#প্রণয়_বর্ষণ (১০)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
____________
সময় বহমান। কেটে গেছে ২ মাস। শীতকাল চলে এসেছে। সবার জীবনই আগের মতো চলছে। স্পর্শীর ভার্সিটি, টিউশনি, রেণু আপা, তানিয়া সবার সাথে মিলিয়েই সময় কাটছে। নাঈম এখনো স্পর্শীর পেছনেই পড়ে আছে। তানিয়া আর রেণু সেদিনের পর নিজেদের স্বাভাবিক করে নিয়েছে। শুধু সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত রুদ্রকে আর স্পর্শী দেখেনি। প্রতিদিন ভার্সিটির সামনে, টিউশনি শেষে ঠিকই রুদ্রকে খোঁজে। কিন্তু রুদ্র আসে না। এতোগুলো দিনে রুদ্রকে কোথাও দেখোনি সে। মাঝে একদিন হঠাৎ রিফাত আর হারুণ হাজির হয় স্পর্শীর সামনে। স্পর্শী সেদিন টিউশনি করে বাড়ি ফিরছিলো বিকালে। হঠাৎ করেই রিফাত আর হারুণকে দেখে খানিকটা চমকায়। ভাবে আজ রুদ্রের কথা জিজ্ঞেস করবে কিন্তু সে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই হারুণ বলে,
‘আপামনি আপনি কি বসের কোনো খবর জানেন? উনারে কোথাও পাইতাছি না। উনার মা কয়বার আইসা আমাগো কাছে তার খোঁজ চাইয়া গেছে। বুঝতেছি না বস কই? আপনি কি কিছু জানেন?’
স্পর্শী বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কি উত্তর দেবে বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকে। রিফাতও একই প্রশ্ন করে। স্পর্শী ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে, ‘জানি না। উনার সাথে আমারও অনেকদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি।’
হারুণ আর রিফাত হতাশ হয়। নিজেদের সামলে বলে, ‘আচ্ছা চলেন। সামনে রিক্সা দাঁড়ায় আছে।’
স্পর্শী ধীরে পা চালায়। একবার হারুণ, রিফাতের দিকে তাকিয়ে শুধায়, ‘রুদ্র ভাই তো নাই তারপরও প্রতিদিন আমার পিছে আসেন কেন?’
হারুণ হেঁসে বলে, ‘এইটা বসের অর্ডার। উনি নাই তাতে কি! আজ নাই কাল চইলা আসবে তখন কি উত্তর দিমু বস রে?’
স্পর্শী আর কথা বাড়ায় না। চুপচাপ রিক্সায় বসে বাড়ির পথে রওনা দেয়। হঠাৎ করে মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেলো! কোনো খোঁজ খবর কিছু নাই।
স্পর্শীর ভাবনার মাঝেই তার বাহুতে ধা’ক্কা দেয় সামিরা। ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কি রে কই হারায়ছিস? ইদানীং চুপচাপ থাকিস ব্যাপার কি?’
পাশ থেকে নীরব বলে, ‘মনে হয় ‘ও’ বয়ফ্রেন্ড পাইছে আর সে আমাদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করছে। ঠিক না স্পর্শী?’
স্পর্শী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়। নাহিদ গা’ট্টা মারে নীরবের মাথায়। ব্যাঙ্গ করে বলে, ‘ওর আর বিএফ? হাউ ফানি! কে চাইবে ভাই নিজের জান হা’রাতে!’
সামিরা, সাফিন, নাহিদ আর নীরব হেঁসে ওঠে। শুধু তানিয়া আর স্পর্শী চুপচাপ বসে থাকে। তানিয়া মৃদু হেঁসে সবার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আরেহ নাহ। সমস্যা নাই। স্পর্শীর যা ইচ্ছা এখন করতে পারে। এগুলোতে বাধা দেওয়ার লোক চলে গেছে।’
চমকে তাকায় স্পর্শী। ধ্বক করে ওঠে বক্ষপিঞ্জর। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়। বাকিরা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালে তানিয়া বলে, ‘রুদ্র ভাইকে দেখেছিস আর?’
সামিয়া ভাবুক সুরে বলে, ‘আসলেই! অনেক দিন বডি বিল্ডারকে দেখা হয় না। তবে যায় বলিস বডি বিল্ডারটা যেমনই হোক এমনিতে প্রেম করার জন্য পারফেক্ট।’
তানিয়া হাসে। টুকটাক গল্প করে সবাই নিজেদের ক্লাসে যাায়। পুরোটা সময় অন্যমনষ্ক ছিলো স্পর্শী। তানিয়া একবার আড়চোখে তাকায় তার দিকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে গেইটের দিকে তাকায়। এ কেমন দূরত্ব বেড়েছে রুদ্র-স্পর্শীর!
