#প্রণয়_বর্ষণ (৪)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
___________
স্পর্শী আজ টাইমের আগেই বের হয়ছে। রুদ্রের সাথে সে যাবে না। কিন্তু একবার রুদ্র আসলে সে আর কোনো রিক্সা পাবে না এটা একদম সিউর। তখন রুদ্রের সাথে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। ভার্সিটি দুরে হওয়ায় হেঁটে যাওয়া সম্ভবও না। স্পর্শী আনমনে দ্রুত বের হয়ে রিক্সা ডাকে। রুদ্র টাইমের আগে আসবে না। স্পর্শী রিক্সা নিয়ে ভার্সিটি চলে আসে। তানিয়া, সামিরা, সাফিন, নীরব, নাহিদ সবাই আগে আসছে। স্পর্শীকে আসতে দেখে সাফিন হাই তুলতে তুলতে বলে,
‘এতো সকাল সকাল কেউ আসে! আরো পরে আসলে কি হতো বডি বিল্ডারের বউ?’
শেষের টুকু আস্তে বলায় শুনতে পায়নি স্পর্শী। আবছা আবছা শুনতে পাওয়ায় ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘শেষে কি বললি?’
সাফিন থতমত খায়। খুব ভালো করেই জানে স্পর্শীকে ‘বডি বিল্ডারের বউ’ জোড়ে বললে আজ আর তার পৃথিবীতে থাকতে হবে না। সোজা তার ইন্না-লিল্লাহ হবে। সাফিন দাঁত বের করে বলে, ‘শেষে কই কি বললাম? এতো সকাল সকাল ঘুম ভাঙালি কেন?’
তানিয়া চি’ম’টি কা’টে সাফিনের হাতে। সাফিন আর্তনাদ করে ওঠে। তানিয়া ভেংচি কেটে বলে, ‘কত বাজে দেখেছিস? তোর এখনো ভোর মনে হয়?’
‘আর একবার এই আ’খাও’য়ার মতো নখ দিয়ে গু’তা দিলে তোর খবর আছে। আর আমার কাছে এখন ভোরই।’
সাফিনকে কিছু বলে লাভ নেই সবাই জানে। এর মধ্যেই ফোন বেজে ওঠে সাফিনের। কপালে ভাজ ফেলে ফোন হাতে তুলতেই কপালের ভাজ ঠিক হয়ে যায়। চোখ মুখ চকচক করে ওঠে। নাহিদ ভ্রু কুঁচকে বলে,
‘কার ফোন রে? এতো খুশি হচ্ছিস কেন?’
সাফিন উত্তেজনা নিয়ে বলে, ‘আরেহ আর বলিস না৷ কাল একটা মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করছিলাম। মানে পটানোর চেষ্টা আর কি! তোরা তো জানিস আমি কখনোই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাই না। ওমা রাত ১২ টার দিকে নক দিয়ে বলতেছে ঘুমাই না কেন? আমি বলছি পরে ঘুমাবো। মেয়ে দেখি আমার সাথে ঝ’গড়া শুরু করে দিছে কেন রাতে ঠিক মতো ঘুমায় না তা নিয়ে। একদিনের ফ্লার্টে এমন অবস্থা হবে জানলে তো আরো আগেই ফ্লার্ট করতাম।’
খুবই আগ্রহের সাথে সাফিন কথাগুলো শেষ করলো। সামিরা কপালে হাত দিয়ে বলে, ‘আমি হতাশ। তুই যা এখন কথা বলে আয়।’
সাফিন আর দেড়ি করে না। ফোন রিসিভ করে একটু দুরে যায়। সবাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাফিনের দিকে। কারো আর বুঝতে বাকি নেই যে বিষয়টা শুধু ‘ফ্লার্ট’ পর্যন্ত নেই। ‘প্রেম’ পর্যন্ত গড়িয়ে গেছে। তানিয়া হায় হুতাশ করে ওঠে। সাফিন দ্রুত কথা শেষ করে দাঁত বের করে সবার মধ্যে আসে। স্পর্শী ভাবুক স্বরে শুধায়,
‘এটা জানি তোর কত নাম্বার গফ?’
সাফিন খুশিতে গদগদ হয়ে বলে, ‘১৬ নাম্বার রে।’
নাহিদ বোকার মতো তাকিয়ে বলে, ‘ভাই এতো মেয়ে পটাস কেমনে?’
