প্রতিদান part 2

0
3819

প্রতিদান part 2

একটা অসহায় মেয়ের গল্প

লেখা/হিংসুটে ছেলে———-
!

খাবারটা খেয়ে নিন।রাত তো প্রায় শেষ হয়ে এলো
“এই দেখো আবার কাদে।খাবার সমায় কাদা যায় না।
“রিমা এক হাত দিয়ে খাবার খাচ্ছে আর এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুচ্ছে।
মার কথা বাদ এ দিলাম।বাবা কি করে পারে তার মেয়ের সাথে এমন করতে।এত দিন শুনে আসছি মেয়ে নাকি বাবার চোখের মনি।আজ দেখছি চোখের মনি না চোখের কাটা হয়ে গেছে।মেয়েটার এমন অসহায়তা দেখে আমারো খুব খারাপ লাগছে।এ মেয়ে কোথায় যাবে কি করবে কিছু বুঝতেছি না।

আপনি খাইছেন?(রিমা)
“হুম খাইছি(আমি)
আমার জন্য আপনি অনেক কিছু করলেন(রিমা)
“আচ্ছা এবার চুপ চাপ শুয়ে ঘুমান(আমি)

আচ্ছা(রিমা)

সোহান ঘুমাইছে।রিমা ও হয়তো ঘুমাইছে।শুধু ঘুম নাই আমার চোখে। সকাল হলে কি করবো কিছু বুঝতেছি না।আমি যদি এখানে থাকতাম তাহলে না হয় কিছু একটা করতাম।সকাল হলে তো আমিও চলে যাবো দেশের বাড়িতে। এ সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমাইছি যানি না।

|
এই উঠ(সোহান)
“উফ কি শুরু করলি একটু ঘুমাতে দে না(আমি)
“একটা ঝামেলা এনে আরাম এ ঘুমাচ্ছিস(সোহান)
“ঝামেলা মানে(আমি)
“ঐ তুই এখন আমার রুমে আর তোর রুমে কে সেটা ভুলে গেছিস(আমি)

|
এই যা আমি ভুলে গেছি।সোহান এর এমন কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠলাম..
“দোস্ত আমি দেখে আসি ও আছে নাকি রুমে(আমি)
“এই শোন(সোহান)
!
কি(আমি)
“ভাই শুধু দেখে আয় আছে কি না।থাকলে বাহির পাশে দরজা লাগিয়ে দিয়ে আয়(সোহান)
“কেন দরজা লাগিয়ে দিবো কেন?(আমি)
“ভাইরে তুই ভুলে গেছিস এটা ছেলেদের মেস।যদি কেউ দেখে তোর রুমে মেয়ে তাহলে কি হবে বুঝতে পারছিস?(সোহান)
“হুম টেনশন করিস না আমি দেখে আসতেছি(আমি)

আশে পাশে তাকিয়ে আমার রুমের দরজায় গেলাম।মেসের প্রায় 90%ছেলে কাজে অলরেডি চলে গেছে আর যে গুলো আছে ওরা অলস ১২ টার আগে ঘুম ভাঙ্গবে না।তার পর ও আশে পাশে দেখে দরজায় নক করলাম।১ বার নক করতেই রিমা দরজা খুলে দিলো।
.
একি আপনি ঘুমান নী?(আমি)
“এই তো মাত্র উঠলাম(রিমা)

|
সহ্য ঘুম থেকে উঠা মেয়েদের আউলা চুলে দেখতে যে এতটা সুন্দর লাগে আমি আগে যানতাম না।পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছি লিমার দিকে।

“9 টা বাজে তাহলে আমি যাই?(রিমা)
“কি মাথা ঠিক আছে আপনার এখন রুম থেকে বের হওয়া যাবে না(আমি)

আমার ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠলো…

হ্যা মা বলো(আমি)
“খোকা তুই কখন বাসে উঠবি?(মা)
“এই তো মা ১১টার বাসে উঠবো(আমি)
“আচ্ছা বাসে উঠে কল করিস(মা)
“ঠিক আছে এখন রাখছি(আমি)
“আপনি কোথায় যাবেন ১১টায়(রিমা)
“দেশের বাড়িতে(আমি)
“ওহ(রিমা)

|
হুম বিবিএ শেষ তাই দেশে গিয়ে ছোট খাটো একটা জব করে জীবনটা পার করে দিবো(আমি)
!
মেসে এ কেউ নাই শুধু আমি রিমা আর সোহান ছাড়া।রিমা ব্যাগটা হাতে নিয়ে কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলো।আমি আর সোহান স্বর্থপর গুলো নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে আছি।

|
আপনি এখন কোথায় যাবেন(আমি)
“যানি না(রিমা)

রিমা কথাটা বলে চলে যাচ্ছে দুর থেকে আমি আর সোহান তাকিয়ে আছি।একটা সমায় রিমা কে আর দেখা যাচ্ছে না।আমি আর সোহান মেসে চলে আসলাম।
“দোস্ত মেয়েটা কই যাবে কি করবে?(আমি)
“যানি না রে তবে মেয়েটার জন্য সত্যি খুব খারাপ লাগছে(সোহান)
“আমারো অনেক খারাপ লাগছে।মেয়েটা কে কি একা ছেড়ে দেওয়া ঠিক হলো?(আমি)
“এ ছাড়া আমরা আর কি করবো বল? কোথায় রাখবো?(সোহান)
“এমন সমায় মা আবারো কল করলো আমার ফোনে.
“খোকা তুই এখন কোথায়?(মা)
“এই তো মা মেসে আছি(আমি)
“মানে তুই না ১১টায় বাস এ উঠবি ১১টা তো বাজে ।আর এ ভাবে কথা বলছিস কেন কি হইছে তোর?(মা)
“না মা কিছু হয়নী এই তো আমি গুছাচ্ছি সব(আমি)
“খোকা আমি তোর মা আমার কাছে লুখাচ্ছিস কিছু একটা তো হইছে।বলবি না আমাক?(মা)

|
মা তো মায় তাই দুর থেকে ও সন্তানের সমস্যা বুজতে পারে। কি আর করার তাই মা কে ফোন এ সবটা খুলে বললাম।
“মা সবি তো শুনলে বলো আমি কি করতাম?এ ছাড়া কিছু করার ছিলো না মা(আমি)
“খোকা তুই এটা ঠিক করিস নাই।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে