#প্রণয়ের_রংধনু ❤️
#পর্ব-৫০
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
সদরদরজায় নব-দম্পতি দেখে থমকে দাঁড়ায় ফারিশ! বধুবেশে ইয়ানার পাশে অভিকে দেখে কারো বুঝতে বাকি নেই বর্তমান পরিস্হিতি! ফারিশের সাথে হতভম্ব রুমা খান সকলে কিন্তু ইরাশের মুখস্রীতে নেই কোন আশ্চর্যের চিহ্ন! হয়তো সে পূর্ব থেকেই অবগত। ফারিশের বাবা রাশেদ খান মেয়ের দিকে তাঁকিয়ে বললেন, ‘ এইসব কি মা? তুমি এই সাঁজে?’
‘ আমাদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো, যখন অভি কানাডাতে ছিলো, সেই সম্পর্কের কারণে অভির বিয়েটা আমি মেনে নিতে পারেনি, তাই অভিকে আমি বিয়ে করেছি। ‘
যথেষ্ট সাবলীলভাবে উত্তর গুছিয়ে বলে দিলো ইয়ানা,যেন সে প্রস্তুত ছিলো। ফারিশ ক্ষেপে গিয়ে, অভির কলার চেপে ধরে বলে, ‘ ইউ লাইয়ার! নিজে মিস অনন্যাকে ঠকিয়ে, এতোদিন ধরে মিস অনন্যাকে চরিত্রের সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন? ওয়াও, মি: অভি শিকদার! জাস্ট এক্সিলেন্ট!’
অভি মাথা নিচু করে উত্তর দিলো, ‘ আমি ইচ্ছে করেনি, অনন্যাকে ঠকাতে চাইনি। আমি নিজে জানি, আমি অনন্যাকে কতটা ভালোবাসি!’
ফারিশ অভির কলার চেপে হুংকার ছেড়ে বললো, ‘ স্টপ! আপনার মতো মানুষের মুখে অন্তত ভালোবাসা শব্দটা মানায় না। ‘
‘ কিন্তু তুমি এই বিয়ে কেন করলে ইয়ানা? আজ তো, অনন্যার এই জায়গায় থাকার কথা ছিলো। অনন্যার মন তো আবারোও তবে ভাঙ্গবে । ‘
রুমা খানের প্রশ্নের উত্তরে, ইয়ানা অভির দিকে ঘৃণিত দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বললো, ‘ অনন্যা আপু, সবকিছুই জানতো আগে থেকে। কাল রাতেই, আপুকে আমি সব জানিয়ে দিয়েছিলাম। ‘
‘ তাহলে মিস অনন্যা কোথায় এখন ইয়ানা?’
ফারিশের প্রশ্নের জবাবে, মিষ্টি উপর থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে, নীচে নেমে ফারিশের কাছে একটা চিঠি এগিয়ে দিয়ে বলে, ‘ বাপি, মায়ের চিঠি! তোমার জন্যে। ‘
ফারিশ হতবাক হয়ে, চিঠিটা হাতে নিয়ে খুলে বললো,
‘ মি.ফারিশ খান,
শুরুতেই আপনাকে প্রিয় বলে সম্মোধন করলাম না। অপ্রিয় থেকে প্রিয় এক মানুষ হয়ে উঠেছেন আপনি আমার জীবনে আজ। যার জন্যে একটা সময় আমার মনে জমে উঠেছিলো চরম ঘৃণা এবং তিক্ততা! আজ সেই ব্যাক্তিটি আমার জীবনের এক শ্রদ্ধেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এক মানুষ! আমি অস্বীকার করছি না, আপনি কোন ভুল করেন নি। হ্যা, আপনি ভুল করেছেন, প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ হয়ে, অন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন কিন্তু একটা সত্যি কথা কী জানেন? এতোকিছুর মাঝেও আপনার চোখে আমার জন্যে আলাদা এক সম্মান আমি দেখতে পেয়েছি, যা আমি কখনোই অভির চোখে দেখতে পায়নি। অভিকে ভালোবেসে, ঘর বাঁধার স্বপ্ন পুষেছিলাম, তবে তা এই জীবনে বাস্তবায়ন করা হলো না। কথায় আছে না?৷ Destiny and Events had thier own plans! অভি এতোবার অন্যায় করার পরেও, আমি অভিকে শেষ অবদি বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু আমার কোথাও যেনো গিয়ে, খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হচ্ছিলো আমার ভাগ্য অন্য কোথাও! হয়তো আমার ভাগ্য অজান্তেই জুড়ে গিয়েছে, আপনার সাথে।