‘আরেহ বুঝতে হবে। এগুলা হচ্ছে ‘women’ একটু মিষ্টি করে কথা বললেই পটে যাবে।’
সাফিনের কথায় ফুঁসে ওঠে স্পর্শী, সামিরা, তানিয়া। ৩ জনে একসাথে কি’ল বসায় সাফিনের পিঠে। সাফিন ‘ওবাবাগো’ ‘ওমাগো’ বলে চেঁচাতে থাকে। সামিরা দাঁত কেলিয়ে বলে, ‘women’ কারে বলে এবার বুঝছো ভাইজান!’
সাফিন ব্যাথায় চোখ মুখ কুঁচকে থাকে। নাহিদ, নীরব ৩২ টা দাঁত বের হেঁসে বলে, ‘দোস্ত তোর ১৫ নাম্বার গফের লগে ব্রেকআপ করলি কেন?’
সাফিন মুখটা কাঁদো কাঁদো করে বলে, ‘আর বলিস না দোস্ত। তোরা তো জানিস আমি কি পরিমাণ লয়াল! যখন একজনের সাথে প্রেম করি তখন শুধু ওই একজনের সাথেই প্রেম করি। কিন্তু সে তো আমারে স’ন্দেহ করতেই আছে। এসব নিয়া উড়াধুরা ঝগড়া কইরা দিছি ব্রেকআপ। তারপর ফেসবুক থেকে হাত কা’টা পিক নিয়ে ওরে দিয়ে বললাম, ‘দেখো তোমার জন্য আমি হাত কা’ট’ছি।’ ওমা মেয়ে বলে কি! আমারে ধমক দিয়া কয়, ‘হা’রা’ম’জা’দা ফেসবুকের ফে’ইক পিক জোগাড় কইরা বলিস এটা তোর হাত! আমি এখন সিউর তুই একটা তুই একটা..’ আমি বললাম, ‘আমি একটা কি?’ সে আমারে ধমক দিয়ে ফোন কেটে ব্লক করে দিলো৷ ভাবলাম এতো বড় অপমানস! তাই আরেকটা মেয়ে পটাই ফেলছি।’
সবাই কি রিয়েকশন দিবে বুঝতে পারলো না। ২ মিনিট চুপ থাকার পর সবাই হো হো করে হাসতে শুরু করে। হাসাহাসি শেষে তানিয়া স্পর্শীর বাহুতে ধাক্কা দিয়ে বলে,
‘আজকে বডি বিল্ডার কই? তোকে একা একা আসতে দিলো?’
স্পর্শী বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকায়। দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘ওসব আ’জা’ই’রা মানুষের নাম নিয়ে দিন খারাপ করিস না।’
নীরব দাঁত কেলিয়ে বলে, ‘পেছনে দেখ স্পর্শী!’
নীরবের কথায় সবাই পেছনে তাকায়। পেছনে রুদ্র হাত বগলদাবা করে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ রুদ্রর ব্যাক হিস্ট্রির জন্য ভীষণ ভয় পায় তানিয়া। তার ভাবনা মতে রুদ্র ডে’ঞ্জা’রাস। চিপকে গিয়ে সামিরার হাত শক্ত করে ধরে। বিড়বিড় করে বলে,
‘দোস্ত এই বডি বিল্ডাররে দেখলেই আমার হাঁটু কাঁপা শুরু হয়ে যায়।’
সামিরা ঠোঁট চেপে হাসে। স্পর্শী ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রুদ্রর দিকে। সবাই ৩য় বিশ্বযু’দ্ধ দেখার জন্য আগ্রহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রুদ্র একদম শান্ত ভাবে এগিয়ে আসে। সবার দিকে একবার নজর বুলিয়ে স্পর্শীকে উদ্দেশ্য করে গম্ভীর কন্ঠে বলে,
‘তোকে বলেছিলাম একা ভার্সিটিতে আসবি না!’
স্পর্শীও হাত বগলদাবা করে দাঁড়ায়। কাঠকাঠ গলায় বলে, ‘আমিও বলেছিলাম আমি আপনার সাথে ভার্সিটি আসবো না।’
‘সাহস একটু বেশি দেখাচ্ছিস বলে মনে হয় না?’