আকাশের অবস্থা আজ মেঘলা মেঘলা। কখন যেনো ঘন কালো মেঘ কাটিয়ে ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়। এই শীতকালেও বৃষ্টি বিষয়টা একটু বেশিই পীড়া দেয় স্পর্শীকে৷ ব্যাগ চেইক করে ছাতা আছে কি না দেখে নেয়। ভার্সিটি শেষ হয়েছে একটু আগে। গেইট থেকে বের হতেই তানিয়া ব্যস্ততা দেখিয়ে বলে,
‘শোন সাবধানে যাস আমি একটু আজ ফয়সাল ভাইয়ের বাড়ি যাবো। অনেকদিন যাওয়া হয় না।’
স্পর্শী ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘একাই যাবি?’
‘তো কি জামাই নিয়া যামু? জামাই থাকলে তাও নিয়া যাইতাম। আহারে আজ একটা জামাই নেই বলে!’
‘হয়ছে হয়ছে। যা তুই! আমি গেলাম। আর শোন ব্যাগে ছাতা আছে কি না চেইক করে নিস। বৃষ্টি আসতে পারে।’
তানিয়া সম্মতি দিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে চলে যায়। স্পর্শী কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে আবার আশে পাশে তাকায়। এটা তার প্রত্যেকদিনের রুটিন। যদি রুদ্র আসে! বো’কা মেয়ে কি বুঝেছে সে রুদ্র নামক ভ’য়ং’কর পুরুষের ভ’য়ং’কর প্রণয়ে পু’ড়ে গেছে। তার হৃদয়েও প্রণয় বর্ষণ শুরু হয়েছে। স্পর্শী দীর্ঘশ্বাস ফেলে একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে,
‘আপনি কোথায় রুদ্র ভাই? গত ২ টা মাস আপনি নেই। চারপাশটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আমি সেদিন যদি আপনাকে অতো ক’ড়া কথা না বলতাম তাহলে হয়তো আপনি আজ হারাতেন না। আমি জানি না আপনার প্রতি আমার এই দুর্বলতা গুলো, মন খারাপ গুলো আসলে কি! কিন্তু এটুকু বুঝি আমি পু’ড়ছি। আপনার ভ’য়ং’কর অনুভূতি গুলো আমাকে পু’ড়া’চ্ছে।’
_______
তানিয়া হাজারটা চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিয়ে ফয়সালের বাড়ি এসে পৌছায়। কলিং দিতেই মেইড এসে দরজা খুলে দেয়। তানিয়াকে দেখে মৃদু হেঁসে বলে, ‘আরেহ আপা আপনি! ভালো হয়ছে আয়ছেন। আসেন ভেতরে আসেন।’
তানিয়াও মুচকি হাসে। মেইড গিয়ে ভেতর থেকে ফয়সালকে ডাকে। ফয়সাল ফিহাকে কোলে নিয়ে তানিয়ার কাছে আসে। তানিয়াকে দেখেই ফিহা খুশি হয়ে যায়। অদ্ভুত ভাবে পিচ্চি টা খুব কম তাকে দেখলেও মনে রাখে বেশি। এমন ভাবে আঁকড়ে ধরে যেনো কোনো সন্তান তার মা’কে আঁকড়ে আছে। তানিয়া ফিহাকে কোলে নিয়ে আদর করে। ফয়সাল হেঁসে বলে,
‘তানিয়া ফিহা তোমাকে দেখে অন্তত ১৫ দিন বা ১ মাস পর পর তারপরও তোমাকে এতো ভালো কিভাবে বাসে বলো তো!’