তাই আজ আমার জায়গায় ইয়ানার সাথে অভির বিয়েটা হয়েছে। আশা করি, আপনারা সকলে তাদের বিয়েটা মেনে নিবেন। অভি ছেলে হিসাবে খারাপ নয়। তবে অভির অবিশ্বাসের তীব্র যন্ত্রনা আমায় ঠায় দিয়েছে, আপনার ভালোবাসার প্রাঙ্গনে। আমি আপনাকে ভালোবাসি তা এখুনি বলবো না, তবে আমি সময় নিচ্ছি। আমার স্কলারশিপ হয়ে গিয়েছিলো অনেক আগে আমেরিকাতে। দুই বছর আমি সেখানে পড়াশোনা করে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, আপনার সামনে যথাসম্ভব উপস্হিত হবো। আশা করি, আপনি আমার জন্যে অপেক্ষা করবেন। মিষ্টি মাকে আমি সবকিছু বুঝিয়ে গিয়েছে, সে আমার অনেক বুঝদার মেয়ে, সে বুঝেছে, সে তার দুই বাবার সাথে থেকে, খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করবে আমি জানি। মি: খারুশ থুরি ফারিশ খান আমার মেয়ের খেয়াল রাখবেন তাছাড়া ইরাশ ভাইয়া তো আছেই। নিজের দিকেও খেয়াল রাখবেন, সুস্হ থাকবেন। আজ তবে থাক, না জানিয়ে যাওয়ার জন্যে দু:খিত। ‘
ইতি,
আপনার মিস অনন্যা।
________________
লাগেজ হাতে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে অনন্যা চেকিং এর জন্যে। সে তার লাগেজ নিয়ে এগোতে নিলেই, চার-পাঁচটা কালো গাড়ি তাকে ঘিড়ে ধরে। সে থেমে যায়। গাড়ি থেকে ফারিশের দেহরক্ষীগণ বেডিয়ে আসে এবং অত:পর ফারিশ কালো ব্লাক ব্লেজারে, বেডিয়ে আসে। তার ফর্সা মুখস্রী কেমন যেনো লালচে দেখাচ্ছে। ফারিশ এবং সকলকে দেখে ঘাবড়ে যায় অনন্যা! অনন্যাকে অবাক করে দিয়ে, ফারিশ সকলের সামনে, অনন্যার গালে হাত রেখে ,শান্ত গলায় বলে, ‘ ভয় পাবেন না, মিস অনন্যা। আমি আপনার স্বপ্নের পথে কোনপ্রকার বাঁধা হতে আসেনি। আমি শুধু শেষবারের মতো, আপনায় একপলক দেখতে এসেছি। আপনার এক পলক দেখার সুখ পৃথিবীর সমস্ত সুখকে বিলিন করে দেয় মিস অনন্যা। ‘
অনন্যার আখিজোড়া বেয়ে জল গড়াতে থাকে। ফারিশ অনন্যার জল মুছিয়ে দিয়ে বলে, ‘ কাঁদবেন না আপনি, বলেছিলাম না আমি? আপনাকে কাঁদলে বাজে দেখায়, আই জাস্ট ডোন্ট লাইক দিজ!’
দুজনেই হেসে উঠে। তখনি পিছন থেকে মিষ্টি বলে উঠে, ‘ আমিও আছি কিন্তু মা, মিষ্টির মাকে গুড বায় বলতে মিষ্টিও চলে এসেছে। ‘
অনন্যা মুচকি হেসে, মিষ্টিকে কোলে নিয়ে, ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে। ফারিশ দুজনকেই বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে আলতো সুরে বললো, ‘ ইউ উইল মিসড মিস অনন্যা, আমি আপনার জন্যে জীবনের শেষ অবদি অপেক্ষা করে যাবো।’
_____________________
৭বছর বয়সী মিষ্টি সারা বাড়ি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে অজানা এক আনন্দে। ইরাশ এবং এনা মিষ্টির খুশি দেখে, মিষ্টির কাছে যায়। মিষ্টি এখন কিছুটা লম্বা হয়েছে দুই বছরে, তাই ইরাশের ঝুঁকে কথা বলতে হয়না। ইরাশ প্রশ্ন করে, ‘ আমার মা যে, আজ বড্ড খুশি! তা কী ব্যাপার?’
মিষ্টি কপালে হাত দিয়ে বলে, ‘ বাবা, তুমি কি জানো না? একটু পর ১২ টা বাজবে! ‘
ইরাশ ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করে, ‘ তো?’
এনা কপালে হাত দিয়ে বলে, ‘হাইরে আমার গাঁধা ভাইরে! তুমি কী জানো না?’
‘ কি?’
‘ আজ তো বাপির জন্মদিন! ‘
ইরাশ ভুলে যাওয়ার অভিনয় করে, জিহবায় কামড় দিয়ে বলে, ‘ ইস রে! একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। ‘
এনা, ইরাশের কাধে আলতো চাপড় মে/রে বলে,’হয়েছে আর নাটক্ করতে হবে না। সারপ্রাইজ এর কি খবর?’
ইরাশ নিজের কলারের শার্ট উঁচিয়ে বলে, ‘ কোন চিন্তা নেই। ইরাশ থাকতে কোন কিছু নিয়েই টেনশন করবি না। তোরা জাস্ট ভাইয়াকে রেডি করে নীচে নিয়ে আয়। বাকিটা আমি দেখছি। ‘
এনা এবং মিষ্টি ইরাশের কথা শুনে ফারিশের ঘরে ঢুকে যায়। ইরাশ নিচে নামতেই, আরশ এগিয়ে এসে বলে, ‘ ভাই, তোমার কথামতো সব ব্যাব্সহা ডান!’
‘ আচ্ছা দাদি, কাকা, কাকি এবং বাবা কোথায়?’
আরশ মুচকি হেসে বলে, ‘ চিন্তা করো না। সবাই আছে। তুমি শুধু সারপ্রাইজ টা নিয়ে আসো, জলদি। বারোটা বাজতে কিন্তু বেশি দেরী নেই। ‘
‘ আচ্ছা যাচ্ছি কিন্তু অভি এবং ইয়ানা আসবে না?’
‘ তুমি তো জানোই ইয়ানার ছেলে আলভির সেই কাল থেকে জ্বর! কেবল দুই মাসের শিশু! তাছাড়া অভিও অনেকটা গিলটি ফিল করছে। আই থিংক এখুনি অনন্যার সামনাসামনি হলে, বিষয়টা অন্য দিকে গড়বে। তাছাড়া, সময় দাও, দেখবে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ‘
ইরাশ ও হ্যা সূচক মাথা নাড়ায়। তার সাথে সে আরশের কথাবার্তাতে অবাকও হয় বটে। সত্যিই দুই বছরে নিজেকে শুধরে নিয়েছে সে। জুঁইও থাইল্যান্ডে স্যাটেল হয়ে নিজেদের পারিবারিক ব্যাবসা দেখছে। তার মা ইশিকা বেগম জেলে রয়েছেন এখনো। সন্তান হিসাবে প্রায় তার সাথে দেখা করে, খবর নিয়ে আসে ইরাশ! ইরাশ ভেবে রেখেছে তার মা শুধরে গেলে, তার শাস্তি শেষ হলে, সে তার মাকে ঢাকার কোন ফ্ল্যাটে রেখে আসবে, কারণ সে জানে তার বাবা কিছুতেই তার মায়ের সাথে পুনরায় সংসার করবে না এবং তার বাবার সাথে সে নিজেও সহমত! ইরাশের ভাবনার মাঝে আরশ তাকে সামান্য ধাক্কা দিয়ে বললো, ‘ কি হলে ভাইয়া? এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেন?’
‘ ওহ, যাচ্ছি। ‘ বলে ইরাশ বেড়িয়ে যায়। ইরাশ বেড়িয়ে যেতেই, নিজের রুম থেকে বেড়োতে বেড়োতে ফারিশ বিরক্ত হয়ে বলে, ‘ মিষ্টি মা, তোমরা আমাকে এমন বিয়ের শেরওয়ানী পরিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?’
‘ আমাদের ইচ্ছে হয়েছে তুমি এই পোষাকে বার্থডে সেলিব্রেট করবে, তাই।’
মিষ্টির জবাবে, এনাও সায় দিয়ে বলে, ‘ একদম! আর মেয়ে আবদার করেছে, সেখানে এতো কিসের প্রশ্ন তোমার?’
‘ তুইও কি বাচ্চা হয়ে গেলি নাকি এনা? দুইদিন পর শফিকের সাথে তোর বিয়ে, ভুলে গেলি? আমি জরুরী মিটিং ছেড়ে এসেছি। কাজের সময়, এইসময় বার্থডে সেলিব্রেশন আই জাস্ট ডোন্ট লাইক দিজ!’
এনা এবং মিষ্টি, ফারিশের কোন কথা না শুনিয়ে নীচে নামিয়ে আনলো। তারা নীচে নামতেই, সমস্ত আলো নিভে গেলো। কিছুক্ষন পর আলো জ্বলতেই, ফারিশ স্তব্ধ হয়ে যায়! কারণ তার সামনে স্বয়ং বধুবেশে অনন্যা দাঁড়িয়ে আছে। আগের থেকে যেনো দ্বিগুন সুন্দর হয়েছে সে, লাল টুকটুকে শাড়িতে সেই সৌন্দর্য আরো বেশি ফুটে উঠেছে। ফারিশও লাল শেরওয়ানী পরেছে। চুলগুলো এলোমেলো তবে এখনো আখিতে সেই কাঠের ফ্রেমের মোটা চশমা! অনন্যা এগিয়ে এসে, ফারিশের সামনে দাঁড়িয়ে বললো, ‘ শুভ জন্মদিন মি: ফারিশ খান। আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটবে আজ, ফারিশ সাহেব! আমাদের প্রণয়ের রংধনুতে রঙ্গিন হয়ে উঠবে আজ গোটা আকাশ!’
পিছন থেকে এনা, আরশ, ইরাশ একসাথে বললো, ‘কেমন লাগলো সারপ্রাইজ?’
ফারিশ অনন্যাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘বেষ্ট, বেষ্ট! ‘
অনন্যা ছলছল নয়নে জবাব দিলো, ‘ ভালোবাসি আপনাকে! অনেক ভালোবাসি। এই দুই বছরে, প্রতিটা মুহুর্তে উপলব্ধি করেছি, কতটা ভালোবাসি আপনাকে। ‘
ফারিশ অনন্যার কপালে চুমু খেয়ে বলে, ‘ আমিও যে তোমায় বড্ড ভালোবাসি। ‘
রুমা খান শিষ মে/রে বললেন, ‘ জিও! নাতী!’ খালেদ খান, রেশমি খান এবং রাশেদ খানও হেসে উঠলো। কাজি সাহেবও উপস্হিত হয়ে বললেন, ‘ তবে বিয়ের কাজ শুরু করে দেই?’
____________
ফারিশের রুমে বধুবেশে বসে আছে অনন্যা। আশে-পাশে কাঠগোলাপের সুবাস তার নাকে ভেসে আসছে। অদ্ভুদ ভালো লাগছে সবকিছু, সেই সাথে একঝাঁক ভয় এবং লজ্জাও তাকে আকড়ে ধরে রেখেছে। আজ সে ফারিশ খানের বউ! অদ্ভুদ এক উত্তেজনা! তার সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, ফারিশ ঘরে প্রবেশ করে। ফারিশ প্রবেশ করতেই, অনন্যা উঠে দাঁড়াতেই, ফারিশ অনন্যার থুতনিতে হাত রেখে বলে, ‘ কি অপূর্ব স্নিগ্ধতা আপনার রুপে মিস অনন্যা! সেই স্নিগ্ধতাকে আজ বড্ড কাজ থেকে অনুভব করতে ইচ্ছে করছে। আপনি কি দিবেন সেই অনুমতি আজ?’
অনন্যা লজ্জামাখায় গলায় বলে, ‘আসলে…’
সম্পূর্ন কথা শেষ করার পূর্বে, ফারিশ তার অধরে আঙ্গুল রেখে নেশাক্ত গলায় বলে, ‘ হুস! আর কোন কথা নয়। আজ আপনার অনুমুতি না পেলেও, আমি নিজেকে দমিয়ে রাখবো না। অনেক অপেক্ষা করিয়েছেন আপনি! আজ সবকিছুর হিসাব নিবো। ‘
কথাটা বলেই অনন্যাকে পাজকোলে তুলে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে ফারিশ। অনন্যা লজ্জায় মুখ সরিয়ে নিতেই, ফারিশ তার মুখস্রীখানা আলতো করে ছুঁইয়ে, ললাটে অধর ছুঁইয়ে, শক্ত করে আকড়ে ধরে অনন্যার হাতজোড়া। অনন্যা ছটফট করলেও, আজ কোন বাঁধা মানে না ফারিশ। তাদের ভালোবাসার প্রণয়ের সাক্ষী হয়ে থাকে নি:শব্দ রাতের প্রহর!
______________
ভোর হতেই, খেয়াল করে ফারিশ তার পাশে অনন্যা নেই। ফারিশ ভয় পেয়ে, শার্ট গাঁয়ে জড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতেই দেখতে পায়, অনন্যা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আলতো করে হাত দিয়ে বৃষ্টির পানি ছুঁইয়ে দেখছে। জানুয়ারী মাসের বৃষ্টিতে কিছুটা অবাক হলেও, ফারিশ মুচকি হেসে পিছন থেকে অনন্যাকে জডিয়ে ধরে বলে, ‘ এই কড়া শীতে, কী করা হচ্ছে মিস? সরি মিসেস ফারিশ খান?’
অনন্যা হাত উচিয়ে ফারিশকে ইশারা করে দেখায়, ‘ দেখুন, বৃষ্টির কারণে আকাশে কি সুন্দর রংধনু দেখা দিয়েছে। ‘
‘ উহুম! কিন্তু এইটা মিসেস খান, আপনি কি জানেন? এইটা কোন সাধারণ রংধনু নয়। ‘
‘ তবে?কিসের রংধনু?’
ফারিশ মুচকি হেসে জবাব দিলো,
‘ আমাদের ভালোবাসার প্রণয়ের রংধনু।’
সমাপ্ত।।