‘নাহ৷ আমি যেমন আমি তেমনই দেখাচ্ছি।’
রুদ্র বাঁকা হাসে। দুপা এগিয়ে একদম কাছে চলে আসে স্পর্শীর। সাফিন, নাহিদ, নীরব, তানিয়া, সামিরা সবাই হাত দিয়ে মুখ ঢাকে। এক আঙুল ফাঁকা করে দেখতে থাকে কি হয়। রুদ্র এগিয়ে আসলেও স্পর্শী নিজের জায়গা থেকে সরে না। পেছোনো মানেই রুদ্র বুঝে যাবে স্পর্শী তাকে একটু হলেও ভয় পায়। যা সে মোটেও বুঝতে দিতে চাই না৷ রুদ্রর কপালের নীল রগ দপদপ করে ফুলে ওঠে। গম্ভীর কন্ঠে বলে,
‘সাহস থাকা ভালো তবে মাত্রাতিরিক্ত সাহস মোটেও ভালো নয়৷ এতোদিন তোকে একা আসতে দিয়েছি এখন যখন নিজের সাথে আসতে বলেছি নিশ্চয় কোনো কারণ আছে! কিন্তু তুই তো এসব বুঝবি না। তোর কাছে তোর জেদটাই বড়। ওকে! দেখা যাক কার জিদ বড়!’
স্পর্শীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যায় রুদ্র। বাকি সবাই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়। স্পর্শী বোঝে তার এতো সহজে এই রুদ্র নামক ভ’য়ং’কর মানুষটির থেকে মুক্তি নেই। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে কিছু ভাবে।
___________
৩ টা ক্লাস শেষ করে সবাই ক্যান্টিনে যায় কিছু খেতে। সবাই টুকটাক গল্প করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্পর্শী খানিকটা ইতস্তত করলেও তানিয়াকে বলেই বসে,
‘তোকে কিছু জিজ্ঞেস করি!’
তানিয়া মাথা নাড়ায়৷ সবাই স্পর্শী আর তানিয়ার দিকে তাকায়। গলা পরিষ্কার করে স্পর্শী আস্তে করে বলে, ‘ফয়সাল ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে জানা স্বত্বেও উনাকে ভালোবেসেছিলি কেন?’
ধ্বক করে ওঠে তানিয়ার বক্ষ পিঞ্জর। দৃষ্টি এদিক ওদিক করতে থাকে। সামিরা অবাক কন্ঠে বলে, ‘তানিয়ার ডায়েরীতে যে ফয়সাল ভাইয়ের কথা লিখা ছিলো ওই ফয়সাল ভাইয়ের কথা বলছিস?’
স্পর্শী মাথা নাড়ায়। সাফিন উত্তেজিত হয়ে বলে, ‘কিন্তু উনার গফ ছিলো নাকি?’
স্পর্শী শান্ত গলায় বলে, ‘চুপ থাক। তানিয়া বলুক।’
তানিয়া নিজেকে ধাতস্থ করে নেয়। চোখ বন্ধ করে বড় করে শ্বাস নেয়। কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে শুরু করে,
‘যখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি তখন কুমিল্লাতে বাবা মায়ের সাথেই থাকতাম। পড়াশোনায় অনেক ফাঁকিবাজ হওয়ায় আমার কোনো টিচারই টিকতো না। এসএসসিতে যদি রেজাল্ট খা’রাপ হয় বাবা এটা ভেবেই আমাদের এলাকার একটা ভাইয়াকে রাখলেন আমার টিচার হিসেবে। প্রথম দিন তাকে দেখেই দিলের ঘন্টি বেজে গেলো। সে প্রথম পরিচয় তার সাথে আমার৷ সে আমাদের এলাকার হলেও ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করতো বলে দেখা হয়নি সেভাবে। ছোট ছিলাম আবেগ ছিলো প্রচুর। তাই তো উনার প্রতি দুর্বলতা ধীরে ধীরে বেড়ে গেলো। বুঝলাম মানুষটি আমার আবেগের বয়সের প্রথম প্রণয়। প্রথম প্রথম সে আমার সাথে গম্ভীর ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে আমার সাথে ফ্রী হয়ে গেলেন। পড়াশোনা করতাম ঠিক করে। একসময় এসএসসি শেষ হলো৷ ভালো মতো পরীক্ষা দিলাম। কিন্তু সে তো আর পড়াতে আসতো না। তাকে দেখার জন্য ছটফট করতে থাকলাম। অনেক গুলো দিন পর সে এলো আমাদের বাড়ি। হাতে তার মিষ্টি। বাবা-মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করে আমার কাছে এসে নিজেই একটা মিষ্টি খাইয়ে বলল, ‘মিষ্টি খাও। একটা সুখবর আছে।’
