প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০৫
#jannatul_ferdous
আজ রাগিনীর বিয়ে।বিয়েটা কার সাথে হচ্ছে জানে না সে।রোদ চলে যাওয়ার পর বুজেছে সে রোদকে কতটা ভালোবাসে।
প্রায় ৬মাস কেটে গেছে। প্রতিটা মূহুর্তে রাগিনী জানে কতটা রোদকে চেয়েছে সে।কিন্তু সে তো এত দূরে গেছে যে আর ফিরানো সম্ভব না।কাছে থাকলে আমরা প্রিয় মানুষটার মূল্য বুজি না,দূরে গেলেই বুজা যায় সে কতটা আপন ছিলো।তেমনি রাগিনী বুজলো না রোদের ভালোবাসাটা,অথচ আজ সে রোদকে এতটাই ভালোবাসে যে রোদের স্মৃতি আগলেই বেঁচে আছে।কিন্তু সময় তো থেমে থাকার না।তাই আজ রাগিনী লাল শাড়িতে সেজেছে অন্য কাউকে বিয়ে করার জন্য। রোদের ছবিটা আকড়ে ধরে কান্না করেই যাচ্ছিলো রাগিনী।
;
ওইদিকে ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলো রিত্ত।শুভকে দেখেই চোখের কোনে পানি জমলো তার।চোখ বেয়ে পানি পরতেই রাদ এসে চোখ মুছে দিলো।
রাদ-কাঁদছো কেনো?
রিত্ত-কিছু না(চোখের পানি মুছে)
রাদ-আমি জানি কেনো কাঁদছো। শুভ অন্য কারো হয়ে গেছে তাই কাঁদছো তাই না?
রিত্ত-কিছু না।
রাদ-আমি জানি রিত্ত।
রিত্ত-আজকে আপু চলে যাবে তো তাই কষ্ট হচ্ছে।
রাদ-সত্যি কথা লুকাচ্ছো।ভালোবাসো তো তুমি শুভকে।
রিত্ত-এসব বাদ দাও।
রাদ-তাহলে চোখের পানি মুছো।
রিত্ত-হুম মুছলাম।
রাদ-কাঁদবে না কিন্তু।
রিত্ত-ঠিক আছে।
রাদ-চলো আমার সাথে।
রিত্ত-কই?
রাদ-ভাবির কাছে।
রিত্ত-আপু তো কান্না করতেছে।
রাদ-ভাবি তাহলে এখনো কিছু জানে না।ভালোই হইছে,সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে ভাবিকে।
রিত্ত-ওইদিনের অভিনয় টা ভালো ছিলো।
রাদ-না করে উপায় কী।তোমার যে আপু জীবনেও বুজতো না আমার ভাইয়ার ভালোবাসা।
রিত্ত-হুমম।
রাদ-আচ্ছা চলো।
রিত্ত-আমার পিছনে পিছনে আসো।
রাদ-তুমি পিছনে যাও আমি সামনে।
রিত্ত-কেন?
রাদ-রাদ কারো পিছনে থাকে না বুজতে হবে তোমার।আমি রিহান আহম্মেদ রাদ ওকে?
রিত্ত-ওকে সামনে যাও।
রাদ-পিছন থেকে লোকেশন বলো।
রিত্ত-ওকে সোজা যেতে থাকো।
রাদ-তারপর?
রিত্ত-ডানে ঘুরো।
রাদ-আমার নাক গেলো.উহু কি ব্যাথা।
রিত্ত-হাহাহা আর সামনে যাওয়ার কথা বলবা?
রাদ-ওকে যাও সামনে।
রিত্ত-হুম পিছনে পিছনে আসো।
রিত্ত দরজা ধাক্কা দিতে গিয়ে রাদ বললো—আস্তে পিছনে যাও,আমি ডুকবো.
রাগিনী ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে ছবি বুকে ধরে কান্না করছিলো।
রাদ-এই যে পচা মেয়ে একটা,এত সুন্দর করে সাজগোজ করালো।সব নষ্ট করে দিচ্ছে,পরে তো সবাই বলবে বর পেত্নিকে বিয়ে করতে এসেছে।
রাগিনী-কে?(চোখ মেলে তাকালো রাগিনী)
রাদ-ওরে দেখ রে পেত্নির মত দেখা যায়।কাজল গুলো লেপ্টে গেছে।
রাগিনী-এখানে তুমি??
রাদ-শুধু আমি না বাবাও এসেছে।
রাগিনী-কেনো?
রাদ-কিপ্টামি করো কেন।তোমার বিয়েতে বেশি খাবো না,অল্প খাবো।
রাগিনী-ফাজিল যাও তো এখান থেকে।
রাদ-গেলে তো কান্না করবা আবার।
রাগিনী-আচ্ছা করবো না।
রাদ-এই ছবিটা দাও।
রাগিনী-এটা নিয়ো না প্লিজ।
রাদ-না দিতেই হবে।
রাগিনী-একটাই ছবি আছে।
রাদ-লাগবে না রাখা দাও।
রাদ জোর করে ছবিটা নিয়ে চলে গেলো।রিত্ত দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলো সব কিছু।
রাদ বের হওয়ার সময় রিত্ত বললো—
এটা কেনো করলে?
রাদ-বলবো না।
রিত্ত-আরে বলো।
রাদ-চলো তাহলে আমার সাথে।
রিত্ত-কই?
রাদ-আমি যেখানে যাবো সেখানেই।
রিত্ত-ওকে চলো।
;
কিছুক্ষনের মধ্যেই বিয়ে হয়ে গেলো রাগিনীর।রাতে বাসর ঘরে বসিয়ে রাখলো রাগিনীকে।হঠাৎ করেই দরজায় কারো পায়ের আওয়াজ পেলে রাগিনী বললো—
দেখেন আমি আপনাকে ভালোবাসি না আর বাসতেও পারবো না।আমি রোদকে ভালোবাসি,শুধু মা-বাবা জোর করছে তাই বিয়ে করছি।আমি আপনাকে কোনো অধিকারেই দিতে পারবো না।আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
রোদ-এই প্রথম কোনো মেয়ে দেখলাম বাসর রাতেই স্বামীর কাছে ডিভোর্স চাই।
রাগিনী-তু…তুমি কে?
রোদ-যার জন্য এত কান্না করলে এতদিন।
রাগিনী-ভূ…..ভূত,ভূত.বাঁচাও ভূত.
রোদ-আরে চুপ করো।
রাগিনী-রো…রো.রোদ তুত..তুমি
রোদ-কী করবো,একা একা ভূত রাজ্যে থাকতে ভালো লাগে না তাই এসেছি তোমাকে নিতে.
রোদের কথা শুনেই………..
চলবে……..????✌
বি.দ্র.সবার বকা শুনে আমি শিহরিত,তাই তাড়াতাড়ি পোস্ট দিলাম।??
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন??