মরে গিয়ে মানুষ আছো কীভাবে?
রোদ-দূর আমি মরি নাই।
রাগিনী-তাহলে ওই ডাক্তার যে বললো।
রোদ-তুমি আমাকে তো ভালোই বাসো না তাই সেদিন তোমাদের বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাইক একসিডেন্ট হয়।তারপর হাসপাতালে যায়,তবে তেমন কিছুই হয়নি।
ভাবলাম আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কিছু শোধ তুলি,তাই ওইসব প্ল্যান।আর আমি মরে গেছি শুনলে তুমিও নিজেকে দোষী মনে করবে,তারপর আমার কথা একটু হলেও ভাববে।
রাগিনী-৬মাস তুমি আমাকে কষ্ট দিছো কেন?
রোদ-তারপর রিত্ত আর রাদ বললো ভাইয়া একেবারে বিয়ে করে বাসর রাতে সারপ্রাইজ দিতে।তাই এসব করলাম।
রাগিনী-তার মানে সব অভিনয়।আমি থাকবো না এখানে।
রোদ-বউ,ও বউ।লক্ষী বউ আমার,রাগ করে না।সরি এই দেখো কানে ধরলাম।
রাগিনী-হবে না
রোদ-কি করতে হবে শুনি।
রাগিনী- কষ্ট দিছো কেন?
রোদ-ভালোবাসো স্বীকার যাচ্ছিলে না কেন?
রাগিনী-আমি তো বুজতে পারিনি।
রোদ-হুম না বুজেই থাকো।
রাগিনী-আচ্ছা চলো আমার সাথে।
রোদ-কই যাবো।
রাগিনী-রাতের আকাশটা দেখবো।
রোদ-ভাবছি বাসর রাতে বিড়াল মারবো এখন দেখি কিছুই মারা হলো না।??
রাগিনী-আচ্ছা তোমার কী পোষা বিড়াল আছে?আর ওদেরকে এত কষ্ট দেওয়ার দরকার কী???
রোদ-চলো তাহলে গার্ডেনে চলো।রাতের আকাশের তারা গুনবো।
রাগিনী-ওকে চলো।
রোদ-জানো তুমি আমার রাতের আকাশের ওই চাঁদটার মতোই।হঠাৎ করেই অমাবস্যা শেষে পূর্নিমার চাঁদ হয়ে আমার জীবনটাকেই আলোকিত করে দিলে।
রাগিনী-হি হি হি
রোদ-হাসো কেনো?আমার কথা হাসার মত।
রাগিনী-না তো।আমি রাদ আর রিত্তকে দেখে হাসছি।
রোদ-এ কি রাদ পানিতে কেনো?
রাগিনী-আমি কী জানি?
রোদ-কি হচ্ছে এখানে?
রিত্ত-তোমার ভাই পানিতে পড়ে গেছে।
রোদ-এ্যা কীভাবে?
রিত্ত-বেশি লাফাতে গিয়ে।
রোদ-ওই কতক্ষন পানিতে থাকবি উঠ।
রিত্ত-এর জন্যই তো আমি হেল্প করতে আসলাম।হাত ধরেন।
রাদ হাত ধরে টান দিয়ে রিত্তকেও পেলে দিলো।
রিত্ত-এটা কী হলো?
রাদ-আমাকে পিছন থেকে হঠাৎ ধাক্কা দিছো কেন?
রোদ-আচ্ছা দুইটাই পানিতে থাক,চলো রাগিনী।
রুমে আসতেই রোদ রাগিনীকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো।রাগিনী নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
রোদ-এখনো রেগে আছো?
রাগিনী-আমাকে সবাই মিলে এত মিথ্যে বললো।
রোদ-দেখো বউ কানে ধরলাম।আর কোনো মিথ্যে বলবো না।
রাগিনী-হুমমম।
রোদ-বউ ও বউ একটু এইদিকে তাকাও।
রাগিনী-কেন?
রোদ-ভালোবাসি তোমাকে।
রাগিনী-………
রোদ-এবার অন্তত ভালোবাসি বলো।প্লিজ একবার।
রাগিনী-ভালোবাসি।
রোদ-রাগিনীর লজ্জা মাখা মুখটা তো অনেক সুন্দর।নতুন করে প্রেমে পরলাম আবার।
বলেই……..
চলবে……….
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।