আমি ভাবলাম সে বোধহয় জব পেয়ে গেছে তাই মিষ্টি খাওয়াতে এসেছে৷ আমার ভাবনাটা সত্যি ছিলো তবে তার সাথে আরো একটি সুখবর ছিলো৷ তখন পর্যন্তও জানতাম না তার প্রণয়ে অন্য এক নারীর নাম। সে খুশি মুখে সাবলীল ভাবে বললেন, ‘আমি জব পেয়ে গেছি সাথে ভালোবাসার মানুষটাকেও।’
আমি খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম। তার ভালোবাসার মানুষ মানে! সে তখন জানালো তার ৩ বছরের প্রণয় পরিণতি পাচ্ছে আর মাত্র ১০ দিন পর। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। সে জোড় দিয়ে বললো আমার যেতেই হবে। কোনো না সে শুনবে না। আমি অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে বলেছিলাম “যাবো”। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম সে শুধুই মাত্র আমার আবেগ ব্যাতীত কিছু নয়। তবুও এতো গুলো দিন কিছুতেই মাথা থেকে বের হচ্ছিলো না। একসময় আমার চোখের সামনেই তাদের বিয়ে হয়ে গেলো। এরপর আর সেখানে থাকতে পারিনি। বার বার নিজেকে বুঝাতাম ‘উনি আমার আবেগ’ তবুও মন তো মানে না। রেজাল্ট বের হলে ছোট সার্টিফিকেট আঁকড়ে চলে আসলাম খালামণির বাড়ি। এরপর যখনই বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে যেতাম তখনই শুনতাম বা উনারা ওখানে থাকলে দেখতাম তাদের কি সুন্দর সংসার। অথচ এই মানুষটা আমার স্বপ্ন ছিলো৷ নিজেকে বুঝিয়ে আবার গুটিয়ে নিতাম। ইন্টারে টেস্টের পর একবার বাড়ি গেছিলাম। গিয়ে শুনলাম তার বউ মা’রা গেছে। আর সে বিয়ে করবে না বলে বাচ্চাকে নিয়ে ঢাকা চলে এসেছে। উনার জন্য কেমন ব্যাথা অনুভব করলাম। ভীষণ রকম কষ্ট পেলাম তার বউয়ের কথা শুনে। মানুষটা যে ভীষণ ভালোবাসতো তার জীবনসঙ্গীকে। এরপর হঠাৎ একদিন আবার দেখা হলো তার সাথে। তারপর থেকে তার বাড়িতে টুকটাক যাওয়া আসা লেগে থাকে।’
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তানিয়ার দিকে। আবেগ থেকে কখন যে ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে তা এই মেয়ে হয়তো বুঝতেই পারেনি। কেউ আর কিছু বললো না। তানিয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে৷ সাধারণত মানুষ যখন কান্না চেপে রাখে তখনই এমন হয়। সবাই চুপচাপ খেয়ে আবার ক্লাসে যায়। ভার্সিটি শেষ করে বাহিরে বের হয়ে দেখে রুদ্র নেই। স্পর্শী দীর্ঘশ্বাস নেয়। সবাই সবার মতো চলে যায়। স্পর্শীও একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ির পথে যায়। কিন্তু কিছুটা রাস্তার মাঝে আসতেই ৫-৬ টা ছেলে রিক্সা ঘীরে দাঁড়ায়। স্পর্শী ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ছেলেগুলো একে অপরের দিকে তাকিয়ে স্পর্শীকে বলে,
‘সায়ন্তিকা স্পর্শী?’
স্পর্শী উত্তর না দিয়ে উল্টো শুধায়, ‘আপনারা কারা?’
ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে একজন এগিয়ে এসে দাঁত বের করে বি’শ্রী হাসে। কোনো কথা না বলেই স্পর্শী হাত ধরে টেনে নামিয়ে ওড়না টেনে নেয়। রিক্সাওয়ালা মামা এগিয়ে আসলে তাকে ধা’ক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। স্পর্শী ছোটাছুটির চেষ্টা করলে শক্ত করে চেপে ধরে ছেলেটি। কো’মড়ে নোং’রা ভাবে হাত ছোঁয়ায়। ভ’য়ে, ল’জ্জা’য়, অ’প’মানে চোখে পানি চলে আসে৷ তবুও প্রাণপণে চেষ্টা করে ছেলেটার হাত সড়ানোর। ততক্ষণে ছেলেটার হাতের নোং’রা ছোয়া দৃঢ় হয়।
চলবে…
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)