তানিয়া বিনিময়ে মুচকি হাসে। ফিহার সাথে খেলার পাশাপাশি আড়চোখে তাকায় ফয়সালের দিকে। ঢোক গিলে বলে, ‘বেশি রাত জাগবেন না। চোখ মুখের অবস্থা তো বেশ করুণ।’
ফয়সাল কিছু বলে না। দুজনেই চুপচাপ থাকে৷ সে সময় মেইড চা, বিস্কিট আনতে আনতে তানিয়ার উদ্দেশ্যে বলে,
‘আপা! পিচ্চি মাইয়াডা আপনারে যেমনে শক্ত কইরা ধরে মনে হয় আপনিই হের মা।’
চমকে ওঠে তানিয়া আর ফয়সাল দুজনেই। ফয়সাল ধমক দিয়ে বলে, ‘এসব কি কথা! নিজের কাজ করুন।’
এরপর অনেকক্ষণ নিরবতা। নিরবতা ভেঙে ফয়সালই বলে, ‘সরি তানিয়া। উনার কথায় কিছু মনে করো না।’
তানিয়া মাথা নাড়ায়। তার মাথায় হঠাৎ করেই এক আজব চিন্তা উদয় হয়েছে। সে যদি সত্যিই ফিহার মা হয় তাহলে দোষ কোথায়? আবেগে গা ভাসিয়ে ভুলে যায় সমাজ সবকিছু সহজ ভাবে নেয় না। এক বাচ্চার বাবা, যার বউ মা’রা গেছে কেবল ১০ মাস সেই ছেলেটার বউ হতে হলে হাজারটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সমাজের ক’টু কথা শুনতে হবে। তানিয়াকে কিছু ভাবতে দেখে ফয়সাল ফের বলে,
‘তানিয়া আ’ম এক্সট্রিমলি সরি।’
আবেগের বসে বলে বসে তানিয়া, ‘আমি যদি সত্যিই ফিহার মা হই ফয়সাল ভাই!’
আঁতকে ওঠে ফয়সাল। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রয় তানিয়ার মুখের দিকে৷ এ মেয়ে বলে কি! মাথা খা’রাপ হয়ে গেছে নাকি!
___
শীতের দিন হওয়ায় ইদানীং টিউশনি শেষ হয় সন্ধ্যার দিকে৷ একা একা আসতে প্রায়ই ভয় হয় তবুও আসতে হয়। যদিও প্রতিদিনই পেছন পেছন হারুণ আর রিফাত আসে তারওপর তো সাফিনও প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে দিয়ে যায়। আজকেও টিউশনি শেষে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সাফিন আর স্পর্শী বাড়ি থেকে মোড় পর্যন্ত খানিকটা হেঁটেই আসে। আকাশের অবস্থা ভালো না থাকায় রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই। গায়ের শালটা ভালো ভাবে জড়িয়ে নেয় স্পর্শী। সন্ধ্যাবেলার মৃদু বাতাসও শরীর কাঁপিয়ে তুলছে। সাফিন খেয়াল করে স্পর্শী কাঁপছে। ব্যস্ত গলায় বলে,
‘কিরে তুই কাঁপছিস কেন?’
স্পর্শী দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘শখের বসে কাঁপতেছি রে। আমার তো রঙ লাগছে। ডা’ফার কোথাকার।’
সাফিন দাঁত দিয়ে জিভ কাটে। বলে, ‘আমার কাছেও জ্যাকেট নাই যে তোরে হিরোদের মতো দিমু।’
‘তোর হিরোগিরি নিজের পকেটে রেখে বাড়ির দিকে যা। যখন তখন বৃষ্টি আসতে পারে। আমি ম্যানেজ করে নিবো আজ।’
‘পাগল নাকি! তোকে এই….
সাথে সাথেই ফোনে টুং করে শব্দ হয়৷ সাফিন ফোন দেখে গলা পরিষ্কার করে বলে, ‘আসলেই! আজ আকাশের অবস্থা একদম ভালো না। আমারও অনেক ঠান্ডা লাগছে। বৃষ্টিতে ভিজলে পরে জ্বর আসলে প্রেমিকারে নিয়ে ঘুরতে যাবো কেমনে! তুই বরং আজ চলে যা।’
এক দমে কথা শেষ করেই ছুট লাগায় সাফিন। স্পর্শী বোকা বনে যায়। সত্যি সত্যিই সাফিন চলে গেলো! এদিকে একটা রিক্সাও চোখে পড়ছে না। তার মধ্যে একা একটা মেয়ে। আকাশেও মেঘ গুড়ুম গুড়ুম করতেছে কখন যেনো বৃষ্টি শুরু হয়। স্পর্শী গায়ের শালটা আরো ভালো মতো জড়িয়ে নেয়। দুহাতে শক্ত করে ধরে হাঁটতে থাকে। মোড়েও কোনো রিক্সার দেখা নাই। স্পর্শী আশে পাশে ভালো করে তাকায়। আজ হারুণ আর রিফাতকেও দেখা যাচ্ছে না৷ অন্যদিন তো ঠিকই থাকে আজ কোথায় তারা! স্পর্শীর ভাবনার মাঝেই হঠাৎ করেই ঝুমঝুম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। একে তো ঠান্ডা তার ওপর বৃষ্টি যেনো বরফের মতো মনে হয় স্পর্শীর কাছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কোথায় দাঁড়ানো যায় তার জায়গা খুঁজে। সামনে চোখ পড়তেই আঁতকে ওঠে। হালকা অন্ধকারে কারো অবয়ব খেয়াল করে আত্মা কেঁপে ওঠে। কোনো রকমে বলে, ‘ক-কে?’
অপরপাশ থেকে জবাব আসে না। অবয়বটি আরো এগিয়ে আসে তার কাছে। কাছাকাছি আসতেই অবয়বটির মুখ বোঝা যায়। ‘থ’ মে’রে যায় স্পর্শী। দীর্ঘ ২ মাস পর রুদ্রকে দেখে কিছু বলতেই ভুলে যায়। হার্টবিট বেড়ে যায়। সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকায় রুদ্রের দিকে। সাদা টি-শার্টের ওপর কালো জ্যাাকেট, চুলগুলো ভেজা। গা থেকে কড়া পারফিউমের ঘ্রাণটা এখনো ভেসে আসছে। স্পর্শী হতবিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে৷ রুদ্র ঠোঁট কামড়ে হাসে। একদম স্পর্শীর কাছাকাছি এসে কানের কাছে মুখ নিয়ে যায়। ফিসফিস করে আওড়ায়,
‘এই বর্ষণ কি তবে প্রণয় বর্ষণের ইঙ্গিত পর্শী?’
কেঁপে ওঠে স্পর্শী। দু পা পিছিয়ে ভাঙা গলায় বলে, ‘আপনি! এতোদিন পর?’
রুদ্র কিছু না বলে চোখ মুখে গাম্ভীর্য ধরে রেখে হাত আঁকড়ে ধরে স্পর্শীর। কঠিন গলায় বলে, ‘তুই শান্তি চেয়েছিলি আমি দিয়েছি। তোর কাছে আমার ছায়াও বি’ষের মতো মনে হয় তাই আমার ছায়াও দেখতে দেইনি তোকে। তো বল শান্তি পেয়েছিস?’
মাথা নিচু করে নেয় স্পর্শী। ভীষণ করে বলতে ইচ্ছে করে, ‘আপনি দুরে গিয়ে তো আরো পু’ড়িয়ে গেছেন রুদ্র ভাই। শান্তি পেলাম কোথায়!’
কিন্তু ভেতরের কথা ভেতরেই গিলে নিলো৷ রুদ্র একটা দোকানের নিচে স্পর্শীকে আগলে দাঁড়ায়। ঠান্ডায় কাঁপতে থাকে স্পর্শী। রুদ্র পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে টেক্সট করে। কিছুক্ষণ কাটে নিরবতায়। স্পর্শী কাঁপতে থাকা অবস্থাতেও মাথা নিচু করে বলে, ‘সরি।’
রুদ্র জবাব দেয় না। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা গাড়ি এসে থামে দুজনের সামনে। রুদ্র চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বলে, ‘যাহ গাড়িতে ওঠ।’
স্পর্শী ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে৷ রুদ্র ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে স্পর্শীর ভেজা ছোট চুল কানের পৃষ্ঠে গুজে দেয়। ফিসফিস করে বলে,
‘রুদ্র এতো সহজে তোকে শান্তি দেবে না পর্শী। তোর হৃদয়ে প্রণয়ের ঝড় তুলবে। স্পর্শী হবে শুধুই রুদ্রের। রুদ্র ব্যাতীত এই স্পর্শীর প্রণয় বর্ষণে কারোর জায়গা হবে না। গু’ন্ডা রুদ্র তার পর্শীকে কারো হতে দেবে না। কারোর না। তুই পুরোপুরি পু’ড়বি আমার প্রণয়ে৷ সেদিন বেশি দুরে নয়। বেষ্ট অফ লাক। যে প্রণয়ে গত ৬ বছর থেকে পু’ড়’ছি আমি একই প্রণয়ে পু’ড়বি তুইও।’
রুদ্রের ফিসফিস আওয়াজ আর উত্তপ্ত শ্বাসে দম আটকে আসে স্পর্শীর। ভেতরে হৃদয় নামক অংশটি বক্ষপিঞ্জর থেকে এই বুঝি বে’ড়িয়ে আসবে! রুদ্রের একেকটা কথা মনে মনে কয়েকবার আওড়ায় স্পর্শী। শক্ত করে শাল চেপে ধরে বিড়বিড় করে আওড়ায়,
‘আমি অলরেডি পু’ড়ে গেছি রুদ্র ভাই। আপনার ভ’য়ং’কর প্রণয়ের আহ্বান এই ছোট্ট হৃদয় আর দুরে ঠেলতে পারেনি। কিন্তু এ প্রণয় যে বি’ষাক্ত! এর পরিণতি যে ভীষণ ভ’য়ং’কর।’
চলবে..
(